‘ভ্রমণে ভাবনায় সিলেট’ ইতিহাসের কালচেতনায় অভিযাত্রা


সুলতানা দিল আফরোজ পূরাণ- আশ্রিত ও ইতিহাস- ঐতিহ্যমগ্ন ভ্রমণপিপাসুদের একজন। আত্মার বিকাশ ঘটাতে বেশ পটু। স্মৃতিপটে এতকাল জমে থাকা গভীর রেখাপাতের রেশগুলো বহুকাল পর ইতিহাসের কালচেতনার মধ্যে সুলতানার অভিযাত্রা। মৃত্তিকা
সংলগ্ন বাস্তবতার বিচরণে প্রয়াসী। সেই চেতনারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে তাঁর তৃতীয় গ্রন্হ ‘ভ্রমণে ভাবনায় সিলেট’। লেখকের সাবলীল লেখনীতে উঠে এসেছে সিলেট জনপদের ইতিহাস,ঐতিহ্য আর দর্শনীয় স্থানের প্রাঞ্জল বর্ণনা। পাঠক এই ভ্রমণের বর্ণনায় একাত্ম হয়ে তাঁর মানসপটে প্রত্যক্ষ করতে পারবেন সেই সময়ের সিলেটকে। অনুভব করতে পারবেন প্রকৃতির রূপবৈভব নিঙড়ে নিঙড়ে আস্বাদন ও সৌন্দর্যবন্দনা।
এই সময়ের কথাসাহিত্যিক সুলতানা দিল আফরোজের আত্মস্মৃতিমূলক গ্রন্হ প্রাণে- ঘ্রাণে, বিষয়- আশয়ে বাংলা সাহিত্য এক অভুতপূর্ব ভ্রমণকর্ম এবং আন্দোলিত জীবনের দীঘল ছায়ানামা প্রশান্ত সরোবর। স্মৃতিগুলো উপমায় উৎপ্রেক্ষায়, অনুপম চিত্রকল্পে- বিচুর্ণ রূপকল্পে- অনাস্বাদিত শব্দবন্ধে- অতুল বুননে- প্রেমার্ত চয়নে বিস্ময়করভাবে মনোমুগ্ধকর, চিত্তাকর্ষক, হৃদয়গ্রাহী ও অপূর্ব সৃজন মমতায় সিক্ত- যা এক কথায় অসাধারণ মানদন্ডের প্রতিটা ক্ষেত্রে সমৃদ্ধতায় অনন্য, চেতনার বহুমুখী সড়কে ফুটিয়ে তুলেছেন অতীতের দিনগুলোর জ্বলজ্বল করা স্মৃতির অম্লান রাজত্ব। ঐতিহ্যস্নাত জনপদের সাতকরা ও প্রাণের সিলেট এর নাড়ীর বাঁধন ফুটে ওঠেছে তাঁর দীর্ঘ বুননে কুশলী অন্তর্বয়নে। যার অভিজ্ঞতার আপাতবাস্তব সত্যের সমীকরণে তৈরী করেছেন সহজাত সন্মোহন- যা স্মৃতির পৃষ্ঠা উল্টিয়ে ধ্বনিময় ব্যঞ্জনার প্রাচুর্যকে প্রাণবন্ত করে তুলে পাঠকের শ্রুতিসত্তায়। যেখানে শব্দপ্রবাহ সুরমা নদীর মতো মুখর ও বহুমাত্রিক ভাবে- চিত্রে পরিপূর্ণ, যেন উপচে পড়া ও চমকপ্রদ সুরমা নদীর তীর, যার পাশে শাহজালালের পবিত্র মাজার।
ইত্যাকার নানান অনুভব ও অভিজ্ঞতার বহুবর্ণিল আলোছায়ায় বেড়ে ওঠে কথাসাহিত্যিক সুলতানা দিল আফরোজের ‘ভ্রমণে ভাবনায় সিলেট’ গ্রন্হে। তিনি সিলেটের প্রাচীন শেকড় সন্ধান করেছেন অহর্নিশ আর সিলেট জনপদের ধামাইল গানগুলোও কেবলই শেকড়ের দিকে অভিযাত্রা, কখনো সখনো শোভাযাত্রা সঙ্গীত প্রেমীদের প্রতি। লেখিকা প্রকৃতির মোহময় রূপ সার্থকভাবে তাঁর গ্রন্হে ছাড়িয়ে দিয়েছেন দেশ কালের চৌকাঠে। অতিক্রম করেছেন সীমাকে। দেখেছেন নিসর্গ কিভাবে মুদ্রিত হয় হৃদয়ের অদৃশ্য ভ্রূণে।
