ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা ও ডিবি পুলিশকে মামলার রহস্য উদঘাটনে আইজিপি’র পক্ষ থেকে পুরষ্কার

মো:টিটুল মোল্লা,ফরিদপুর।। 

১১ ডিসেম্বর পুলিশ লাইনস্ হল রুমে জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব মোঃ শাহজাহান, পিপিএম, পুলিশ সুপার, ফরিদপুর।

সভায় জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যদার পুলিশ সদস্যগণ বক্তব্য রাখেন এবং পুলিশ সুপার তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। তিনি বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের নিমিত্তে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। পুলিশ সুপার মহোদয় তার বক্তব্যে সকলকে পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করার আহ্বান জানান। শৃঙ্খলা বজায় রেখে দেশপ্রেমিক হিসাবে পুলিশ সদস্যরা দেশ ও জনগণের সেবায় নিবেদিত থাকবে, সে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন পুলিশ সুপার মহোদয়। পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের কল্যাণের বিষয়টিও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে বলে তিনি জানান।

পরবর্তীতে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে অপরাধ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সাহসী ও বুদ্ধিদীপ্ত ভূমিকার ফলশ্রুতিতে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার, ডাকাত গ্রেফতার ও হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার, পরোয়ানা নিষ্পত্তি, প্রসিকিউশন দাখিল, মামলা নিষ্পত্তি, দাপ্তরিক কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পাদনসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখায় দায়িত্বশীল ভূমিকা, পেশাদারিত্ব ও কর্মস্পৃহার জন্য প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

ফরিদপুর জেলা পুলিশের শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মো. সালাউদ্দিন, পিপিএম। তিনি জেলার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আইনশৃঙ্খলার বিভিন্ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তাকে শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসার হিসেবে এ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া একই কৃতিত্বের জন্য চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জনাব মোঃ সেলিম রেজা কে জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানা পুলিশ কর্তৃক অজ্ঞাতনামা চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটনসহ ০৪ জন আসামী গ্রেফতার ও মধুখালী থানা পুলিশ কর্তৃক চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস হত্যা মামলায় প্রাপ্ত মানব দেহের হাড়গোড় কংকাল থেকে প্রকৃত রহস্য উদঘাটনপূর্বক ঘটনায় জড়িত ০২ জন আসামীকে গ্রেফতার, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্তে আইজিপি মহোদয় কোতয়ালী থানা পুলিশ টিম ও ডিবি পুলিশ টিম’কে পুরস্কৃত করেন। মাননীয় আইজিপি মহোদয়ের পক্ষে পুলিশ সুপার, ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ টিম ও ডিবি পুলিশ টিম’কে পুরস্কার হস্তান্তর করেন।

উক্ত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জনাব মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, প্রশাসন ও অর্থ, ফরিদপুর (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), জনাব শৈলেন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ক্রাইম এন্ড অপস, ফরিদপুর (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), জনাব শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ বিন কালাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলা বিশেষ শাখা, ফরিদপুর (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), জনাব মোঃ সালাউদ্দিন, পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, ফরিদপুর, জনাব তালাত মাহমুদ শাহানশাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ভাঙ্গা সার্কেল, ফরিদপুর, জনাব মো. আসাদুজ্জামান শাকিল, সহকারী পুলিশ সুপার, নগরকান্দা সার্কেল, ফরিদপুর, জনাব মো. মিজানুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার, মধুখালী সার্কেল, ফরিদপুরসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দসহ বিভিন্ন সংস্থা হতে আগত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

ফরিদপুরে কমেছে পেয়াজের ঝাঝ,ভোক্তা অধিকারের অভিযান অব্যাহত

মো:টিটুল মোল্লা,ফরিদপুর।।

গত দুই দিন পর পেয়াজের বাজার অস্থিরতার ঝাঝ কিছুটা কমতে শুরু করেছে।
আজ সোমবার শহরের হাজী শরিয়াতুল্লাহ বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে পেয়াজের দাম কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
গত শুক্রবার ভারত থেকে পেয়াজ আমদানী বন্ধ এমন ঘোষনার পর থেকে বাজারে আকাশ ছোয়া দামে বিক্রি হতে থাকে।
বাজারে পেয়াজের সংকট ও অসাধু কিছু ব্যবসায়ীর দৌরাত্বে এমন দামের প্রভাব নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা
দের পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ।
এদিকে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আজও পেয়াজের বাজার মনিটরিং চলছে। এ ব্যাপারে
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ সোহেল শেখ জানান, হঠাৎ করে অস্বাভাবিক ভাবে পেয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা জেলার বিভিন্ন পেয়াজের আড়ত ও খুচরা বাজারে ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা চলছে। আড়তদারদের ক্রয় রশিদ পরীক্ষা করে যৌক্তিক দামে পেয়াজ বিক্রির জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার আইনের ব্যপ্তয় হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মুড়িকাটা পেয়াজ পুরোদমে উঠতে শুরু করলে বাজার পরিস্থিতি আরো স্বাবাবিক হবে বলে তিনি আশা করেন।জেলার বাজারের মুড়িকাটা নতুন পেয়াজ ১০০-১১০টাকা, দেশী পুরাতন পেয়াজ ১৫০-১৬০ টাকা এবং ভারতীয় পেয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

