সিনেমার বাজার থেকে সৌদি আরবের বার্ষিক আয় ৩৮৫০ কোটি টাকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

নিউজ২৪লাইন:

সৌদি আরবে ফিল্ম ইন্ড্রাস্টি খোলস ছেড়ে বেড়িয়েছে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর অল্প সময়ের মধ্যেই দেশটিতে সিনেমা হলের সংখ্যা বেড়ে গেছে।

বর্তমান দেশটিতে সিনেমা হলের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০০টি। ধীরে ধীরে পশ্চিম এশিয়ার শীর্ষ সিনেমার বাজারে পরিণত হতে যাচ্ছে দেশটি।
২০২১ সালে সিনেমার বাজার থেকে সৌদি আরবের আয় হয়েছে ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় তিন হাজার ৮৫০ কোটি টাকা।

মার্কিন সাময়িকী ভ্যারাইটি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৫ সালে সৌদি আরব বিশ্বের দশম বৃহত্তম সিনেবাজার হওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে— দুবাইভিত্তিক বিনোদন প্রতিষ্ঠান ‘ভক্স সিনেমা’ সৌদি আরবে নতুন নতুন প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এ কার্যক্রমে ১ লাখ ১৭ হাজার মানুষ প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। ১৬ বিলিয়ন সৌদি রিয়ালের বিনিয়োগে সিনেমা হলের সঙ্গে শপিংমল, ফ্যাশন হাউজ, বিনোদন ও দোকানপাট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যার ফলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে বাড়বে আরও সিনেমা হল।
এখানেই শেষ নয়, সৌদি আরব তাদের বিনোদন খাতে ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এই সামগ্রিক বিনিয়োগ আগামী দশকে এই বাজারকে আরও ত্বরান্বিত করবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।
এ ছাড়া সৌদি আরব বর্তমানে ড্যান্স মিউজিক ফেস্টিভ্যালের আয়োজনে জোর দিতে চায়। এরই মধ্যে সৌদি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে দ্বিতীয়বারের মতো এমন একটি আয়োজন হয়েছে, যেখানে এক লাখ ৮০ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবে ১৯৭০ সালের পর দেশটির ইসলামিক নেতারা সিনেমা হলগুলো বন্ধ করে দেন। এর পর দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে সেখানে কোনো সিনেমা হল ছিল না।
২০১৮ সালে সিনেমা হলের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির রাজপরিবার। একই বছর ১৮ এপ্রিল রিয়াদে চালু হয় দেশটির প্রথম সিনেমা হল। অল্প দিনেই দেশটিতে বাড়ছে হলের সংখ্যা, বাড়ছে দর্শকশ্রোতাও।
তবে সিনেমা চালানোর অনুমতি থাকলেও সব ধরনের সিনেমা চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বিষয়, যৌনতা এবং সমকামিতা বিষয়ক সিনেমা এখনও দেশটিতে নিষিদ্ধ।

Spread the love

পাঠক আপনার মতামত দিন