কথাসাহিত্যিক সুলতানা দিল আফরোজ শব্দচয়ন ও ঐতিহ্যের দিকে যথেষ্ট সচেতন। বুননের মাধ্যমে তুলে এনেছেন সিলেট অঞ্চলের আদিবাসীদের কঠিন জীবন-যাপন, সাংস্কৃতিক জীবনধারা পাশাপাশি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সিলেট ভ্রমণের বিষয়ও বাদ দেন নি। বাঙালির রসনা বিলাস বিশ্ব পরিচিত তাই মাছ এবং মাংস রান্নায় সাতকরা ব্যবহার ও বিবিধ ঐতিহ্যবাহী খাবারের বিভিন্ন স্বাদও পাঠে অনুভব করা যায়। ইতিহাস- ঐতিহ্য,ধর্মীয় বৈচিত্র্য আর পর্যটনে অনন্য সিলেট অঞ্চল কে লেখিকা তাঁর সমস্ত লেখকসত্বা দিয়ে এমন ভাবে ফুটে তুলেছেন যে কোন পাঠক হারিয়ে যাবে সিলেটের পাহাড়, টিলা ও সমভূমিতে। যেখানে এক সময় হারিয়ে গিয়েছিলেন রবার্ট লিন্ডস।
এইখানে লেখক দৃষ্টিপাত জীবনমূখী দর্শনের আশ্রয়ে নিবিষ্ট হয়েছে। জীবন মৃত্যুর চরম সত্যকে সামনে রেখে সৃষ্টির সৌন্দর্যকে দেখালেন। মাইলের পর মাইল সবুজ চা বাগান, হাওরবাসীর জীবনে অর্থনৈতিক থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডও নিপুণ ভাবে তুলে ধরেছেন কথাসাহিত্যিক সুলতানা দিল আফরোজ।
সুলতানা দিল আফরোজ শব্দচয়নের দিকে যথেষ্ট সচেতন। ভ্রমণকে লাবণ্যময় করে তুলতে তিনি শব্দ, উপমা, রূপের ব্যবহারে সার্থক এবং সফল এ ক্ষেত্রে। মানবিক পরিত্রানের পথ অনুসন্ধানে তিনি হয়েছেন ত্রিশঙ্কু। সিলেটের অতীত যেমন ইতিহাস বিজড়িত! তেমনি সিলেটের নামকরণেও আছে ধর্মীয় ইতিহাস সমৃদ্ধ। সিলেট ভ্রমণে গিয়ে লেখক উপলদ্ধি করেছেন, সমুদ্রের জোয়ারভাটা আর নোনা জলের উপর বেঁচে আছে অজস্র প্রাণ । তাই ‘ভ্রমণে ভাবনায় সিলেট’ চিত্রকল্প যেমন ভিন্ন মাত্রায় এসে হাজির হয় তেমনি স্মৃতির শব্দ ও পদের ব্যবহারও ভিন্ন আমেজ সৃষ্টি করে। তিঁনি বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ও অব্যয় পদকে নতুন নতুন রূপ দিয়েছেন যা ফুটে ওঠে শতবর্ষে। ফলে তাঁর গ্রন্হখানি পলকেই হয়ে ওঠে স্হানিক থেকে বৈশ্বিক।
সমকাল নয়, মহাকালই তার চৌম্বক নিশানা। এমনিতেই গ্রন্হের ভাবনাগুচ্ছের বহুরৈখিক ওমে ডানা মেললো এই লেখকের সফল ভ্রমণচাষ ‘ভ্রমণে ভাবনায় সিলেট’। ধ্রুপদী এই গ্রন্হের প্রতিটি স্মৃতির গতিমান পদক্ষেপ অপূর্ব ঘ্রাণ হয়ে প্রত্যাশিত পথের চিহৃ রেখে যাবেন নিশ্চয় বাংলার সাহিত্যে। লেখকের প্রজ্ঞা আর জীবনবোধ এই বইটিকে করে তুলেছে অনন্য। আশা করছি বইটি পাঠকমহলে সমাদৃত হবে।

