চবি’র নতুন উপাচার্য “ড. শিরীন আখতার”।

নিউজ24লাইন.কম;

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পরবর্তী উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেল থেকেই তিনি দ্বায়িত্ব পালন করবেন।

 

বিকাল ৪টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক ফ্যাক্স বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

 

বিষয়টি ব্রেকিংনিউজকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্যের দ্বায়িত্ব পালন করবেন বর্তমান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। আজ বিকাল ৪টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ- সচিব হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক ফ্যাক্স বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়েছে। তিনি বিকেল থেকে দ্বায়িত্ব পালন করবেন।

 

২০১৬ সালের ২৮ মার্চ রাষ্ট্রপতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ১৯৭৩-এর ১৪(১) ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারকে উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম কোনো নারী উপ-উপাচার্য এবং পরে উপাচার্য হলেন।

 

ড. শিরীণ আখতার ১৯৫৬ সালে চট্টগ্রাম শহরস্থ ঈদগাওতে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম আফসার কামাল চৌধুরী এবং মায়ের নাম বেগম লুৎফুন্নাহার কামাল। তার স্বামী মো. লতিফুল আলম চৌধুরী। তিনি ১ ছেলে ও ১ মেয়ের জননী।

 

এ মেধাবী শিক্ষক ১৯৭৩ সালে কক্সবাজার সরকারি গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৭৫ সালে চট্টগ্রাম গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন।

তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৬ সনে বিএ অনার্স এবং ১৯৮১ সনে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ১৯৯১ সনে ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন।

 

পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালের ১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৬ সালের ২৫ জানুয়ারি অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।

 

তার ১৪টি গবেষণা প্রবন্ধ দেশ-বিদেশ থেকে প্রকাশিত গল্প, উপান্যাস, গবেষণা প্রবন্ধ রয়েছে। তিনি ২০০৬ সনে নজরুল জন্মজয়ন্তী চট্টগ্রাম কর্তৃক নজরুল পদক সম্মাননাসহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদকে ভূষিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সার্চ কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য ছিলেন।

GPA-5 যুগের অবসান!

জিপিএ ৫ আর থাকছে না পাবলিক পরীক্ষায়। আগামী জেএসসি পরীক্ষা থেকেই কিউমুলেটিভ গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ—সিজিপিএ ৪-এর মাধ্যমে ফল প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অর্থাৎ জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় আর জিপিএ ৫ পাওয়ার সুযোগ থাকছে না।

বুধবার (১৩ জুন) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির বৈঠকে সিজিপিএ পুনর্বিন্যাস করে একটি খসড়া উপস্থাপনের নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘বৈঠকে জিপিএ ৫-এর পরিবর্তে সিজিপিএ ৪-এর মাধ্যমে ফল প্রকাশে সবাই একমত হয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে আমরা বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে বৈঠক করব। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ফল পর্যালোচনা করব। এরপর আগামী এক মাসের মধ্যে সিজিপিএ ৪-এর মাধ্যমে কীভাবে ফল দেওয়া যায় সে ব্যাপারে একটি খসড়া শিক্ষামন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করব। যদি সম্ভব হয় আগামী জেএসসি থেকেই আমরা সিজিপিএ ৪-এর মাধ্যমে ফল প্রকাশ করতে চাই।’

বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সিজিপিএ ৪-এর মাধ্যমে ফল প্রকাশ করা হয়। এ কারণে এসএসসি ও এইচএসসির ফলের সঙ্গে উচ্চতর শিক্ষার ফলের সমন্বয় করতে গিয়ে দেশের চাকরিদাতারা সমস্যায় পড়েন। আর বিদেশে পড়ালেখা ও চাকরির ক্ষেত্রে পড়তে হয় আরও বড় সমস্যায়। কারণ প্রতিনিয়তই বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা বিদেশে পড়তে যাচ্ছে। তাদের এসএসসি ও এইচএসসি সার্টিফিকেটের সমতা করে তারপর বিদেশে যেতে হয়। এতে অনেক বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়।

