ফেসবুক আইডি ডিজেবল হওয়া থেকে বাঁচার উপায়

১৪ এপ্রিল থেকে ফেক আইডি নিধন শুরু করেছে ফেসবুক সিকিউরিটি টিম। এ অভিযান চলবে আগামী ছয় মাস। ফেক নিধনে রিয়েল আইডিগুলো ও পার্মানেন্ট ডিজেবল/ডিলিট করে দেবে। যাদের আইডিতে নিজের ফটো, নাম্বার, ইমেইল অ্যাড নেই। ইতোমধ্যে অনেকের লগইন করলে আইডি লক দেখাচ্ছে। কিছু সিকিউরিটি কুয়েশ্চন দিচ্ছে।

যেমন- লগইন করলেই আসবে we need you to confirm identity. নিচে continue এ ক্লিক করে পরের স্টেপে গেলে যাদের নাম্বার অ্যাড নেই, তাদের নাম্বার অ্যাড করতে বলবে, এতে কোনো ধরনের বাইপাস করার ওয়ে নেই।

আগে কোনো আইডিতে অ্যাড হয়নি এমন একটা নাম্বার অ্যাড করে continue এ ক্লিক করে মোবাইলে আসা কোডটি খালি ঘরে বসালেই আইডি ঠিক হয়ে যাবে। আবার যাদের নাম্বার অ্যাড আছে তাদের আইডিও এমন লক হতে পারে। তখনও প্রথম continue করার পর মোবাইলে কোড আসবে, আর সেই কোড বসালেই আইডি ওকে হয়ে যাবে। যাদের নাম্বার, ইমেইল অ্যাড আছে, সব ঠিক থাকার পরও এমন লক হতে পারে বা প্রথমবার উপরের মতো লক খোলার পরও এমন আবার হতে পারে।

সূত্রঃ জাগ নিউজ ২৪

প্রায় ১০০ কোটি ইয়াহু অ্যাকাউন্ট হ্যাক

হ্যাক হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি ইয়াহু অ্যাকাউন্ট। বিবৃতি দিয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইয়াহু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের নাম, ই-মেল অ্যাড্রেস, জন্ম তারিখ, ফোন নম্বর ও পাসওয়ার্ডের মতো তথ্য চুরি গিয়েছে। তবে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের কোনও তথ্য চুরি যায়নি বলে জানিয়েছে ইয়াহু। বছর দুֹ’য়েক আগেও ইয়াহুর ৫০ কোটি ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি গিয়েছিল। তবে সে ক্ষেত্রেও ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত কোনও তথ্য ছিল না বলে জানিয়েছিল তারা।

ইয়াহুর অভিযোগ, কোনও একটি দেশের প্রত্যক্ষ মদতে এ কাজ করেছে হ্যাকাররা। এ বছরের অগস্টে ইয়াহুর বিরুদ্ধে একটি সম্ভাব্য বড় হ্যাকিং হামলার খবর সামনে আসে। তখন জানানো হয়েছিল ‘পিস’ নামে পরিচিত এক হ্যাকার গ্রুপ ইয়াহুর ২০ কোটি অ্যাকাউন্টের তথ্য বিক্রি করার চেষ্টা করছে।
ইয়াহু জানিয়েছে, প্রথমে মনে করা হয়েছিল ৫০ কোটি অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে। কিন্তু এখন বোঝা যাচ্ছে, এর পরিসর অনেকটাই বড়। ২০১৪ থেকে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে না থাকলে সবাইকে তা বদল করতে বলেছে ইয়াহু।

যে সমস্ত অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে, ইতিমধ্যেই তাদের মেল করে জানিয়েছে ইয়াহু। এর বাইরে অন্য কোনও মেল গিয়ে থাকলে তা হ্যাকারদের অ্যাকাউন্ট থেকে পাঠানো হয়েছে বুঝতে হবে বলেও জানিয়েছে ইয়াহু। এছাড়া অ্যাকাউন্টের বিশদ জানতে চেয়ে কোনও মেল এলে তা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে ইয়াহু।

সুত্র আনন্দ বাজার পত্রিকা

মোবাইলে নেট স্পিড বাড়াবেন যেভাবে?