লেখক


কবি ও প্রাবন্ধিক নাসের ভুট্টো

“””””উড়ো চিঠি””””

নিউজ২৪লাইন:

“”””উড়ো চিঠি””””
ইমদাদুল হক মিলন

তোর আকাশে উড়ব আমি ঘুরব বহুদূর
উড়ে উড়ে ঘুরে ফিরে যাব তর নির ।
কোথাই আমার সুখ পাখি
কোথায় বসত ঘর।
নীল আকাশের নিচে মোরা
বসত করি অন্ত জোড়া।
সাত সমুদ্র তেরো নদী
তর জন্য দিয়েছি পাড়ি।
আকাশে বাতাসে চরিয়েছি
ভালোবাসার অকূল নদী।
উড়ো চিঠি দিলাম আমি
ভালোবেসে নিও তুমি।
মিলন এর কবিতার খামে
নীলিমার ছন্দ গানে।
ভালোবাসি বলে আজ
উড়ো চিঠি দিয়েছি ছদ্ম নামে।
তুমি দেখে নিও পড়ে নিও
লিখা আছে হৃদয় গাতা কথা।

‘বাংলাদেশ ওমেন এম্পাওয়ারমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২২’-এ ভূষিত স্কাস চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা

স্কাস চেয়ারম্যান ‘জেসমিন প্রেমা’

আন্তর্জাতিক নারী দিবস এবং স্বাধীনতার ৫০ বছরে নারীর ক্ষমতায়নের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘ইউনাইটেড মুভমেন্ট ফর হিউম্যান রাইটস’ কর্তৃক আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ওমেন এম্পাওয়ারমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২২’-এ ভূষিত হলেন ‘সমাজকল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা’ (স্কাস) চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা। বছরের শ্রেষ্ঠ এনজিও ব্যক্তিত্ব হিসেবে এই সম্মাননায় ভূষিত হলেন তিনি।

 

১৬ মার্চ (বুধবার) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের পদ্ম হলে এই সম্মাননা প্রদান করা হবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে স্কাস চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমার পাশাপাশি প্রতিথযশা ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও সমাজকর্মীদের সম্মাননা দেয়া হবে। অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, মিডিয়া সেলিব্রিটি, সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত থাকবেন।

সহ পরিবার নিয়ে ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরব গেলেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী

নিউজ২৪লাইন:

সহপরিবারের পবিত্র ওমরাহ হজ্ব পালনের জন্য সৌদি আরবের উদ্দেশ্য ঢাকা ত্যাগ করেছেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কেএম এনামুল হক শামীম।
সোমবার বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের একটি বিমানে বিকেল সাড়ে ৫টার ফ্লাইটে সৌদি আবর রওনা হন।
সফরে উপমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন, তাঁর বাবা প্রকৌশলী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম মিয়া, উপমন্ত্রীর স্ত্রী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য তাহমিনা খাতুন শিলু, ভাই মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক স্বপন, স্বাচিপের বিজ্ঞান সম্পাদক ডা. আশ্রাফুল হক সিয়াম, বোন শামীম আরা হক কাকলী ও ভগ্নিপতি এহসানুল হক রিজন।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

একটি রিক্সা চালক কান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া -অসহায় পরিবারের আর্তনাদ

