ফরিদপুরে মাছের ঘের তৈরির সঙ্গে ফসলি জমির মাটি বিক্রি করছেন ইটভাটায়

মো:টিটুল মোল্লা,,

ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বাহাদুর পুর ডাঙ্গীরপার এলাকার তোফার প্রজেক্ট নামে পরিচিত স্থানে তোফাজ্জেল হোসেন মোল্লা নামের একজন সরকারের দেয়া আইন অমান্য করে আগের পুকুরের নাম করে সাথে থাকা তিন ফসলি জমি থেকে একসঙ্গে তিনটি এক্সকেভেটরের(ভ্যাকু)মেশিন দিয়ে সিরিয়াল দিয়ে ড্রাম ট্রাক ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে মাটি কেটে মাছের ঘের তৈরি করছেন এবং মাটি বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।অন্যদিকে জমির মাটি আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত গাড়ীর চাপে নষ্ট হচ্ছে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের রাস্তাঘাট।দিন-রাত একটার পর একটা মাটির গাড়ি চলাচলে রাস্তার পাসের স্থানীয় বাড়িঘরের লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে পরেছেন।
এতে করে নিয়ম বহির্ভুতভাবে ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন একাধিক ব্যক্তি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,তিনটি এক্সকেভেটর(ভ্যাকু)মেশিন দিয়ে একটারপর একটা ড্রাম ট্রাক ব্যবহার করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়।এখন যে জমি থেকে মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে তার পাশের জমিতে চাষ হচ্ছে মুশুরী।এখন তারই পাশে ফসলি জমি থেকেই এক্সকেভেটরের সাহায্যে মাটি কেটে নিয়ে গভীর পুকুর তৈরি করা হচ্ছে।এর ফলে পরিবর্তন করা হচ্ছে জমির শ্রেনী এবং হ্রাস পাচ্ছে ফসলি জমির আয়তন।
সরকারী নিয়ম অনুযায়ী পুকুর,খাল-বিল, নদ-নদী, চরাঞ্চল,পতিত ও আবাদি জমি থেকে মাটি কাটা নিষিদ্ধ। এছাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে নির্মিত উপজেলা, ইউনিয়ন বা গ্রামীণ সড়ক ব্যবহার করে কোন ভারী যানবাহন দিয়ে ইট বা ইটভাটার কাঁচামাল আনা নেয়া নিষিদ্ধ। কিন্তু এর কোন নিয়মই মানছেন না তোফাজ্জেল হোসেন মোল্লা।
অন্যদিকে জমির মাটি আনা-নেয়ার কাজে ব্যবহৃত আট চাকার ট্রলির চাপে নষ্ট হচ্ছে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের রাস্তাঘাট।মাটি টানার কাজে ব্যবহৃত আট চাকার ট্রলি আর ড্রাম ট্রাকের চাপে রাস্তার বিভিন্ন স্থান দেবে যাচ্ছে।রাস্তার পাশে থাকা ঘরবাড়ি,আসবাবপত্র, গাছগাছালির উপরে ধুলাবালির প্রলেপ পরে গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে তোফাজ্জেল হোসেন মোল্লা কে পাওয়া না গেলে তার ছেলে প্রিন্স মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমার জমিতে আমি পুকুর মেরামত করছি সমস্যা কি।এর অনুমোদন আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন পুরাতন পুকুর মেরামতসহ একটু গভির করছি।পাশেই তো ফসলি জমি এগুলো তো কাটা নিষিদ্ধ এই কথার পরে তিনি বলেন,আমার পারমিশন আছে এবং এ বিষয় এসিস্ট্যান্ট জানে।তাছাড়া সচিবালয়ের একজন উপসচিবের নাম প্রকাশ করে বলেন তিনিও জানে।সে আমার মামা হয়।
এ বিষয়ে জমির মালিক তোফাজ্জেল হোসেন মোল্লা’র মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) জিয়াউর রহমান বলেন,বিষয়টি জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।আমি সরেজমিনে গিয়ে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।।

Spread the love

পাঠক আপনার মতামত দিন