কবি জহির ইসলামের “জোছনা রাতে ফুলের সাথে” কাব্যের জোছনাফুলের পাপড়ি – নাসের ভুট্টো

কবি জহির ইসলাম দরিয়া পাড়ের শব্দসাম্রাজ্যের ডুবে থাকা এক নিভৃতচারী কবি। তিনি একজন স্পন্দিত ছড়াকার, গীতিকার ও কবি। শব্দের আভরণে- অলংকারে নিজের মতো করে নির্মাণ করে চলেছেন কবিতার উর্বশী শরীর। প্রতিক্ষণে কাব্যঘোরে আচ্ছন্ন এ- কবি সৃষ্টির শৈল্পিক অঙ্গীকারে আবদ্ধ থেকে দর্শন এবং সৌন্দর্যের নান্দনিক সংমিশ্রণে চিন্তার নব নির্মাণে প্রাগ্রসর। তিনি প্রয়োজনে কবিতাকে ভেঙ্গেছেন, গড়েছেন। ভাঙ্গা-গড়ার এই নিরন্তর খেলায় ফুটে উঠেছে অনিন্দ্য সুন্দর। সেই সুন্দর আর সুন্দরের বন্দরে কবি সর্বদাই প্রেমের সওদাগর। ঘাটে ঘাটে তিনি ফেরি করেন প্রেম। নারীপ্রেমে মত্ত কবির চুড়ান্ত শব্দ ভালোবাসা। সেই ভালোবাসায় তিনি কবিতা সৃষ্টি করেন, জীবন বিকাশের মতো ধীরে ধীরে। তার ভাষা ভিন্ন, গভীর অনুভুতির ছোঁয়ায় প্রাণবন্ত ও পংঙিতে পংঙিতে আলোড়িত। সদ্য প্রকাশিত কাব্য গ্রন্হ ” জোছনা রাতে ফুলের সাথে” কবির অপূর্ব সৃষ্টির এক জোছনা উৎসব। ছন্দে- গন্ধে অতুলনীয়। মৃত্তিকা সংলগ্ন বাস্তবতার বিচরণে প্রয়াসী এই কবি। সেই চেতনারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে তার কাব্য গ্রন্হ ” জোছনা রাতে ফুলের সাথে”। এই সময়ের কবি জহির ইসলাম তাই অকপটে ব্যক্ত করেন “ভালোবসি ভালো আছি” কবিতায় হৃদয়ের অপ্রকাশিত পংক্তি-
দখিনের জানালায় এখনো দাঁড়াও,
রাতজাগা পাখি আজ ডেকেছে আবার,
অসময়ে পেঁচা ডাকে দুহাত বাড়াও,
ভালোবাসায় মজেছে, সেও কী তোমার?”
জহির ইসলামের কবিতা একরৈখিক নয়, উপমা, উৎপ্রেক্ষা, চিত্রকল্প, প্রতীক, সমাসোক্তি প্রভৃতি অলঙ্কার নির্মাণে তিনি সবিশেষ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। প্রেমের নানা অনুসঙ্গ, প্রসঙ্গ ও বিস্তার, সংগ্রাম ও ক্লান্তি তার কবিতাকে গভীর প্রেমবোধে আলোড়িত করে। উপলব্ধি ও পর্যবেক্ষণও তিনি বহুমাত্রিক। আবার কখনো সখনো জহিরের কবিতায় খন্ড়িত নিসর্গ নয়, এসেছে পরিপূর্ণ নিসর্গ। স্বতঃস্ফূর্ত আবেগের মতোই বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো এসেছে নিসর্গ। তার কবিতা মধুর এক নৈ:সঙ্গের যন্ত্রনার সীমা- পরিসীমায় পাঠককুলকে পৌছে দেয়। প্রকৃতি তার কবিতায় স্বয়ম্ভু অস্তিত্ব নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যে মনোজৈবিক সম্পর্কের সূত্র নির্ণীত হয় তার কবিতায়:
“খোদার আরশ কাঁপে পাপের কারণ
জগতে দাপটে চলে শুনে না বারণ
প্রভুর রহম ছাড়া বাঁচে না মানুষ
গজবে আজাব আনে, বিনাশ ফানুস”
কবির বোধির মধ্যে চমৎকার নাজিল। তেলওয়াতে ঝংকার আছে। গভীরে আরো গভীর। কবি জহির ইসলামের কবিতায় সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিশীলতা সম্পর্কে আত্যন্তিক সচেতনতা প্রকাশিত হয়েছে। আজকের এই বিকাশমান সমাজে প্রতিষ্টার দৌড়ে মানুষ ভুলেছে আবেগ- সংযম ও পরিমিতবোধ। যার ফলে মানুষ ভুলেছে নৈতিকতা। বেড়েছে বিভিন্ন পাপের দাপট। কবিতার শব্দপ্রয়োগ ও প্রকরণগত দিক দিয়ে জহির ইসলাম গোড়া থেকেই স্বাতন্ত্র্যভিলাষী। যদিও অক্ষরবৃত্ত ছন্দ তার ছন্দবিন্যাসের ক্ষেত্রে প্রাধান্য নির্দেশক, তবু