নিউজ২৪লাইন:
৩ সন্তান নিয়ে এখন যাবে কোথায় নোয়াখালীর কোহিনুর বেগম? খেয়ে না খেয়ে আর্থিকভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি। অবশেষে ভিটে বাড়ি ছাড়া হচ্ছে কোহিনুর। তার পাশাপাশি টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তার সন্তান হিফজু বিভাগের ছাত্র সাইফুল ইসলামের পড়া লেখা।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চাপরাশি বাড়ীর শহীদ উল্লার পুত্র রিকশা চালক মনির হোসেনের সাথে পাশ্ববর্তী সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা গ্রামের রিকশা চালক আবুল খায়েরের মেয়ে কোহিনুর বেগমের বিয়ে হয় ২০০৮ সালে। বিয়ের সময় রিকশা ক্রয় করার জন্য বাবা আবুল খায়ের জামাইকে ত্রিশ হাজার টাকা দেয়। এ টাকা দিয়ে রিকশা ক্রয় করে। দিন ভর রিকশা চালিয়ে মনির কোন প্রকার সংসার পরিচালনা করে আসছিল। এরই মাঝে তাদের ৩ সন্তান জম্ম নেয়।বর্তমানে প্রথম সন্তান সাইফুল ইসলাম (৯) তাদের দ্বিতীয় সন্তার মরিয়ম বেগম (৬) তৃতীয় সন্তান কাউসার হোসেন(৪)। মরিয়ম বজরা নুরানী মাদ্রাসায় পড়ে। কহিনুর মনির দম্পতির প্রথম সন্তান সাইফুল ইসলাম (৯) সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইসলামীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র। পবিত্র কুরআন মজিদের ২২ পারার হাফিজি অধ্যয়ন রত অবস্থায় আছে।এরই মাঝে ২০২০ সালের আগষ্ট মাসে মনির হোসেন কান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তার লেখা পড়া। মনির হোসেনসহ তারা তিন ভাই ও মা বাবা বসবাস করতেন আধা শতাংশের ছোট একটি ঘরে। ৪টি চৌকি রাখার মত কোন জায়গা নেই। তিনটি চৌকিতেই ৪টি পরিবার বসবার করতো।রাতের বেলায় সময় ভাগাভাগি করে ঘুমাত তারা।

এ দিকে মনির হোসেন মৃত্যুর পর তার বাবা মনিরের বিয়ের সময় কহিনুরের বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসা ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যাবার জন্য চাপ সৃস্টি করে কহিনুরকে। কিন্তু ৩ সন্তান নিয়ে কোথায় যাবে এ অসহায় নারী। এ নিয়ে একটি সালিশী বৈঠক বসে। উক্ত বৈঠকে কোহিনুরকে ১ বছরের মধ্যে ঘর ছেড়ে দেয়ার জন্য সময় বেধেঁ দেয়। কিন্তু প্রায় ১ বছর গনিয়ে আসলে ও কোহিনুর কোন কিছুই করতে পারিনি। সময় পার হওয়ায় আগেই তাকে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘর চাড়তে হবে বলে মনিরের বাবা আগাম নোটিশ দিচ্ছে।

রিকশা চালক মনিরের পরিবারের করুণ কাহিনী
রিকশা চালক মনিরের পরিবারের করুণ কাহিনী

অন্য দিকে বিপদ পিছু চাড়ছেনা কহিনুরের। এক সময় বিভিন্ন স্থানে জির  কাছ কর্ম করে ২ বেলা ২ মুঠো ভাত খেয়ে জীবন যাপন করছিলেন সন্তানদেরকে নিয়ে তিনি। কিন্তু সম্প্রতি শ্বাসকষ্ট (অ্যাজমা) রোগে আক্রান্ত হয় কোহিনুর। এতে কাজ করতে পারছিলেন না তিনি।বর্তমানে ২ বেলা ২ মুঠো ভাত জোগাড় করা তার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ছে। এ দিকে প্রতিমাসে ছেলের জন্য ২ হাজার টাকা দিতে হয় হিফজু পড়া ও বোডিং খরচ। টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ছেলের হিফজু পড়া।