মোবাইল এ নেট স্পিড বাড়াবেন যেভাবে তা নিম্নে বিবরণ দেয়া হলঃ

১।মোবাইলের অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো আনইনস্টল (Uninstall) করুন।

২।আপনার মোবাইলের স্টোরেজের অপ্রয়োজনীয় ডেটা ডিলিট (Delete) করুন৷ স্টোরেজ বাড়ার সাথে সাথে আপনার ইন্টারনেটের স্পিডও বাড়বে।

৩।মোবাইলের ‘ক্যাশড ডেটা’  ক্লিয়ার করুন ৷ কারণ এগুলো শুধু মোবাইলের জায়গায় নষ্ট করে না বরং আপনার মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাপকেও স্লো করে দেয়।

৪।আপনার এসডি কার্ড এর দিকেও খেয়াল রাখুন৷পারলে হাইস্পিড এসডি কার্ড ব্যবহার করুন৷ আপনি যদি স্লো এসডি কার্ড ব্যবহার করেন তাহলে তা আপনার মোবাইলের ডাউনলোড স্পিডকেও স্লো করে দেবে।

৫।সবশেষে আপনার মোবাইলের অপ্রয়োজনীয় ফাইল ডিলিট করতে অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে পারেন। যা আপনার মোবাইলের স্পিডকে বাড়াবে।

৬।আপডেট ভার্সনের ব্রাউজার ব্যবহার করুন।

৭।ক্লিনার দিয়ে মাঝে মাঝে মোবাইলকে ক্লিন করুন।

৮।ভালো সার্ভিস প্রভাইডার সিম ব্যবহার করুন।

বিঃদ্রঃ তবু সমস্যা হলে মোবাইলকে সার্ভিস করিয়ে নিতে পারেন ।

সফটওয়্যার রপ্তানিতে রেকর্ড ৭০০ মিলিয়ন ডলার আয় বাংলাদেশের

এ প্রসঙ্গে বেসিসের সভাপতি ও বিশিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সফটওয়্যার রপ্তানির সঠিক তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে নেই। ফলে তাদের হিসাবে রপ্তানির পরিমাণ দেখানো হয় প্রায় ১৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের। এ তথ্য সঠিক নয় তা বাংলাদেশ ব্যাংকও স্বীকার করেছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ৭০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের সফটওয়্যার রপ্তানি করেছে।

দেশের সব ব্যাংক সঠিক তথ্য দেয় না দাবি করে তিনি বলেন, সফটওয়্যার রপ্তানির সব অর্থ দেশে আসছে না। আমার জানামতে, অনেক ছোট ও বড় কোম্পানি অর্থ দেশে আনছে না। বরং ওই অর্থ দিয়ে তারা বিদেশে তাদের রপ্তানিবাজার তৈরি করছে। সফটওয়্যার রপ্তানিকারকরা করমুক্ত সুবিধা প্রকৃত অর্থে ভোগ করতে পারছেন না বলেও মনে করেন এই প্রযুক্তি উদ্যোক্তা।

বেসিসের সাবেক সভাপতি শামীম আহসান গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমাদের উদ্যোক্তারা পিছিয়ে নেই। তারা এগিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বিশ্ববাজার একটি প্রতিযোগিতামূলক জায়গা। এখানে ব্র্যান্ডিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলো তাদের ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে ব্যবহার করছে। কিন্তু আমাদের বেলায় উল্টো চিত্র দেখা গেছে। বিশ্ব মিডিয়ায় আমাদের ইতিবাচক ব্র্যান্ডিং নেই। আছে নেতিবাচক।

এ ছাড়া আমাদের দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তিন ধরনের করারোপ ব্যবস্থা প্রচলিত। ইন্টারনেট সেবার মূল্য বেশি হওয়ায় সফটওয়্যার শিল্পের প্রকৃত বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জানা গেছে, সরকার ২০১৮ সালে সফটওয়্যার রপ্তানি এক বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চায়। এ লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তরুণ উদ্যোক্তা ও পেশাজীবী তৈরির কাজ করছে সরকার। এ ছাড়া কারওয়ান বাজারের বহুল আলোচিত জনতা টাওয়ারে সফটওয়্যার পার্কে স্বল্পমূল্যে অফিস সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

সরকারি তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে ৭ লাখ তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী আছেন। এর মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার ও অন্যান্য খাতে ১ লাখ ৩০ হাজার মিলিয়ে মোট ২ লাখ ৫০ হাজার তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর পেশাজীবী রয়েছে বলে জরিপ করে জানিয়েছে বেসিস।

প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর পেশাজীবী ছাড়াও দেশে ফ্রিল্যান্স-আউটসোর্সিংয়ে জড়িত আছেন প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ। সরকারি-বেসরকারিভাবে প্রায় দুই লাখ তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী তৈরির প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। তবে ২০১৮ সালের মধ্যে দেশে ১০ লাখ তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী তৈরির ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এতে সরকারের চলমান উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন ও সামনের দিনগুলোতে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এই ১০ লাখ পেশাজীবী তৈরি ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা সম্ভব। বেসিস জানিয়েছে, রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১ শতাংশ অবদান রয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে রপ্তানি আয় প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলো প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশ ব্যাংকের সি-ফর্মের জটিলতায় এটি সরকারি হিসাবে প্রায় ১৩২ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে এ আয় প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার। এর সঙ্গে ফ্রিল্যান্স-আউটসোর্সিং পেশাজীবীরা প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার আয় করছে। এ ছাড়া দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের স্থানীয় বাজার প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের মোট বাজার প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার। এটা দেশের জিডিপির প্রায় শূন্য দশমিক ৫২ শতাংশ

