অপপ্রচার থেকে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে’ জেলা প্রসাশক পারভেজ হাসান

নিউজ২৪লাইন:

আমান আহমেদ সজিব :শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান বলেছেন, স্বাধীনতা অর্জন করার চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের এ স্বাধীন দেশ আমাদেরই স্বাধীনতা ধরে রাখতে হবে। এক শ্রেণীর অসাধু মানুষজন আছে যারা সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এ সকল মানুষদের থেকে আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুরে ড্যামুডা উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান।
তিনি আরো বলেন, সারা পৃথিবী নানান কারনে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে। সে তুলনায় আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা স্বাভাবিক রযেছে। আমাদের দেশে কেউ যেন অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে তার জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। অপরিকল্পিত বসতি গড়ে ওঠার কারণে কৃষি জমি, জলাভূমি নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু, ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় নিয়ে– প্রকৃতি, কৃষি জমি, জলাভূমি সংরক্ষণ করা দরকার। অপরিকল্পিত উন্নয়নের ধারা যদি চলতে দেওয়া হয়– তাহলে কৃষি জমি, নদী, জলাভূমি নষ্ট হতেই থাকবে।
ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাছিবা খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ডামুড্যা উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন মাঝি, পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম রাজা ছৈয়াল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি সবিতা সরকার, ডামুড্যা থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ শরীফুল আলম, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ গোলান্দাজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা খানম লাভলী, সরকারি আব্দুর রাজ্জাক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইয়াদুল হক মোল্লা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জালাল উদ্দিন সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যান গণ।

জোরপূর্বক জমি দখল করে ঘর নির্মানের অভিযোগ জুনু শনির বিরুদ্ধে

নিউজ২৪লাইন:

জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরভাগা ইউনিয়নের ৯১ নং চরভাগা মৌজার ১০০৩-১০০৪ নং দাগের মোঃ আয়নাল হকের ১৭ শতাংশ জমি জোপুর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে জুনু শনির বিরুদ্ধে।

জানা যায়, ৯১ নং চরভাগা মৌজার বিআরএস ১০০২-১০০৩-১০০৪ নং দাগের ৩৭ সতাংশ জমি সরকারি খাস জমি রয়েছে।সেই জমির ১ হাজার তিন দাগ এবং এক হাজার চার দাগে আয়নাল হক চোকদারকে সরকার ৯৯ বছরের জন্য একটি বন্দোবস্ত দলিল দিয়েছে। কিন্তু জুনু শনি সরকারের থেকে কোন দলিল না পেয়েও ১০০২ দাগ দখল করে সাথে আয়নাল হক চোকদারের ১০০৩-১০০৪ দাগের জমি সহ জোপূর্বক ঘর নির্মান করেছেন। এছাড়া আয়নাল হক চোকদারকে হুমকি দিয়ে জমিতে আসতে দিচ্ছে না। ঐ জমির প্রত্যেকটি দাগের প্লট মাপতে চাইলে তারা রাজি হচ্ছেনা।

এ বিষয় ভেদরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিনার ভূমি অফিস জানায়,৯১ চরভাগা মৌজার ১০০২-১০০৩-১০০৪ নং দাগে ৩৭ শতাংশ জমি বিআরএসএ সরকারি খাস জমি ভোগদখল অনুযায়ী জুনু শনি কেন,! অন্য কাউকেই ১০০২ দাগে ২০ শতাংশ জমি বন্দবোস্ত দেয়া হয় নাই।

সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়,আয়নাল হক চোকদারের বন্দোবস্ত জমিতে জোরপূর্বক জুনু শনি ঘর নির্মান করেছেন। সরকারি জমি নাকি জুনু শনি স্টাম্পে কিনেছেন। তিনি ঐ জমি ২০১৯ সালে দাদন চোকদারের থেকে ক্রয় করেছেন। যা ভূমি আইনের সম্পুর্ন অবৈধ।দাদন চোকদার ক্রয় করেছেন জয়নাল চোকদার র থেকে। তাই বিভিন্নভাবে হুমকি ও বাড়ি ঘরে হামলা করে স্থানীয় প্রভাবশালী সিরাজ পাইক, বাবুল সরদারসহ দাদন চোকদারের কাছে আয়নাল চোকদার ক্ষমতায় কখনোই পেরে উঠতেছে না।

