রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারকে চাপ দিন, যুক্তরাষ্ট্রকে প্রধানমন্ত্রী

মিয়ানমার থেকে নির্যাতিত হয়ে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ বন্ধে দেশটিকে চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়ার ভারপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিস ওয়েলস দেখা করতে এলে প্রধানমন্ত্রী এই অনুরোধ জানান।প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু এটা আমাদের জন্য বিশাল সমস্যা।’এদিকে রোহিঙ্গা সমস্যাকে একটি ‘সিরিয়াস ইস্যু’ হিসেবে উল্লেখ করেন এলিস ওয়েলস।

রোহিঙ্গা বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের ‘পলিটিক্যাল ডায়ালগ’ হচ্ছে কি না জানতে চান তিনি।

গত বুধবার মিয়ানমারে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তাকর্মীদের ওপর সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার পর রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। আর এরপর দলে দলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের দিকে ছুটে আসছে। তাদেরকে বাংলাদেশে ঠেলে দিতে দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের ওপর গুলি করছে বলেও জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

এর আগেও বিভিন্ন সময় রোহিঙ্গাদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালায় মিয়ানমার বাহিনী। নির্যাতনের মুখে বরাবরই রোহিঙ্গা নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেয়। ইতোমধ্যে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা কক্সবাজারে এসে বসবাস করছে।

সূত্রঃ  ঢাকা টাইমস

দুদকের মামলায় রানা প্লাজার মালিকের তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভার উপজেলায় ধসে পড়া ভবন রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস এই দণ্ডাদেশ দেন।

রানার আইনজীবী ফারুক আহমেদ জানান, রানাকে কারাদণ্ডের সঙ্গে ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং তা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

ফারুক আরো জানান, রায়ের সময় রানা আদালতে হাজির ছিলেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ২২ আগস্ট মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস এই দিন ধার্য করেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২২ মে সোহেল রানা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁর ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নিজ নামে-বেনামে অর্জিত সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসহ দায়দেনার যাবতীয় হিসাব বিবরণী দাখিল করতে নোটিশ জারি করে দুদক। ওই সময় রানা গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে থাকায় তাঁর নামে নোটিশ জারি হয়নি। পরে ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল কাশিমপুর কারাগারে নোটিশ জারি করে দুদক।

পরে ২০১৩ সালের ২ এপ্রিল জেল সুপার নোটিশটি সোহেল রানার কাছে পৌঁছায়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সম্পদ বিবরণীর ফরম পূরণ না করায় ২০১৫ সালের ২০ মে দুদকের উপপরিচালক মাহবুবুল আলম রমনা থানায় রানার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

সূত্রঃ এন টি ভি

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে খালেদার আহ্বান

মিয়ানমারের সহিংসতায় অসংখ্য প্রাণহানির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এই জনগোষ্ঠীর রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

চিকিৎসার জন্য লন্ডনে অবস্থানরত খালেদা জিয়া সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান।

বিএনপি নেত্রী বলেন, ‘জীবন ভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা পুরুষ-নারী-শিশুদের বাংলাদেশে আশ্রয় এবং তাদের সার্বিক নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আমি দায়িত্বরত বাংলাদেশের প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিএনপি নেত্রীর দাবি, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ সরকার অমনোযোগী এবং দুর্বল কুটনৈতিক তৎপরতার কারণেই পরিস্থিতি শোচনীয় রূপ ধারণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি।’

গত বুধবার মিয়ানমারে রোজিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা কর্মীদের ওপর সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার পর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। আর এরপর দলে দলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের দিকে ছুটে আসছে। তাদেরকে বাংলাদেশে ঠেলে দিতে দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের ওপর গুলি করছে বলেও জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি-রোহিঙ্গাদের জীবন ও বসবাসের নিরাপত্তা বিধান এবং তাদের ওপর রক্তাক্ত সহিংসতার পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে মিয়ানমার সরকার প্রাজ্ঞ ও দুরদর্শী নীতি নিয়ে অগ্রসর হবে।’

বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যে সহিংসতায় সে দেশের রোহিঙ্গাদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিবর্ষণে অসংখ্য মানুষ হতাহতের ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং এটির নিন্দা জানাচ্ছি। রোহিঙ্গারা বসতবাটি, সহায় সম্বল হারিয়ে প্রাণভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সীমান্তগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে। রাখাইন রাজ্যে গ্রামের পর গ্রামে আগুন জ্বলছে। প্রাণভয়ে রোহিঙ্গারা দিকবিদিক ছুটে বেড়াচ্ছে, গহীন অরণ্যে ঢুকে নিরাপ��b আশ্রয়ের সন্ধান করছে। আশ্রয়হীন রোহিঙ্গাদের ওপরও মায়ানমার সীমান্ত রক্ষীবাহিনী অবিরাম গুলিবর্ষণ করে যে নারকীয় পরিবেশ তৈরি করেছে তা বর্ণনাতীত। গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত রোহিঙ্গা যারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসতে সক্ষম হয়েছে তাদের অনেকেই হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে এবং কারো কারো মৃত্যু হয়েছে।’