মো:টিটুল মোল্লা,ফরিদপুর।।

ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ সোমবার বেলা ১০.৩০ মিনিটে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক লিয়াকত হোসেন মিলনায়তনে উক্ত সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রেস ক্লাবের ৬৭ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন ‌ এবং ২৫ জন সদস্য আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন,প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব। সভায় প্রেসক্লাবের বিগত দিনের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় পরবর্তী পর্বে ৭
সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
এর আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন অধ্যাপক মোঃ শাহজাহান, সদস্য হিসেবে রয়েছেন অধ্যাপক মিজানুর রহমান মানিক ,এস এম তমিজউদ্দিন তাজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান ফরিদ, মফিজ ইমাম মিলন, মাহফুজুল আলম ও জাহিদ রিপন।
আগামী ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত উক্ত কমিটি ফরিদপুর প্রেসক্লাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এছাড়া আগামী ১৬ ডিসেম্বর ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের মরণোওর তিন জন বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট শামসুদ্দিন মোল্লা, লিয়াকত হোসেন এবং এম এ মজিদকে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। এছাড়া প্রেস ক্লাবের বর্তমান দুই মুক্তিযোদ্ধা সদস্য মিজানুর রহমান মানিক আমিনুর রহমান ফরিদকে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।

ধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামি আকমতকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩

মো:টিটুল মোল্লা,ফরিদপুর।।

ধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামি ‌মোঃ আকমতকে(৩২)কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩।

এ ব্যাপারে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়,গত ০১ অক্টোবর সকাল অনুমানিক ১০ টায় ভিকটিম তার মেয়েকে কাঠিয়ারগট্টি প্রাথমিক বিদ্যালয় দিয়ে বাড়ী ফেরার পথে ঘটনাস্থল ফরিদপুর জেলার সালথা থানাধীন কাঠিয়ারগট্টি সাকিনস্থ রাহেন মাস্টারের বাড়ীর সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে সেখানে পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা ধৃত আসামী আকমত ও তার অপর ৪/৫ সহযোগী আসামী জোরপূর্বক ভিকটিমকে অপহরণ করে একটি অজ্ঞাতনামা সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যায়। এরপর ভিকটিমকে ঘোড়াদহ নামক স্থানে আসামীর ভগ্নিপতির বাড়ীতে আটকে রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে ধৃত আসামী আকমত ভিকটিমকে ঢাকায় নিয়ে বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে একাধিকবার তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সংক্রান্তে বিজ্ঞ কোর্টের আদেশে ফরিদপুর জেলার সালথা থানার মামলা নং-০১, তারিখ- ০৩ নভেম্বর ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সং/২০০৩) এর ৭/৯(১) মুলে একটি অপহরণ করে ধর্ষণ মামলা রুজু হয়। মামলা রুজুর পর হইতেই আসামী আত্মগোপনে চলে যায়।
পরবর্তীতে র‌্যাব-১০,সিপিসি-৩,ফরিদপুর ক্যাম্প এর একটি আভিযানিক দল আজ ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ আনুমানিক সারে বারোটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় ০১নং পলাতক আসামী
মোঃ আকমত(৩২), পিতা- মোঃ করিম, সাং- কালাইর, থানা- সালথা, জেলা- ফরিদপুর’কে গ্রেফতার করে
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত ধর্ষণ মামলার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরবর্তীতে আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।

