খুচরা বাজারে চিনির দাম টাল মাটাল” ইচ্ছেমতো নিচ্ছে দাম

নিউজ২৪লাইন:
মহিদুল ইসলাম পান্না স্টাফ রিপোর্টার
রাজধানীর খুচরা দোকানগুলোতে কখনো চিনি পাওয়া যাচ্ছে, কখনো পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি দোকান থেকে মাঝেমধ্যে তাঁরা চিনি পান। পরিমাণে অল্প। সেই চিনি দ্রুতই বিক্রি হয়ে যায়। ফলে বেশির ভাগ সময় দোকানে চিনি থাকে না।শুধু সংকটই নয়, বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে ইচ্ছামতো দামে। কোনো দোকানে খোলা চিনি ১০৫ টাকা, কোনো দোকানে ১১০ টাকা, আবার কোনো দোকানে ১২০ টাকা দরেও বিক্রি করা হচ্ছে। যদিও খোলাবাজারে সরকার নির্ধারিত দর ৯০ টাকা কেজি। প্যাকেটজাত চিনির ক্ষেত্রে দরটি ৯৫ টাকা। যদিও দোকানে এই চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। রাজধানীর কাঁটাবন, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, কলাবাগান, পান্থপথ, ইন্দিরা রোড ও রাজাবাজার এলাকার কাঁচাবাজার ও পাড়া-মহল্লার মুদিদোকান ঘুরে গতকাল শনিবার এ চিত্র দেখা গেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিনি কিনতে এসে ক্রেতারা একবার পাচ্ছেন, তো আরেকবার পাচ্ছেন না।বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) হিসাবে, দেশে বছরে চিনির চাহিদা ১৮ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন। এই চিনির প্রায় পুরোটা বিদেশ থেকে আমদানি করে পরিশোধন করা হয়। বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত চিনি ও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আগে থেকেই চিনির দাম বাড়ছিল। তবে দুই সপ্তাহ আগে থেকে সরবরাহে ঘাটতি শুরু হয়।সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, বাজারে এখন প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। এক সপ্তাহে দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা। সব মিলিয়ে এক মাসে চিনির দাম বেড়েছে প্রায় ২৯ শতাংশ। চিনি পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো বলছে, সরবরাহে এই ঘাটতি তৈরি হয়েছে গ্যাসের অভাব ও লোডশেডিংয়ের কারণে। কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম ঠিকভাবে চালানো যাচ্ছে না।
পাঠক আপনার মতামত দিন