শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের ‘চর নিয়ামতপুর গ্রাম সমিতি’র সদস্যদের সরকারী অনুদানের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে

নিউজ২৪লাইন:

হাসান শরীয়তপুর থেকে

সমিতির সভাপতি শিমা বেগম ও মাঠকর্মী শাহিদা বেগমের বিরুদ্ধে। সমিতির সদস্যরা এ অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় তারা টাকা আত্মসাৎকারী শিমা বেগম ও শাহিদা বেগমের বিচার দাবি করেছেন। তবে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন শিমা ও শাহিদা।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) এর অর্থায়ন ও সহযোগিতায় ২০১৫ সালের দিকে ‘চর নিয়ামতপুর গ্রাম সমিতি’ গড়ে ওঠে। এই সমিতিতে প্রায় দুইশ সদস্য রয়েছে। এসডিএফ এর সহযোগিতায় কোভিড-১৯ উপলক্ষে সমিতির ১০৩ জন সদস্যকে ৫ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা অনুদান দেয় সরকার। এই সরকারি অনুদানের টাকা সমিতির সভাপতি শিমা বেগম ও মাঠকর্মী শাহিদা বেগম মিলে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন অনুদান পাওয়া সদস্যরা। কোন সদস্যকে এক হাজার, আবার কোন সদস্যকে দেড় হাজার টাকা ধরিয়ে বিদায় করা হয়েছে। এছাড়া অনুদানের জন্য কোন কোন সদস্যের আইডি কার্ডের ফটোকপি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের মোবাইল নম্বর না দিয়ে সভাপতি ও মাঠকর্মীর নিজেদের নাম্বার ব্যবহার করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন সদস্যরা। টাকা আত্মসাতের ঘটনা জানাজানি হলে সমিতির সদস্যদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) ‘চর নিয়ামতপুর গ্রাম সমিতি’র কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ ও তাদের টাকা ফেরত চান। টাকা ফেরত চাওয়ায় শিমা ও শাহিদা সমিতির সদস্যদের গালিগালাজ ও হুমকি দেন বলেও অভিযোগ ওঠে।

সভাপতি শিমা চর নিয়ামতপুর গ্রামের আবু বকর ঘরামীর স্ত্রী এবং মাঠকর্মী শাহিদা চর শিঙ্গারিয়া গ্রামের মিন্টু সরদারের স্ত্রী। তারা শুরু থেকেই সমিতির সাথে জড়িত। তবে অভিযোগের বিষয়টি তারা দুজনেই মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।

ওই এলাকার আম্বিয়া, রিজিয়া, শাহিদা, রিনা, জেসমিন, আছিয়া সহ আরও কয়েকজন জানান, তারা সবাই সমিতির সদস্য। প্রতিমাসে তারা সঞ্চয় জমা করেন। তাদের কোন সঞ্চয় বা কিস্তি বয়েকা নেই। বকেয়া ও পরিশ্রমের কথা বলে তাদের কাছ থেকে সরকারি অনুদানের অধিকাংশ টাকা শিমা ও শাহিদা রেখে দিয়েছে। এছাড়া অনেকের টাকা নিজস্ব ফোন নাম্বার দিয়ে তুলে নিয়েছে। যারা টাকা দিতে না চাইছে তারা ভবিষ্যতে আর কোন সহায়তা পাবেনা বলেও ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে সভাপতি শিমা ও মাঠকর্মী শাহিদা বলেন, যে সকল সদস্যদের সঞ্চয়ের টাকা ও কিস্তির টাকা বকেয়া ছিলো তাদের কাছ থেকে বকেয়া টাকা রাখা হয়েছে। তার হিসাব আছে। এখানে কোন টাকা আত্মসাৎ করা হয়নি।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাই বলেন, প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Spread the love

পাঠক আপনার মতামত দিন