সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জে গ্রামীণ অবোকাঠামো উন্নয়নে চলাচলের অনুপোযোগী রাস্তা করা হচ্ছে আধুনিকায়ন

স্বপ্না আক্তার ,নীলফামারী।

গ্রামীণ অবোকাঠামো উন্নয়নে অধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ ও সৈয়দপুর উপজেলায়। চলাচে অনুপোযোগী রাস্তা গুলোতে মাটি দিয়ে সংস্কারের পরিবর্তন এনে করা হচ্ছে এইচবিবি করণ ও সিসি সোলিং। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহারে বর্ষায় কাদা ও খানাখন্দকে ভরা উঁচু-নিচু রাস্তাসহ দূর হবে পথচারীদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি । গ্রামীণ অবোকাঠামো উন্নয়নে সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ দূর হওয়ার পাশাপাশি গ্রাম রুপান্তর হবে শহরে। এবারের কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়নে নিচু এলাকার রাস্তা উঁচু, টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে ধারণা নীতিনির্ধাকদের।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করার প্রচেষ্টা সফল করেতে নিরলস পরিশ্রম করছে নীলফামারীর সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার দায়িত্বরত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হাসনাত সরকার। কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পের আওতায় সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ৪২টি রাস্তায় করা হচ্ছে এইচবিবি করণ, সিসি সোলিং ও মাটি ভরাটের কাজ। চলতি অর্থ বছরে স্থানীয় সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেলের দেয়া বিশেষ বরাদ্দ কাবিটা প্রকল্পের প্রায় ১কোটি ১০লক্ষ টাকা ব্যায়ে চলছে চলাচলের অনুপোযোগী নিচু রাস্তা সংস্কারের কাজ। হাজারো মানুষ চলাচলের অনুপোযোগী বেহাল এই রাস্তায় দুই স্তর বিশিষ্ট সারিবদ্ধ ইটের উঁচুতে পাল্টে যাচ্ছে গ্রামীণ আবোকাঠামো। এমনকি বাড়ছে রাস্তার স্থায়ীত্ব।
তবে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের করল্লাবেচা পাড়ার হাজারো মানুষ সবচেয়ে বেশী খুঁশি। চলালের অনুপোযোগী রাস্তায় ছিলো খানাখন্দকে ভরা আর বর্ষা মৌসুম এলেই যেনো পানি জমে থাকে হাটু পর্যন্ত। করল্লাবেচা পাড়ার আব্দুর রাজ্জাক, হাবিবুর রহমান, মহব্বত হোসেনসহ প্রায় ১শতাধিক মানুষ বলেন, মেয়ে বিয়ে দিতে গেলে রাস্তার কারণে ভালো ঘর জোটে না। বর্ষাকালে এক হাটু পানি জমে থাকে এমনকি কাদার জন্য রাস্তা ঘাট চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে যায়। খরা মৌসুমে তো খানাখন্দকে ভরা থাকে চলতে অনেক কষ্ট হয়। এখন আমরা অনেক আনন্দিত। আমাদের এই রাস্তাটা অনেক উঁচু করে ইট দিয়ে দুই স্তর বিশিষ্ট সলিং করা হয়েছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাদুবাদ জানাই আমাদের দীর্ঘদিনের এই অবহেলিত রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছে।
সৈয়দপুরের বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের আব্দুল ওহাব বলেন, আগে এই রাস্তায় উচু নিচু খালখন্দক ছিলো। আর এই বর্ষায় কাদার জন্য অনেক পিছলা, এখন ইট দিয়ে দুই স্তর বিশিষ্ট সোলিং করে দিয়েছে চলাচলে অনেক শান্তি পাচ্ছি।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হাসনাত সরকার বলেন, গ্রাম হবে শহর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় প্রশাসনের সাথে পরামর্শক্রমে বেশীর ভাগ চলাচলের অনুপোগী রাস্তা করা হচ্ছে সংস্কার। এইচবিবি ও সিসি কারণ কাজ সম্পন্ন হলে অবহেলিত এলাকার মানুষ যাতায়াত, পণ্যপরিবহন, এ্যম্বুলেজ, ফায়ার সার্ভিস সহ সড়ক পথে বিভিন্ন সুবিধা পাবে।
নীলফামারী-০৪ আসনের সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে আমার পাওয়া বরাদ্দের টিআর কাবিটা প্রকল্পের সিংহ ভাগেই খরচ করা হচ্ছে গ্রামীণ অবোকাঠামো উন্নয়ন মূলক কাজে। আর এই এইচবিবি ও সিসি সোলিং হচ্ছে প্রাথমিক ভাবে রাস্তা পাকা করণের ভিত্তি । এতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি বাড়বে অর্থনৈতিক উন্নয়ন।

Spread the love

পাঠক আপনার মতামত দিন