বিজ্ঞান-একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ্য পুরুষও শুক্রানু

নিউজ২৪লাইন:
বিজ্ঞান বলে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ্য পুরুষ একবার সহবাস করলে যে পরিমান বীর্য নির্গত হয় তাতে ৪০ কোটি শুক্রাণু থাকে। লজিক অনুযায়ি মেয়েদের গর্ভে যদি সেই পরিমান শুক্রানু স্থান পেতো তাহলে ৪০ কোটি বাচ্চা তৈরি হতো! এই ৪০ কোটি শুক্রাণু মায়ের জরায়ুর দিকে পাগলের মত ছুঁটতে থাকে, জীবিত থাকে মাত্র ৩০০-৫০০ শুক্রাণু। আর বাকিরা? এই ছুঁটে চলার পথে ক্লান্ত অথবা পরাজিত হয়ে মারা যায়। এই ৩০০-৫০০ শুক্রাণু যেগুলো ডিম্বানুর কাছে যেতে পেরেছে, তাদের মধ্যে মাত্র একটি মহা শক্তিশালী শুক্রাণু ডিম্বানুকে ফার্টিলাইজ করে অথবা ডিম্বানুতে আসন গ্রহন করে। সেই ভাগ্যবান শুক্রাণুটি হচ্ছে আপনি কিংবা আমি অথবা আমরা সবাই। কখনও কি এই মহাযুদ্ধের কথা মাথায় এনেছেন ?

❒ আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন- তখন ছিলো না কোন চোঁখ হাত পা মাথা, তবুও আপনি জিতেছিলেন।

❒ আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন- তখন আপনার ছিলো না কোন সার্টিফিকেট, ছিলোনা মস্তিষ্ক তবুও আপনি

জিতেছিলেন।

❒ আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন- তখন আপনার ছিলো না কোন শিক্ষা, কেউ সাহায্য করেনি তবুও আপনি

জিতেছিলেন।

❒ আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন- তখন আপনার একটি গন্তব্য ছিলো এবং সেই গন্তব্যের দিকে উদ্দেশ্য ঠিক রেখে একা একাগ্র চিত্তে দৌড় দিয়েছিলেন এবং শেষ অবধি আপনিই জিতেছিলেন।

❒ বহু বাচ্চা মায়ের পেটেই নষ্ট হয়ে যায় কিন্তু আপনি মারা যাননি, পুরো ১০ টি মাস পূর্ণ করতে পেরেছেন।

❒ বহু বাচ্চা জন্মের সময় মারা যায় কিন্তু আপনি

টিকেছিলেন।

❒ বহু বাচ্চা জন্মের প্রথম ৫ বছরেই মারা যায় কিন্তু আপনি এখনো বেঁচে আছেন।

❒ অনেক শিশু অপুষ্টিতে মারা যায় কিন্তু আপনার কিছুই হয়নি।

❒ বড় হওয়ার পথে অনেকেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে কিন্তু আপনি এখনো আছেন।

আর আজ- আপনি কিছু একটা হলেই ঘাবড়ে যান, নিরাশ হয়ে পড়েন, কিন্তু কেন? কেন ভাবছেন আপনি হেরে গিয়েছেন? কেন আপনি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন? এখন আপনার বন্ধু বান্ধব, ভাই বোন, সার্টিফিকেট, সবকিছু আছে। হাত-পা আছে, শিক্ষা আছে, প্ল্যান করার মস্তিষ্ক আছে, সাহায্য করার মানুষ আছে, তবুও আপনি আশা হারিয়ে ফেলেছেন। যখন আপনি জীবনের প্রথম দিনে হার মানেননি। ৪০ কোটি শুক্রাণুর সাথে মরণপণ যুদ্ধ করে ক্রমাগত দৌড় দিয়ে কারো সাহায্য ছাড়াই প্রতিযোগিতায় একাই বিজয়ী হয়েছেন।
তাহলে হতাশা কেন ❓❓❓

❒ কেন একজন আপনার লাইফ থেকে চলে গেলে

সেটা মেনে নিতে পারেন না ?

❒ কেন আপনি একটা কিছু হলেই ভেঙে পড়েন.

