স্কুল-কলেজ খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ২৪লাইনঃ, ঢাকা- মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা দেশের সব স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এরইমধ্যে আমি স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। সে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের টিকাও দেওয়া হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার নির্দেশনার কথা জানিয়ে আরও বলেন, ‘শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যারা কর্মরত আছেন তাদের পরিবারের সদস্যদেরও টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাব আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সাংসদ হাসিবুর রহমানের মৃত্যুতে আজ জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। পরে রেওয়াজ অনুযায়ী চলমান সংসদের এই সদস্যের মৃত্যুতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সংসদের বৈঠক মুলতবি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্কুলের ছেলেমেয়েদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মেনেই টিকা দেয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছি। যার জন্য কিছু ফাইজার টিকা ইতোমধ্যে এসে পৌঁছেছে, আরও পৌঁছাবে। অন্যান্য টিকাও আসছে।

তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি কখনো করোনা একেবারেই কমে যাচ্ছে আবার নতুনভাবে নতুন শক্তিতে এই ভাইরাস আসছে। তবে করোনা আমরা অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। দেখা যাচ্ছে টিকা দেওয়ার পরও অনেকে করোনা আক্রান্ত হন, তবে হয়তো তা মারাত্মক হয় না। এজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, টিকার কোনো সমস্যা নেই। যেখান থেকে যতভাবে হোক আমরা টিকা নিয়ে আসছি। খুব তাড়াতাড়ি স্কুল কলেজ খুলে দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টিকাদানের ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।

সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, করোনা থেকে ভাল হওয়ার পরেও নানা জটিলতা রয়ে যায়। যাদের অন্যান্য রোগ আছে, তাদের ক্ষেত্রে করোনা ঝুঁকি বাড়ায়। এ জন্য সবাইকে নিজের ভালো নিজেকে বুঝে চলতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার আমরা করে যাচ্ছি। আমাদের এই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আমরা যেভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি অনেক উন্নত দেশও সেভাবে পারেনি। আমাদের প্রচেষ্টা সবসময় আছে। আমরা শুরু থেকেই সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনার প্রকোপ এখন কমেছে। কিন্তু সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। এখন ডেঙ্গুর প্রকোপও বাড়ছে। এজন্য তিনি সবাইকে ঘর বাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দেন।

সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাসিবুর রহমান ছিলেন কর্মীবান্ধব, মানুষের জন্য কাজ করার আন্তরিকতা তার ছিল। তার এই অকাল মৃত্যু দেশের জন্য ক্ষতি। এই সংসদে বেশ কয়েকজন সদস্যকে হারাতে হয়েছে। বারবার শোক প্রস্তাব নিতে হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। অনেকে আপনজনের মরদেহ দাফন করেনি, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতা-কর্মীরা লাফ দাফন করেছে। মানুষের ঘরে অক্সিজেন সরবরাহ করা, খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ তারা করেছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

Spread the love

পাঠক আপনার মতামত দিন