ইঁদুর তাড়ানোর ঘরোয়া উপায়

নিউজ ২৪ লাইন ঃ

ইঁদুর গরিব-ধনী চেনে না। তাই এমন কোনো বাসা-বাড়ি নেই যেখানে ইঁদুরের যন্ত্রণা নেই। নতুন পুরনো, মূল্যবান কিংবা সস্তা যাইহোক সব জিনিস সহজেই অচল করে দেয় ইঁদুর। সবচেয়ে বড় কথা একটি ইঁদুর মানুষের জন্য কমপক্ষে ২০ ধরণের রোগের জীবাণু বয়ে বেড়ায়। খাবার আর শখের পোশাক কাটাকাটিতে ওস্তাদ এই প্রাণিটির হাত থেকে রক্ষা পেতে কে না চায়।

ইঁদুর তাড়ানোর ঘরোয়া উপায়

ইঁদুর পুদিনার পাতা, পুদিনার তেল ও মেন্থলের গন্ধ একদম সহ্য করতে পারে না। তাই ইঁদুরকে আপনার ঘর থেকে বাইরে রাখতে চান তাহলে ঘরের প্রতিটা কোনা ও ইঁদুর থাকার জায়গাগুলোতে পুদিনা পাতা রেখে দিন।

আপনার বাড়ির আশেপাশে যাতে ইঁদুর ঘোরাঘুরি করতে না পারে এর জন্য বাড়ির চারপাশে পুদিনা গাছ লাগান। ফ্রিজ ও অন্যান্য জিনিসপত্র ইঁদুর থেকে দূরে রাখতে পুদিনা পাতা বেঁটে লেপে দিতে পারেন অথবা পুদিনা তেল ব্যবহার করতে পারেন।

ইস্পাত বা স্টিলের উল ইঁদুর থেকে আপনার বাড়িকে বাঁচাতে সাহায্য করতে পারবে। আপনার ঘরের যে প্রান্ত বা ফাঁক ফোঁকর দিয়ে ইঁদুর ঘরে প্রবেশ করে সেখানকার প্রবেশ মুখে ইস্পাত উল লাগিয়ে দিন। ইঁদুর সারাদিন রাত চেষ্টা করেও আপনার ঘরে ঢুকতে পারবে না।

ইঁদুর থেকে মুক্তি পাওয়ার সব থেকে সহজ ও কার্যকর উপাদান হচ্ছে মানুষের চুল। চুল মুখে গেলে বা পায়ে জড়িয়ে গেলে ইঁদুরের মৃত্যু অবধারিত। তাই ইঁদুর তাড়াতে রাতের বেলা আপনার ঘরের মেঝেতে ও ইঁদুরের প্রিয় জায়গাগুলোতে চুল ফেলে রাখতে পারেন।

ইঁদুর সমূলে মারতে অ্যামোনিয়া কাজে লাগাতে পারেন। কোনো ইঁদুর যদি একবার অ্যামোনিয়ার ঘ্রাণ নেই তাহলে তার মৃত্যু নিশ্চিত। আপনার ঘরের ইঁদুরের আনাগোনা বেশি হওয়া জায়গাতে তরল অ্যামোনিয়া দিয়ে রাখুন।

শুনে হাসি আসলে ও আপনাকে বিশ্বাস করতেই হবে যে ইঁদুর মারতে শুকনো গোবর খুব কাজের। কোনো ইঁদুর যদি শুকনো গোবর খেয়ে ফেলে তবে তার মৃত্যু ঠেকানো যাবে না।

ইঁদুর মারতে গোল মরিচের জুড়ি নেই। আপনার বাড়ির ইঁদুরের বাসস্থানে গোল মরিচ রেখে দেখুন ইঁদুর মরবেই। গোল মরিচের কটু গন্ধে শ্বাস নেয়াতে ইঁদুরের ফুসফুসে আঘাত লাগায় এরা মারা যায়।

ইঁদুর মারতে আপনি আপনার সু-পরিচিত মসলার অন্যতম উপাদান পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারেন। ইঁদুরের গর্তের মুখে পেঁয়াজ কেটে রেখে দিন আর এতেই কাজ হয়ে যাবে।

সূত্র ঃ নয়া দিগন্তা

ডায়াবেটিস সম্পর্কে এসব জেনে রাখা দরকার

নিউজ ২৪ লাইন ঃ

এখন তো ঘরে ঘরে একজন করে ডায়াবেটিস রোগী। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে আগামী দিনে ডায়াবেটিসের প্রকোপ যে আরো ভয়ানক ভাবে বাড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই তো প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

ডায়াবেটিস রোগকে চিকিৎসা পরিভাষায় ডায়াবেটিস মেলিটাস নামেও ডেকে থাকেন। এটি একটি মেটাবলিক ডিজঅর্ডার। এই রোগ হলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস মূলত দু ধরনের হয়, টাইপ-১ ডায়াবেটিস এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস।

টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে রোগীর শরীরে পর্যপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি হতে পারে না। ফলে রক্তে ব্লাড সুগারের মাত্রা বেড়ে যেতে শুরু করে। আর এমনটা হলে বারবার প্রস্রাব চাপা, ক্ষিদে বেড়ে যাওয়া, ক্লান্তি, ওজন হ্রাস অথবা বৃদ্ধি, ক্ষত শুকতে দেরি হওয়া এবং মাথা যন্ত্রণা হওয়ার মতো লক্ষণগুলি দেখা যায়।

এই প্রবন্ধে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের প্রসঙ্গে কিছু জরুরি তথ্য় পরিবেশন করা হল যা সবার জেনে নেয়া আবশ্যক।

ফ্যাক্ট ১ : এই ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা অল্প বিস্তর মিষ্টি খেতেই পারেন। তাতে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না। তবে এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মিষ্টির দিকে ফিরেও তাকাবেন না।

ফ্যাক্ট ২ : অনেকে মনে করেন জিনগত কারণে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হয়। এই কথা সম্পূর্ণ সত্যি নয়। কারণ একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে বেশির ভাগ টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী তাদের জীবনযাত্রার কারণে এই রোগে আক্রান্ত হন। খুব কম ক্ষেত্রেই জিনগত কারণে এই রোগ হয়ে থাকে।

ফ্যাক্ট ৩ : সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে যেসব নারীর পলিসিসটিক ওভারিয়ান সিনড্রম আছে তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এমনটা হয় মূলত কিছু হরমোনের পরিবর্তনের কারণে।

ফ্যাক্ট ৪ : মা যদি স্বাভাবিকের থেকে বেশি ওজনের বাচ্চা প্রসব করেন তাহলে আগামী সময়ে গিয়ে তার টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এমনটা হয় মূলত হরমোনের পরিবর্তন এবং ওজন বৃদ্ধির কারণে।

ফ্যাক্ট ৫ : ঠিক সময়ে যদি টাইপ-২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসা শুরু করা না হয় তাহলে শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়ে ওজন বৃদ্ধি এবং কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই যথা সময়ে এই রোগের ট্রিটমেন্ট শুরু করাটা মাস্ট!

ফ্যাক্ট ৬ : ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করার পাশাপাশি রোগী যদি নিয়মিত শরীরচর্চা করেন এবং ডায়েটের দিকে খেয়াল রাখেন তাহলে অনেকাংশেই টাইপ-২ ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।

সূত্র ঃ নয়া দিগন্তা

ছুটির দিনের সকাল কেমন কাটে আপনার???

সারা সপ্তাহ ব্যস্ত থাকার পর সবাই ছুটির দিনটির জন্য অপেক্ষা করেন। ধারণা করেন, এই দিনটি, অন্তত সকালটি তিনি একেবারে নিজের মতো করে কাটাবেন। নিজের মতো করে ঘুমোবেন। নিজের মতো করে ঝিমোবেন। কিন্তু আসলে কী ঘটে ছুটির সকালগুলোয়?
সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট
আপনার মোবাইলে অ্যালার্ম দেওয়া থাকে সাতটায়। সপ্তাহের অন্য দিনগুলোয় অ্যালার্ম বাজলেও আপনি উঠতে পারেন না। কিন্তু ছুটির দিনে অ্যালার্ম বাজার আগেই আপনার ঘুম ভেঙে যাবে—এই ভেবে যে এক্ষুনি হয়তো অ্যালার্ম বেজে উঠবে! বিছানায় আঁতিপাঁতি করে মোবাইল ফোন খুঁজে যখন অ্যালার্ম বন্ধ করতে যাবেন, তখন দেখবেন ছুটির দিনের কথা ভেবে আপনি আগের রাতেই অ্যালার্ম বন্ধ করে রেখেছেন। আপনার আশঙ্কা অমূলক। আপনি বিরক্ত হয়ে নিজেকে আবার বালিশে সঁপে দেবেন।

সকাল ৭টা ১৫ মিনিট
সাতটার অ্যালার্মে জেগে আবার ঘুমিয়ে, আবার জেগে আবার ঘুমিয়ে ৭টা ১৫ মিনিটে আপনি অন্য দিনগুলোয় বিছানা ছাড়েন। ছুটির দিনে ৭টা ১৫ মিনিটে আপনার কোনো কারণ ছাড়াই আবার ঘুম ভেঙে যাবে। আপনি মোবাইল ফোনে সময় দেখবেন এবং অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে কোলবালিশে লেপ্টে যাবেন।