মাওলানা আজহারীকে বিপজ্জনক তালিকায় দিয়ে সরিয়ে নিল ফেসবুক

নিউজ২৪লাইন:

ইসলাম ডেস্ক- বরেণ্য ইসলামিক বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীকে নটিফিকেশনে পাঠিয়ে ‘বিপজ্জনক’ তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করে আবার সরিয়ে নিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

 

গত শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে তাকে ‘উগ্র’ ও ‘বিপজ্জনক’ উল্লেখ করে নোটিফিকেশন পাঠায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তবে পরের দিন শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সেই নোটিফিকেশন প্রত্যাহার করে নেয় তারা।

এর আগে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি ফেসবুক নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছিলেন আজহারী। ওই সময়ে তিনি ভক্তদের কাছে সমাধান চেয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন।

 

জানা গিয়েছিলো ফেসবুক পলিসি পরিবর্তন করার কারণে বিড়ম্বনায় পড়েছিলেন তিনি।

 

ওই সময়ে তিনি জানিয়েছিলেন, তার পেজের রিচ একেবারেই কমে গেছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে তার ভক্তরা তার স্ট্যাটাস পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ আসছিলো। এমনকি সি-ফার্স্ট করে রাখার পরেও তার স্ট্যাটাস পৌঁছাচ্ছিলো না ভক্তদের কাছে। সেজন্য মিজানুর রহমান আজহারী এর সমাধান চেয়েছিলেন। কী করলে রিচ আগের অবস্থায় ফিরতে জানতে চেয়েছিলেন শুভাকাঙ্খীদের কাছে।

 

 

যে রাস্তায় আপনি একা চলতে নিষেধ ” পৃথিবীর শেষ প্রান্তে “

নিউজ২৪লাইন:
দীর্ঘ এক পথ। আলো-অন্ধকারে মোড়া। বরফে ঢাকা। দীর্ঘ নিঃসঙ্গ ভয়বিহ্বল এক পথ। সত্যি কথা বলতে কী, এখানে ‘পথ’ শব্দটিই আর ব্যবহার করা সম্ভব নয়। কারণ, পথ নেই এখানে। পৃথিবীর রাস্তা এখানে শেষ। এরপর আর যাওয়া যাবে না।

কাগজে-কলমে যাকে ‘দ্য লাস্ট রোড অফ দ্য ওয়ার্ল্ড’ বলে তার পোশাকি নাম ‘ই সিক্সটিনাইন হাইওয়ে’। এই রাস্তাটি নরওয়েতে অবস্থিত। এটি উত্তরমেরুর সঙ্গে নরওয়েকে যুক্ত করেছে। এই পথ চিরবরফে ঢাকা। এমনিতেই নরওয়ে অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা। এক্সপ্লোরার মাত্রই এখানে যেতে চান। ফলে সেখানে এরকম একটি পথে অভিযাত্রীমাত্রই যেতে চাইবে। তবে এ পথে কারও একা যাওয়া নিষেধ। পথ হারানোর সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। রয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ার আশঙ্কাও।

ই সিক্সটিনাইন হাইওয়ে মোট পাঁচটি টানেলের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। ১২৯ কিমি দীর্ঘ এক হাইওয়ের অংশ এটি। ১৪ কিমির এই অংশটি চিররহস্যে মোড়া। এ পথের সৌন্দর্য মনোমুগ্ধকর। ছবির মতো ল্যান্ডস্কেপ। শীতকালে তাপমাত্রা মাইনাস ২৬ থেকে মাইনাস ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। এমনিতেই এখানে বছরের ছ’মাস দিন ছ’মাস রাত্রি।

সারা পৃথিবী থেকে মানুষ নর্থপোল দেখতে আসেন। এ যেন এক ভিন্নতর জগৎ। অস্তমান সূর্য এবং মেরুজ্যোতির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন মানুষ। গাঢ় নীল আকাশে সবুজ এবং গোলাপি আলোর খেলা! আর এসবই দেখা যেতে পারে এই ই সিক্সটিনাইন হাইওয়ে ধরলে। কিন্তু মুশকিল হল, এখানেই পৃথিবীর শেষ। মানে, এরপর আর রাস্তা নেই। অর্থাৎ কিনা পৃথিবীর শেষ রাস্তা! সূত্র: নিউজ ১৮।

ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা হচ্ছে: জয়

নিউজ২৪লাইন: ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, দেশে সম্প্রতি ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বিভিন্ন বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ২০১৩ সালে দেশে ডিজেলের মূল্য ছিল লিটার প্রতি ৬৮ টাকা, পরবর্তীতে ২০১৬ সালে লিটার প্রতি ৩ টাকা কমিয়ে ৬৫ টাকা করা হয়। এরপর গত সাড়ে পাঁচ বছরে দেশে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধি হয়নি।

শনিবার রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি ও কিছু তথ্য গুজব থেকে দূরে থাকুন- সত্য তথ্য জানুন’ শিরোনাম দিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় আরও লিখেছেন, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এর ফলে ডিজেলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন-বিপিসি ব্যাপক লোকসানের সম্মুখীন হয়।