মাত্রাবৃত্ত বা স্বরবৃত্ত ছন্দের প্রয়োগে তিনি অসফল নন। বিষয়ের তাৎপর্য ও ব্যঞ্জনাকে নবতর আঙ্গিকে উপস্থাপন করার জন্য, অক্ষরবৃত্ত ছন্দকেও তিনি নিরীক্ষার বিষয় করেছেন বহু কবিতায়- যেমন ” জোছনা রাতে ফুলের সাথে” বা আমার গাঁ। হৃদয়াবেগ অপেক্ষা মনননির্ভরতা তার কবিতার বিশেষত্ব- নির্দেশক প্রান্ত হবার ফলে জীবনের গদ্যময় ভঙ্গুর ও গতিচঞ্চল স্বরূপই তার অন্বিষ্ট। ভাবাবেগ সেখানে পুরোপুরি অন্তর্হিত না হলেও তার কবিতা পাঠকের বুদ্ধিবৃত্তিতে সজাগ। ছন্দ প্রয়োগের ক্ষেত্রে অক্ষরবৃত্ত যদিও কবির প্রধান অবলম্বন, তবু অন্যান্য ছন্দের ব্যবহারে অমনোযোগী নন তিনি। “স্বাধীনতার খাম” কবিতাটির প্রথম স্তবক একবার পড়তে চাই-
“সেদিন দেখি বোনের হাতে
রক্তমাখা খাম
সেটাই বুঝি স্বাধীনতা
বাংলাদেশের নাম”
কবি জহির ইসলাম প্রকৃতপক্ষে উপরের কবিতাটি দিয়েই তার কবিচৈতন্যের নবযাত্রা শুরু হলো। যেখানে স্বাধীনতার আদি উৎস থেকে বর্তমান পর্যন্ত তার মানসলোক জীবনাবেগ। স্বাধীনতার অন্তর্গত অবক্ষয় ও আর্তিকে কখনো গভীরতম ব্যঞ্জনায় তরঙ্গিত করে তুলেছেন কবি, কখনো বা বর্তমানের ঐকান্তিক অনুভবে জীবনজটিলতার গ্রণ্হিসমূহ, আবার কখনো সখনো প্রগতির বিপুলা স্রোতস্বিনীতে জাতিগত পরিচয়ের ভিত্তি সন্ধানের ঐকান্তিক প্রয়াস। “কবিতাবাসর” কবিতায় তার ঐতিহ্যসন্ধান পরিণামে আত্মানুসন্ধানে পরিণত হয়েছে:
” হাঙ্গরের নাচ দেখো,জোয়ার ভাটায়
নদীতীরে ভেসে উঠে সোনালী শামুক
রূপের নাচনে মন, থাকে না ডাঙায়
তোমার দুচোখ আঁকে পোয়াতি ঝিনুক”
এই ঐতিহ্যসন্ধান গভীরতা এবং ব্যাপ্তি পেয়েছে কবির কবিতায়। ঐতিহ্য, নৃতত্ব এবং জীবনপ্রবাহ পরম্পরায় বিপুল উৎসের অঙ্গীকারে মানবীয় অন্বেষার সমগ্র প্রান্তকে স্পর্শ করে গেছেন কবি। মূলত: তার কবিতা শিল্পের চিরাচরিত খোলস ভাঙ্গার অদম্য স্পৃহা তাকে দান করেছে স্বকীয়তা, এনে দিয়েছে বিশিষ্টতা। তাই তিনি দেশ, দেশের মানুষ ও মাটির গান গেয়েছেন প্রার্থনার ভাষার মতো নীরবে নি:শব্দে। কবি জহির ইসলাম যে মনমাতা শব্দবন্ধে – চৌকশ কাব্যবিভায় আঁকলেন তা এক কথায় অপূর্ব। যেমন-
“বৃষ্টির পানিতে গা- টা ভিজে
কালো চুলে গাঁথে ফুল নিজে
মাঝে মাঝে উঁকি দেয় তারে
ভালোবাসা ভালো লাগে যারে”
কবি জহির ইসলামের “ভালোবাসি বর্ষা” শিরোনামের উপরোল্লিখিত কবিতার কয়েকটি চরণ পড়তে বেশ লাগে। এখানে কবির কাব্যিক ভাবনার গভীরতম অন্তকণার গন্ধভার আলোক ফুল তুলে আনলেন বিস্ময়কর অনুপ চিন্তনে। তাই, অকপটে স্বীকার করতে হয় ভালোবাসাতে বিলীন মনের মানসিক প্রশান্তির রূপ ওঠে এসেছে কবি জহির ইসলামের শব্দের মায়াজালে- যেখানে জীবন, যৌবন ও প্রজন্ম নিয়ে বহমান কবি যাপিত জীবনের প্রতিচ্ছবি সুরছন্দে- শব্দে, ভিন্নতর আবহে তুলে ধরেছেন যে, কবি জহির যেন ‘হ্যামিলেনের বাঁশিবাদক”! ভাব ও শব্দ তরঙ্গের মায়াজালে তিনি বিস্তার ঘটিয়েছেন ভিন্নতর জীবন বোধের। কারন অজস্র ভীড়ের মাঝে তিনিও বাজাতে জানেন অস্তিত্বের নির্মোহ বাঁশি। সমকাল নয় মহাকালই তার অভিযাত্রিক চৌম্বক নিশানা। “জোছনা রাতে ফুলের সাথে” কাব্যটির রেখে যাবে বাংলা সাহিত্যের পথে প্রার্থীত চিহ্ন রেখে যাবে বাংলার উর্বর জমিনে- এমন কাম্য নিশ্চয়ই অন্যায্য নয়।