সকাল ৭টা ২০ মিনিট
অন্য দিনগুলোয় এ সময় আপনি বাথরুমে থাকেন। আজ ছুটির দিন সেটা আপনি জানলেও প্রকৃতি তা জানতে পারে না। প্রকৃতি এই সময়ে আপনাকে তার মতো করে ডাকতে শুরু করবে। আপনার শরীর চাইবে সেই ডাকে সাড়া দিতে, কিন্তু আপনি চাইবেন ঘুমিয়ে থাকতে। প্রকৃতির ডাক, আপনার শরীর ইত্যাদির বিরুদ্ধে প্রচণ্ড মনঃশক্তি নিয়ে বেশ খানিকক্ষণ ধস্তাধস্তি করবেন আপনি। এবং শেষে বুঝতে পারবেন, প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করার কোনো ক্ষমতা আপনার অবশিষ্ট নেই। আপনি হতাশ হয়ে বিছানা-বালিশ ফেলে বাথরুমের দিকে যাবেন। এ সময় আপনার চোখ বন্ধ থাকবে। কারণ, আপনি ভালো করেই জানেন একবার চোখ খুলে গেলে ঘুম উড়ে যাবে। ছুটির দিনের ঘুমকে কোনোভাবেই উড়তে দেওয়া যাবে না। বাথরুমের পুরো সময়টা আপনি পারতপক্ষে চোখ বন্ধ করেই কাটাবেন। এবং যত দ্রুত সম্ভব নিজেকে আবার বিছানায় ভাসিয়ে দেবেন।

সকাল ৮টা ৫ মিনিট
বিছানার তীব্র কাঁপুনিতে আপনার ঘুম ভেঙে যাবে। আপনি প্রথমে আপনার অবস্থান নির্ণয় করতে পারবেন না। তারপরই আপনার ছুটে যেতে ইচ্ছা করবে বাইরে। কারণ, আপনি ধারণা করবেন বোধ হয় ভূমিকম্প হচ্ছে! পরক্ষণেই আপনার মনে হবে ভূমিকম্প হলে পুরো ঘর কাঁপার কথা কিন্তু আসলে কাঁপছে শুধু বিছানাটা। আপনি আবারও আঁতিপাঁতি করে আপনার মোবাইল ফোনটা খুঁজবেন এবং অল্প চোখ খুলে দেখবেন গতরাতে মোবাইল ফোনটার রিংটোন বন্ধ করলেও ভাইব্রেশন বন্ধ করা হয়নি। মোবাইল ফোনে আননোন নম্বর। কেন কেউ এত সকালে ফোন করে—এ রকম ভেবে আপনি ফোন কেটে দিয়ে আবারও ঘুমোনোর চেষ্টা করবেন।

কিন্তু অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসবে আবারও। আপনার ঘুমের দুনিয়া আবারও কেঁপে কেঁপে উঠবে। পরিচিত নম্বরকে দু-তিনবার উপেক্ষা করা গেলেও অপরিচিত নম্বর উপেক্ষা করা মুশকিল! কারণ, আপনি বুঝতে পারছেন না কে ফোন করেছেন। হয়তো আপনার বস, হয়তো আপনার প্রেমিকা, কে জানে! অগত্যা আপনি ফোনটা ধরবেন। আর সঙ্গে সঙ্গে ওদিক থেকে চিৎকার করে কেউ একজন বলবেন, ‘হ্যালো হ্যালো…ভাই, এইটা কোন জায়গা…হ্যালো?’
আপনি অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে গলায় বিনীত ভাব রেখে বলবেন, ‘কে বলছেন?’
ওপাশের কণ্ঠটা আরও উত্তেজিত হয়ে বলবে, ‘আমি আক্কাস, হ্যালো ভাই, এইটা কোন জায়গা, হ্যালো ভাই, শুনতে পাইতাছেন?’
: আপনি কাকে চান?
: আপনারেই চাইতাছি! ভাই, আপনি লতিফ ভাই না? ভাই, এইটা কোন জায়গা…হ্যালো ভাই, এইটা রহনপুর না?
: জি না ভাই, রং নম্বর!
আপনি ঠাস করে ফোনের লাইন কেটে আবার ঘুমোতে চাইবেন। কিন্তু আপনার মনে সন্দেহ হতে থাকবে যে ওই নম্বর থেকে আবারও ফোন আসতে পারে। আবারও হয়তো বিছানা কেঁপে উঠবে। আপনি তাই মোবাইল ফোনটা বন্ধ করে দেবেন। এবার ঘুমোবেন। কিন্তু আপনার একটু অস্বস্তি হতে থাকবে। কারণ, মোবাইল ফোনটা বন্ধ। যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফোন আসে? আপনি এবার মোবাইল ফোনটা অন করবেন। ভয়ে ভয়ে মোবাইল ফোনের দিকে তাকিয়ে ঘুমোতে চেষ্টা করতে থাকবেন। আর তখনই মোবাইল ফোনটা একবার কেঁপে উঠবে। না, কারও রিং নয়। আপনার মোবাইল ফোন অপারেটর আপনার জন্য এসএমএস পাঠিয়েছে। কোনো এক গায়কের অশ্রুতপূর্ব গান শুনতে হলে আপনাকে কী করতে হবে, সে বিষয়ে তারা বিস্তারিত জানিয়েছে সেই এসএমএসে।
আপনি বড়জোর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলতে পারবেন। তারপর ঘুমোনোর জন্য তীব্রভাবে চোখ বন্ধ করবেন।

