জলাবদ্ধতা নিরসনে শতাধিক কৃষকের মুখে হাসি ফোটালেন জেলা প্রশাসন

নিউজ২৪লাইনঃ
নুরুজ্জামান শেখ, শরীয়তপুর থেকে।

এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না মর্মে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে শরীয়তপুর জেলার সুযোগ্য এবং অত্যন্ত পরিশ্রমী জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান এবং সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বিগত দিনে কৃষি উদ্ভাবনী মেলা আয়োজন করেন। কৃষি ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষি উদ্ভাবনী মেলায় জেলা প্রশাসক কৃষকদের কৃষি আধুনিক যন্ত্রপাতি ধানের বীজ, নার্সারি চারা, সার এবং ইরি সেচ পাম মেশিন ইত্যাদি বিতরণ করেন। জেলা প্রশাসক বলেন, কৃষি ফসল উৎপাদন করা যায় এমন জমি খেদ, বাড়ির আঙিনা ভিটা এক ইঞ্চি জমিও কৃষি অনাবাদি রাখা যাবে না। শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাশার ইউনিয়নের উপর গাও বড়াইল গ্রামের প্রায় ৩৫ একর কৃষি জমি দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত জলাবদ্ধতার কারণে অনাবাদী হিসেবে পড়েছিল। বিষয়টি ভুক্তভোগী কৃষকরা গণ শুনানিতে সুযোগ্য জেলা প্রশাসকের নজরে আনেন।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের ত্বরিত দিকনির্দেশনা ও তাগিদ অনুযায়ী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র কয়েকবার সরেজমিন পরিদর্শন করে সেচ পাম্প লাগিয়ে আবদ্ধ পানি অপসারণ করার ব্যবস্থা করেন। এতে প্রায় ৩৫ একর জমির শতাধিক কৃষক প্রায় বিশ বছর পর নতুন করে চাষের আওতায় আনতে পেরেছে। এছাড়া খাল খনন এর প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। শীগ্রই সে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এর ফলে অচিরেই এই বিস্তীর্ণ এলাকায় বছরে তিন ফসল ফলনের অমিত সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে চলেছে। জেলা প্রশাসনের এই জনবান্ধব উদ্যোগে ভীষণ খুশি স্থানীয় কৃষকগণ। “এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না“- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই যুগোপযোগী নির্দেশ অনুসারে আরও এক তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করল শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র গণমাধ্যমকে বলেন, আপনারা জানেন যে, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, আমাদের এক ইঞ্চি মাটি ও যেন অনাবাদি না থাকে তার এই অংশ হিসেবে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরপরই গত চার মাস যাবৎ কাজ করে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন শরীয়তপুর। এবং তারই অংশ হিসেবে আমরা উপজেলা পর্যায় কাজ করে যাচ্ছি। শরীয়তপুর সদর উপজেলা এরকম বেশ কয়েকটি প্রকল্পে কাজ করেছি প্রায় এক হাজার তিনশত হেক্টর জমি জলাবদ্ধতা থেকে নিরসন করেছি। তারই একটি অংশ হিসেবে আজকে সকাল দশটায় তুলাশার ইউনিয়নের ওপর গাঁও বড়াইল গ্রামে যে অংশ রয়েছে সে অংশে প্রায় ৩৫ একর জমি জলাবদ্ধতা ছিল। আমরা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জলাবদ্ধতা অংশটি নিরসন করতে সক্ষম হয়েছি। ২০ থেকে ২৫ বছর যাবত জলাবদ্ধতার কারণে জমিগুলো অনাবাদি ছিল। এই জলাবদ্ধতা নিরসনের কারণে প্রায় শতাধিক কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

Spread the love

পাঠক আপনার মতামত দিন