বাংলাদেশে ২০০১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে পাবলিক পরীক্ষায় গ্রেড পদ্ধতি চালু হয়। সেখানে ৮০ থেকে ১০০ নম্বর প্রাপ্তদের গ্রেড পয়েন্ট ৫, লেটার গ্রেড এ প্লাস। এটাই সর্বোচ্চ গ্রেড। এরপর ৭০ থেকে ৭৯ নম্বর প্রাপ্তদের গ্রেড পয়েন্ট ৪, লেটার গ্রেড এ। ৬০ থেকে ৬৯ নম্বর প্রাপ্তদের গ্রেড পয়েন্ট ৩.৫০, লেটার গ্রেড এ মাইনাস। ৫০ থেকে ৫৯ নম্বর প্রাপ্তদের গ্রেড পয়েন্ট ৩, লেটার গ্রেড বি। ৪০ থেকে ৪৯ নম্বর প্রাপ্তদের গ্রেড পয়েন্ট ২, লেটার গ্রেড সি। ৩৩ থেকে ৩৯ নম্বর প্রাপ্তদের গ্রেড পয়েন্ট এক, লেটার গ্রেড ডি। আর শূন্য থেকে ৩২ পাওয়া শিক্ষার্থীদের গ্রেড পয়েন্ট জিরো, লেটার গ্রেড এফ। জিপিএ ১ অর্জন করলেই তাকে উত্তীর্ণ হিসেবে ধরা হয়। কোনো বিষয়ে এফ গ্রেড না পেলে চতুর্থ বিষয় বাদে সব বিষয়ের প্রাপ্ত গ্রেড পয়েন্টকে গড় করেই একজন শিক্ষার্থীর লেটার গ্রেড নির্ণয় করা হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গড়ে সব বিষয়ে ৮০-এর ওপরে নম্বর পেলে সিজিপিএ ৪ ও লেটার গ্রেড হয় ‘এ প্লাস’। এরপর ৭৫ থেকে ৮০-এর মধ্যে সিজিপিএ ৩.৭৫ ও লেটার গ্রেড ‘এ; ৭০ থেকে ৭৫-এর মধ্যে গ্রেড পয়েন্ট ৩.৫০ ও লেটার গ্রেড ‘এ মাইনাস; ৬৫ থেকে ৭০-এর মধ্যে পয়েন্ট ৩.২৫ ও লেটার গ্রেড ‘বি প্লাস; ৬০ থেকে ৬৫-এর মধ্যে পয়েন্ট ৩ ও লেটার গ্রেড ‘বি; ৫৫ থেকে ৬০-এর মধ্যে পয়েন্ট ২.৭৫ ও লেটার গ্রেড ‘বি মাইনাস’; ৫০ থেকে ৫৫-এর মধ্যে পয়েন্ট ২.৫০ ও লেটার গ্রেড ‘সি প্লাস’; ৪৫ থেকে ৫০-এর মধ্যে পয়েন্ট ২.২৫ ও লেটার গ্রেড ‘সি’; ৪০ থেকে ৪৫ নম্বর পেলে পয়েন্ট ২ ও লেটার গ্রেড ‘ডি’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর ৪০-এর কম নম্বর পেলে ফেল, এর লেটার গ্রেড ‘এফ’, এতে কোনো গ্রেড পয়েন্ট নেই।

মুসাফিরের নামাজ আদায়ের নিয়ম।

নিউজ২৪লাইন.কম

ব্যক্তিগত প্রয়োজন, অফিসিয়াল কাজকর্ম কিংবা আনন্দ-ভ্রমণসহ বিভিন্ন কারণে দূর-দূরান্তে সফর করতে হয়। এটা মানুষের জীবনযাত্রার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মানুষ নিজের আবাস্থলে থাকলে পুরোপুরি নামাজ আদায় করতে হয়। কিন্তু ভ্রমণে গেলে আল্লাহর পক্ষ থেকে আলাদা সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তখন নামাজ সংক্ষেপ করাই ইসলামের বিধান।

মূলত কোনো ব্যক্তি তার অবস্থানস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরে সফরের নিয়তে বের হয়ে তার এলাকা পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিক্বহ ১/৪৩৬, আহসানুল ফাতাওয়া ৪/১০৫)

মুসাফিরের নামাজকে শরিয়তের পরিভাষায় কসর বলা হয়। আরবি কসর শব্দের অর্থ হলো- কম করা, কমানো। ইসলামি শরিয়তে কোনো ব্যক্তি যদি ৪৮ মাইল (৭৮ কিলোমিটার) বা তারও বেশি দূরত্বের ভ্রমণে নিজের বাসস্থান থেকে বের হন, তাহলে তিনি মুসাফির। আর তিনি যদি সেখানে ১৫ দিনের কম সময় থাকার নিয়ত করেন, তবে চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত পড়বেন।

এই সংক্ষেপ করার মাঝে আল্লাহতাআলা কল্যাণ রেখেছেন। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা যখন জমিনে সফর করবে, তখন তোমাদের জন্য নামাজের কসর করায় কোনো আপত্তি নেই। (সুরা নিসা, আয়াত: ১০)

নিজ এলাকা, গ্রাম বা শহর অতিক্রম করার পর থেকেই সফরের বিধান আরোপিত হবে। এ সময় সফরকারীকে মুসাফির বলে গণ্য করা হবে।