স্থানীয় দাদন চোকদার বলেন, আমাকে সরকার কোন বন্দোবস্ত দেন নি। তবে আমি আয়নাল চোকদারের ভাই জয়নাল চোকদারের কাছ থেকে ২০ শতাংশ জায়গা কিনেছিলাম স্টাম্পের মাধ্যমে। সেই সুবাদে আমি বিশ শতাংশ জায়গা জুনু শনির নিকট বিক্রি করেছি। তাই সেই জায়গায় জুনু শনি ভোগ দখলে বুঝিয়ে দিয়েছি আমি।

আয়নাল চোকদার বলেন, আমি আমার জমির খাজনা দিয়ে আসছি। অথচ আমার জমিতে যারা রায়াত ছিল তারাই এখন বিআরএস এক হাজার দুই এক হাজার তিন এক হাজার চার দাগের সম্পত্তি সবটুকু দখল করেছে। আমি বাধা দিতে গেলে আমার উপর হামলা করে তারা। আমি কোর্টে মামলা করেছি। আমাকে সরকার জায়গা ভুমীহীন দলিলে জমি দিয়েছে। আমি সেই জমিতে গাছ লাগাইয়া দখলে ভোগ করতে ছিলাম।তবে দাদন চোকদার জুনু শনির কাছে স্টাম্পের মাধ্যমে অবৈধভাবে জমি বিক্রি করে ৫ দিন আগে জোরপূর্বক একটি ঘর তুলছে।আমি আমার জমি ফিরত চাই।সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন আমাকে আমার জায়গা বুঝিয়ে দেয়া হউক।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তা ইমামুল হাফিজ নাদিম বলেন, সরকারি জায়গা লিজ বন্দোবস্ত দেওয়ার পরে কেউ যদি স্টাম্পে সেই জায়গায় বেচাকিনা করে তাহলে সেইটা সম্পুর্নরুপে অপরাধ।স্টাম্পের মাধ্যেমে বেচাকেনার কোন প্রমান পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুসারে জেল জরিমানা হতে পারে। আর চরভাগা ৯১ মৌজার আয়নাল চোকদারকে ১০০৩-১০০৪ দাগে ১৭ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত দলিল দিয়েছে সরকার। ১০০২ নং দাগের কোন জমিই বন্দোবস্ত দেয়া হয়নি। সুতারং কেউ যদি বন্দোবস্ত নিয়ে থাকে সেই দাগের জায়গা তারই ভোগ করার অধিকার। অন্যথায় অন্য কেউ ভোগ করার কোন সুযেগ নেই।

মিরকাদিমে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন – ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

নিউজ২৪লাইন:
মোঃ সুজন বেপারী – মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম গতকাল বুধবার ৭ই জুন বেলা দুপুর সাড়ে বারটায় ঐতিহ্যবাহী গ্রীন ওয়েল ফেয়ার সেন্টার একাডেমি মাঠে ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত হচ্ছে নতুন শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল ও জেলা প্রশাসনের মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসূলের সভাপতিত্বে এ সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব পরিমল সিংহ, মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল মামুন, মিরকাদিম পৌর মেয়র হাজী আব্দুস সালাম ও মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার হোসাইন মো. আল জুনায়েদ অন্যান্য প্রমুখ।

মুন্সীগঞ্জে গ্রীন ওয়েল ফেয়ার সেন্টার ক্লাবে ফুটবল প্রশিক্ষণ উদ্বোধনে ইউএনও

নিউজ২৪লাইন:

