আল জাজিরার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে – পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন


কাতারভিত্তিক সম্প্রচার মাধ্যম আলজাজিরার বিরুদ্ধে সরকার মামলা করার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। শনিবার আর্মি স্টেডিয়ামে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। খবর বাংলানিউজের।

‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য আলজাজিরা চ্যানেলের বিরুদ্ধে সরকার থেকে কোন ব্যবস্থা নেবে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আলজাজিরা যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, জনগণ বুঝেছে যে, এটা মিথ্যা তথ্য। সেটা আমরা দেখব। যেখানে তথ্যগত ভুল আছে, সেগুলো আমরা তুলে ধরব। উই উইল স্যু (আমরা মামলা করব)। আমরা সেটার জন্য কাজ করছি। তিনি আরও বলেন, আলজাজিরা এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে তাদের ক্রেডিবিলিটি হারিয়েছে। আলজাজিরার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জাতিসংঘ অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বলেছে এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, জাতিসংঘে একজন বাঙালী ভদ্রলোক নিয়মিত প্রশ্ন করেন, সেখানে তিনি আলজাজিরার প্রতিবেদনের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। সেই প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হোক। আমরাও মনে করি অভিযোগ খতিয়ে দেখা হোক। এতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, রাখাইনে সেনাবাহিনীর লোকজন গিয়েছিল। তারা সেখানে রোহিঙ্গাদের অভয় দিয়েছে। সেই খবর শুনে এখানকার রোহিঙ্গারা উৎসাহ বোধ করছে। তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে দেশটিতে নিযুক্ত আমাদের রাষ্ট্রদূতকে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে।

মিয়ানমার সামরিক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের কারণ জানিয়েছে ॥
মিয়ানমারে নতুন সামরিক সরকার ক্ষমতা দখলের কারণ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। শনিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তারা একটি চিঠি দিয়েছে আমাদের রাষ্ট্রদূতকে এবং সেখানে তারা বলেছে কী কারণে তারা টেকওভারটা করেছে। এরপরে আমরা আর কোন তথ্য পাইনি।’ খবর বিডিনিউজের।

চিঠির বিষয়বস্তু প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা বলছে যে, ১০ দশমিক ৪ মিলিয়ন ভুয়া ভোট হয়েছে, ভুয়া ভোটের কারণে তাদের দায়দায়িত্ব আছে এটাকে শোধরানোর।’ এক প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর এসেছে, রাখাইনে নতুন মিলিটারি কমান্ডাররা রাখাইনে যেসব রোহিঙ্গা আছে, তাদের ক্যাম্পে গিয়েছিলেন এবং ওদের মুরব্বিদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। ‘তখন ওরা তাদের অভিযোগের কথা বলেছে যে, তারা চলাফেরা করতে পারে না। তখন নতুন সরকার বলছে যে, আমরা আস্তে আস্তে তোমাদের অবস্থার পরিবর্তন করব। ধাপে ধাপে তোমাদের অবস্থার পরিবর্তন হবে।’এগুলো শুনে কক্সবাজারে ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা’ খুব খুশি’ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এজন্য যে, আর্মি তাদের অভয় দিয়েছে। এগুলো ভাল সংবাদ। নতুন শুরু।’ তবে রাখাইনের ক্যাম্পে সেনাবাহিনী যাওয়ার খবর এখনও সরকারীভাবে আসেনি বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

Spread the love

পাঠক আপনার মতামত দিন