শরীয়তপুরের নড়িয়ায় নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়ি- ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

রিদয় হাসান সুমন :
শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ শরীয়তপুরের নড়িয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলায় একজনের মৃত্যুর ঘটনায় ওই গ্রামের নিরপেক্ষ ও আসামীদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুট-পাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার (২৮) সেপ্টেম্বর শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মৃধা কান্দী গ্রামে জমির বিরোধ নিয়ে মৃত করিম মুন্সীর ছোট ছেলে মতু মুন্সী (৩০) কে কুপিয়ে হত্যা করে একই গ্রামের আবু মৃধার ছেলে ইকবাল মৃধা(৩২),মোখলেস মৃধা(৩৮), বাদল মৃধা(২৭) সহ আরো ১০/১৫ জন তারই সুত্রে ধরে নিহত মতু মুন্সির দলের লোকেরা ওই গ্রামের নিরপেক্ষ লোকের বাড়ি সহ আসামীদের ১৫ টি বাড়ি- ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেন এবং বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় এতে বাড়িতে থাকা নারী শিশুদের মনে আতঙ্ক বিরাজ করে। অনেক বাড়ি ঘরের লোক তাদের বাড়ি ছেরে অন্যত্রে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী প্রবাসী রফিক মৃধা মোবাইল ফোনে বলেন,আমরা ৩ ভাই প্রবাসে থাকি বাড়িতে পুরুষ মানুষ কেউ থাকে না দুই গ্রুপের কোন পক্ষের সাথেই আমরা দল বা সমর্থন করি না কিন্তু গতকাল মতু মুন্সি নিহত হওয়ার পরে আমাদের ৩ ভাইয়ের ঘরে চান মিয়া হাওলাদার এর ছেলে রমজান হাওলাদার ও আল আমিন হাওলাদার,নুর ইসলাম হাওলাদার এর ছেলে সেলিম হাওলাদার ও নাসির হাওলাদার,আনু কাজির ছেলে নুর ইসলাম কাজি সহ সাথে আরো ২০ থেকে ৩০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা চালায়।এ সময় তারা সাথে থাকা বোমা ঘরে মেরে বিস্ফোরিত করে ও চাপাতি,ছেন,আরো বিভিন্ন ধরনের ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘর কুপিয়ে ভাংচুর করে পরে ভাংচুর ঘরের তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে ৩ ঘর থেকে ১৮ ভরি, স্বর্ন, ২ টি মোবাইল, ১ টি ল্যাপটপ, নগদ দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় ।অন্যদের সাথে ঝামেলার সুত্র ধরে তারা আমাদের প্রবাসি বাড়ি ফাকা পেয়ে হামলা চালায়। হামলা হবে সেই খবর আগে শুনে শরিয়তপুর এর এসপি সাইফুল হক ও নড়িয়া থানার ওসিকে জানালেও তারা কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করে নাই।

ছত্তর মৃধার স্ত্রী মাসুদা বেগম বলেন,আমার ছেলেরা ঢাকা ও বিদেশে থাকে কেউ দেশে থাকে না। আমরা কোন দলের সাথে নাই। কিন্তু মতু মুন্সি নিহত হওয়ার পর থেকেই দফায় দফায় আমাদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে মতু মুন্সি দলের লোকেরা। তারা আমার ঘর কুপিয়ে যাওয়ার সময় আমার গোয়াল ঘরে থাকা ২ টি গরু সহ বাড়ির আরো ৬ টি গরু লুট করে নিয়ে গেছে।

এবিষয়ে চান মিয়া হাওলাদারের বাড়িতে গেলে বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি।

নড়িয়া থানার ওসি তদন্ত মোঃ আবির হোসেন বলেন, মতু মুন্সি নিহতের ঘটনায় নিহতের বড় ভাই রিপন মুন্সি বাদী হয়ে ৩৮ জনের অভিযোগ দেন সেই অনুযায়ী মামলা হয়েছে। মতু মুন্সি নিহত হওয়ার পরে এসপি স্যার আমাকে রফিক মৃধা ব্যাপারে বলেন আমারা সঙ্গে সঙ্গে সে খান যাই কিন্তু আমরা রফিক মৃধা বাড়িতে না গিয়ে ভূলে অন্য রফিক মৃধার বাড়ি চলে যাই তাই এমন হামলা লুটপাট চালাতে পেরেছেন। তবে লুট হওয়া গরুর মধ্যে আমরা ২ টি গরু উদ্ধার করে মালিকে বুজিয়ে দিয়েছি।

Spread the love

পাঠক আপনার মতামত দিন