শহরের ক্ষেত্রে ওই শহরের করপোরেশনের নির্ধারিত সীমানা থেকে সফরের সীমা নির্ধারিত হবে। অনুরূপ সফর থেকে ফিরে আসার ক্ষেত্রেও নিজ এলাকার সীমানায় প্রবেশের সঙ্গেই তার সফরের বিধান শেষ হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার ২/১২৮)

আকাশ পথে সফরের ক্ষেত্রেও দূরত্বের হিসাব স্থলভাগে সফরের দূরত্বের অনুপাতে হবে। অর্থাৎ স্থলভাগের ৭৮ কিলোমিটার পরিমাণ দূরত্বের সফর হলে আকাশপথে মুসাফির হবে। (রদ্দুল মুহতার ১/৭৩৫)

অনুরূপ পার্বত্য এলাকায় সফরের ক্ষেত্রেও সমতলে চলার হিসেবেই হবে, অর্থাৎ পাহাড়ের উঁচু-নীচু ঢালুসহ দূরত্বের হিসাব হবে। (ফাতহুল ক্বাদির ২/৩১, আল বাহরুর রায়েক ২/২২৯)

মুসাফিরের বিধান

সফরকারীর জন্য শরিয়তের বিধি-বিধানে কিছু শিথিলতা রয়েছে। যেমন- চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজগুলো দুই রাকাত আদায় করবে। সফরে রোজা না রেখে পরবর্তী সময়ে কাজা করলেও চলবে। অনুরূপভাবে মোজায় মাসেহ করা ইত্যাদি বিধানে সাধারণ অবস্থা থেকে ভিন্নতা রয়েছে।

মুসাফির সফর অবস্থায় কোনো মুকিম (স্থানীয়) ইমামের পেছনে নামাজের নিয়ত না করলে, তার জন্য চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত পড়া জরুরি। এটাকে কসরের নামাজ বলে। এটাই ইসলামের বিধান।

মুসাফিরের নামাজের বিধান

মুসাফির চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ একাকী পড়লে বা তার মতো মুসাফির ইমামের পেছনে আদায় করলে, নামাজ কসর করা জরুরি। এক্ষেত্রে পূর্ণ নামাজ পড়া ঠিক নয়।

এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আল্লাহতাআলা তোমাদের নবীর জবানে নামাজকে মুকিম অবস্থায় চার রাকাত ও সফর অবস্থায় দুই রাকাত ফরজ করেছেন।’ (মুসলিম, হাদিস নং: ৬৮৭)

মুসাফির ব্যক্তি সফর অবস্থায় (নিজে একাকী কিংবা মুসাফির ইমামের পেছনে, স্থানীয় ইমামের পেছনে হলে অসুবিধা নেই।) ইচ্ছাকৃত চার রাকাত নামাজ পূর্ণ করলে গুনাহ হবে। এ ক্ষেত্রে নামাজ পুনরায় পড়া ওয়াজিব। আর যদি ভুলক্রমে চার রাকাত পূর্ণ করে নেয়, তাহলে যদি সে প্রথম বৈঠক করে থাকে, তাহলে সেজদা সাহু করে নিলে ফরজ নামাজ আদায় হয়ে যাবে। আর যদি প্রথম বৈঠক না করে থাকে তাহলে ফরজ আদায় হবে না, আবারও পড়তে হবে। (বাদায়েউস সানায়ে ১/৯১)

স্থানীয় ইমামের পেছনে পড়ার বিধান

মুসাফির ব্যক্তি স্থানীয় ইমামের পেছনে ইকতিদা করলে সে ইমামের অনুসরণে পূর্ণ নামাজই আদায় করবে। (আল মাবসুত, সারাখসি ১/২৪৩)।

এ বিষয়ে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, মুসাফির যদি মুকিমদের সঙ্গে নামাজে শরিক হয় তবে সে তাদের মতো (চার রাকাত) নামাজ পড়ে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৩৮৪৯)

সফর অবস্থায় নামাজ কসর করা সম্পর্কে অনেক হাদিস রয়েছে। এ সব হাদিস দ্বারা সুস্পষ্টরূপে প্রমাণিত যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) সফর অবস্থায় সর্বদা নামাজ কসর পড়েছেন। আর সফর অবস্থায় তিনি চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামায পূর্ণ পড়েছেন এটা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়।

আর মাগরিব, বিতর ও ফজরের নামাজ পূর্ণই আদায় করতে হবে। এগুলোর কসর নেই। তেমনিভাবে সুন্নত নামাজেরও কসর হয় না। তাই সুন্নত পড়লে পুরোটাই পড়বে।