শহীদ দৌলত, উত্তাল রাজনীতির রক্তাক্ত স্বাক্ষী – বাদল

          শহীদ দৌলত খাঁন। চকরিয়ার রাজপথের এক রক্তাক্ত অধ্যায়ের সাক্ষী।স্বৈরশাসক এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে কক্সবাজার জেলার একমাত্র শহীদের নাম।১৯৮৭ সালের ৫ ডিসেম্বর পুলিশের বেপরোয়া গুলিতে  প্রাণ হারান তিনি।সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া তীব্র আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর জেনারেল এরশাদের নয় বছরের শাসনের অবসান ঘটে।পত্রিকান্তরে প্রকাশ, সে সময়কার গণআন্দোলনে ৩৭০ জন্য ছাত্রজনতা জীবন দিয়েছিল,পঙ্গুত্ব বরণ করে অসংখ্যজন।১ বছর ৩২৬ দিন হরতাল, অবরোধ হয়েছিল ৭০ দিন।বিশ্ববেহায়া এরশাদের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সকল ছাত্রসংগঠন ও রাজনৈতিক দল প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে।রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল “১৯৮২ থেকে ৯০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সেই  পরিস্থিতিকে অত্যান্ত ভয়ঙ্কর এবং বিপদজনক হিসেবে উল্লেখ করেছেন”।কার্ফু, সন্ধ্যা আইন লেগেই থাকতো। দুইজনের  অধিক চলাফেরা ছিল নিষিদ্ধ, আইন অমান্যকারীদের দেখা মাত্র গুলির কিংবা ৭ বছরের জেল জরিমানার নির্দেশনা ছিল প্রশাসনের কাছে।দেশের অন্যান্য জায়গার মত চকরিয়ায়ও তীব্র  আন্দোলনে  রাস্তায় নামে বিক্ষুদ্ধ ছাত্রজনতা।পুলিশদের ফাঁকি দিয়ে  কারফিউ অমান্য করে সভা সমাবেশ ও রাতে ঝুঁকি নিয়ে  মশাল মিশিল করেছি।তেমনিভাবে ৫ ডিসেম্বরে  শহীদ ছাত্রনেতা দৌলত খান যে মিশিলে গুলিবিদ্ধ হয়, সেই মিছিলের সহযাত্রী ছিলাম  অনেকের সাথে।তখন আমি  তত্কালীন জাতীয় ছাত্রলীগ চকরিয়া কলেজ শাখার সভাপতি ।দৌলত খাঁন  ছিলেন উপজেলা জাতীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পরিভাষায় প্রতিটি সংগ্রামের পিছনে একটি লক্ষ্যমাত্রা রয়। তেমনিভাবে নব্বই দশকের সেই  আন্দোলনের আকাঙ্খায় ছিল গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা,  আইনের শাসন, বাক-স্বাধীনতা, ভোটাধিকার, শিক্ষাসহ সকল মৌলিক অধিকার ব্যবস্থার  উন্নয়ন এবং দূর্নীতি  দমন করা।অন্যদিকে ছাত্র  সংগঠনদের   ১০ দফায় বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয় যে “১৯৮২ সাল থেকে সব রাজনৈতিক  হত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে এবং সকল শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ও মর্যাদা প্রদান করতে হবে”।আন্দোলনে এরশাদশাহীর বিদায় হল। কিন্তু পরবর্তী   কোন সরকারই সেসকল শর্ত মনে রাখে নাই। বেমালুম ভুলে চেপে গেছে।সামরিক শাসন বিরোধী ঐক্যবদ্ধ চেতনার সব চুক্তিবদ্ধ শর্তসমূহ নিয়ে  কেউ মাথা ঘামানো প্রয়োজন মনে করে নাই। সেই  গণআন্দোলনের  অনেকে   পরবর্তী সময়ে এমপি মন্ত্রী কিংবা বড়বড় পদে আসীন হয়েছে।নব্বই দশকের আন্দোলনের কিংবদন্তি নেতার তকমায় ক্ষমতা ব্যবহার করে অঢেল টাকার মালিক হয়ে যায়।কিন্তু  কেউ কথা রাখে নাই। সবাই চুক্তির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে ।শুধু ভুক্তভোগীরাই মনে রেখেছে, হায় হুতাশের  মাধ্যমে,যাতনার সাথে, কষ্টের মাঝে। এমনকি  শহীদ পরিবারের খবর রাখার প্রয়োজন মনে করে নাই কেউ। পঙ্গু নেতাকর্মীরা  চিকিৎসা সেবার নিশ্চয়তা,সহায়তা পায় নাই। তাই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসে  এত ত্যাগের বিনিময়ে কি অর্জন হল? কী পেল স্বদেশ? কি লাভ হলো এত প্রাণ বলিদান?কি পেল শহীদদের পরিবার।এসকল  বেদনা এখনো তাড়াকরে সে সময়কার আন্দোলনকারী  ছাত্রনেতাদের। এখনো অনেক নেতাকর্মী মানবেতর জীবন যাপন করছে।চকরিয়ার  শহীদ দৌলত খাঁন ছিল তার পরিবারের বড় সন্তান, বয়স্ক  মাতাপিতারএকমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে।উল্লেখ করার মতো  সহযোগিতা নিয়ে কেউ তার পরিবারের পাশে এসে  দাঁড়ায় নাই।নব্বই দশকের চকরিয়ার রাজপথের প্রাণ পুরুষ জননেতা এডভোকেট আমজাদ হোসেন যখন নবগঠিত  চকরিয়া পৌরসভার প্রশাসক নিযুক্ত হয়েছিল তখন দৌলতের পরিবারকে দুইটি রিক্সা সহায়তা দিয়েছিল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৯৬ সালে প্রথম এবং বর্তমানে  তিন মেয়াদের  ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে  চলমান আছে  ।অনেকে আঙুল ফুলে বটগাছ হয়েছে, বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়েছে চোখে পড়ার মত। কিন্তু যাদের রক্তেঘামে ভিজে দল শক্তিশালী তাদের কোন মুল্যায়ন নাই।হাইব্রিড সুবিধাবাধীদের বিপুল সংখ্যক উত্থানের ফলে অস্তিত্ব টিকে থাকার সংকট নিয়ে আছে অনেকে বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গায়। জীবনবাজি করে যারা  আন্দোলন করেছে তাঁরা হারিয়ে যাচ্ছে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই এরশাদকে এদেশের  মানুষ মেনে নিতে পারেনাই।  রাজধানী থেকে গ্রাম পর্যন্ত এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে আসে মানুষ। আন্দোলন দমনে এরশাদ সেনাবাহিনী ও পুলিশ লেলিয়ে একের পর এক মানুষ খুন করতে থাকে । বিক্ষোভকারীদের দমনে বেপরোয়া এরশাদ রাষ্ট্রযন্ত্রের সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করে।১৯৮৭ সালের ৫ই ডিসেম্বর সকাল থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠে পুলিশ ।তাদের  যুদ্ধাংদেহী ভূমিকা দেখে হতভম্ব হয়ে যায় চকরিয়ার  আন্দোলনকারীরা।  ষ্টেশনে আসা নেতাকর্মীদের বিনা উস্কানিতে তাড়া করতে থাকে, ভয় দেখিয়ে ছাত্রজনতাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ধাওয়া দিয়ে   কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।তখন  রাজনৈতিক কর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ এবং মুক্তির দাবী নিয়ে চকরিয়া উপজেলা চত্বরে সমবেত  সমাবেশে , জননেতা এডভোকেট আমজাদ হোসেনের বক্তৃতার শেষ পর্যায়ে পুলিশ গুলি  চালায়। তখনই  গুলিবিদ্ধ দৌলত খাঁন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।পরে হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

