নবজাত সন্তানের মৃত্যুর খবর সুনে মা- অক্সিজেন মাস্ক খুলে আত্মহত্যা।

নিউজ২৪লাইন ডটকম : করোনায় আক্রান্ত মা জন্ম দিলেন করোনায় আক্রান্ত শিশুর। আর ওই শিশুর মৃত্যুর খবর শুনে নিজের মুখের হাইফ্লো নজেলের অক্সিজেন মাস্ক খুলে মা নিজেও আত্মহত্যা করলেন। একই সঙ্গে মা ও সন্তানের দাফন হলো। হৃদয় বিদারক এ ঘটনায় চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি চিকিৎসকরাও।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপতালের করোনা ইউনিটে গতকাল রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার বিকেলে মা ও সন্তানদের দাফন করে কুমিল্লার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বিবেক’।

মৃতদের মধ্যে চারজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের, তিনজন রাজশাহীর, একজন নাটোর ও একজন কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা।

বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেলে ১৭৭ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে ১৩ জন আছেন আইসিইউতে।

এর আগে গত বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের চারজন মারা যান। গত সোমবার রাজশাহী মেডিকেলে একদিনে সর্বাধিক ১০ জনের মৃত্যু হয়।

এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে রাজশাহী মেডিকেলে শনাক্ত ও উপসর্গ নিয়ে ৪৬ জনের মৃত্যু হলো।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের হরিশাপুর গ্রামের মো. সোহেল পাটোয়ারীর স্ত্রী ফারজানা আক্তার অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৭ মে থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু মা ফারজানা আক্তার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে শিশুর শরীরেও এর প্রভাব ছিল, যার কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়।

পরিবারের সদস্যদের কাছে সন্তানের মৃত্যু সংবাদ শুনে তা সহ্য করতে না পেরে ওই মা নিজের অক্সিজেন মাস্ক খুলে ফেলেন। এরপরই দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা টের পেয়ে তাকে আবার মাস্ক পরাতে যান। কিন্তু তিনি মাস্ক পরতে অনীহা প্রকাশ করেন।

ফারাজানা আক্তার এ সময় ডাক্তারদের বলেন, ‘আমার সন্তান যখন বেঁচে নেই তখন আমারও বেঁচে থেকে লাভ নেই।’ ডাক্তাররা জোড়চেষ্টা করেন। তিনি মাস্ক পড়েননি। এ পরিস্থিতি মা ফারজানা আক্তার কিছুক্ষণ পরে নিজেও মৃত্যুবরণ করেন। করোনায় আক্রান্ত গর্ভবতী মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া সদ্যজাত শিশুপুত্র জন্মের প্রায় ১২ ঘণ্টা পর মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

এ ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চিকিৎসক বলেন, ‘এমন হৃদয় বিদারক ঘটনা আমরা আগে কখনো

Spread the love

পাঠক আপনার মতামত দিন