নাসের ভূট্টো
কবি ও প্রাবন্ধিক,

‘ভ্রমণে ভাবনায় সিলেট’ ইতিহাসের কালচেতনায় অভিযাত্রা


সুলতানা দিল আফরোজ পূরাণ- আশ্রিত ও ইতিহাস- ঐতিহ্যমগ্ন ভ্রমণপিপাসুদের একজন। আত্মার বিকাশ ঘটাতে বেশ পটু। স্মৃতিপটে এতকাল জমে থাকা গভীর রেখাপাতের রেশগুলো বহুকাল পর ইতিহাসের কালচেতনার মধ্যে সুলতানার অভিযাত্রা। মৃত্তিকা
সংলগ্ন বাস্তবতার বিচরণে প্রয়াসী। সেই চেতনারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে তাঁর তৃতীয় গ্রন্হ ‘ভ্রমণে ভাবনায় সিলেট’। লেখকের সাবলীল লেখনীতে উঠে এসেছে সিলেট জনপদের ইতিহাস,ঐতিহ্য আর দর্শনীয় স্থানের প্রাঞ্জল বর্ণনা। পাঠক এই ভ্রমণের বর্ণনায় একাত্ম হয়ে তাঁর মানসপটে প্রত্যক্ষ করতে পারবেন সেই সময়ের সিলেটকে। অনুভব করতে পারবেন প্রকৃতির রূপবৈভব নিঙড়ে নিঙড়ে আস্বাদন ও সৌন্দর্যবন্দনা।
এই সময়ের কথাসাহিত্যিক সুলতানা দিল আফরোজের আত্মস্মৃতিমূলক গ্রন্হ প্রাণে- ঘ্রাণে, বিষয়- আশয়ে বাংলা সাহিত্য এক অভুতপূর্ব ভ্রমণকর্ম এবং আন্দোলিত জীবনের দীঘল ছায়ানামা প্রশান্ত সরোবর। স্মৃতিগুলো উপমায় উৎপ্রেক্ষায়, অনুপম চিত্রকল্পে- বিচুর্ণ রূপকল্পে- অনাস্বাদিত শব্দবন্ধে- অতুল বুননে- প্রেমার্ত চয়নে বিস্ময়করভাবে মনোমুগ্ধকর, চিত্তাকর্ষক, হৃদয়গ্রাহী ও অপূর্ব সৃজন মমতায় সিক্ত- যা এক কথায় অসাধারণ মানদন্ডের প্রতিটা ক্ষেত্রে সমৃদ্ধতায় অনন্য, চেতনার বহুমুখী সড়কে ফুটিয়ে তুলেছেন অতীতের দিনগুলোর জ্বলজ্বল করা স্মৃতির অম্লান রাজত্ব। ঐতিহ্যস্নাত জনপদের সাতকরা ও প্রাণের সিলেট এর নাড়ীর বাঁধন ফুটে ওঠেছে তাঁর দীর্ঘ বুননে কুশলী অন্তর্বয়নে। যার অভিজ্ঞতার আপাতবাস্তব সত্যের সমীকরণে তৈরী করেছেন সহজাত সন্মোহন- যা স্মৃতির পৃষ্ঠা উল্টিয়ে ধ্বনিময় ব্যঞ্জনার প্রাচুর্যকে প্রাণবন্ত করে তুলে পাঠকের শ্রুতিসত্তায়। যেখানে শব্দপ্রবাহ সুরমা নদীর মতো মুখর ও বহুমাত্রিক ভাবে- চিত্রে পরিপূর্ণ, যেন উপচে পড়া ও চমকপ্রদ সুরমা নদীর তীর, যার পাশে শাহজালালের পবিত্র মাজার।
ইত্যাকার নানান অনুভব ও অভিজ্ঞতার বহুবর্ণিল আলোছায়ায় বেড়ে ওঠে কথাসাহিত্যিক সুলতানা দিল আফরোজের ‘ভ্রমণে ভাবনায় সিলেট’ গ্রন্হে। তিনি সিলেটের প্রাচীন শেকড় সন্ধান করেছেন অহর্নিশ আর সিলেট জনপদের ধামাইল গানগুলোও কেবলই শেকড়ের দিকে অভিযাত্রা, কখনো সখনো শোভাযাত্রা সঙ্গীত প্রেমীদের প্রতি। লেখিকা প্রকৃতির মোহময় রূপ সার্থকভাবে তাঁর গ্রন্হে ছাড়িয়ে দিয়েছেন দেশ কালের চৌকাঠে। অতিক্রম করেছেন সীমাকে। দেখেছেন নিসর্গ কিভাবে মুদ্রিত হয় হৃদয়ের অদৃশ্য ভ্রূণে।
কথাসাহিত্যিক সুলতানা দিল আফরোজ শব্দচয়ন ও ঐতিহ্যের দিকে যথেষ্ট সচেতন। বুননের মাধ্যমে তুলে এনেছেন সিলেট অঞ্চলের আদিবাসীদের কঠিন জীবন-যাপন, সাংস্কৃতিক জীবনধারা পাশাপাশি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সিলেট ভ্রমণের বিষয়ও বাদ দেন নি। বাঙালির রসনা বিলাস বিশ্ব পরিচিত তাই মাছ এবং মাংস রান্নায় সাতকরা ব্যবহার ও বিবিধ ঐতিহ্যবাহী খাবারের বিভিন্ন স্বাদও পাঠে অনুভব করা যায়। ইতিহাস- ঐতিহ্য,ধর্মীয় বৈচিত্র্য আর পর্যটনে অনন্য সিলেট অঞ্চল কে লেখিকা তাঁর সমস্ত লেখকসত্বা দিয়ে এমন ভাবে ফুটে তুলেছেন যে কোন পাঠক হারিয়ে যাবে সিলেটের পাহাড়, টিলা ও সমভূমিতে। যেখানে এক সময় হারিয়ে গিয়েছিলেন রবার্ট লিন্ডস।
এইখানে লেখক দৃষ্টিপাত জীবনমূখী দর্শনের আশ্রয়ে নিবিষ্ট হয়েছে। জীবন মৃত্যুর চরম সত্যকে সামনে রেখে সৃষ্টির সৌন্দর্যকে দেখালেন। মাইলের পর মাইল সবুজ চা বাগান, হাওরবাসীর জীবনে অর্থনৈতিক থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডও নিপুণ ভাবে তুলে ধরেছেন কথাসাহিত্যিক সুলতানা দিল আফরোজ।
সুলতানা দিল আফরোজ শব্দচয়নের দিকে যথেষ্ট সচেতন। ভ্রমণকে লাবণ্যময় করে তুলতে তিনি শব্দ, উপমা, রূপের ব্যবহারে সার্থক এবং সফল এ ক্ষেত্রে। মানবিক পরিত্রানের পথ অনুসন্ধানে তিনি হয়েছেন ত্রিশঙ্কু। সিলেটের অতীত যেমন ইতিহাস বিজড়িত! তেমনি সিলেটের নামকরণেও আছে ধর্মীয় ইতিহাস সমৃদ্ধ। সিলেট ভ্রমণে গিয়ে লেখক উপলদ্ধি করেছেন, সমুদ্রের জোয়ারভাটা আর নোনা জলের উপর বেঁচে আছে অজস্র প্রাণ । তাই ‘ভ্রমণে ভাবনায় সিলেট’ চিত্রকল্প যেমন ভিন্ন মাত্রায় এসে হাজির হয় তেমনি স্মৃতির শব্দ ও পদের ব্যবহারও ভিন্ন আমেজ সৃষ্টি করে। তিঁনি বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ও অব্যয় পদকে নতুন নতুন রূপ দিয়েছেন যা ফুটে ওঠে শতবর্ষে। ফলে তাঁর গ্রন্হখানি পলকেই হয়ে ওঠে স্হানিক থেকে বৈশ্বিক।
সমকাল নয়, মহাকালই তার চৌম্বক নিশানা। এমনিতেই গ্রন্হের ভাবনাগুচ্ছের বহুরৈখিক ওমে ডানা মেললো এই লেখকের সফল ভ্রমণচাষ ‘ভ্রমণে ভাবনায় সিলেট’। ধ্রুপদী এই গ্রন্হের প্রতিটি স্মৃতির গতিমান পদক্ষেপ অপূর্ব ঘ্রাণ হয়ে প্রত্যাশিত পথের চিহৃ রেখে যাবেন নিশ্চয় বাংলার সাহিত্যে। লেখকের প্রজ্ঞা আর জীবনবোধ এই বইটিকে করে তুলেছে অনন্য। আশা করছি বইটি পাঠকমহলে সমাদৃত হবে।