মুসাফির যদি ইমাম হয়

স্থানীয় কোনো ব্যক্তি যদি মুসাফির ইমামের পেছনে ইকতিদা করে, তাহলে চার রাকাতবিশিষ্ট নামাজগুলোতে ‘মুসাফির ইমাম’ নামাজ দুই রাকাত পড়ে সালাম ফিরানোর পর মুকিম (স্থানীয়) মুক্তাদি দাঁড়িয়ে সুরা পড়া ছাড়া বাকি দুই রাকাত নামাজ পড়ে নিবে।

সফর অবস্থায় ছুটে যাওয়া নামাজ মুকিম অবস্থায় (আবাস্থলে এসে) কাজা করলে ‘কসর’ই আদায় করবে, আর মুকিম অবস্থায় ছুটে যাওয়া নামাজ সফরে কাজা করলে তা পূর্ণ আদায় করবে। (হেদায়া ১/৮১)

স্থায়ী ও অস্থায়ী আবাসের বিধান

কোনো জাস্থায়ী ও অস্থায়ী আবাসের বিধান

কোনো জায়গায় ১৫ দিন বা ততধিক অবস্থানের নিয়ত করলে সে সেখানে মুকিম হয়ে যাবে। সেখান থেকে সামানা-পত্রসহ প্রস্থানের আগ পর্যন্ত সেখানে পূর্ণ নামাজ পড়বে এবং মুকিমের বিধান জারি থাকবে। (বাদায়েউস সানায়ে ১/১০৪)

স্থায়ী আবাসস্থল পরিবর্তন করে অন্যস্থানে মূল আবাস গড়লে স্থায়ী বসবাসের জন্য সেখানে না যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে আগের অবস্থানস্থল মৌলিক আবাসন হিসেবে গণ্য হবে না, এমনকি সেখানে তার মালিকানা জায়গা-জমিন থাকলেও নয়, বরং সেখানেও সফরের সীমানা অতিক্রম করে গেলে মুসাফিরই থাকবে। (আল মাবসূত, সারাখসী ১/২৫২)

নারীরা বিবাহের আগ পর্যন্ত বাবার বাড়িতে মুকিম থাকবে

তবে বিবাহের পর যদি স্বামীর বাড়িতে মৌলিকভাবে থাকে এবং বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে, তাহলে স্বামীর বাড়ি তার মৌলিক আবাসন হিসেবে ধর্তব্য হবে এবং বাবার বাড়িতে মুসাফির থাকবে। আর যদি বাবার বাড়িতে মৌলিকভাবে থাকে, তাহলে তা তার মূল অবস্থানস্থল হিসেবেই বাকি থাকবে। (আল বাহরুর রায়েক ২/১২৮, রদ্দুল মুহতার ২/১৩১)

আর পুরুষগণ তার শ্বশুরবাড়িতে ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করলে মুসাফিরই থাকবে। হ্যাঁ, কেউ যদি সেখানে স্থায়ী আবাস করে নেয়, তাহলে তা ভিন্ন কথা।

মুসাফিরের সুন্নত পড়ার বিধান

মুসাফির ব্যক্তির জন্য তার চলন্ত অবস্থায় বা তাড়াহুড়া থাকলে ফজরের সুন্নাত ছাড়া অন্যান্য সুন্নাতে মুয়াক্কাদা না পড়ার সুযোগ রয়েছে। তবে স্বাভাবিক ও স্থির অবস্থায় সুন্নাতে মুয়াক্কাদা পড়তে হবে। (এলাউস্ সুনান ৭/১৯১, রদ্দুল মুহতার ১/৭৪২)

মূলত সফর অবস্থায় তাড়াহুড়া ও ব্যস্ততার সময় সুন্নত পড়বে না। আর গন্তব্যে পৌঁছার পর সুন্নত নামাজ পড়া উত্তম।

স্মতর্ব্য যে, ভ্রমণে পূর্ণ নামাজের স্থানে অর্ধেক পড়ার কারণে কারও মনে এরূপ ধারণা তৈরি হতে পারে যে, নামাজ বোধহয় পূর্ণ হলো না। বস্তুত এটা সঠিক ধারণা নয়। কারণ, ভ্রমণে নামাজ কসর করা বা সংক্ষেপে আদায় করা শরিয়তের বিধান ও নির্দেশ। উপরন্তু এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ সুযোগও বটে। তাই এটা পালনেই সওয়াব। এর ব্যাতিক্রম করা সম্পূর্ণ অনুচিত।

কদর তালাশের রাত আজ থেকে শুরু..