তিনি বলেন, এবছরের জুন মাসে লিটার প্রতি ২.৯৭ টাকা, জুলাই মাসে ৩.৭০ টাকা, আগস্টে ১.৫৮ টাকা, সেপ্টেম্বরে ৫.৬২ টাকা এবং অক্টোবরে ১৩.০১ টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে। এতে গত সাড়ে পাঁচ মাসে ডিজেলের জন্য বিপিসির লোকসান হয়েছে প্রায় ১১৪৭.৬০ কোটি টাকা। একইসঙ্গে ডলারের মূল্য ২০১৬ সালে ৭৯ টাকা থেকে চলতি মাসে ৮৫.৭৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ফলে ডলারে মূল্য পরিশোধে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে।

সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, ভারতে জ্বালানি তেলের মূল্য কমার পরও পশ্চিমবঙ্গে ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৯০ রুপি বা ১০৪ টাকা, দিল্লিতে ৯৮.৪২ রুপি বা ১১৪ টাকার সমান। নেপালেও এই মূল্য ১১২.৩৯ নেপালি রুপি বা ৮১ টাকা। প্রতিবেশী এসব দেশের চেয়ে আমাদের মূল্য কম রয়েছে। একারণে আবার চোরাকারবারিরা এখান থেকে প্রতিবেশী দেশে ডিজেল পাচার করছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার ক্রমাগতভাবে জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে আসছে। এর ফলে এদেশে দাম কম থাকায় বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে, যা রোধকল্পে এই মূল্যবৃদ্ধি এবং এ নিয়ে বিভ্রান্তির অবকাশ নেই।

যে কারণে থাকছে না পদ্মা সেতুতে সাইকেল ও পায়ে হাঁটার লেন

নিউজ ২৪ লাইন ঃ এস এম আবুল কালাম আজাদ”

পদ্মা সেতু।
দুর্ঘটনা ও নিরাপত্তার দিক বিবেচনায় পদ্মা সেতু পারাপারে সাইকেল ও পায়ে হেঁটে চলাচলের কোনো লেন রাখা হয়নি। তবে, সিএনজি চলতে দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী আহমেদ আহসান উল্লাহ মজুমদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে দুই চাকার যানের মধ্যে শুধু মোটরসাইকেলের অনুমতি আছে। সাইকেল চলাচলের জন্য আলাদা লেন দরকার। যা ডিজাইন অনুযায়ী নেই। সাইকেল লেন না থাকার পেছনে নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত।’

তিনি আরও বলেন, ‘সড়কপথে পায়ে হেঁটে চলার সুযোগ নেই। রেলপথে শুধু রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা পায়ে হেঁটে চলাচল করতে পারবে। সেতুর এক নম্বর পিলার ও ৪২ নম্বর পিলারে ওঠা-নামার জন্য সিঁড়ি রাখা হবে, যা কেবল সেতু সংশ্লিষ্টদের কাজে ব্যবহৃত হবে।’

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী (সড়ক) সৈয়দ রজব আলী ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘অনেক দ্রুতগতিতে সেতুতে যানবাহন চলাচল করবে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে সাইকেল ও পায়ে হেঁটে চলাচলের লেন রাখা হয়নি। এটা যমুনা সেতুতেও নেই। তবে সেতু পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিতরা সেতুর উপরে যেতে পারবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘রিকশা-ভ্যানও সেতুতে চলাচল করবে না। সিএনজি চলবে কিনা এটি সরকারের সিদ্ধান্ত।’

‘পদ্মা সেতুর দুপ্রান্তে দুটি থানা স্থাপন করা হয়েছে। সেতুর উপর যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তবে সিসি ক্যামেরার সহায়তায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কতটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন হবে তা চূড়ান্ত হয়নি। আধুনিক প্রযুক্তির ক্যামেরাই স্থাপন কর হবে,’ তিনি যোগ করেন।

‘বিদিশার সন্তান নয় এরিক এরশাদ’! ঘোষণা করতে আদালতে মামলা

নিউজ ২৪ লইনঃ ঢাকাঃ সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিকের ‘সন্তান নয়’ শাহাতা জারাব এরশাদ (এরিক) মর্মে ঘোষণা করতে ঢাকা জেলা জজ আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের ফ্ল্যাট নিয়ে সাবেক স্ত্রী বিদিশা ও তার ছেলে এরিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

