জাজিরার আলোচিত অপহরণ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল,বাদী অসন্তুষ্ট

নিউজ২৪লাইন:
শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার পালের চর ইউনিয়নের দরি কান্দি গ্রামের ফারুক দরির ছোট মেয়ে নবম শ্রেণি পড়ুয়া ইরানী আক্তারকে অপহরণ করেন একই এলাকার মজিদ দরি ও তার মেয়ে বর্ষা আক্তার এই অভিযোগের ভিত্তিতে জাজিরা থানায় একটি মামলা করতে আসেন ফারুক দড়ি। পুলিশ ফারুক দড়ির মামলা না নিয়ে সাধারণ ডায়েরি হিসাবে নেয়। তারপর পুলিশ অনেক খোজাখুজি করে ইরানী আক্তার কে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার করে।পুলিশ যখন ইরানী আক্তার কে উদ্ধার করেন তখন অভিযুক্ত বর্ষাকে তার সাথে পায়। তারপর পুলিশ ইরানীকে পালেরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের জিম্মায় তার বাবা মার হাতে তুলে দেন।
এরপর শরীয়তপুর কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মানব পাচার আইনে একটি অপহরন মামলা করেন ফারুক দড়ি। অভিযোগ টি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিচারক জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন দিতে আদেশ দেন। জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেন, পরে ফারুক দড়ি উক্ত চুড়ান্ত প্রতিবেদনের বিপক্ষে না রাজি দিলে কোর্ট না রাজি মঞ্জুর করে ডিবিতে তদন্ত দেন। ডিবি পুলিশ তদন্ত করে চুড়ান্ত প্রতিবেদন।
এখন ইরানী আক্তার ও তার পরিবারের সদস্যদের কথা হলো তাহলে কি ইরানী আক্তারকে কেউ অপহরণ করেনি। তদন্ত অফিসারেরা কেন বারেবারে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেন।
ফারুক দড়ি বলেন, আমার মেয়ের সাথে আরেক জন ঢাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে, এটা কি মিথ্যা। তাছাড়া আমার মেয়ের অপহরণের অভিযোগের ভিত্তিতে মজিদ দড়ি পুলিশ দ্বারা গ্রেফতার ও হয়। তাহলে বারবার কেন তদন্ত অফিসার ঘটনা মিথ্যা এই মর্মে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। তাহলে আমরা গরীব অসহায় বলে কি সুষ্ঠু বিচার পাবো না। আপনারাই বলুন এখন আমার মেয়ে নিয়ে আমি কোথায় গেলে বিচার পাবো। আমি আদালতে নারাজি দেবো, কোর্টকে বলবো এবার যেন পিবিআই কে তদন্ত দেয়।
ভিকটিম ইরানী আক্তার বলেন,ওরা আমার উপর অনেক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করছে।ওরা আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে আমার কাছ থেকে জোড় করে ভিডিও স্বীকারোক্তি নিয়েছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

Spread the love

পাঠক আপনার মতামত দিন