সকাল ৮টা ৫০ মিনিট
ঘুমটা ধীরে ধীরে জমতে শুরু করেছে আপনার। এই দুই ঘণ্টাব্যাপী চলতে থাকা নানা বাধাবিপত্তির বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত আপনার ঘুমের জয় হয়েছে। আপনি স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। কী স্বপ্ন সে বিষয়ে অবশ্য বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। কিন্তু আপনি দারুণ উপভোগ করতে শুরু করেছেন ছুটির দিনের এই আলসেমিভরা ঘুম। ঠিক সেই সময়ে বিদ্যুৎ চলে যাবে। মাথার ওপর ঘুর্ণমান ফ্যানটা ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে আসতে থাকবে আর আপনার ঘুম কাটতে থাকবে। ফ্যানটা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগেই আপনার ঘুম চটকে যাবে। আপনি চোখ মেলে সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে নিজের ভাগ্যকে বিশ্বাস করতে চাইবেন না। ছুটির দিনের সকালে, তীব্র গরমের মধ্যে একটা ফ্যান ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, এর চেয়ে রোমহর্ষক দৃশ্য আর কী হতে পারে!

কিছুক্ষণের মধ্যেই গরম, রাগ আর হতাশা আপনার শরীর বেয়ে ঘাম হিসেবে টুপটাপ ঝরতে শুরু করবে। আপনার আর থাকা হবে না বিছানায়। আপনি বিছানা ছেড়ে বারান্দায় গিয়ে চোখ বন্ধ করে বসবেন। গরম, তীব্র গরম! বারান্দায় ঢুলতে ঢুলতেই আপনি উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করবেন বিদ্যুৎ এল কি না। কিন্তু বিদ্যুৎ আসবে না। আপনি একটা লম্বা শ্বাস নিয়ে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাবেন যে গত সপ্তাহের মতো আজকেও আর ঘুমোনো হবে না আপনার। আপনি বিভিন্ন বিষয় আর বিভিন্ন ব্যক্তিকে কোনো কারণ ছাড়াই গালাগালি করতে করতে দাঁত ব্রাশ করতে শুরু করবেন। আর যতক্ষণে ঘুমের কবর দিয়ে দাঁত ব্রাশ শেষ হবে, ততক্ষণে দেখবেন বিদ্যুৎ চলে এসেছে। আর বিদ্যুৎ আসার সঙ্গে সঙ্গেই হুড়মুড়িয়ে আসবে বৃষ্টি।

আপনার খিদে পাবে, তবে ঘরে কোনো খাবার থাকবে না। নাশতার জন্য আপনাকে বাইরে যেতে হবে। তবে বাইরে ঝুমবৃষ্টি। কোনোভাবেই আপনি বাইরে যেতে পারবেন না। বৃষ্টিতে ধীরে ধীরে শীতল হয়ে আসবে আবহাওয়া। হিম হিম বাতাস বইতে শুরু করবে। ঘুমের একেবারে উপযুক্ত আবহাওয়া। কিন্তু আপনি ঘুমোতে পারবেন না। কারণ, আপনার পেটে খিদে।

