আফগানিস্তান: শুধু ছেলেদের জন্য খুললো মাধ্যমিক স্কুল, মেয়েরা বাদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আফগানিস্তানে মাধ্যমিক বিদ্যালয় খুললেও সেখানে থেকে মেয়ে শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়েছে তালেবানরা। শুধু ছেলে এবং পুরুষ শিক্ষকরাই শ্রেণীকক্ষে ফিরে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছে।

স্কুলছাত্রীরা বিবিসিকে বলেছে, তারা না ফিরতে পেরে ভেঙ্গে পড়েছে। “সবকিছু খুব অন্ধকারাচ্ছন্ন লাগছে,” একজন বলেন।

গত মাসে ক্ষমতার দখল নেয়া তালেবান কর্মকর্তারা বলেছেন যে, তারা এই বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য কাজ করছেন।

শনিবার আফগান স্কুলগুলি নতুন করে খোলার আগে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে: “সব পুরুষ শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া উচিৎ।”

মাধ্যমিক স্কুলগুলি সাধারণত ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য, এবং বেশিরভাগই আলাদা।

আফগানিস্তানের সংবাদ সংস্থা বাখতার নিউজ এজেন্সি তালেবান মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদকে উদ্ধৃত করে বলেছিল যে, মেয়েদের স্কুল খুলবে। তিনি বলেছিলেন, কর্মকর্তারা বর্তমানে স্কুল খোলার “প্রক্রিয়া” এবং শিক্ষকদের বিভাজনসহ নানা বিষয় নিয়ে কাজ করছেন।

মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন যে, কর্মকর্তারা বয়স্ক স্কুলছাত্রীদের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছেন।

শনিবার স্কুলছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকরা বলেছিলেন যে, সম্ভাবনা খুবই বিবর্ণ।

“আমি আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব চিন্তিত,” একজন আফগান স্কুল ছাত্রী বলেছিলেন যিনি একজন আইনজীবী হতে চেয়েছিলেন।

“সবকিছু খুব অন্ধকারাচ্ছন্ন লাগছে। প্রতিদিন আমি ঘুম থেকে উঠি এবং নিজেকে জিজ্ঞেস করি কেন আমি বেঁচে আছি? আমার কি ঘরে থেকে অপেক্ষা করা উচিৎ যে কখন কেই এসে দরজায় কড়া নেড়ে আমাকে বিয়ে করতে বলবে? এটা কি একজন নারী হওয়ার উদ্দেশ্য?”

তার বাবা বলেছিলেন: “আমার মা নিরক্ষর ছিলেন এবং এর জন্য আমার বাবা তাকে ক্রমাগত তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতো এবং তাকে গর্ধব বলে ডাকতো। আমি চাই না যে আমার মেয়ে আমার মায়ের মতো হোক।”

“আমি একজন ডাক্তার হতে চেয়েছিলাম! সেই স্বপ্ন এখন শেষ হয়ে গেছে। আমার মনে হয় না যে, তারা আমাদেরকে আবার স্কুলে যেতে দেবে। এমনকি তারা আবার উচ্চ বিদ্যালয় খুললেও, তারা চায় না যে নারীরা শিক্ষিত হোক।”

Spread the love

পাঠক আপনার মতামত দিন