কোমলমতি তিন শিশু ও অসহায় নারি তাকিয়ে আছে দেশের মানুষের দিকে  বাসস্থান ও সন্তানদের লেখা পড়ার  সাহায্যে এগিয়ে আসবেন কি স্বদয়বান ব্যক্তিরা।

মায়ের ভালোবাসা গোলাপের পাপড়ি স্নেহে ভরা

এস এম আবুল কালাম আজাদ
নিউজ ২৪লাইন:
মা শব্দটি অতি পরিচিত মা শব্দটি অতি মলিন মা শব্দটি আমাদের অস্তিত্ব একজন মা তার সন্তানকে দশ মাস দশ দিন মাত্র গর্ভে ধারণ করে হাজারো কষ্ট বেদনার মাঝে সুন্দর পৃথিবীর আলো দেখায় মা যার তুলনা শুধুই মা
মায়ের কাছে সন্তান কালো সাদা সুস্থ অসুস্থ সবই যেন তার কাছে সমান।

একজন মা তার সন্তানকে স্স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে লালন পালন করেন সন্তানের ভালোর জন্য নিজের জীবনের সমস্ত কিছু ত্যাগ স্বীকার করেন এরপরে হয়ে ওঠে একজন সন্তান
সন্তান যখন আস্তে আস্তে বড় হয়ে ওঠে মায়ের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি পেতে থাকে সন্তান যখন সুস্থ সবল বালেক হয়ে ওঠে কর্মঠ মেধা বৃদ্ধি পায় মায়ের প্রতি ভালোবাসা আরো বৃদ্ধি পায়,
১/ ওই সন্তান যখন বিয়ের পিঁড়িতে বসে সুন্দর রমণী ঘরে ঢোকে সুন্দর রমণীর সাথে বাসর করার উদ্দেশ্যে দরজাটা আটকে দেয় সুন্দর রমণী ছোঁয়া পেয়ে / মায়ের ভালোবাসা লোভ পেতে থাকে / শাশুড়ি মায়ের ভালবাসা বৃদ্ধি পেতে থাকে গর্ভধারণী মায়ের ভালোবাসা লোপ পেতে থাকে / স্ত্রী গর্ভে যখন সন্তান আসে মায়ের ভালোবাসা আর একটু লোপ পেতে থাকে / শাশুড়ি মায়ের ফিসফিস শব্দ গুলো বেড়ে যায় / এরপরে ইস্ত্রি মা-বাবার প্রতি অনীহা তৈরি করে ফেলে।
/ সন্তান যখন সুন্দর পৃথিবীর আলো পায় স্ত্রী শাশুড়ির ফিসফিস শব্দ টা আরো বৃদ্ধি পায় /এবার নিজের সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে / মা-বাবার প্রতি দুর্ব্যবহার শুরু করে দেয় /বড়লোকদের বৃদ্ধাশ্রম গরিবদের রাস্তায় পড়ে থাকা বৃদ্ধ বাবা-মা / হায়রে নিয়তি এই যদি হয় বাবা-মায়ের অবস্থা /যেই সময়ে বৃদ্ধ বাবা-মা নায় নাতকুর নিয়ে খেলাধুলা করবে সেই সময় সময় চোখের জলে বস্র ভিজে / সন্তান কি কখনো ভেবেছে আমি একদিন বৃদ্ধ হব আমারও হতে পারে এমন পরিনিতি।
বিদ্র : এই লেখাটা যদি কারো মনে বিন্দু পরিমাণ কষ্ট দিয়ে থাকি অথবা লেখায় যদি ভুল ত্রুটি থাকে নিজ গুনে ক্ষমা করে দিবেন আল্লা হাফেজ।

যেমন ছিলেন, আমাদের প্রিয় নবী – রাসুল (সঃ)

এস এম আবুল কালাম আজাদ :