লেখক


কবি ও প্রাবন্ধিক নাসের ভুট্টো

দেশি-বিদেশি ফুল গাছের দেখা মেলে ঢাকার রাস্তায় অহরহ

নিউজ২৪লাইন:
মুহিদুল ইসলাম পান্না ; স্টাফ রিপোর্টার

চেরী,কাঠগোলাপ,নাগচম্পা,মাধবিলতা, সন্ধামালতী,দুপরুমনি,অ্যাডোনিয়াম, বেলী,বাগানবিলাস ইত্যাদি শত শত প্রজাতির ফুল গাছের বিস্তার ছড়িয়ে যাচ্ছে ঢাকা শহরে। এমনকি বনসাই এর ও দেখা মেলে ঢাকার রাস্তায়। লক্ষ লক্ষ টাকা দামের এক একটি বনসাই এর দেখা মূলত বৃক্ষমেলায় দেখা স্বাভাবিক হলেও এখন দেখা যাচ্ছে ঢাকার রাস্তার পাশে। এছাড়া দেশীয় ফুলগাছের পাশাপাশি বনফুল ল্যান্টেনা ও মুগ্ধ করছে মানুষকে। কাটিং,গ্রাফটিং এর মাধ্যে সংকরায়ন করা হচ্ছে ফুল গাছগুলোকে। তাছাড়া ডাবল পোর্টার ফুল ও তৈরি হচ্ছে নার্সারীতে। বর্তমানে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গুলোতেও নার্সারী গড়ে উঠছে অগনিত। এ থেকে এ কথা স্পষ্ট যে ফুলের মুগ্ধতা দিন দিন ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের মনে। এছাড়া এখাতে ব্যবসা করে উদ্যেগতা রা ও হতে পারে স্বাবলম্বী। ফুলের সৌন্দর্য মুগ্ধ করুক প্রতিটি মানুষকে।