নিউজ24লাইন;
চলছে পবিত্র রমজান মাস। আর এই মাসের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলো শেষের ১০ রোজার রাত গুলো। আজ রবিবার সূর্যাস্তের পর থেকে শুরু হবে রমজানের শেষ দশক। মানে লাইলাতুল কদরের রাতকে তালাশ শুরু হবে। রাব্বুল আলামীন এই রাতকে হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম করেছেন। সৃষ্টিকর্তার কাছে কোটি কোটি শোকরিয়া, এই রাত দেয়ার জন্য। মুসলিম সমাজের প্রত্যেকে এই রাত পাবার চেষ্টায় থাকবেন, কেউই যাতে বঞ্চিত না হন। কিভাবে আমরা এই রাতের কল্যাণ পেতে পারি, এর জন্য ইতিকাফ হলো সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা।

 

এদিকে মুমিন ব্যক্তিরা লাইলাতুল কদরকে পাবার আশায় আজ বিকেল থেকেই ইতিকাফে বসবেন। রমজানের এই শেষ দশক নির্বিঘ্নে ইবাদত বন্দেগিতে যাতে মশগুল থাকতে পারেন এবং এর মধ্যেই যাতে কদরকে পেতে পারেন এই উদ্দেশে তারা ইতিকাফে বসবেন। শুধু একটিই লক্ষ্য আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ। এর বাহিরে যারা থাকবেন তারা কিভাবে লাইলাতুল কদরের রাত পেতে পারেন, তার জন্য অবশ্যই কর্মপন্থা ঠিক করেছেন।কদর সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে আল্লাহতায়ালা বলেছেন : ‘কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত এই রাতটি পুরোপুরি শান্তিময়।’ (সূরা কদর ৩, ৫)

 

তাই এই রাতকে পাওয়ার উদ্দেশ্যেই রমজানের শেষ দশ রাত ইবাদতে মনোনিবেশ করতে হবে। প্রতিটি রাতকেই প্রাধান্য দিতে হবে। যদিও বিজোড় রাতের কথা এসেছে।রমজানের শেষ দশটি রাত কুরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ, তাসবীহ পড়া, দরুদ পড়া এবং জিকির-আসকার করে লাইলাতুল কদরকে পাওয়ার চেষ্টায় থাকবো প্রতিটি মুসলিম ধর্মপ্রাণ ভাই ও বোনেরা।

 

 

 

এদিকে কদর সম্পর্কে এক হাদিসে হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলে করীম (স.) বলেছেন, যখন রাতের এক তৃতীয়াংশ বাকী থাকে, তখন স্বয়ং পরওয়ার দেগার দুনিয়ার নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হন এবং বলতে থাকেন, ওগো! কে আছ, যে (এ সময়) আমাকে ডাকবে! আমি তার ডাকে সাড়া দিব। ওগো! কে আছ, যে আমার কাছে কিছু চাবে, আমি তাকে তা দিয়ে দিব। ওগো! কে আছ, যে এ সময় আমার কাছে গুণাহ হতে ক্ষমা চাবে, আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। (বুখারী, মুসলিম)আমরা পুরো রাত ইবাদত বন্দেগিতে কাটিয়ে দেব এবং শেষ রাতকে অবশ্যই বেশি প্রাধান্য দিব। ইবাদতের সঙ্গে সঙ্গে চোখের পানি ঝড়িয়ে কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে প্রার্থনায় আবেগ তাড়িত হব।

“তারাবি”- পল্লী কবি জসিম উদ্দীন

নিউজ24লাইন :

কাব্যগ্রন্থঃ মাটির কান্না

 

তারাবি নামাজ পড়িতে যাইব মোল্লাবাড়িতে আজ,

মেনাজদ্দীন, কলিমদ্দীন, আয় তোরা করি সাজ।

চালের বাতায় গোঁজা ছিল সেই পুরাতন জুতা জোড়া,

ধুলাবালু আর রোদ লেগে তাহা হইয়াছে পাঁচ মোড়া।

তাহারি মধ্যে অবাধ্য এই চরণ দুখানি ঠেলে,

চল দেখি ভাই খলিলদ্দীন, লুন্ঠন-বাতি জ্বেলে।

ঢৈলারে ডাক, লস্কর কোথা, কিনুরে খবর দাও।

মোল্লাবাড়িতে একত্র হব মিলি আজ সারা গাঁও।

 

গইজদ্দীন গরু ছেড়ে দিয়ে খাওয়ায়েছে মোর ধান,

ইচ্ছা করিছে থাপপড় মারি, ধরি তার দুটো কান।

তবু তার পাশে বসিয়া নামাজ পড়িতে আজিকে হবে,

আল্লার ঘরে ছোটোখাটো কথা কেবা মনে রাখে কবে!

