ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার যানজট

ঈদে ঘরমুখী মানুষ ও কোরবানির পশুবাহী অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার এলাকায় ঢাকামুখী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আশেকপুর বাইপাস পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট দেখা গেছে।

শনিবার ভোর রাত থেকে মহাসড়কের রাবনা, বিক্রমহাটি, রসুলপুর, পৌলি ও এলেঙ্গা এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়। উত্তরবঙ্গমুখী গাড়ি মাঝেমধ্যে চললেও ঢাকামুখী গাড়ি আটকে রয়েছে।

এদিকে লকডাউন শিথিল ও আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে মহাসড়কে পরিবহনের চাপ বেড়েছে তিনগুণ। বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন পরিবহন চলাচল শুরু করেছে। ফলে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থেকে টাঙ্গাইলের আশেকপুর বাইপাস পর্যন্ত মহাসড়কের ২৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে যানজট। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে সিরাজগঞ্জ রোড পর্যন্ত রয়েছে পরিবহনের ধীরগতি।

এ ছাড়া সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে মহাসড়ক বর্ধিতকরণের কাজ চলমান থাকায় সেখানে সৃষ্টি হওয়া যানজট গিয়ে ঠেকেছে টাঙ্গাইল অংশে। এদিকে সেতুর দুই পাশে দীর্ঘ যানজট থাকায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে রাতে দুই ঘণ্টা এবং ভোরে পর পর দুইবার টোল আদায় বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রী ও চালকরা। এ ছাড়া উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা কাঁচামাল সঠিক সময়ে ঢাকায় পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

মহাসড়কে চলাচলাকারী চালকরা জানান, প্রতিনিয়তই টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব পর্যন্ত মহাসড়কটুকুতে যানজটে আটকা পড়তে হয়। এটা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আবার টাঙ্গাইল অংশ পার হতে পারলেও সিরাজগঞ্জ অংশে গিয়ে আটকা পড়তে হয়।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, মহাসড়কে তিনগুণের বেশি পরিবহন চলাচল করছে। এতে গাড়ির চাপ যেমন বেড়ে গেছে তেমনি সিরাজগঞ্জ অংশে মহাসড়কের বর্ধিতকরণ কাজের কারণে সৃষ্টি হওয়া যানজট টাঙ্গাইল এসে থেমেছে। এতে পরিবহন সহজে সেতু পার হতে পারছে না। আবার সেতু কর্তৃপক্ষ শুক্রবার রাত ২টা থেকে ৪টার পর্যন্ত টোল আদায় বন্ধ রেখেছিল। এতে মহাসড়কে আরও পরিবহনের চাপ বেড়ে যায়।

Spread the love

পাঠক আপনার মতামত দিন