একজন অবহেলিত ত্যাগী আওয়ামীলীগ নেতার খোলা চিঠি

শেখ নজরুল ইসলাম

নিউজ২৪লাইন:

প্রিয় নেত্রী
প্রত্রের শুরুতে আমার সালাম নিবেন,আশা করি ১৮ কোটি মানুষের দোয়া’য় আপনি ভালো আছেন। অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আজ খোলা চিঠি লিখতে বাধ্য হলাম। আমি (১৯৯১-১৯৯৫) শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি। (১৯৯৫-২০১৬) সাল পর্যন্ত তিন তিনবার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি’র দায়িত্ব পালন করি এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুইবার সদস্য নির্বাচিত হই।আমি শরীয়তপুরের মাটিতে আওয়ামিলীগ কে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষে জীবনের শুরু থেকে আজ অবদি দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
*২০০১ সালে মাদারীপুরে খালেদা জিয়ার আসলে তাকে ওই স্তান থেকে চলে যেতে বাধ্য করি।।
* ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ টি হল দখল করি এ কে এম এনামুল হক শামীম ও পান্না ভাইয়ের নেতৃত্বে।
* ২০০১ সালে যেদিন শহীদ এ্যাডঃ হাবিব ভাই ও মনির ভাইকে যেদিন সন্ত্রাসী মেরে ফেলে সেদিন আমার বাড়িতে আমাকে মারার জন্য ১০০ রাউন্ড গুলি চালায়।
* হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গের নির্বাচন কালে ৫ বার আমার বাড়িতে ও আমার উপর হামলা চালায় জিবনের ঝুকি থাকা সত্যেও দলের বাহিরে কোন কাজ করি নাই।
* জাতীয়পার্টি, বি এন পি, জামাতের জাতীয় পার্টি অফিস ঙেঙ্গেছি বহুবার। যেমনি দলের জন্য বিরোধী দলের সঙ্গে লড়েছি তেমনি আমাকে অনেক কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে এই জীবনে বিরোধী দলীয় দেওয়া মামলার পরিমান ১০০র বেশি এজন্য জীবনে জেলে যেতে হয়েছে ২৪ বার,রিমান্ড দিয়েছে ৭ বাড় জাতীয় পার্টি আমলে ডিটেনশনে ছিলাম ৩ বার। পাচ বার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে। যৌবনের রিমান্ডের প্রভাব এখন আমার শরীরে প্রভাব ফেলেছে নানা রোগে আক্রান্ত তার মধ্যে বিশেষ করে দীর্ঘদিন যাবত চোখের সমস্যায় ভুগছি, একা চলতে কষ্ট হয়। ছাত্রলীগের নীতিমালা মানতে গিয়ে অনেক দেড়িতে বিয়ে করি।যার কারনে ২ ছেলে ও ১মেয়ে অনেক ছোট। যদি সম্ভব হয় প্রিয় নেত্রী একটু জাচাই করে দেখবেন কী পেলাম কী হাড়ালাম। তবে দূঃখ হলো দলের দূর সময়ে ছিলাম আমরা এখন বি এন পি জামাতের নেতা কর্মিরা বড় বড় চেয়ার দখল করে আছে। প্রিয় নেত্রী এখন দলের সু সময় এখন বাড়ি থেকে মানুষের সহ যোগিতা ছাড়া বের হইতে পাড়ি না।
জানেন নেত্রী নিজেকে সান্তনা দেই এই ভেবে বঙ্গবন্ধু দেশের জন্য ১৩ বছর জেল খেটেছেন। আপনি পরিবারের সকল সদস্যদের হাড়িয়েছেন।প্রিয় নেত্রী আপনি ছাড়া আমাকে মূল্যায়ন করার মত কাউকে দেখি না কারন অসুস্থ শরীর নিয়ে আমি অনেক নেতার কাছেই গেছি কিন্তু আমাকে কেউ দেখতে আসে নাই।

ইতি
আলমগীর হোসেন হাওলাদার
জনস্বাস্থ্য ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক
শরীয়তপুর জেলা আওয়ামীলীগ।

শেখ নজরুল ইসলাম
22/5/22

Spread the love

পাঠক আপনার মতামত দিন