সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ডামুড্যা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

ইয়ামিন কাদের নিলয়
বিশেষ প্রতিনিধি

বাড়িঘর ভাঙচুর, সন্ত্রাসী হামলা, নির্যাতন, থানায় মামলা না নেয়া ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা থানাধীন একটি ভুক্তভোগী পরিবার। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩ টায় ডামুড্যা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।এতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আবদুর রব মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য। বর্তমানে আমার বয়স ৭৫ বছরের বেশি। ২০১২ সালে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল সিএমএইচে আমার ওপেন হার্ট সার্জারি হয় এবং তারপর থেকেই আমি অসুস্থ জীবন যাপন করছি। বর্তমানে আমি নানা শারীরিক জটিলতা ও চোখের রোগে আক্রান্ত।
তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মারধোরের অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা সদস্য প্রশ্ন রেখে বলেন, আমার মতো একজন বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষের পক্ষে কি তাদের ওপর হামলা করা সম্ভব?

সংবাদ সম্মেলনে তার বড় ছেলে সাইফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, আমি কনেশ্বর ইউনিয়নের ধনই গ্রামে আমার নিজের ক্রয়কৃত জায়গায় ঘর তুলতে গেলে প্রতিবেশী লাল মিয়া দর্জির ছেলে তুহিন ও তুহিনের চার বোন লিপি, মুন্নি, তিন্নি, লাকি ও তুহিনের স্ত্রী সোনিয়া একা অবস্থায় আমাকে হাতুড়ি, শাবল, বটি ও দা দিয়ে আঘাত করে। এ সময় তারা আমার মোবাইল ছিনতাই করে এবং আমার স্ত্রী খবর পেয়ে সেখানে গেলে তার গলার চেইন ছিনিয়ে নেয়। এতে আমি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই। রাতে মামলা করতে গেয়ে পুলিশ আমাদের মামলা নেয়নি। উল্টো আমার বিরুদ্ধে এবং আমার স্ত্রী ও বাবার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন তিনি।
এদিকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন মো. তায়ানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাইফুল ইসলাম প্রিন্সের ঘরে তুহিন তার বোনেরা হাতুড়ি, শাবল ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করেছে এবং তাকে মেরে রক্তাক্ত করেছে।
তিনি বলেন, সাইফুল ইসলাম প্রিন্স ১০ লাখ টাকা দিয়ে জমি কেনার পর সেই জমিতে ঘর উত্তোলন করে। কিন্তু যার কাছ থেকে জমি কেনা হয়েছে, তার ছেলে মেয়েরা এখন সেই জমি অবৈধভাবে দখলে নেওয়ার জন্য জমির ওপর থাকা ঘর ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। এ সময় সাইফুল ইসলাম প্রিন্স ঘটনাস্থলে ছিল না। পরে সে ঘটনাস্থলে এসে তাদের বাধা দিলে এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে অবৈধভাবে জমি দখল করতে আসা লাল মিয়া দর্জির ছেলে তুহিন ও তুহিনের চার বোন লিপি, মুন্নি, তিন্ন, লাকি ও তুহিনের স্ত্রী সোনিয়া সাইফুল ইসলামের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরবর্তীতে তাকে সেখান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডামুড্যা থানার ওসি শরীফ আহমেদ বলেন, ওনাদের জায়গা-জমির ঝামেলার বিষয়ে শুনেছি। থানা মানুষের আশ্রয়ের স্থান। কেউ অভিযোগ নিয়ে আসলে অবশ্যই মামলা নেয়া হবে।

Spread the love

পাঠক আপনার মতামত দিন