বিএনপি নেত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার এলাকায় রোহিঙ্গা পুরুষ-নারী-শিশুরা নিরাপ��b আশ্রয়ের জন্য নাফ নদীর বিস্তৃত এলাকা জুড়ে তীরে বসে ভয়ঙ্কর অনিশ্চয়তায় প্রহর গুণছে। এই দৃশ্য অমানবিক, বেদনাদায়ক ও হৃদয়বিদারক।’

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সম্পর্কে কথা তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আবহমানকাল ধরে দু’দেশের সম্পর্ক সমমর্যাদায় অভিষিক্ত। আমি বিশ্বাস করি-সমমর্যাদার এই ঐতিহ্যকে সম্মান দেখিয়ে মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’

দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গারা সমাধানহীন একটি অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে নিপতিত থাকলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ক্রমাগতভাবে অবনতিশীল হতে থাকবে এবং এতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ঐতিহ্যগত স্থিতিশীলতায় বিরুপ প্রভাব ফেলবে বলেও আশঙ্কা করেন বিএনপি নেত্রী।’

সূত্রঃ ঢাকা  টাইমস

রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আমরা মানবিক আচরণ করছি: বিজিবি মহাপরিচালক

বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করছে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের-বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন।

সোমবার রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদরদপ্তরে বিজিবি পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করছি।

আবুল হোসেন বলেন, “রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে রোববার মিয়ানমারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষায় যে বর্ডারগুলো রয়েছে সেগুলো সিল করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু অংশ এখনো খোলা আছে। তবে আমাদের ফোর্স সজাগ রয়েছে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে।”

“কোন সন্ত্রাসী সংগঠন অস্ত্রও নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে আমরা তাদের আইডেনটিফাই করবো।”

গত বৃহস্পতিবার রাতে মিয়ানমারের পুলিশ চৌকিতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা হামলার পর অশান্ত হয়ে ওঠে রাখাইন রাজ্য। এর পর সে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর হামলার পর জ্বলছে রোহিঙ্গা বসতি। চলছে সশস্ত্র সংঘাত। মরছে মানুষ। গুলির শব্দে আতঙ্ক বিরাজ করছে সীমান্ত এলকায়।

মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনীর ভাষ্যমতে, ‘আরাকান রোহিঙ্গা সালভ্যাশন আর্মি (আরসা)’ নামে মুসলিম রোহিঙ্গা জঙ্গিদের একটি বিশাল দল বৃহস্পতিবার ভোররাতে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যের ৩০টি পুলিশ ও সেনা চৌকিতে পরিকল্পিত হামলা চালায়। ওই হামলায় নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের কয়েকজন সদস্যসহ কমপক্ষে ৯১ জন নিহত হয়।

ঘটনার পর থেকেই বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ শুরু করে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা। অনুপ্রবেশকারি এসব রোহিঙ্গাদের কান্না যেন থামছে না। বৃদ্ধ, নারী ও শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের যেন ঢল নেমেছে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে।

সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি’র শত চেষ্টার পরও অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাচ্ছে না। বিজিবি সদস্যরা রোহিঙ্গাদের প্রতিহতের চেষ্টা করলেও রাতের আধারে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে অনেক রোহিঙ্গা।

সূত্রঃ চ্যানেল আই

আনোয়ারাকে ৩০ লাখ টাকা অনুদান দিলেন প্রধানমন্ত্রী

চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগমকে ৩০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ ২৭ আগস্ট রোববার বিকেলে গণভবনে আনোয়ারার হাতে এই চেক তুলে দেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আনোয়ারার মেয়ে রুমানা ইসলাম মুক্তি।

আনোয়ারার স্বামী মহিতুল ইসলাম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। দেশ স্বাধীন করতে তিনি লড়েছিলেন জীবন বাজি রেখে। জীবন সায়াহ্নে এসে গুণী এই অভিনেত্রীর স্বামী স্ট্রোক করে প্যারালাইজড হয়ে মানবেতর জীবন পার করছেন। তিনি রাজধানীর বনশ্রীর ফরাজী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার প্রতিদিনের চিকিৎসার জন্য ব্যয় হচ্ছে অনেক টাকা। কিন্তু স্বামীর চিকিৎসার জন্য এত অর্থের যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন আনোয়ারা ও তার পরিবার। তখন তিনি স্বামীকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।

আনোয়ারা আরও বলেন, তিনি সাহায্য চান না, স্বামীর চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন প্রযোজকের কাছ থেকে নিজের পাওনা টাকা ফেরত চান। আর এই পাওনা টাকার জন্য তিনি দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