সুত্র প্রথম আলো

ভাত খাওয়ার পর এই ৭ টি কাজ ভুলেও করবেন না

১) ধুমপান করবেন না । করছেন তো মরছেন । আপনি সারাদিনে অনেকগুলো সিগারেট খেলেও যতটুকু না ক্ষতি করবে, তার চাইতে অনেক বেশী ক্ষতি করবে যদি ভাত খাবার পর একটা খান । ভাত খাবার পর একটা সিগারেট খাওয়া আর সার্বিকভাবে দশটা সিগারেট খাওয়া ক্ষতির দিক দিয়ে সমান অর্থ বহন করে। যারা নিয়মিত সিগারেট খান তারা জানেন ভাত খাবার পর তাৎক্ষনিকভাবে সিগারেট খেলে কি ধরনের ফিলিংস আসে ।  যত বেশী ফিলিংস তত বেশী ক্ষতি ।
২) খাবার শেষ করার পর পরই তাৎক্ষণিক ভাবে কোন ফল খাবেন না । গ্যাস ফর্ম করতে পারে । খাবার খাওয়ার এক থেকে দুই ঘন্টা পর , কিংবা এক ঘন্টা আগে ফল খাবেন ।
৩) চা খাবেন না । চায়ের মধ্যে প্রচুর পরিমানে টেনিক এসিড থাকে যা খাদ্যের প্রোটিনের পরিমাণকে ১০০ গুণ বাড়িয়ে তুলে যার ফলে খাবার হজম হতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশী সময় লাগে ।
৪) বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর লুস করবেন না । খাবার পরপরই বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর লুস করলে অতি সহজেই ইন্টেসটাইন(পাকস্থলি থেকে মলদ্বার পর্যন্ত খাদ্যনালীর নিম্নাংশ ) বেকে যেতে পারে, পেঁচিয়ে যেতে পারে অথবা ব্লকও হয়ে যেতে পারে ।যাকে বলেইন্টেস্টাইনাল অবস্ট্রাকশন
৫) স্নান করবেন না ! ভাত খাবার পরপরই স্নান করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন মাত্রা বেড়ে যায় ! ফলে পাকস্থলির চারপাশের রক্তের পরিমাণ কমে যেতে পারে যা শরীরের পরিপাক তন্ত্রকে দুর্বল করে ফেলবে , ফলে খাদ্য হজম হতে সময় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী লাগবে ।
৬) ঘুমোতে যাবেন না । এটা অবশ্য আমরা সবাই ই কমবেশী জানি যে, ভাত খেয়েই ঘুমোতে যাওয়া উচিত নয় । কারণ এতে খাদ্য ভালোভাবে হজম হয় না । ফলে গ্যাস্ট্রিক এবং ইন্টেস্টাইনে ইনফেকশন হয় !
৭) হাটা চলা করবেন না ! অনেকেই বলে থাকেন যে , খাবার পর ১০০ কদম হাটা মানে আয়ু ১০০ দিন বাড়িয়ে ফেলা ! কিন্তু আসলে বিষয়টা পুরোপুরি সত্য নয় ।
খাবার পর হাটা উচিত , তবে অবশ্যই সেটা খাবার শেষ করেই তাৎক্ষণিকভাবে নয় । কারণ এতে করে আমাদের শরীরের ডাইজেস্টিভ সিস্টেম খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষনে অক্ষম হয়ে পড়ে ।

আপনি সকালে নিয়মিত “লেবু পানি” পান করেন তো্‌ ?না করলে জেনে নিন কত উপকার শরীর এর জন্য???

স্বাস্থ্য রক্ষায় বা ওজন কমাতেই অনেকেই সকাল সকাল পাকা লেবুর রসের সাথে হালকা গরম পানি মিশিয়ে পান করে থাকেন। সকাল সকাল লেবু পানি পান করা যে ভালো, এটা অনেকেই জানেন।
কিন্তু জানেন কি, আসলে কেন ভালো? যদি নিয়মিত রোজ সকালে এক কাপ লেবু পানি পান করেন, আপনাদের দেহ পাবে ২০টি জাদুকরী উপকারিতা। চলুন, জেনে নিই বিস্তারিত।

১) লেমন, অর্থাৎ পাকা লেবুতে থাকে ইলেকট্রোলাইটস ( যেমন পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি)। সকাল সকাল লেবু পানি আপনাকে হাইড্রেট করে, শরীরে যোগান দেয় এইসব প্রয়োজনীয় উপাদানের।

২) হাড় জয়েনট ও মাসল পেইন কমায় দ্রুত।
৩) লেবুতে থাকে সাইট্রিক এসিড। সকাল সকাল উষ্ণ পানির সাথে পান করলে সেটা আপনার হজমতন্ত্রকে উন্নত করে সমস্যা রাখে দূরে।

৪) অন্য যে কোন খাবারের চাইতে লেবু পানির ব্যবহারে লিভার অনেক বেশী দেহের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম তৈরি করতে পারে।

৫) লেবু পানি টক্সিক উপাদান দূর করে লিভারকে পরিষ্কার রাখে।
৬) পেট পরিষ্কার ও ভালো টয়লেট হতে সহায়তা করে।
৭) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৮) আপনার নার্ভাস সিস্টেমে দারুণ কাজ করে। সকাল সকাল লেবুর পটাশিয়াম আপনার বিষণ্ণতা ও উৎকণ্ঠা দূর করতে সহায়ক।

 ৯) লেবু পানি শরীরের রক্তবাহী ধমনী ও শিরাগুলোকে পরিষ্কার রাখে।
১০) উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।
১১) শরীরের পি এইচ লেভেল উন্নত করে। পি এইচ লেভেল যত উন্নত, শরীর রোগের সাথে লড়াই করতে তত সক্ষম।
১২) ইউরিক এসিড সমস্যা দূর করতে সহায়ক।
১৩) আপনার ত্বককে কর তোলে সুন্দর ও পরিষ্কার।
১৪) বুক জ্বলা পড়া দূর করে। যাদের এই সমস্যা আছে রোজ আধা কাপ পানির মাঝে ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।