শিখুন কত সহজে হ্যাক করবেন প্রতিবেশির ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড

আপনারা হয়তো জানেন যে বর্তমানে প্রায় সকল সাইবার ক্যাফে ও অন্যান্য স্থানে ওয়াইফাই এর মাধ্যমে প্রতিটা কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়ে থাকে। আর সব কানেকশনের অ্যাডমিন মোডের লগ ইন ডিটেইলস প্রায় একই। আর তা হলো

user – admin

password – admin

এবার আপনাকে যা করতে হবে। প্রথমে কোন সাইবার ক্যাফে কিংবা পরিচিত কারো (যে রাউটার ব্যবহার করে) কম্পিউটারে ব্রাউজারে যান। মজিলা ফায়ারফক্স কিংবা গুগল ক্রোম ব্রাউজার হলে ভালো হয়।

আমি আপনাদেরকে টিপি লিঙ্ক রাউটার দিয়ে প্রক্রিয়াটি দেখাচ্ছি তবে সব রাউটারের ক্ষেত্রে প্রায় একইরকম সিস্টেম।

ব্রাউজারে অথবা ক্লিক করুন এই লিঙ্ক  http://tplinkwifi.net লিখে এন্টার চাপুন।

তাহলে নিচের মত একটা পেজ আাসবে

এবার

username ও password এর জায়গায় admin লিখে ক্লিক করুন। তাহলে নিচের মত একটা পেজ পাবেন

এবার একদম সহজেই হ্যাক করুন ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড

এবার Wareless লেখা অপশনে ক্লিক করুন। তাহলে নিচের মত পেজ পাবেন।

এবার একদম সহজেই হ্যাক করুন ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড

এখানে আপনি রাউটারের ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের নাম দেখতে পাবেন।

এবার Wareless Security লেখায় ক্লিক করুন। তাহলে নিচের মত পেজ দেখতে পাবেন।

এবার একদম সহজেই হ্যাক করুন ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড

এখানেই আপনার বহুপ্রতীক্ষিত ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড দেখতে পাবেন। এবার আপনার মোবাইল বা অন্য ডিভাইসে ওয়াইফাই কানেক্ট করে আরামসে নেট চালান একদম বিনামূল্যে।

অন্যান্য রাউটারের আইপিঃ

Tenda:

  • 192.168.0.1
  • 192.168.1.1

TP Link:

  • 192.168.0.1
  • 192.168.0.254
  • 192.168.1.1
  • 192.168.1.254
  • 192.168.10.1

Asus:

  • 10.10.1.1
  • 192.168.1.1
  • 192.168.199.1
  • 192.168.2.1

D Link:

  • 10.0.0.1
  • 10.0.0.2
  • 10.1.1.1
  • 10.1.1.3
  • 10.90.90.90
  • 192.168.0.1

Link sys:

  • www.linksyssnartwifi.com
  • ciscoconnectcloud.com
  • myrouter.local

Micronet:

  • 192.168.1.1

Totolink:

  • 192.168.0.1.
  • 192.168.1.1

Netgear:

  • http://www.routerlogin.net

Mikrotik:

  • 192.168.1.1
  • 192.168.88.1

Trendnet:

  • 10.0.0.2
  • 10.0.0.3
  • 192.168.0.1
  • 192.168.1.1

Zyxel:

  • 10.0.0.1
  • 10.0.0.138
  • 192.168.0.1
  • 192.168.1.1

পোস্টটি পছন্দ হলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

জেনে নিন অনলাইন শপিংয়ে নিরাপদ থাকার উপায়

online-shopping

নতুন বছর আসছে। অনলাইনে মানুষকে শুভেচ্ছা জানানো বা নতুন শপিংয়ের জন্য হরহামেশাই অনলাইনে ঢুকবে মানুষ। কাজেই নিরপত্তার বিষয়টি নতুন করে ভাবতে হবে সবার। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে হবে। এখানে কিছু পরামর্শ নিন বিশেষজ্ঞের।