স্টাফ রিপোর্টার – মোঃ সুজন বেপারী – মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার ঐতিহ্যবাহী গ্রীন ওয়েল ফেয়ার সেন্টার একাডেমি ক্লাবের কার্যালয়ে ঢাকা মহানগরী ৩য় বিভাগ ফুটবল লীগ ২০২৩ইং ০৬ই জুন বেলা দুপুর একটায় রিকাবী বাজার ফুটবল প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার গ্রীন ওয়েল ফেয়ার সেন্টার একাডেমি ক্লাবে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন, জনাব, হোসাইন মোঃ আল জুনায়েদ ও জেলা ক্রীড়া অফিসার জনাব, খাদিজা পারভীন ও ফারজানা আক্তার সাথী জেলা ক্রীড়া অফিসার গাজীপুর।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন, মিরকাদিম পৌরসভার মাননীয় মেয়র জনাব হাজী আব্দুস ছালাম ও সভাপতিত্ব উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন – গ্রীন ওয়েল ফেয়ার সেন্টার একাডেমি ক্লাবের সভাপতি জনাব, রফিকুল আলম রফিক ও সেক্রেটারি মোঃ মনিরুজ্জামান শরিফ এছাড়াও মীরকাদিম পৌর কাউন্সিলরবৃন্দ ১নং ওয়ার্ড জনাব, মোহাম্মদ আবদুল জলিল, ২নং ওয়ার্ড জনাব, আওলাদ হোসেন, ৩নং ওয়ার্ড জনাব, আক্তার হোসেন চৌধুরী, ৪নং ওয়ার্ড জনাব, হাজী মোঃ দীন ইসলাম ও ৭নং ওয়ার্ড জনাব, সোহেল মিয়া ও জেলা ক্রিকেট ম্যানেজার মনির হোসেন সজিব।
এসময় আরো উপস্থিতি ছিলেন ফুটবল প্রশিক্ষণ উদ্বোধনকালে – গ্রীন ওয়েল ফেয়ার সেন্টার একাডেমি ক্লাবের সহ-সভাপতি গোলাম ফারুক জমিদার ও সাংগঠনিক-সম্পাদক,আরিফ হেলালী সবুজ ও সহ- সেক্রেটারি ফুটবল ম্যানেজার, শিপন জমিদার ও ক্রীড়া সম্পাদক আজম খাঁন ও ক্রিকেটার কোচ, রনি খান চিতা ও ফুটবল প্রশিক্ষণ কোচ মোঃ মোজ্জামেল হোসেন ও মীরকাদিম পৌর কৃষকলীগের সেক্রেটারি মোঃ রিপন মুন্সী ও মাসুদ রানা আছিফ সহ ক্লাবের সদস্যবৃন্দ, মোহাম্মদ হানিফ ও জাহাঙ্গীর ও কামাল বেপারী ও সাংবাদিকবৃন্দ ঢাকা মহানগর প্রেসক্লাবের কেন্দ্রীয় কমিটির পাবলিক রিলেশন অফিসার ও দৈনিক আলোকিত সকাল স্টাফ রিপোর্টার মোঃ সুজন বেপারী সহ আরো অনেকেই গণ্যমান্য উপস্থিতি ছিলেন।

ধর্ষণের দায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড; ৩জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নিউজ২৪লাইন:
আমান আহমেদ সজিব :
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৭ জুন) দুপুর ২টায় শরীয়তপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার এই রায় দেন।নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পেশকার ইসতিয়াক আহমেদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাবু চৌকিদার (২৫) শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার বড় নওগাঁ গ্রামের তাজুল চৌকিদারের ছেলে। যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন- ডামুড্যা উপজেলার বড় নওগাঁ গ্রামের আজগর আলী খানের ছেলে জুয়েল খান (১৯), মৃত বাচ্চু সরদারের ছেলে ফারুক সরদার (২২) ও চর ভয়রা গ্রামের বাদশাহ মিয়া সরদারের ছেলে তানভীর হোসেন শামীম (২২)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর ডামুড্যা উপজেলার কুলকুড়ি গ্রামের ওই কিশোরী বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। পরের দিন সকালে বাড়ির পাশের খালে তার হাত-পা বাঁধা মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ওই বছরের ২৩ অক্টোবর ডামুড্যা থানায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারেরর পর আদালতে প্রেরণ করে।মামলার বাদী গণমাধ্যম কে বলেন, আদালত যে রায় দিয়েছেন, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা চাই এই রায় দ্রুত কার্যকর করা হোক। রায় দ্রুত কার্যকর হলে আমার মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে।