১৫) কিডনী ও প্যানক্রিয়াসের পাথর দূর করতে অসাধারণ কার্যকর।
১৬) ওজন দ্রুত কমাতে সহায়তা করে। লেবুতে থাকে পেকটিন ফাইবার যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে।
১৭) গর্ভবতী নারীদের জন্য খুবই ভালো লেবু পানি। এটা শুধু নারীর শরীরই ভালো রাখে না। বরং গর্ভের শিশুর অনেক বেশী উপকার করে। লেবুর ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম শিশুর হাড়, মস্তিষ্ক ও দেহের কোষ গঠনে সহায়তা করে। মাকেও গরভকালে রোগ বালাই থেকে দূরে থাকে।

১৮) দাঁতের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে। দাঁত ব্যথা কমায়।
১৯) ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
২০) মেটাবলিজম বা হজমশক্তি বাড়ায়। এতে ওজন কমাতেও প্রভাব পড়ে।
কীভাবে পান করবেন?
সকালে খালি পেতে এক গ্লাস লেমন বা পাকা লেবুর রস মেশানো উষ্ণ পানি পান করুন। চাইলে সাথে যোগ করতে পারেন মধু। বড় লেবু হলে ১/২টি ও ছোট হলে একটি লেবুর রস মিশিয়ে নিন।

খাবারের গায়ে এই স্টিকারগুলোর মানে জানেন? জানলে অবাক হবেন

খাওয়ার সময় খাবারের গায়ের স্টিকারের দিকে কে আর নজর রাখি? ফুজি আপেল, সুইট পটেটো, অ্যাভোকাডো, বেল পিপার্সের মতো বেশ কিছু খাবারের গায়ের স্টিকারে বিভিন্ন নম্বর দেখা যায়। বেশিরভাগ সময়ই আমরা সেই সমস্ত নম্বরের মানে না জেনেই খাবার খেয়ে ফেলি। গ্যালারি থেকে জেনে নিন এই নম্বরগুলো কী কারণে প্রডাক্টের গায়ে লেখা থাকে।

 ১. ৩ বা ৪ দিয়ে কোনও প্রডাক্টের নম্বর শুরু হলে বুঝতে হবে সেই খাবারগুলো বিতর্কিতভাবে তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ এই প্রডাক্টগুলোকে তাড়াতাড়ি বড় করার জন্য এবং অনেক দিন ভাল রাখার জন্য কেমিক্যাল ব্যবহার করা হতে পারে। সুইট পটেটো, অ্যাভোকাডো, পেঁয়াজ, বাঁধাকপিতে এই ধরনের নম্বর লাগানো থাকে।
২. ৮ দিয়ে স্টিকারের নম্বর শুরু হলে বুঝতে হবে সেই খাবারটি জেনেটিক্যালি মডিফায়েড। অর্থাৎ সেই খাবারটি প্রাকৃতিকভাবে তৈরি করা হয়নি। সেটি বিতর্কিত জিন প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি হয়েছে। এই ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকাই ভাল বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞই।

৩. স্টিকারের নম্বর ৯ দিয়ে শুরু হলে বুঝতে হবে সেই প্রডাক্টটি অর্গানিক ভাবে তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ এই খাবার তৈরিতে কোনও রকম রাসায়নিক সার বা কীটনাশক পদার্থ ব্যবহার করা হয়নি। আপেল, শসা, কলা, বিল পিপার্সের গায়ে এই ধরনের স্টিকার থাকে।

 

 

সৃতি শক্তি বাড়াতে মহানবী (সা.) ৯টি কাজ করতে বলেছেন যা আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত কথা

আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যাদের কোন কিছু মনে থাকে না। আবার এমন কিছু ব্যক্তি রয়েছে, যারা কোন কিছু খুব বেশি দিন মনে রাখতে পারেন না। এমন সমস্যা মূলত দূর্বল স্মৃতিশক্তির কারণে হয়ে থাকে। সেগুলো হলো-

১. ইখলাস বা আন্তরিকতাঃ

যে কোনো কাজে সফলতা অর্জনের ভিত্তি হচ্ছে ইখলাস বা আন্তরিকতা। আর ইখলাসের মূল উপাদান হচ্ছে বিশুদ্ধ নিয়ত। নিয়তের বিশুদ্ধতার গুরুত্ব সম্পর্কে উস্তাদ খুররাম মুরাদ বলেন, “উদ্দেশ্য বা নিয়ত হল আমাদের আত্মার মত অথবা বীজের ভিতরে থাকা প্রাণশক্তির মত। বেশীরভাগ বীজই দেখতে মোটামুটি একইরকম, কিন্তু লাগানোর পর বীজগুলো যখন চারাগাছ হয়ে বেড়ে উঠে আর ফল দেওয়া শুরু করে তখন আসল পার্থক্যটা পরিস্কার হয়ে যায় আমাদের কাছে। একইভাবে নিয়ত যত বিশুদ্ধ হবে আমাদের কাজের ফলও তত ভালো হবে।” এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’আলা বলেন, “তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে, নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে। এটাই সঠিক ধর্ম।” [সূরা আল-বায়্যিনাহঃ ৫] তাই আমাদের নিয়ত হতে হবে এমন যে, আল্লাহ আমাদের স্মৃতিশক্তি যেনো একমাত্র ইসলামের কল্যাণের জন্যই বাড়িয়ে দেন।