সমুদ্রসৈকতে পড়ন্ত বিকেলে নতুন অতিথির অপেক্ষায় পরীমনি

বিনোদন ডেস্ক :

পৃথিবীর বৃহৎ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে স্বামীকে নিয়ে চিত্র নায়িকা পরীমনি – নতুন অতিথির বার্তা দিলেন পড়ন্ত বিকেলে  ভক্তদের উদ্দেশ্যে অদ্য পিঙ্গলি ছবি  দিলেন।

কবি নাসের ভূট্টো’র ‘কবিতা সমগ্র’ ও সামগ্রিক চেতনা – আলী প্রয়াস

কবি নাসের ভূট্টো’র কাব্য মানসের বৈশিষ্ট অন্যত্র, সমকালীন কাব্য সতীর্থ থেকে পৃথক। আধুনিক কবির রোমান্টিক গীতি ধর্মিতার চেয়ে মহাকবির ক্লাসিক ধৈর্য্ তাঁর মানস গঠনে বিশিষ্টতা দিয়েছে তাই প্রতিটি গ্রন্হের জন্য একটি পৃথক এবং সামগ্রিক চেতনা ধারনে তিনি তৎপর। একটি কাব্যগ্রন্হের জন্যে সামগ্রিক চেতনা রূপায়ন আধুনিক বাংলা কাব্য পরিত্যাগ করেছিল- কবি নাসের ভূট্টো তা পুনর্বিবেচনা করেছেন। কবি নাসের ভূট্টো’র কবিতার মৌল প্রবণতা তার ইতিহাস চেতনা মহাকালের ইশারা থেকে উৎসারিত যে সমাজ সময়চেতনা – সে সময়ের মধ্যে সংস্হাপিত মানুষের জৈবিক অস্তিত্ব এবং পরিণতি লিপিবদ্ধ করা। কবি নাসের ভূট্টো যে কারনে আলাদা সেটি হল- এ জনপদের ভয়াল শ্বাপদ রূপের পাশাপাশি সম্ভাবনাও তিনি আবিস্কার করেছেন। চিত্রের যেদিকটি আবিস্কার করেছিলেন এস,এম সুলতান- কবি নাসের ভূট্টো তাঁর কবিতায় সেই কাজটি করেছেন। সুলতানের চিত্রকলায় আমরা পাই, কৃষি নির্ভর সমাজের পেশীবহুল মানুষ, সেই সময়ের সংগ্রামশীলতা। কবি নাসের ভূট্টো কবিতা পড়ুয়ার পাঠ-অভিজ্ঞতাকে মাঝে মাঝে অতিক্রম করে যেতে চায়। নাসের ভূট্টো বৈচিত্র পিয়াসীমন, তাঁর একটি গ্রন্হ থেকে আরেকটি গ্রন্হ সৃষ্টিগ্রাহ্যভাবে আলাদা হয়ে যায়। যদিও পরিণামের একটি লক্ষ্যে তাঁর অভিজ্ঞতা নাসের ভূট্টো’র কাব্যগ্রন্হের নাম বিবেচনায় সে সত্য ধরা পড়েঃ ‘অনিবার্য ধুলো রোজই ওড়ে, দীঘিভরা প্রাচীন মেঘ, অন্তঃস্হ স্মৃতির কোঁচড়, ঈশ্বর এবং অন্ধকার সমুদ্র, বিনয়াবনত, সুন্দরের অনন্ত বৈভব এবং এবারের বইমেলার চুড়ান্ত রূপায়ণের আত্বজ কাব্য বৃক্ষ ‘ কবিতা সমগ্র ‘। গ্রন্হটি তৃতীয় প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত।  বইটি উৎসর্গ করেন শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বাংলার নদীমাতৃক মানুষ প্রয়াত কৃষিবিদ জামাল আহমদ কে। নান্দনিক প্রচ্ছদ করেছেন রাশেদ আলম।

প্রথাবিরোধী লেখক নাসের ভূট্টো মূলত কবি ও প্রাবন্ধিক। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির প্রতি তীব্র আকর্ষন। সাহিত্য- সংস্কৃতি- সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে যুক্ত আছেন বিভিন্ন সংঘঠনের সাথে। নিয়মিত বর্ণচাষ করেন জীবন বিকাশের মতো ধীরে ধীরে। নাসের ভূট্টো মূলত নব্বই দশকের কবি। তিঁনি তার কাব্যসমগ্রে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন- উত্তাপ স্পর্শে ঘুরে যাওয়া গতিপথ, নির্বাসনে অর্জন করা আত্বশুদ্ধি ও মানুষের বিশ্বাসের অন্তঃসারশূন্যতা।

কবির ক্ষেত্রে কোন বিবেচনা চুড়ান্ত নয়। মানব মনের বিচিত্রমুখী চেতনার সবটুকু সে ধারন করতে চায়। একই দর্শনে স্হিতি থাকা কবির ধর্ম নয়।

