ঝালমুড়ি খাওয়ানোর কথা বলে দুই বান্ধবীকে নিয়ে ধর্ষণ ।

মঙ্গলবার (০৮ জুন) রাতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ ইসলামবাগ এলাকায় আলাউদ্দিন মিয়ার বাড়িতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে বন্দর থানা পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে।
বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা এ মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর থানার এম সার্কাস এলাকার গোপাল মিয়ার ভাড়াটিয়া টিটু মিয়ার ছেলে সিফাত হোসেন (১৮), হাজীগঞ্জ এলাকার রাজু মিয়ার বাড়ি ভাড়াটিয়া আব্দুল মান্নান সরদারের ছেলে সিফাত (২১), বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ ইসলামবাগ এলাকার আলাউদ্দিন মিযার ছেলে সাকিব হোসেন (২৪) ও একই এলাকার মৃত বাহাউদ্দিন মিয়ার ছেলে নাইম (২৪)। মামলার অপর আসামি শাকিল (২২) পলাতক রয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী জানান, গত আটদিন আগে বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ গুদারাঘাটে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার এম সার্কাস এলাকার টিটু মিয়ার ছেলে সিফাত হোসেন ও হাজীগঞ্জ এলাকার আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে সিফাতের সঙ্গে তার ও এক বান্ধবীর পরিচয় হয়। পরে উভয়ের মধ্যে মোবাইল ফোন নাম্বার আদান প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এর ধারাবাহিকতায় গত ৮ জুন মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ধর্ষণ মামলার বাদী ও তার বান্ধবী কদম রসুল দরগাহ দেখতে নবীগঞ্জ ঘাটে  এলে ওই সময় সিফাত (১) ও সিফাত হোসেনসহ (২) তাদের বন্ধু সাকিব হোসেন, নাঈম ও শাকিলের সঙ্গে দেখা হয়। পরে ওই যুবকরা তাদের দুই বান্ধবীকে ঝালমুড়ি খাওয়ানোর কথা বলে নবীগঞ্জ ইসলামবাগ এলাকার আলাউদ্দিন মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে পাশাপশি দুইটি রুমে দুই বান্ধবীর সাথে সিফাত (১) ও সিফাত (২) নামে তাদের দুই বন্ধুকে ঘরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে দেয় তাদের অপর বন্ধুরা। পরে উল্লেখিত দুই বন্ধু তাদের দুই বান্ধবীকে তালাবদ্ধ ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহ জানান, মামলা দায়েরের পর ধর্ষিতা দুই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Spread the love

পাঠক আপনার মতামত দিন