২. দু’আ ও যিকর করাঃ

আমরা সকলেই জানি আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনো কাজেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। এজন্য আমাদের উচিত সর্বদা আল্লাহর কাছে দু’আ করা যাতে তিনি আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দেন এবং কল্যাণকর জ্ঞান দান করেন। এক্ষেত্রে আমরা নিন্মোক্ত দু’আটি পাঠ করতে পারি, “হে আমার পালনকর্তা, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।” [সূরা ত্বা-হাঃ ১১৪] তাছাড়া যিকর বা আল্লাহর স্মরণও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন, “ৃযখন ভুলে যান, তখন আপনার পালনকর্তাকে স্মরণ করুনৃ” [সূরা আল-কাহ্ফঃ ২৪] তাই আমাদের উচিত যিকর, তাসবীহ (সুবহান আল্লাহ), তাহমীদ (আলহামদুলিল্লাহ), তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও তাকবীর (আল্লাহু আকবার) – এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আল্লাহকে স্মরণ করা।

৩. পাপ থেকে দূরে থাকাঃ

প্রতিনিয়ত পাপ করে যাওয়ার একটি প্রভাব হচ্ছে দুর্বল স্মৃতিশক্তি। পাপের অন্ধকার ও জ্ঞানের আলো কখনো একসাথে থাকতে পারে না। ইমাম আশ-শাফি’ঈ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, “আমি (আমার শাইখ) ওয়াকীকে আমার খারাপ স্মৃতিশক্তির ব্যাপারে অভিযোগ করেছিলাম এবং তিনি শিখিয়েছিলেন আমি যেন পাপকাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখি। তিনি বলেন, আল্লাহর জ্ঞান হলো একটি আলো এবং আল্লাহর আলো কোন পাপচারীকে দান করা হয় না।” আল-খাতীব আল-জামী’(২/৩৮৭) গ্রন্থে বর্ণনা করেন যে ইয়াহইয়া বিন ইয়াহইয়া বলেনঃ “এক ব্যক্তি মালিক ইবনে আনাসকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘হে আবদ-আল্লাহ, আমার স্মৃতিশক্তিকে শক্তিশালী করে দিতে পারে এমন কোন কিছু কি আছে? তিনি বলেন, যদি কোন কিছু স্মৃতিকে শক্তিশালী করতে পারে তা হলো পাপ করা ছেড়ে দেয়া।’” যখন কোনো মানুষ পাপ করে এটা তাকে উদ্বেগ ও দুঃখের দিকে ধাবিত করে। সে তার কৃতকর্মের ব্যাপারে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে তার অনুভূতি ভোঁতা হয়ে যায় এবং জ্ঞান অর্জনের মতো কল্যাণকর ‘আমল থেকে সে দূরে সরে পড়ে। তাই আমাদের উচিত পাপ থেকে দূরে থাকার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা।

৪. বিভিন্ন উপায়ে চেষ্টা করাঃ

একটু গভীরভাবে লক্ষ্য করলে আমরা দেখবো যে, আমাদের সকলের মুখস্থ করার পদ্ধতি এক নয়। কারো শুয়ে পড়লে তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়, কারো আবার হেঁটে হেঁটে পড়লে তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়। কেউ নীরবে পড়তে ভালোবাসে, কেউবা আবার আওয়াজ করে পড়ে। কারো ক্ষেত্রে ভোরে তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়, কেউবা আবার গভীর রাতে ভালো মুখস্থ করতে পারে। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত নিজ নিজ উপযুক্ত সময় ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ঠিক করে তার যথাযথ ব্যবহার করা। আর কুর’আন মুখস্থ করার সময় একটি নির্দিষ্ট মুসহাফ (কুর’আনের আরবি কপি) ব্যবহার করা। কারণ বিভিন্ন ধরনের মুসহাফে পৃষ্ঠা ও আয়াতের বিন্যাস বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। একটি নির্দিষ্ট মুসহাফ নিয়মিত ব্যবহারের ফলে মস্তিষ্কের মধ্যে তার একটি ছাপ পড়ে যায় এবং মুখস্থকৃত অংশটি অন্তরে গভীরভাবে গেঁথে যায়।

