ফেসবুকে পোস্ট দেখে খাবার নিয়ে অসহায় দম্পত্তির বাড়িতে ওসি শরীফ আহমেদ

আশিকুর রহমান হৃদয়।।

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার সিধুলকুড়া ইউনিয়নের আব্দুল করিম ও তার স্ত্রী কাকন নয় বছর যাবত ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছেন।

দীর্ঘ নয় বছরে তাদের কোন সন্তানাদি নেই। কাগজ কুড়িয়ে তা বিক্রি করে আব্দুল করিম সংসার চালান। বর্তমান পরিস্থিতিতে কঠোর বিধিনিষেধ থাকায় সংসার চালানো তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

এ অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে স্থানীয় সাংবাদিক মিরাজ সিকদার একটি ভিডিও পোস্ট করে।

বিষয়টি চোখে পড়ে ডামুড্যা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরীফ আহমেদের। তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। অসহায় দম্পত্তিকে খাবার ও নগদ অর্থ দিয়ে সাহায্য করেন।

এছাড়াও গন্তব্যে ফেরার পথে এক বাক প্রতিবন্ধীকেও খাদ্য সহায়তা দেন মানবিক অফিসার ইনচার্জ শরিফ আহমেদ।

পুলিশের এই সহায়তা পেয়ে কাঁদো কাঁদো কন্ঠে আব্দুল করিম বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী সত্যি কৃতজ্ঞ। আমার কোন সন্তান নেই। বৃদ্ধ বয়সে কাগজ কুড়িয়ে এবং তা বিক্রি করে আমার স্ত্রীকে নিয়ে জীবনযাপন করি। কিন্তু কঠোর বিধিনিষেধে তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমার পক্ষে দু’বেলা দুমুঠো খাবার যোগাড় করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। আজ ওসি স্যারের সহায়তা পেয়ে কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। তিনি আমাকে ভবিষ্যতে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন। আমি তার এই উপকারে কথা কোন দিন ভুলবো না।

এ সময় ডামুড্যা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফ আহমেদ বলেন, আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও দেখি সেখানে এক অসহায় দম্পত্তির কথা তুলে ধরে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছিলো। সেটা দেখে আমি খুবই মর্মহত হয়েছি এবং তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী দিয়েছি এবং ব্যক্তিগত ভাবে কিছু নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করি। তারা ভবিষ্যতে কোন অর্থ সংকট বা খাদ্য সংকটে পড়লে আমার কাছে জানাতে বলেছি আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করবো।
তিনি আরও জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে যতটুকু খাদ্য ও অর্থ দেওয়া হয়েছে তাতে হয়তো কয়েকদিন চলবে। তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়াতে এলাকার বৃত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি।

Spread the love

পাঠক আপনার মতামত দিন