মানব পাচার প্রতিরো ও নিরাপদ অভিবাসন উৎসাহিত করার লক্ষ্যে মদ বিনিময় সভা

নিউজ২৪লাইন:

নুরুজ্জামান শেখ শরীয়তপুর থেকে

শতবর্ষে জাতির পিতা সুবর্নে স্বাধীনতা, অভিবাসনে আনবো মর্যাদা ও নৈতিকতা। বৈধ পথে বিদেশ যাব নিরাপদে আয় করব। দক্ষ হয়ে বিদেশ গেলে অর্থ সম্মান দুটোই মিলে।মানব পাচার প্রতিরো ও নিরাপদ অভিবাসন সম্পর্কে জনগণকে সচেতনতার লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন ও স্লোগানের মধ্য দিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। মতবিনিমেষ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাহিম রাজ্জাক, মাননীয় সংসদ সদস্য ও সদস্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনরিকো নুনজিয়াতা, মান্যবর রাষ্ট্রদূত, ইতালি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব ( সিনিয়র সচিব)। মোঃ আক্তার হোসেন, সিনিয়র সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ড. বেনজীর আহমেদ,বিপিএম(বার) , পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি)। ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এস.এমন. আশরাফুজ্জামান, পুলিশ সুপার, শরীয়তপুর। মদ বিনিময় সবার সভাপতিত্ব করেন মোঃ পারভেজ হাসান, জেলা প্রশাসক বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্র, শরীয়তপুর।
মানব পাচার প্রতিরোধে ডক্টর বেনজীর আহমেদ তার গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য বলেন বাংলাদেশের সর্ববৃহ ৎ মেগা প্রকল্প আমাদের পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার ফলে এই সেতুর দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ পথে বিদেশ না গিয়ে ওই টাকা দিয়ে দেশেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে অর্থ উপার্জন করতে পারে। বেশি অর্থের আশায় আমরা অবৈধ পথে বিদেশ গিয়ে আর লাশ হতে চাই না। আপনাদের এলাকার চিহ্নিত দালালদের সম্পর্কে আপনার পাশের প্রশাসনকে তথ্য দিন। আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।অবৈধ পথে প্রবাসে যাওয়ায় কামাল মুন্সী নামে এক নিখোঁজ ব্যক্তির মা নাসিমা বেগম মত বিনিময় সভায় তার বক্তব্য বলেন দালালদের মাধ্যমে ইতালি যাওয়ারজন্য লিবিয়া যায়। আমার ছেলের সাথে সর্বশেষ কথা হয়েছে ২০২২ সালের ২৯ জুন। দালাল চক্র আমার ছেলেকে উদ্ধারের কথা বলে আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে ১৩থেকে ১৪লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পরবর্তীতে শুনেছি আমার ছেলে নাকি মারা গেছে। স্যার আপনাদের মাধ্যমে আমার ছেলের লাশটি ফেরত চাই। কামাল মুন্সির বাড়ি নড়িয়া উপজেলার লোনশিং গ্রামে। অবৈধ পথে বিদেশ যাওয়ার বিপদগ্রস্ত এক ব্যক্তি আনোয়ার বলেন আমার বাড়ি নড়িয়া উপজেলার কাঞ্চন পাড়া গ্রামে। অবৈধ পথে দালালদের মাধ্যমে গ্রিসে যাওয়ার জন্য প্রথমে লিবিয়া যাই। লিবিয়া থেকে গ্রীস যাওয়ার জন্য নদীপথে পারি দেই। ২৫ দিন নদীতে ছিলাম তখন মৃত্যু কি জিনিস ওই সময় বুঝেছি। যেভাবেই হোক অনেক কষ্ট করে গ্রিসে যাই। ১৪/ ১৫ টা খরচ করে বাংলাদেশে আসি। আজকে আমি নিঃস্ব কোনো রকম জীবন নিয়ে বাংলাদেশে এসেছি। আমি একটা কথাই বলতে চাই অর্থ লোভে কেউ যেন অবৈধ পথে বিদেশ না যায়। মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এই মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠানের মূল আয়োজনের ছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এবং এই অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিল শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক।

Spread the love

পাঠক আপনার মতামত দিন