কবি নাসের ভূট্টো কবিতায় জীবনযাপন লক্ষ্য করা গেলেও তাঁর হাহাকার তাঁর কাছে বর্তমানের মুল্য সর্বাধিক কারন তার মধ্যে রয়েছে ভবিষ্যত নির্মাণের প্রতিশ্রুতি। কবি নাসের ভূট্টো’র কাছে অতীতের যে মুল্য তা ইতিহাসের ধাম্ভিকতার মধ্যে রয়েছে। নাসের ভূট্টো মানুষের ক্রমিক উন্নতির সম্ভাবনার আস্হাশীল। কবিকে হতে হবে বর্তমানের প্রতি দায়িত্ববান এবং ভবিষ্যতের দ্রষ্টা। ষষ্ট পর্বে বিভক্ত ‘কবিতা সমগ্র’ কাব্যগ্রন্হটি। সব মিলিয়ে দুইশত আটাশি টি কবিতার সমাহারে অনন্য মাত্রায় অভিযোজিত হয়েছে। স্বোপার্জিত অভিঞ্জতা, স্বতন্ত্র মনোভঙ্গি কাব্যটিকে নিশ্চয় পাঠকের দরবারে বিশেষ মর্যাদা লাভে অভিষিক্ত করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

মানুষের জীবনে খন্ড় খন্ড় অভিজ্ঞতার সমাবেশ। সেই সমাবেশে নানা রঙ – আনন্দ, বেদনা, সুখ ও দুঃখের অনির্বচনীয় এক অনুরণন। সময়ের ক্যানভাসে এইসব অনুরণন নানা বর্ণবিভায় উদ্ভাসিত হয়। তেমনি ‘কবিতা সমগ্র’র কাব্যগ্রন্হের ‘ বিরহ সমুদ্র’ কবিতার প্রথম স্তবকটি গভীর আবেগে একবার পড়তে চাই-

‘ যদি কেউ ভুলেও এই নষ্ট চোখে রাখে

আন্দোলিত চোখ

সে আর দেখবেনা পৃথিবীর সবুজ’।

কবি নাসের ভূট্টো’র প্রেম ও বিদ্রোহের মধ্যে কোন বিরোধ নেই, বরং তা একই উৎসের দুই পরিপূরক প্রতিভাস। যে আন্তর – প্রেরণায় তিনি অধরা নারীকে পাবার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন, ব্যর্থতায় হয়ে পড়েন বিষন্ন, সেই একই প্রেরণায় সত্য-সুন্দর-মঙ্গল প্রতিষ্টায়, স্বাধিকারের বাসনায় তিনি উচ্ছারণ করেন প্রেমের অমুল্য বাণী। প্রেমের অঙ্গনে অধরা নারীর জন্য নিরুদ্দেশ যাত্রা শুরু হয়েছে কাব্যচর্চার প্রারম্ভ থেকেই, কিন্তু রবীন্দ্রনাথ যেমন স্পর্শ করতে পারেন না রহস্যময়ী অপরিচিতার শাড়ির আঁচল, তেমনি পারেন না কবি নাসের ভূট্টোও। কিন্তু এতকাল এই ব্যর্থতার জন্য তাঁর তীব্র হাহাকারবোধ নেই বরং অভিঞ্জতালব্দ- দর্শনাশ্রিত হয়ে আবিস্কার করেছে প্রেমের শ্বাশত-সত্য। অপ্রাপ্তির যন্ত্রনার জন্য এখন আর হাহাকার নেই, নেই ব্যাকুলতা কিংবা বেদনার অলজ্জ চিংকার- বরং এখানে পাই তত্বলোকের উত্তীর্ণ হবার প্রশান্ত প্রতীতিঃ

‘আমার ভেতরে বিদ্যমান

এক আশ্চর্য রকমের কবরস্হান’।

মৃত্যুচেতনা রোমান্টিক কবির স্বভাব লক্ষণ। ‘কবিতা সমগ্র’ কাব্যের ‘নেপথ্যে নির্ঘাস’ কবিতায় নাসের ভূট্টোর মৃত্যুভয় ধরা পড়েছে। পাঠকের আনুগত্য ও আকর্ষণ কেবল একজন কবির সৃষ্টিকর্মের মান ও উৎকর্ষের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, বরং তাঁর জীবনাচার ও বিচিত্র বহুমুখী কর্মকান্ড় ও পালন করতে পারে একটা বড় ভুমিকা। কারণ, লেখকসত্বা কেবল লেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, সেটি লেখকের জীবন ও সৃষ্টির ওপর যেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারে, তেমনই পারে পাঠকের অন্তর্গত কৌতুহল ও আকর্ষণকে আনুগত্যের নিগড়ে বাঁধতে। নন্দিত ও নিন্দিত লেখক নাসের ভূট্টো তেমনই একজন, যিনি খুব কাছ থেকে মৃত্যুকে দেখেছেন। জোট শাসনামলে কারাবরন করেন। তারপরও সত্যকে মিথ্যার মোড়কে আবদ্ধ করেন নি। এখানে কবি প্রজ্ঞাশাসিত এবং অভিজ্ঞতালদ্ধ মানসতার স্পর্শে এসে হয়ে উঠেছে সংঘত, সংহত এবং শূন্যতা তথা বেদনার প্রতীকি- ধারক। যেমনঃ