যেখানে ভুল হয়: নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন এক ভুক্তভোগী। জানান, আমার সমস্যা শুরু হয় যখন ১০ বছর আগে একটা পাসওয়ার্ড দিয়ে তা আর বদলাইনি। মাইস্পেস খোলার সময় এই পাসওয়ার্ডটি ব্যবহার করতাম। কিন্তু খুব দ্রুত তা ভুলে যাই। একই পাসওয়ার্ড অন্যান্য স্থানেও ব্যবহার করি। মনে হচ্ছিল পাসওয়ার্ড বদলানো দরকার। কিন্তু অলসতা বা অবহেলার কারণে করা হয়নি। একই পাসওয়ার্ড একটু এদিক-ওদিক করে দেওয়াটা সহজ। একটা সময় থেকে আমার ডিজিটাল দুনিয়া ধসে পড়তে শুরু করলো। আমি কয়েক মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর একজন যাদের অ্যাকাউন্টগুলো ডেটা ব্রিচের একটি সিরিজের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। হ্যাকাররা ক্রস-রেফারেন্স ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার করে বিভিন্ন ডেটাবেজ থেকে। একই পাসওয়ার্ড থাকলে তাদের পক্ষে তা বের করা সহজ। আমার ডেটাবেজও লিক হয়ে গেলো। আমি এখন কি করবো?

পাসওয়ার্ড বদলাতে থাকলাম। কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেছে। কয়েক সপ্তাহ পর আমার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ওয়ালমার্ট থেকে হ্যাকাররা পণ্য কিনে ফেললো। ব্যাংক আর ক্রেডিট কার্ড প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার সময় কাটলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলে।

পাসওয়ার্ড ম্যানেজার: এই যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতার পর আমি পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করতে থাকলাম। এটা আমার জীবন বদলে দিলো। এর মাধ্যমে আপনার যাবতীয় পাসওয়ার্ড একটি ভল্টে জমা থাকবে যা মাস্টার পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে নিরাপদ রাখা হবে। তাই এমন একটি মাস্টার পাসওয়ার্ড ঠিক করুন যা মনে রাখবেন। বাকিগুলো ভেতরেই সুরক্ষিত থাকবে। আর মাস্টার পাসওয়ার্ড অবশ্যই সাধারণ হলে চলবে না। এমন সেবাপ্রদানকারী ৩টি অপশনের মধ্য আমার ভালো লাগলো লাস্টপাস। অনেক এক্সপার্টের কাছ থেকে চমৎকার রিভিউ পেয়েছে এটি। এর দামও অনেক কম।

তবে লাস্টপাস বা অন্যান্য পাসওয়ার্ড ম্যানেজার অ্যাপ নিয়ে একটিই অভিযোগ রয়েছে। তা হলো, আপনার পাসওয়ার্ডগুলোতে ঢুকতে কোনো না কোনো থার্ড-পার্টির মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করতে হবে। যদি তা কোনভাবে ভুল হাতে পড়ে তো কি হবে?

লাস্টপাস ২০১৫ সালে হ্যাকিংয়ের শিকার হয়। তবে ফলাফল আশঙ্কাজনক নয়। হ্যাকাররা ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড রিমাইন্ডার এবং অন্যান্য কিছু তথ্যে ঢুকতে পেরেছে। কিন্তু তারা কখনোই পাসওয়ার্ড ডেটায় প্রবেশ করতে পারেনি।

এমন আরো কিছু সেবা মিলবে ১পাসওয়ার্ড, ড্যাশলেন এবং কিপাস থেকে।

নিজেকে রক্ষা করুন: পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করুন বা নাই করুন অনলাইনে নিজেকে নিরাপদ রাখার ব্যবস্থা আছে।

১. একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না। প্রত্যেক অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।

২. পাসওয়ার্ডটি শক্তিশালী করুন। এর সম্পর্ক এখন সবারই ধারণা আছে। জটিল ক্যারেক্টার, প্রতীক চিহ্ন, বড় ও ছোট হাতের অক্ষরের সমন্বয় ঘটিয়ে কাজটি করুন।

৩. দুই স্তরের ভেরিফিকেশন ব্যবহার করুন। এতে করে হ্যাকারদের পক্ষে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা আরো কঠিন হয়ে পড়বে। গুগল, ফেসবুক এবং টুইটার অ্যাকাউন্টে এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।

৪. যেকোনো অনলাইন অ্যাকাউন্ট থেকে পণ্য কেনাকাটার আগে গেস্ট হিসাবে প্রবেশ করুন। তারা হয়তো অ্যাকাউন্ট খুলতে বলবে। সেখানে অনেক ব্যক্তিগত তথ্য দিতে বলবে তারা। কিন্তু তার আগে গেস্ট ইউজার হিসাবে প্রবেশ করে দেখুন।

1 2 3 4