তবে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি তানভীর আহমেদ শামীমের গণমাধ্যম কে বলেন, আমার ছেলে স্বীকারোক্তি দেয়নি। আমরা উচ্চ আদালতে যাব, সেখানে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহ আলম বলেন, আমার মক্কেল ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফিরোজ আহমেদ বলেন, আসামিরা আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত পর্যবেক্ষণ শেষে আজ এই রায় দিয়েছেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

নিউজ২৪লাইন:
মোঃ নুরুল ইসলাম :
পাইলট হবার স্বপ্ন আপনার, ব্যবস্থাপনায় ইউএস-বাংলা
“যুক্তরাষ্ট্রে ইউএস-বাংলার ক্যাডেট পাইলট প্রোগ্রাম”

ঢাকা জুন ০৫, ২০২৩, সোমবার: বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাইলট বানানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যে সকল মেধাবী বাংলাদেশী শিক্ষার্থী বিজ্ঞান বিভাগে নূন্যতম গ্রেড-এ ইংরেজী, গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞানসহ জিপিএ-৪.৫সহ এসএসসি ও এইচএসসি পাশ অথবা ‘ও’ লেভেলে গনিত ও পদার্থ বিজ্ঞানসহ নূন্যতম ৫ বিষয়ে গ্রেড-বি এবং ‘এ’ লেভেলে গনিত ও পদার্থ বিজ্ঞানে গ্রেড-বি পেয়েছেন তারা আবেদনের যোগ্য হবেন। স্নাতক পাশ অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।

আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশী হতে হবে এবং অন্য কোনো দেশের বাসিন্দা হতে পারবে না। আবেদনের সময় বয়স সর্বোচ্চ ২৬ বছর হতে হবে। উচ্চতা- মেয়েদের জন্য নূন্যতম ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি এবং ছেলেদের জন্য নূন্যতম ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি হতে হবে। আবেদনকারীদের শারিরীকভাবে ফিট হতে হবে। দৃষ্টিশক্তি ৬/৬ হতে হবে। অধুমপায়ী ও নন-অ্যালকোহলিক হতে হবে। কোনো ধরনের অপরাধের সাথে সম্পৃক্ততা, অযোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।

ক্যাডেট পাইলটদের নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে আইকিউ টেস্ট, লিখিত পরীক্ষা (ইংরেজী, গনিত ও পদার্থ বিজ্ঞান), পাইলট যোগ্যতা পরীক্ষা, সাইকোমেট্রিক, মেডিকেল ও মৌখিক পরীক্ষা। সকল টেস্টে উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে নির্বাচিতদের ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় এপিক ফ্লাইং একাডেমি অথবা যুক্তরাষ্ট্রের নির্ধারিত ফ্লাইং স্কুলে ফ্লাইট ট্রেনিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। এক বছর মেয়াদী প্রশিক্ষণ সাফল্যের সাথে সম্পন্নের পর উত্তীর্ণ ক্যাডেট পাইলটগণ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে এটিআর ৭২-৬০০ এ ফার্স্ট অফিসার হিসাবে যোগদান করতে পারবেন।

ফ্লাইট ট্রেনিং খরচ হিসেবে আনুমানিক ৬৫ হাজার ইউএস ডলার ক্যাডেট পাইলটরা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় এপিক ফ্লাইং একাডেমি অথবা ইউএস-বাংলার নির্ধারিত যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লাইং স্কুলে প্রদান করবেন। সফলভাবে ফ্লাইট ট্রেনিং শেষে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে যোগদানের জন্যে এটিআর এয়ারক্রাফটের টাইপ রেটিং খরচ এয়ারলাইন্স কতৃর্পক্ষ বহন করবে, যা পরবর্তীতে মাসিক বেতন থেকে আনুপাতিকহারে কেটে নেয়া হবে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফটের ফার্স্ট অফিসারের মাসিক বেতন শুরু ১৬০,০০০ টাকা (এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা) ও কোম্পানির অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থাকবে।

