পানি অপচয় রোধে এক হাজার মিটার সেচনালা স্থাপন,কৃষকের মুখে হাসি

নিউজ২৪লাইন:
শরীয়তপুর প্রতিনিধি : পানির অপচয় রোধ ও উৎপাদন খরচ কমাতে শরীয়তপুরে বারিড পাইপের মাধ্যমে সেচের আওতায় এলো প্রায় ৪০০ হেক্টর জমি, ইতিমধ্যে ১২ হাজার মিটার বারিড পাইপ সম্পন্ন হয়েছে।
দেশের কৃষি ব্যবস্থা অনেকটাই সেচ নির্ভরশীল। শুধুই ধানের আবাদ নয়, সব ফল-ফসলেই ক্ষেত্রমতে পানি সেচের প্রয়োজন হয়। সেচ কাজে পানির অপচয় রোধ, ফসলি জমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করণ, দ্রুত সময়ে জমিতে পানি সরবরাহ ও অধিক ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার করে জমিতে সেচ দেয়ার জন্য ভূগর্ভস্থ সেচনালা (বারিড পাইপ) স্থাপন করা হয়েছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, প্রকল্প এলাকায় এয়ার পাইপসহ ১০টি পানি বিতরণ কেন্দ্র (গেইটবাল্ব) স্থাপনসহ মোট ১২ হাজার মিটার পাইপ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ চালিত ২ কিউসেক ইলেকট্রিক মটর দিয়ে মাটির এক মিটার নিচ দিয়ে সঞ্চালনকৃত ভূগর্ভস্থ (১০ ইঞ্চি ডায়া) পাইপ দ্বারা আধুনিক প্রযুক্তিতে অতি দ্রুত উৎস থেকে শেষ পর্যন্ত পানি পৌঁছানোর ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। উপজেলা সেচ কমিটির মাধ্যমে ১১সদস্য বিশিষ্ট একটি সমিতি করে এই সেচ প্রকল্পটি পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) শরীয়তপুর সদর জোনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাবিব উল্লাহ জানান, কৃষি সেক্টরকে উন্নত এবং কৃষকদের ব্যয় ও পানি খরচ কমিয়ে আনার পাশাপাশি সেচের পানির অপচয় রোধে ড্রেনেজ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।
কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শরীয়তপুরের বিভিন্ন এলাকায় ভূগর্ভস্থ সেচনালা (বারিড পাইপ) নির্মাণ কার্যক্রম চলছে। শুধু ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর না করে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়ানো দরকার। সরকার ইতোমধ্যে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। আইলের মাধ্যমে সেচের পানি সরবরাহ করলে মাটি অনেকটা পানি শুষে নেয়। এ জন্য পানি অপচয় রোধে ড্রেনেজ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন হচ্ছে।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) শরীয়তপুর জোনের সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, পানির টেকসই ব্যবহার ও পানিসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতে সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। নদী-খাল খনন ও পুনঃখনন, রাবার ড্যাম নির্মাণ, জলাধার নির্মাণ, পানি সাশ্রয়ী পদ্ধতির ব্যবহারসহ অনেক উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে। বিএডিসি বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচির মাধ্যমে খাল পুনঃখননের মাধ্যমে একদিকে যেমন জলাবদ্ধতা দূর করে চাষযোগ্য জমির পরিমাণ বৃদ্ধি করছে তেমনি আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নের দ্বারা প্রায় ৪০০ হেক্টর জমি
চাষের আওতায় আনা হয়েছে ।
পাঠক আপনার মতামত দিন