 ৫. মুখস্থকৃত বিষয়ের উপর ‘আমল করাঃ

আমরা সকলেই এ ব্যাপারে একমত যে, কোনো একটি বিষয় যতো বেশিবার পড়া হয় তা আমাদের মস্তিষ্কে ততো দৃঢ়ভাবে জমা হয়। কিন্তু আমাদের এই ব্যস্ত জীবনে অতো বেশি পড়ার সময় হয়তো অনেকেরই নেই। তবে চাইলেই কিন্তু আমরা এক ঢিলে দু’পাখি মারতে পারি। আমরা আমাদের মুখস্থকৃত সূরা কিংবা সূরার অংশ বিশেষ সুন্নাহ ও নফল সালাতে তিলাওয়াত করতে পারি এবং দু’আসমূহ পাঠ করতে পারি সালাতের পর কিংবা অন্য যেকোনো সময়। এতে একদিকে ‘আমল করা হবে আর অন্যদিকে হবে মুখস্থকৃত বিষয়টির ঝালাইয়ের কাজ। আবার কোনো কিছু শেখার একটি উত্তম উপায় হলো তা অন্যকে শেখানো। আর এজন্য আমাদেরকে একই বিষয় বারবার ও বিভিন্ন উৎস থেকে পড়তে হয়। এতে করে ঐ বিষয়টি আমাদের স্মৃতিতে স্থায়ীভাবে গেঁথে যায়।

৬. মস্তিষ্কের জন্য উপকারী খাদ্য গ্রহণঃ

পরিমিত ও সুষম খাদ্য গ্রহণ আমাদের মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্যের জন্য একান্ত আবশ্যক। অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ আমাদের ঘুম বাড়িয়ে দেয়, যা আমাদের অলস করে তোলে। ফলে আমরা জ্ঞানার্জন থেকে বিমুখ হয়ে পড়ি। তাছাড়া কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো আমাদের মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। সম্প্রতি ফ্রান্সের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যয়তুনের তেল চাক্ষুস স্মৃতি  ও বাচনিক সাবলীলতা  বৃদ্ধি করে। আর যেসব খাদ্যে অধিক পরিমাণে ঙসবমধ-৩ ফ্যাট রয়েছে সেসব খাদ্য স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের কার্যকলাপের জন্য খুবই উপকারী। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য অনেক ‘আলিম কিছু নির্দিষ্ট খাদ্য গ্রহণের কথা বলেছেন। ইমাম আয-যুহরি বলেন, “তোমাদের মধু পান করা উচিত কারণ এটি স্মৃতির জন্য উপকারী।”মধুতে রয়েছে মুক্ত চিনিকোষ যা আমাদের মস্তিষ্কের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া মধু পান করার সাত মিনিটের মধ্যেই রক্তে মিশে গিয়ে কাজ শুরু করে দেয়। ইমাম আয-যুহরি আরো বলেন, “যে ব্যক্তি হাদীস মুখস্থ করতে চায় তার উচিত কিসমিস খাওয়া

৭. পরিমিত পরিমাণে বিশ্রাম নেয়াঃ

আমরা যখন ঘুমাই তখন আমাদের মস্তিষ্ক অনেকটা ব্যস্ত অফিসের মতো কাজ করে। এটি তখন সারাদিনের সংগৃহীত তথ্যসমূহ প্রক্রিয়াজাত করে। তাছাড়া ঘুম মস্তিষ্ক কোষের পুণর্গঠন ও ক্লান্তি দূর করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে দুপুরে সামান্য ভাতঘুম আমাদের মন-মেজাজ ও অনুভূতিকে চাঙা রাখে। এটি একটি সুন্নাহও বটে। আর অতিরিক্ত ঘুমের কুফল সম্পর্কে তো আগেই বলা হয়েছে। তাই আমাদের উচিত রাত জেগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাওয়াহ বিতরণ না করে নিজের মস্তিষ্ককে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেওয়া।

৮. জীবনের অপ্রয়োজনীয় ব্যাপারসমূহ ত্যাগ করাঃ

বর্তমানে আমাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া ও জ্ঞান অর্জনে অনীহার একটি অন্যতম কারণ হলো আমরা নিজেদেরকে বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় কাজে জড়িয়ে রাখি।’[ফলে কোনো কাজই আমরা গভীর মনোযোগের সাথে করতে পারি না। মাঝে মাঝে আমাদের কারো কারো অবস্থা তো এমন হয় যে, সালাতের কিছু অংশ আদায় করার পর মনে করতে পারি না ঠিক কতোটুকু সালাত আমরা আদায় করেছি। আর এমনটি হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে নিজেদেরকে আড্ডাবাজি, গান-বাজনা শোনা, মুভি দেখা, ফেইসবুকিং ইত্যাদি নানা অপ্রয়োজনীয় কাজে জড়িয়ে রাখা। তাই আমাদের উচিত এগুলো থেকে যতোটা সম্ভব দূরে থাকা।

৯. হাল না ছাড়াঃ

যে কোনো কাজে সফলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো হাল না ছাড়া। যে কোনো কিছু মুখস্থ করার ক্ষেত্রে শুরুটা কিছুটা কষ্টসাধ্য হয়। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমাদের মস্তিষ্ক সবকিছুর সাথে মানিয়ে নেয়। তাই আমাদের উচিত শুরুতেই ব্যর্থ হয়ে হাল না ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।

1 3 4 5 6