আজ সোমবার ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক কাজী মুশফিক মাহবুব রবিনের আদালতে জাতীয় পার্টির সাবেক হুইপ এইচ. এম গোলাম রেজা এবং তার স্ত্রী জিন্নাতুন নাহার শিমু মামলাটি দায়ের করেন।

আদালত মামলার বিষয়ে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান সংশ্লিষ্ট আদালতের সেরেস্তাদার শাহাদাত হোসেন।

মামলার অপর বিবাদীরা হলেন এরিক ওয়েন হুইসন, আরমান এরশাদ, এরিক এরশাদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, উপ-কমিশনার, স্পেশাল ব্রাঞ্চের এমিগ্রেশন পুলিশ সুপার (এসএম) ও গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।

মামলায় বলা হয়, ২০২০ সালের ২১ আগস্ট ১ নম্বর বিবাদী বিদিশা সিদ্দিক সাবেক স্বামী এইচ এম এরশাদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য ও অবজ্ঞা করে প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসায় ওঠেন এবং ২ নম্বর বিবাদী এরিককে নিজের গর্ভজাত সন্তান হিসাবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছেন। এ ছাড়া বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছেন।

মামলার ১ নম্বর বিবাদী বিদিশা সিদ্দিক বারিধার প্রেসিডেন্ট পার্কের ফ্ল্যাটটি তার কথিত ছেলে ২ নম্বর বিবাদী এরিকের বলে দাবি করছেন এবং গত ৭ জুন ফ্ল্যাটটি বাদীকে খালি করে দেওয়ার জন্য বলেছেন। তাই ২ নম্বর এরিক এবং ১ নম্বর বিবাদী বিদিশা সিদ্দিকীর গর্ভজাত সন্তান নয় মর্মে এক ঘোষণামূলক রায় ও ডিক্রি প্রদান করা প্রয়োজন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

ইউটিউব দেখে হেলিকপ্টার বানিয়ে উড়াতে গিয়ে তরুণের মৃত্যু

নিউজ ২৪লাইনঃ
মাধ্যমিকের গণ্ডি না পেরেনো এক তরুণ ইউটিউব দেখে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা ছাড়াই নিজে নিজে হেলিকপ্টার বানিয়েছিলেন। সেই হেলিকপ্টার পরীক্ষামূলকভাবে উড়াতে গিয়ে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মৃত্যু হলো তার।

ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির রাজ্য মহারাষ্ট্রের ফুলসাওয়াঙ্গি গ্রামের বাসিন্দা শেখ ইসমাইল নামে ২৪ বছর বয়সী ওই তরুণ ইউটিউব দেখে এক আসন বিশিষ্ট একটি প্রোটোটাইপ হেলিকপ্টার নির্মাণ করেন। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে স্কুল ছেড়ে দেয়া ইসমাইলের স্বপ্ন ছিল বিস্ময়কর কিছু করে তার গ্রামের সুনাম সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া। তাই তিনি নিজের ডাক নামের সাথে মিলিয়ে ‘মুন্না হেলিকপ্টার’ নির্মাণ করেন।

নিহত ইসমাইলের বন্ধু শচীন গণমাধ্যমকে জানান, থ্রি ইডিয়ট সিমেনার র‌্যাঞ্চো চরিত্র ভীষণ প্রভাবিত করে ইসমাইলকে। তাই তিনি অসাধারণ কিছু করার জন্য গ্রামে বসেই হেলিকপ্টার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। পরে ইউটিউবে হেলিকপ্টার বানানোর বিভিন্ন ভিডিও দেখে নিজেই হেলিকপ্টার বানানো শুরু করেন ইসমাইল।

জানা গেছে, হেলিকপ্টারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করতে ইসমাইলের প্রায় দু’বছর লেগেছিল। স্টিলের পাইপ দিয়ে তিনি হেলিকপ্টারের পাখা বানান। মারুতি ৮০০ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয় হেলিকপ্টারটি চালানোর জন্য। ইসমাইল চেয়েছিলেন ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে পুরো গ্রামের উপর হেলিকপ্টার নিয়ে চক্কর দিতে। এজন্য গত ১০ আগস্ট তিনি বন্ধুদের সামনে হেলিকপ্টারটি পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করেন।

কিন্তু হেলিকপ্টারের ইঞ্জিন চালু করার পরপরই হেলিকপ্টারের পেছনের লেজের অংশ খুলে হেলিকপ্টারের ওপরের পাখায় আঘাত করে। সেই স্টিলের পাখা ইসমাইলের গলায় আঘাত করলে সাথে সাথেই হেলিকপ্টার থেকে অচেতন হয়ে পড়ে যান তিনি।

বন্ধুরা তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস

1 2 3 4