মৈজদ্দীন মামলায় মোরে করিয়াছে ছারেখার,

টুটি টিপে তারে মারিতাম পেলে পথে কভু দেখা তার।

আজকে জামাতে নির্ভয়ে সে যে বসিবে আমার পাশে,

তাহারো ভালর তরে মোনাজাত করিব যে উচ্ছাসে।

মাহে রমজান আসিয়াছে বাঁকা রোজার চাঁদের ন্যায়,

কাইজা ফেসাদ সব ভুলে যাব আজি তার মহিমায়।

ভুমুরদি কোথা, কাছা ছাল্লাম আম্বিয়া পুঁথি খুলে,

মোর রসুলের কাহিনী তাহার কন্ঠে উঠুক দুলে।

মেরহাজে সেই চলেছেন নবী, জুমজুমে করি স্নান,

অঙ্গে পরেছে জোছনা নিছনি আদমের পিরহান।

নুহু আলায়হুছালামের টুপী পরেছেন নবী শিরে,

ইবরাহিমের জরির পাগরী রহিয়াছে তাহা ঘিরে।

হাতে বাঁধা তার কোরান-তাবিজ জৈতুন হার গলে,

শত রবিশশী একত্র হয়ে উঠিয়াছে যেন জ্বলে।

বুরহাকে চড়ে চলেছেন নবী কন্ঠে কলেমা পড়ি,

দুগ্ধধবল দূর আকাশের ছায়াপথ রেখা ধরি।

আদম ছুরাত বামধারে ফেলি চলে নবী দূরপানে,

গ্রহ-তারকার লেখারেখাহীন ছায়া মায়া আসমানে।

 

তারপর সেই চৌঠা আকাশ, সেইখানে খাড়া হয়ে,

মোনাজাত করে আখেরী নবীজী দুহাত উর্ধ্বে লয়ে।

এই যে কাহিনী শুনিতে শুনিতে মোল্লা বাড়ির ঘরে,

মহিমায় ঘেরা অতীত দিনেরে টানিয়া আনিব ধরে।

 

বচন মোল্লা কোথায় আজিকে সরু সুরে পুঁথি পড়ি,

মোর রসুলের ওফাত কাহিনী দিক সে বয়ান করি।

বিমারের ঘোরে অস্থির নবী, তাঁহার বুকের পরে,

আজরাল এসে আসন লভিল জান কবজের তরে।

আধ অচেতন হজরত কহে, এসেছ দোস্ত মোর,

বুঝিলাম আজ মোর জীবনের নিশি হয়ে গেছে ভোর

একটুখানিক তবুও বিমল করিবারে হবে ভাই!

এ জীবনে কোন ঋণ যদি থাকে শোধ করে তাহা যাই।

***

***

মাটির ধরায় লুটায় নবীজী, ঘিরিয়া তাহার লাশ,

মদিনার লোক থাপড়িয়া বুক করে সবে হাহুতাশ।

আব্বাগো বলি, কাঁদে মা ফাতিমা লুটায়ে মাটির পরে,

আকাশ ধরনী গলাগলি তার সঙ্গে রোদন করে।

এক ক্রন্দন দেখেছি আমরা বেহেস্ত হতে হায়,

হাওয়া ও আদম নির্বাসিত যে হয়েছিল ধরাছায়;

যিশু-জননীর কাঁদন দেখেছি ভেসে-র পায়া ধরে,

ক্রুশ বিদ্ধ সে ক্ষতবিক্ষত বেটার বেদন স্মরে।

আরেক কাঁদন দেখেছি আমরা নির্বাসী হাজেরার,

জমিনের পরে শেওলা জমেছে অশ্রু ধারায় তার;

সবার কাঁদন একত্রে কেউ পারে যদি মিশাবার,

ফাতিমা মায়ের কাঁদনের সাথে তুলনা মেলে না তার।

 

আসমান যেন ভাঙ্গিয়া পড়িল তাহার মাথায় হায়,

আব্বা বলিতে আদরিয়া কেবা ডাকিয়া লইবে তায়।

গলেতে সোনার হারটি দেখিয়া কে বলিবে ডেকে আর,

নবীর কনের কন্ঠে মাতাগো এটি নহে শোভাদার।

সেই বাপজান জনমের মত গিয়াছে তাহার ছাড়ি।

কোন সে সুদূর গহন আঁধার মরণ নদীর পাড়ি।

জজিরাতুল সে আরবের রাজা, কিসের অভাব তার,

তবু ভুখা আছে চার পাঁচদিন, মুছাফির এলো দ্বার।

কি তাহারে দিবে খাইবারে নবী, ফাতেমার দ্বারে এসে;

চারিটি খোরমা ধার দিবে মাগো কহে এসে দীন বেশে।

সে মাহভিখারী জনমের মত ছাড়িয়া গিয়াছে তায়,

আব্বাগো বলি এত ডাক ডাকে উত্তর নাহি হায়।

এলাইয়া বেশ লুটাইয়া কেশ মরুর ধূলোর পরে,

কাঁদে মা ফাতেমা, কাঁদনে তাহার খোদার আরশ নড়ে।

কাঁদনে তাহার ছদন সেখের বয়ান ভিজিয়া যায়,

গৈজদ্দীন পিতৃ-বিয়োগ পুন যেন উথলায়!