‘ নাগরিক কৌমুদীর পশ্চাতে

আমিও তোমাতে কিছুটা বিলীন’

প্রকৃতির কবিকে প্রতীক রূপে ব্যবহার না করে চিত্তলোকে ঠাই দেওয়া একজন কবির আজন্ম স্বভাব। কবি নাসের ভূট্টো ‘কবিতা সমগ্র’ কাব্যের ‘বিধুবদন’ কবিতায় সমুদ্র যাপণের নষ্টালজিয়ায় সিক্ত হয়েছেন অকাল প্রয়াত প্রেমিকার সাথে। জিকিরে জিকিরে কবির সত্বা প্রকাশ বিশেষ লক্ষনীয়।

কবি নাসের ভূট্টো কবিতা অনেকাংশে সরল, আধুনিক জটিলতা যা এসেছে তা সরলতাকে অবগাহন করতে যেয়ে। তাই জীবনান্দীয় যে নগর জটিলতাঃ ‘কখনো যেন আমাদের মনও নিজের নয়’, কিংবা কবি শামসুর রহমানের মায়ের কাছে অচেনা ভদ্রলোকের যে মানসিক নির্মিত প্রতিকৃতি।

আমাদের সময়ের বহুমাত্রিক আলোকমানুষ কবি নাসের ভূট্টো। এই কবির কাব্যমানসে রয়েছে ব্যক্তিমানুষ, জাতিমানুষ ও বিশ্বমানুষের সমীকৃতি ও প্রতীতি। কবিরূপে বহুল নন্দিত তিনি। এই অসাম্প্রদায়িক কবি সমকালিন জাতীয় পর্যায়েও এক তাৎপর্যপূর্ন কারুকৃৎ। চৈত্রের দুপুরে জলের তৃঞ্চায় কবি কিছু চাননা। হৃদয় যদি স্পর্শ করে হৃদয়, তবে কবি পৃথিবীতে উৎসর্গ করতে পারেন তাঁর ‘কবি বন্ধু’র জন্য। কবি প্রশ্ন করে খুঁজতে থাকেন, ভাত না ভালোবাসা মানুষের মৌলিক সমস্যা? কবি সন্দিহান তিনি কার জগতে বসবাস করেন। তাই তিনি অকপটে বলেন-

‘ঈশ্বর জানে না

তার ব্যাখাও বিস্তৃতি

অথচ মানুষ ঈশ্বর বিশ্বাসী’

কবি ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে চান সমগ্র ধরায়, কারনঃ তিঁনি ভালোবাসার কাঙ্গাল। ভালোবাসা দিতে গিয়ে বারবার প্রতারিত হয়েছেন ঈশ্বরের কাছে। যখন ব্যর্থতা স্পর্শ করেছেন তখন তিনি বেদনাহত হৃদয়ে উচ্ছারণ করেছেন ‘আমি মানুষ ভালোবাসি’। ‘মানুষ ও ঈশ্বর’ কবিতায় শাশ্বতিক বিরহকে তিনি আবিস্কার করতে পেরেছেন বলেই উপলব্দি করেছেন ‘মানু্ষ মানুষের জন্য’। তাই কবি নাসের ভূট্টো বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রেমের জগত প্রাপ্তি নয়, বরং অপ্রাপ্তি- মিলন নয় বরং বিরহই চিরায়ত সত্য,শাশ্বত প্রাপ্তি।

প্রত্যেক মহৎ কবি তাঁর নিজস্ব রাজধানীর সঙ্গে গভীর বিজড়িত থাকেন এবং প্রত্যেক সৃষ্টিকর্মেই তাঁর নিজস্ব নগরের একটা বিশেষ রূপ ধরা পড়ে – যা স্বতন্ত্র্য প্রাতিস্কিতায় অতুলনীয়। প্রত্যেক কবিতারই থাকে একটা নিজস্ব চরিত্র, স্বতন্ত্র্য, জলবায়ু, আলাদা বৈশিষ্ট, চাল-চলন,যানবাহন,খাবার-দাবার, স্বতন্ত্র্য ভুগোলের অবকাঠামোর কবিতার চালচিত্র তাঁর আত্মার এ স্বরূপ আমরা চিত্রিত দেখি- তার প্রকাশিত কাব্য ‘কবিতা সমগ্র’। কবির চুড়ান্ত শব্দ- ভালোবাসা। ভালোবাসার আলো-আঁধারী পথে চলতে গিয়ে কবি নাসেে ভূট্টো নিরন্তর নিজেকে ভাংচুর করে প্রবলভাবে নিজেকে তৈরী করেন। বারবার ভালোবাসার শীৎকারে কাতর হয়ে তেলাওয়াত করেন ইবাদতের স্বাদ মন ও মননে। কবি নাসের ভূট্টোর ‘দাখিলা’ কবিতার শেষ স্তবক একবার তেলাওয়াত করতে চাই পরম পবিত্রতায়।

‘ ডাকঘর ফাঁকা…

কেন কাঁদে নিঃসঙ্গ ভেতরের অন্তরঙ্গ মানুষ’