ক্যাডেট পাইলট প্রোগ্রাম অনলাইনে আবেদন করা যাবে studentpilot.usbair.com এ ঠিকানায়। আবেদনের শেষ তারিখ ১৭ জুন ২০২৩। যে কোন ধরণের তদবির প্রার্থীর অযোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।

ধন্যবাদান্তে
মোঃ কামরুল ইসলাম
মহাব্যবস্থাপক-জনসংযোগ
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

এসএসসি বন্ধন ২০০১ এডমিন মনির পর্নোগ্রাফি মামলায় সিআইডির হাতে গ্রেফতার

মোঃ নুরুল ইসলাম
কথায় বলেনা উপরে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাট উল্টো ঘটালো এসএসসি বন্ধন ২০০১ গ্রুপের এডমিন মনির

বাইরে বাঁশের বেড়া, আর ঘর টিনের। দেখলে চোখে পড়ার মতো তেমন কিছু না। কিন্ত ভেতরে এসি রুম, উন্নত শয়নকক্ষ, এটাচ বাথরুম, ইয়াবা সেবনের ব্যবস্থা। আমুদ-ফুর্তির সব উপকরণ রাখা সেখানে। ছিল একাধিক গোপন ক্যামেরাও। এই গোপন ক্যামেরা দিয়ে অনৈতিক কাজের ছবি এবং কর্মকাণ্ড রেকর্ড করা হতো। আর এই আলিশান হেরেমখানায় মেয়েদের আনতে ব্যবহার করা হতো ফেসবুক গ্রুপ। যেই গ্রুপের এডমিন মো. মনির হোসাইন (৩৫) নামে এক ব্যক্তি। তিনি একটি সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা।

রোববার (৪ জুন) ঢাকার রামপুরা থেকে মনিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ও ছবি সম্বলিত দুটি মোবাইল, তিনটি সিম কার্ড, দুটি মেমোরি কার্ড এবং দুটি গোপন ক্যামেরা জব্দ করা হয়।

তিনি বলেন, সিআইডির সাইবার পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ আসে যে, ‘এসএসসি বন্ধন ২০০১ বাংলাদেশ’ নামে ফেসবুক গ্রুপের এডমিন মনির হোসাইন এক নারী সদস্যকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, প্রথমে ওই নারীকে গ্রুপের সদস্য করেন মনির। এরপর তাকে মডারেটর বানানোর প্রস্তাব দেন। ওই নারীকে গ্রুপে আরও ক্ষমতাবান করা হবে এবং নানা সুবিধা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় এক সঙ্গে ঘুরে বেড়ান মনির। এভাবে সখ্যতা গড়ে তোলে তার সঙ্গে। একপর্যায়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন মনির। আর এসব কর্মকাণ্ডের ছবি ও ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন মনির

সিআইডি জানায়, অভিযোগকারী ওই নারী সদস্য ছাড়াও গ্রুপের একাধিক নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে তাদের ব্ল্যাকমেইল করে আসছিলেন মনির হোসাইন। এজন্য বাড্ডা এলাকায় আলিশান গোপন হেরেমখানা তৈরি করেন তিনি। সেখানে গোপন ক্যামেরা দিয়ে অনৈতিক কাজের সব ছবি এবং কর্মকাণ্ড রেকর্ড করে রাখতেন মনির।

তদন্তের বিষয়ে সিআইডি জানায়, ‘এসএসসি বন্ধন ২০০১ বাংলাদেশ’ গ্রুপের এডমিন হিসেবে মনির নারীদের সঙ্গে প্রথমে ভিডিও কলে কথা বলেন। এরপর স্ক্রিন রেকর্ড করে ব্ল্যাকমেইল করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করেন। এমনকি জোর করে ছুরির ভয় দেখিয়েও ধর্ষণ করতেন তিনি। অভিযোগকারী ওই নারীর স্বামী অফিসে চলে গেলে কখনো কখনো মনির তার বাড়ি গিয়ে হানা দিতেন। তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে আইনি ব্যবস্থা নেন ওই নারী।

সোমবার (৫ জুন) বিকেলে এ তথ্য জানান সিআইডির মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান।

1 2 3 388