অভিনেত্রী আনোয়ারাকে নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত এই সংবাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসে। এ সংবাদ দেখার পর আনোয়ারার পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নেন শেখ হাসিনা।

সূত্রঃ চ্যানেল আই

বন্যা কবলিত এলাকায় ফসল না ওঠা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে কৃষিঋণ আদায়ঃ প্রধানমন্ত্রী

গাইবান্ধার বন্যাদুর্গতদের জন্য ১৪শো মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গোবিন্দগঞ্জ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, আক্রান্ত সবার খাদ্য নিশ্চিত করবে সরকার। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি নির্মাণে দেয়া হবে সহায়তা। কৃষকরা পাবে বীজ ও সার। ফসল না ওঠা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে কৃষিঋণ আদায়।

কয়েকদিন ধরেই কমছে বন্যার পানি। কিন্তু সবকিছু হারিয়ে ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় মানুষ। এমন সময় দিশেহারা গাইবান্ধাবাসীর খোঁজখবর নিতে আসলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় পৌঁছেই বন্যাদুর্গতদের ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করলেন- যেখানে দুর্যোগ-দুর্বিপাক, সেখানেই আওয়ামী লীগ সরকার। মনোবল না হারানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের পাশেই আছেন তিনি।

ভূমিহীনদের জমি বরাদ্দেরও ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। বোরো মৌসুমে কৃষকদের দেয়া হবে সর্বাত্মক সহযোগিতা।

শেখ হাসিনা বলেন- ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেবে সরকার। পরে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

সূত্রঃ Independent tv

মহাসড়ক মেরামতে কাজ চলবে ২৪ ঘণ্টা, ছুটি বাতিল

ঈদে মানুষের বাড়ি ফেরার যাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে সড়ক বিভাগের প্রকৌশলীদের ছুটি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা কাজ করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার দুপুরে গাজীপুরের চন্দ্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ভাঙা রাস্তা থাকার পরও মানুষের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করার চেষ্টা করবে সরকার। মন্ত্রী জানান সওজের প্রকৌশলীরা ঈদের দিন সকাল ছয়টা থেকে দুইটা পর্যন্ত ছুটি পাবেন। বাকি সময় তাদের রাস্তায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টি, জলাবদ্ধতা আর বন্যায় এবার সড়ক, মহাসড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিরাট বিরাট গর্ত ছাড়াও কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় গাড়ির গতি কমে গেছে। পাশাপাশি মোড়ে মোড়ে তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগেই ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে নিত্য ভোগান্তির খবর আসছে গণমাধ্যমে। এই পরিস্থিতিতে ঈদ যাত্রা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা।

সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দায়িত্বরত প্রকৌশলীদের ছুটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। কারণ দেশে এখন দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি চলছে। আমাদের অনেক রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা দিনাজপুরে রাস্তার চিহ্ন পর্যন্ত দেখিনি। উত্তরাঞ্চলের ৫০টি পয়েন্টে এক থেকে তিন কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তা এখনো পানির নিচে। বন্যার পানি কমা শুরু হয়েছে। পানি কমে গেলে আমাদের প্রকৌশলীরা সেখানকার ঠিকাদারদের নিয়ে রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করে দেবেন।’

‘এবার আমাদের কড়া নজরদারি রয়েছে। কারণ এবার দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা আমাদের আরও সতর্ক করে দিয়েছে। কোনো রাস্তা যেন চলাচলের অনুপযোগী না হয়ে সে জন্য আমাদের প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা ২৪ ঘন্টা রাস্তায় থাকবেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বৃষ্টিপাতকে অজুহাত দেখিয়ে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা বিঘ্নিত হবে, এটা আমি বলতে চাই না। যে কোনো অবস্থায় আমরা সড়ক ব্যবহার উপযোগী ও সচল রাখব। এজন্য পুলিশ, পরিহন মালিক ও শ্রমিক সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। আমার মনে হয় এবারের ঈদেও মানুষের ঈদ যাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে।’

কাদের বলেন, ‘বৃষ্টি হলেও চিকিৎসা আছে, বৃষ্টি চলাকালে রাস্তা মেরামতে আমাদের প্রকৌশলীদের মাঠে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্টদের আগেভাগে জানিয়ে দিয়েছি, পশুবাহী গাড়িগুলোর যেন ফিটনেস থাকে। এগুলো যখন তখন যদি আটকে যায়, বন্ধ হয়ে যায়, তা হলেতো যান চলাচলে সমস্যা হবে, যানজটের কারণ হবে।’

এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, হাইওয়ের ডিআইজি আতিকুল ইসলাম, গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ, গাজীপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ডি এ কে এন নাহিন রেজা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্রঃ ঢাকা টাইমস

1 386 387 388 389 390 425