কবির মানসলোকে তেলাওয়াতের ধরণ ভিন্ন হলেও এ কবিতায় ইবাদতের পরমসত্য অনন্ত-মধুর রূপে গ্রহন করেছেন এবং সমস্ত জাহানের সৌন্দর্যসন্ধানকেই আপন কবিসত্তার মৌল ব্রত। সাহিত্য অঙ্গনে শাশ্বত পরমার্থকে আবিস্কার, নিজস্ব প্রকৃতিবোধ এবং গীতল কাব্যরস সৃজনে কবি নাসের ভূট্টোর ‘কবিতা সমগ্র’ একটি বিশিষ্ট কাব্য। কেবল ভাবগত দিক থেকেই নয়, প্রকরণ- প্রকৌশলের দিক দিয়েও একথা সমান প্রযোজ্য। বিষয়ানুগ ভাষা-ব্যবহার, উপমা- রূপক- উৎপ্রেক্ষা ও সমাসোক্তি অলন্কারের শিল্পিত সৃজন এবং ভাবের অন্তরাশ্রয়ী গীতোময় গতিবেগে ‘কবিতা সমগ্র’ কাব্য নাসের ভূট্টোর- কাব্যধারার ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নির্মাণ।

 

লেখক

আলী প্রয়াস 

কবি ও প্রকাশক।

অভিনেত্রী শুভশ্রীর ছেলেকে মাথায় টুপি পরিয়ে আজমীর শরীফ নিয়েগেলন

বিনোদন ডেক্স:

নিউজ২৪লাইন:

ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী মাজারে নিয়ে গেছেন শুভশ্রী গাঙ্গুলীর লেকে ছেলেকে  সমাথায় টুপি পরিয়ে  এতেই হইচই পড়ে গেছে মিডিয়া জগতে শুভশ্রী কিছুদিন আগে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।

শুভশ্রী সেই পুত্র সন্তানকে সন্তান ইউভানকেও    নিয়ে মুসলমানদের  আজমীর শরীফ  মাজারে টুপি মাথায় দিয়ে শুধু শুভশ্রীর ছেলেই নয় শুভশ্রীর  সাথে থাকা সকলকে ধর্মীয় লেভাজে   দেখা যায় স্বামী রাজ চক্রবর্তী ও শুভশ্রীর সাথে মাজারে গিয়েছিলেন বলের সূত্র জানান সেখানে শুভশ্রী ওর স্বামী রাজ চক্রবর্তীর সাথে বেশ আনন্দেই কাটিয়েছিলেন ছেলে ইভান এমনই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন শুভশ্রী চক্রবর্তী।

দীঘি সানি লওনের সাথে কাটানো অভিজ্ঞতা

পর্ন তারকা সানি লিওন ঢাকায় এক বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেতে এসে নেচে গেয়ে মাতিয়ে দিয়েগেছেন সানি সংক্ষিপ্ত একদিনে সফরে এসে বাংলাদেশ
গেলেন বলিউড তারকা সানি লিওন। তার সঙ্গে সেই বিয়ের আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন তারকারা। ভারতীয় তারকা সানি লিওন, নুসরাত জাহান বাদেও ওই বিয়েতে অংশ নিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার তরুণ নায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘিও। তিনি সানি লিওনের সঙ্গে কথা বলেছেন, আবার একটু ড্যান্সও করে নিয়েছেন। সেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন গণমাধ্যমের কাছে।

সানির সঙ্গে আলাপের অভিজ্ঞতা জানিয়ে দীঘি বলেন, ‘সানি তো খুবই ভালো। যখন কনের এন্ট্রি হচ্ছিল, আমি তার (সানি) পেছনে দাঁড়ানো ছিলাম। তিনি আমাকে পাশে নিয়ে দাঁড় করিয়েছেন। তিনি আর তার স্বামী ড্যানিয়েল আমাকে বলেন, তুমি পাশে এসে দাঁড়াও, কোনো সমস্যা নেই। নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমি বললাম, সিউর? তিনি বললেন- ইয়েস, সিওর। পরে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছি।’

স্টেজে ওঠার পর সানি লিওনের সঙ্গে ছবিও তোলেন দীঘি। সেই মুহূর্তের কথা জানিয়ে এই তরুণী বলেন, ‘তার মুখে হাসি লেগেই থাকে। আমার আবদার শুনে কাছে এসে ছবি তুলল। সানি খুবই ভালো, খুবই লক্ষ্মী।’ দীঘি আরও জানান, এক পর্যায়ে সানি-দের সঙ্গে গানের তালে নেচেছেনও তিনি। সানি কিংবা তার স্বামী কাউকেই বিদেশি মনে হয়নি। একেবারে আপন মানুষের মতোই তারা আচরণ করেছেন বলে জানান দীঘি।

উল্লেখ্য, শনিবার (১২ মার্চ) বিকালে ঢাকায় আসেন সানি লিওন। তার এই সফর ছিল ট্যুরিস্ট ভিসায়। তবে এর আগেই বাংলাদেশে তার ওয়ার্ক পারমিট বাতিল হয়ছিল। অর্থাৎ এই দেশে কোনো শুটিংয়ে অংশ নিতে পারবেন না তিনি।

1 2 3 29