দলিল মূলে সম্পদ রেখে অন্য দাগে ভোগ দখলের অভিযোগ

নিউজ২৪লাইন:
আমান আহমেদ সজীব শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর
দলিল মূলে সম্পদ রেখে অন্য দাগে ভোগ দখলের অভিযোগ তুলে ‘ আদালতে মামলা, দায়ের করেন সখিপুর ইউনিয়নের কাঁচি কাটা কান্দি বাসিন্দা মৃত আহম্মদ আলী খান এর ছেলে ওসমান খাঁ গণমাধ্যমকে জানান আমার দাদা হোসেন আলী খাঁন ৯০ নং সখিপুর মৌজায় ১৪৯ নং খতিয়ানে ভুক্ত ১/ ২৫১৮/ ২৫২৩ দাগে জমি কিনেন, এবং যার এস.এ ক্ষতিয়ান ২৫১১/ ২৫১২.
এবং আমার বাবা আহম্মদ আলী খাঁন পিতা, মৃত হোসেন আলী খাঁন এর নামে ( বি আর এস) ৪০৫৪.৪০৫৬.৪০৫৮.৪০৫৯.৪১৬৩.৪৩৪১.৪৩৪২.৪৩৪৩.৪৩৪৪. ৪৩৪৬ এবং ৪১৯৯ দাগ রয়েছে।
তার পরেও আমি আমার কমিতে জেতে পারছি না,
তারা জোর পুর্বক আমার জমি দখল করতেছে। তারা
৭/০৫/২০১৯ সাল, এবং বাংলা ১৪২৬ সনের১ পহেলা জৈষ্ট্য, সেলিনা বেগম, স্বামী মোস্তফা কামাল পাঠান, পিতা, শাজাহান সরদার, মাতা, বিলকিছ বেগম, বয়স ২৪/১০/১৯৮৪ ইং এবং জন্ম সনদ ও জাতীয় পরিচয় পত্র নং ৮৬১১৪৮৬৫০৫১৯৯
উল্লেখ করে, ৯০ নং চর সখিপুর মৌজায় হাজী আল আমিন সরদার এর ছেলে খালিদ হাসান ০১.১৭ শতাংশ তৌহিদিল ইসলাম ০১.১৬ শতাংশ, জান্নাতুল ফেরদৌস
০০.৫৮ শতাংশ ও মাহাদিয়া সুলতানা ০০.৫৯ শতাংশ, মোট তাদের কাছ থেকে ০৩.৫০ শতাংশ নাল ভূমি জমি বিক্রি করে সেলিনা বেগম এর কাছে। সেখানে স্পষ্ট ভাবে সম্পত্তির তফসিল /অবস্থানের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে, তাতে দেখা যায়, শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের মৌজাঃ চর সখিপুর। জে.এল নম্বর এস.এ ৯০ নং খতিয়ান নং আর এস- ৫৫৩নং প্রস্তাবিত- ৫৪১৩নং বি.আর.এস- ৯০ নং এস.এ- ৬৭৯ নং জোত-৫৪১৩ নং এবং বি. আর. এস – ১৪৬৭ নং। যার দাগ নং আর.এস ও এস.এ- ২৫০৯,২৫২১,৪২৭৭,৪২৬২,ও ৪২৫৭ নং
বি. আর.এস- ৪০৫৫,৪১৬৪,৪০৫৭,৪১৬৬,৪১৫০,৪২৮৫,৪২৮৬,৪২৯৬
হইতে ৪৩২ শতাংশ হইতে ০৩.৫০ শতাংশ ভূমি সম্পূর্ণ সাব বিক্রীত। এবং ঘর তফসিল বি.আর.এস – ৪১৬৪ নং দাগের উপরে আধা পাকা টিনসেট ঘর সাব বিক্রিত, যাহা দৈঘ্য ৫৭ ফুট এবং প্রস্থ ২৭ ফুট। তিনি দলিল সুত্রে আরো বলেন বি.আর.এস ৪১৬৪ নং দাগে অত্র দলিল গ্রহীতা স্বত্ব ভোগদখল করিবে। উপজেলা ভূমি অফিস ভেদরগঞ্জ শরীয়তপুর। দলিল মূলে সম্পদ রেখে অন্য দাগে ভোগ দখল করছেন জমি গ্রহীতা সেলিনা বেগম।
এমন অভিযোগ তুলে বিজ্ঞ সহকারি জজ আদালত শরীয়তপুর একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ওসমান খানকে দেখলেই অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ ও হুমকি প্রদর্শন করেনও বলে অভিযোগ করেন ওসমান খাঁন।

এবিষয়ে জমি দাতা তৌহিদুল ইসলাম এর কাছে কিছু জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা কিছু জানিনা বেন্ডার জুয়েল সব জানে। কিভাবে করছে।

অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ ও হুমকি প্রদর্শন করার অভিযোগ টি অস্বিকার করে সেলিনা বেগম এর স্বামী মোস্তফা কামাল পাঠান বলেন, আমি আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোনো ধরনের নির্মাণ করছি না। আমরা জমি কিনছি হাজী আল আমিন সরদার এর ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে, এতোদিন জানতাম এই দাগ ৪১৬৪ এখন শুনি এই দাগ ৪১৬৩ একটু বি.আর. এস এ সমস্যা আছে, তারা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করছে, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমাদের উভয়কে ,চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পূর্ব পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ করা হয়েছে, আমরা সেই অবস্থায় আছি। সে যদি আইনে জমি পায় আমরা ছেড়ে দেবো। আমরাতো আর তার কাছ থেকে জমি কিনি নাই।

এবিষয়ে স্থানীয়রা জানান বি.আর.এস খতিয়ানের বিষয় একসময় এই রাস্তা টি ছিলো না, হয়তো রাস্তা হওয়াতে জমিটা ভাগ হয়ে গেছে, রাস্তার পচ্শিম পাশে ৪১৬৪, আর পুর্ব পাশে ৪১৬৩ দাগ, ওসমান খাঁ আদালতের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে। মামাল করছে এখন মামলার বিষয়, সেলিনা বেগমের দলিল যেই জায়গায় সেই জায়গার যাইবো।

এ ব্যাপারে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান হাওলাদার বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধ আদালতে মামলা করছে। আদালত সিদ্ধান্ত নিবে।আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আমাদের মধ্য থেকে উভয়কে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পূর্ব পর্যন্ত স্থিতাবস্থা (statusquo) বজায় রাখার নির্দেশ করা হয়েছে।
যদি কেউ নির্দেশ না মানে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Spread the love

পাঠক আপনার মতামত দিন