খৈমুদ্দীন মামলায় যারে করে ছিল ছারেখার,

সে কাঁদিছে আজ ফাতিমার শোকে গলাটি ধরিয়া তার।

মোল্লাবাড়ির দলিজায় আজি সুরা ইয়াসিন পড়ি,

কোন দরবেশ সুদূর আরবে এনেছে হেথায় ধরি।

হনু তনু ছমু কমুরে আজিকে লাগিছে নূতন হেন,

আবুবক্কর ওমর তারেখ ওরাই এসেছে যেন।

সকলে আসিয়া জামাতে দাঁড়াল, কন্ঠে কালাম পড়ি,

হয়ত নবীজী দাঁড়াল পিছনে ওদেরি কাতার ধরি।

ওদের মাথার শত তালী দেওয়া ময়লা টুপীর পরে,

দাঁড়াইল খোদা আরশ কুরছি ক্ষনেক ত্যাজ্য করে।

 

***

 

মোল্লাবাড়িতে তারাবি নামাজ হয় না এখন আর,

বুড়ো মোল্লাজি কবে মারা গেছে, সকলই অন্ধকার।

ছেলেরা তাহার সুদূর শহরে বড় বড় কাজ করে,

বড় বড় কাজে বড় বড় নাম খেতাবে পকেট ভরে।

সুদূর গাঁয়ের কি বা ধারে ধার, তারাবি জামাতে হায়,

মোমের বাতিটি জ্বলিত, তাহা যে নিবেছে অবহেলায়।

বচন মোল্লা যক্ষ্মা রোগেতে যুঝিয়া বছর চার,

বিনা ঔষধে চিকিৎসাহীন নিবেছে জীবন তার।

গভীর রাত্রে ঝাউবনে নাকি কন্ঠে রাখিয়া হায়,

হোসেন শহিদ পুঁথিখানি সে যে সুর করে গেয়ে যায়।

ভুমুরদি সেই অনাহারে থেকে লভিল শূলের ব্যথা,

চীৎকার করি আছাড়ি পিছাড়ি ঘুরিতে যে যথা তথা।

তারপর সেই অসহ্য জ্বালা সহিতে না পেরে

গলে দড়ি দিয়ে পেয়েছে শানি- আম্রগাছের ছায়।

কাছা ছাল্লাম পুঁথিখানি আজো রয়েছে রেহেল পরে,

ইদুরে তাহার পাতাগুলি হায় কেটেছে আধেক করে।

লঙ্কর আজ বৃদ্ধ হয়েছে, চলে লাঠিভর দিয়ে,

হনু তনু তারা ঘুমায়েছে গায়ে গোরের কাফন নিয়ে।

 

সারা গ্রামখানি থম থম করে স্তব্ধ নিরালা রাতে;

বনের পাখিরা আছাড়িয়া কাঁদে উতলা বায়ুর সাথে।

কিসে কি হইল, কি পাইয়া হায় কি আমরা হারালাম,

তারি আফসোস শিহরি শিহরি কাঁপিতেছে সারা গ্রাম।

ঝিঁঝিরা ডাকিছে সহস্র সুরে, এ মূক মাটির ব্যথা,

জোনাকী আলোয় ছড়ায়ে চলিছে বন-পথে যথা তথা।

শেরে বাংলা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ.কে.এম ফজলুল করিম চৌধুরী

কক্সবাজার প্রতিনিধি;

