করোনা পরিস্থিতিতেও স্থগিত হচ্ছে না বাংলাদেশ গেমসের বিশেষ আসর, রহস্যজনক গোপনীয়তায় সবকিছুই চলছে তড়িঘড়ি

সকল নিয়ম কানুনকে তুচ্ছ করে রহস্যজনক গোপনীয়তার মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস শুরু হয়েছে। কঠোর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ ছাড়াই বেশিরভাগ খেলোয়াড় অংশ নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই খেলোয়াড়, আয়োজক, কর্মকর্তা, কর্মচারী মিলিয়ে প্রায় আট হাজার সদস্যের বিরাট কাফেলা জড়ো হয়েছেন মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়াম। আয়োজকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত সূত্রগুলো জানিয়েছে, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসে অংশ নেওয়া আন্তঃবাহিনীর (ডিফেন্স  সদস্য) খেলোয়াড়রা সকলেই ভ্যাকসিন গ্রহণকারী, কিন্তু পক্ষান্তরে সিভিলিয়ান খেলোয়াড়দের প্রায় সকলেই করোনা ভ্যাকসিন বহির্ভূত রয়েছেন। তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে টাকার বিনিময়ে ভ্যাকসিন গ্রহণ সংক্রান্ত ভ‚য়া সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে তা জমা দেয়া হয়েছে।

করোনা পরিস্থিতিতেও স্থগিত হচ্ছে না বাংলাদেশ গেমসের বিশেষ আসর। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রজ্ঞাপনে সতর্ক বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। মশাল প্রজ্জ্বলনে চমক দিতে চায় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। নবীন-প্রবীন ক্রীড়াবিদদের হাত ঘুরে টুঙ্গিপাড়া থেকে নবম বাংলাদেস গেমসের মশাল আসবে ঢাকায়। এসব কারণে ১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালী এ গেমসের উদ্বোধন করার কথা থাকলেও দুদিন আগেই আজ ৩০ মার্চ ভোরে মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে অংশগ্রহণকারীরা সবাই হাজির হয়েছেন।

গত বছরের এপ্রিলে মাঠে গড়ানোর কথা ছিল প্রতিযোগিতাটির। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তা স্থগিত করা হয়। তবে প্রায় এক বছর পিছিয়ে গেলেও প্রতিযোগিতার নামের সঙ্গে ‘২০২০’-ই রাখা হচ্ছে বলে জানালেন আয়োজকরা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী স্মরণীয় করে রাখতে এ গেমসের নাম দেয়া হয় ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস’। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত আগামী ১-১০ এপ্রিল বসবে বাংলাদেশ গেমসের নবম আসর। গত ১৬ জানুয়ারি কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিওএ’র সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।

ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। গেমসে খেলোয়াড়, টিম অফিসিয়াল ও খেলা পরিচালনার জন্য টেকনিক্যাল অফিসিয়ালসহ আনুমানিক সাড়ে ৮ হাজার জন অংশ নেবেন। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ গেমসে ৩১টি ডিসিপ্লিনে ৩৯৬ সোনাসহ মোট ১ হাজার ৩৩৮টি পদক দেয়ার কথা রয়েছে।

Spread the love

পাঠক আপনার মতামত দিন