যেমন ছিলেন, আমাদের প্রিয় নবী – রাসুল (সঃ) ❤️

১/ তিনি দীর্ঘ সময় নীরব থাকতেন।
২/ তিনি কম হাসতেন।
৩/ তিনি মুচকি হাসতেন, হাসি ওনার ঠোঁটে লেগে থাকতো।
৪/ তিনি অট্রহাসি হাসতেন না
৫/ তিনি তাহাজ্জুদ নামাজ ত্যাগ করতেন না।
৬/ তিনি শতবার ক্ষমা প্রাথনা করতেন।
৭/ তিনি কখনোই প্রতিশোধ নিতেন না।
৮/ তিনি যুদ্ধক্ষেএ ছাড়া কাউকেই আঘাত করেননি।
৯/ তিনি বিপদে পড়লে তাৎক্ষনিক নামাজে দাঁড়িয়ে পড়তেন।
১০/ তিনি অসুস্থ হলে বসে নামাজ পড়তেন।
১১/ তিনি শিশুদের সালাম দিতেন।
১২/ তিনি সমাবেত মহিলাদের সালাম দিতেন।
১৩/ তিনি শিশুদের পরম স্নেহ করতেন।
১৪/ তিনি পরিবারের সদস্যদের সাথে কোমল আচরন করতেন।
১৫/ তিনি সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন।
১৬/ তিনি ঘুম থেকে জেগে মেসওয়াক করতেন।
১৭/ তিনি মিথ্যাকে সার্বাধিক ঘৃনা করতেন।
১৮/ তিনি উপহার গ্রহন করতেন।
১৯/ তিনি সাদকাহ (দান) করতেন।
২০/ তিনি সব সময় আল্লাহ কে স্মরণ করতেন।
২১/ তিনি আল্লাহ কে সব সময় ভয় করতেন
২২/ হাতে যা আসতো তা আল্লাহর রাস্তায় দান করে দিতেন।
২৩/ কেউ কথা বলতে বসলে সে ব্যাক্তি উঠা না পর্যন্ত তিনি উঠতেন না।
২৪/ বিনা প্রয়োজনে কথা বলতেন না।
২৫/ কথা বলার সময় সুস্পষ্ট ভাবে বলতেন যাতে শ্রবনকারী সহজেই বুঝে নিতে পারে।
২৬/ কথা, কাজ ও লেন- দেনে কঠোরতা অবলম্বন করতেন না।
২৭/ নম্রতা কে পছন্দ করতেন।
২৮/ তার নিকট আগত ব্যাক্তিদের অবহেলা করতেন না।
২৯/কারো সাথে বিঘ্নতা সৃষ্টি করতেন না।
৩০/শরীয়ত বিরোধী কথা হলে তা থেকে বিরত থাকতেন বা সেখান থেকে উঠে যেতেন।
৩১/আল্লাহ তায়ালার প্রতিটি নিয়ামত কে কদর করতেন।
৩২/খাদ্য দ্রব্যের দোষ ধরতেন না। মন চাইলে খেতেন না হয় বাদ দিতেন।
৩৩/ ক্ষমা কে পছন্দ করতেন।
৩৪/ সর্বদা ধৈর্য্য ধারন করতেন।
এবার আমরা আল-কুরআনের একটি আয়াত Study করি এবং উপরোক্ত Points গুলোর প্রতি দৃষ্টি নিবন্ধ করি,তাহলেই আমরা এই লেখার সত্যতা,বাস্তবতা,গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্যক উপলব্ধি করতে পারবো ইনশাআল্লাহ,
* মহান আল্লাহ বলেন- তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্বরণ করে তাদের জন্য রাসূলের অনুসরণের মধ্যে রয়েছে উওম আদর্শ। (৩৩ আহযাব ২১)
তাই আসুন আমরা
রাসুল (সা.) এর আনুগত্য ও অনুসরণ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি,যদিও তাঁর গুনাবলী বর্ননা করে শেষ করা যাবে না।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে নবী (সা.) এর চরিত্রে চরিএবান হওয়ার তাওফীক দান করুন।

1 2 3 6