শেরে বাংলা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ.কে.এম ফজলুল করিম চৌধুরী।
আলোকিত মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন কর্তৃক এই এ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করতে তাকে গত ১০ মে পত্রের মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
আগামি ২৮ মে (মঙ্গলবার) বিকাল ৪ টায় টায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তন, তোপখানা রোড (সচিবালয়ের উত্তর পার্শ্বে), ঢাকায় উক্ত এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো: ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া।
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আব্দুস সালাম মামুন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যাঞ্চেলর প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহীদুল হারুন, অতিরিক্ত সচিব ম্যাজিস্ট্রেট আলহাজ্ব রোকন-উদ-দৌলা, আইএনবি সংবাদ সংস্থার চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার মো: জাকির হোসেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ তদন্ত সংস্থার এডিশনাল এসপি কবি মো: নুরুল ইসলাম বিপিএম, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন মো: গণি মিয়া বাবুল এমজেএফ। এতে সভাপতিত্ব করবেন সাবেক তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী এবং ‘আলোকিত মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’র উপদেষ্টা সৈয়দ দিদার বখত।
দীর্ঘ ৩২ বছর অধ্যাপনা জীবনে প্রফেসর ফজলুল করিম চৌধুরী শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের অকুণ্ঠ ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন বারবার। ইতোপূর্বে তিনি বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো:
*সীতাকুন্ড সমিতি চট্টগ্রাম কর্তৃক ২০১২ সালে সীতাকুন্ডের আলোকিত সন্তান হিসেবে গুণীজন সম্মানা।
*অগ্রগামী ফাউন্ডেশন ও শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৭ সালে গুণীজন সংবর্ধনা।
*শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য শেরে বাংলা স্বর্ণপদক- ২০১৭।
*শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শিক্ষা শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯-এ কক্সবাজার জেলার কলেজ পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত।
* জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৬-এ চট্টগ্রাম বিভাগের কলেজ পর্যায়ের (সরকারি ও বেসরকারি) শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত হন।
*ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা- ২০১৭ এ উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে নাগরিক সেবায় শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবন বাস্তবায়নকারী হিসেবে নির্বাচিত হন।

ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেয়া শিক্ষার্থীদের খাতা ভিন্নভাবে দেখা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি বলেছেন, এসএসসি পরীক্ষায় যেসব নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীরা অনিয়মত ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে তাদের খাতা একদম ভিন্নভাবে দেখা হবে। যেন তারা কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হন। অন্যদিকে যাদের ভুলের কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছে তাদেরকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে এবং তদন্ত কমিটি করে দেয়া হয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার একাদশ সংসদের প্রথম প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। সম্পূরক প্রশ্নে গত ২ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষায় দেশের কয়েকটি স্থানে নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীদেরকে অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নেয়ার ঘটনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে যাদের ভুলে এই ঘটনাটি ঘটলো তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং পরীক্ষার্থীদের বিষয়ে কী বিবেচনা করা হবে জানতে চান মুজিবুল হক চুন্নু। জাতীয় পার্টির অপর সদস্য ফখরুল ইমাম পরীক্ষার খাতা নিরীক্ষণে শিক্ষামন্ত্রীর পদক্ষেপকে অনৈতিক উল্লেখ করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি বলেন, পুরাতন শিক্ষার্থীদের সিলেবাসটি ভিন্ন কিন্তু সেই সিলেবাসের বিষয় ভিন্ন নয়। একই বিষয় সিলেবাসে খানিকটা ভিন্নতা আছে। পরীক্ষার প্রশ্নের মধ্যে প্রতিটিই প্রশ্নই তার সিলেবাসের বাইরের না। খুবই অল্প জায়গায় ভিন্নতা আছে। পুরোটা ভিন্ন বিষয় নয়। তার থেকেও বড় কথা হলো যেখানে ভুলটি ঘটেছে, সেখানে আপনার কাছে ক্ষতিপূরণ কী আছে? এক হতে পারে এই পরীক্ষাটি যারা দিতে পারলেন না তাদের পরীক্ষা বাতিল  করে দিয়ে তাদের আবার একটি পরীক্ষা নিতে হবে। সেই ক্ষেত্রেও তো অন্য যারা পরীক্ষা দিলো সেই একই প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে পারছেন না তারা। কারণ সেই প্রশ্নে তো ইতিমধ্যেই পরীক্ষা হয়ে গেছে। তাহলে ভিন্ন একটি প্রশ্নে তাদের পরীক্ষা দিতে হবে।  সেখানেও কিন্তু আপনি সমান মানদণ্ড ব্যবহার করতে পারছেন না। তারপরও আপনাদের কাছে যদি যুক্তিযুক্ত একই মানদণ্ড বজায় রেখে এসব শিক্ষার্থীদের জন্য যদি আরও ভালো কোন পরামর্শ থাকে, দয়া করে দেবেন। আমরা অবশ্যই সেটি বিবেচনা করবো।

উল্লেখ্য, এসএসসির বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম, জামালপুর, নওগাঁ, শেরপুর, সাতক্ষীরা, মুন্সিগঞ্জ, গাইবান্ধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাগেরহাট ও মাদারীপুরে মোট ১৮টি কেন্দ্রে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ভুল প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। এসব প্রশ্নপত্র ছিল পুরোনো সিলেবাসের ভিত্তিতে অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য। এ ঘটনায় কোথাও কোথাও প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করে পরীক্ষা নেওয়া হলেও কোথাও কোথাও ভুল প্রশ্নপত্রেই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

1 15 16 17 18 19 21