প্রতিবছর ডিসেম্বর এলেই সেই ভয়াবহ মুহূর্তের দৃশ্য মানসপটে ভেসে উঠে, তাড়া করে।সেই মিশিল উপজেলায় সমবেত হওয়ার আগমুহূর্ত পর্যন্ত  অগ্রভাগে ছাত্রনেতা সরওয়ার আলম, মোহাম্মদ আইয়ুব (আলীকদম), খানে আলম (শীলখালী)এবং আমি এক সাথেই ছিলাম।উল্লেখ্য যে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন তীব্রতা পাবার পরথেকে প্রশাসনের কড়া নজর ছিলো সরওয়ার আলমের উপর।তিনি ছিলেন তখনকার সময়ের সাহসী ছাত্রনেতাদের মধ্যে অন্যতম একজন।ফলে হুলিয়া লেগেই থাকতো, গ্রেফতার আতঙ্ক তাড়া করতো সবসময়।বহুল পরিচিত ছাত্রনেতা ছিলেন তিনি । সেই দিনের পরিস্থিতি, গতিবিধি এবং পুলিশের বেপরোয়া মনোভাব বুঝতে পেরে আমার কেন জানি মনে হলো,সরওয়ার ভাইকে   নাগালে পেলে পুলিশ গ্রেফতার করবেই।তাই মিছিলটি উপজেলা চত্বরের প্রবেশমুখে   সরওয়ার ভাইকে ভিতরে না গিয়ে সরিয়ে থাকতে  অনুরোধ করি এবং  পাশের রেষ্টুরেন্ট থেকে দুইটি সিংগারা কিনে দিয়ে নাপিতের দোকানের দিকে অপেক্ষায় রাখি।সেদিনের ঘটনার পরে কেন জানি মনে হলো সরওয়ার ভাইকে সরে যাওয়ার অনুরোধ না করলে হয়তোবা ঘটনা অন্যভাবে লিখতে হতো আজকের দিনে।(আমি আমার নিজস্ব মতামত তুলে ধরলাম মাত্র)।আন্দোলন রত সবারই গৌরবময় ভূমিকা অনস্বীকার্য।সবার ত্যাগ তিতিক্ষার ফসল স্বৈরশাসকের বিতাড়ন।  কমবেশি ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলন করেছে,হুমকির মাঝে ছিলো সবাই ।প্রতি ডিসেম্বর মাস এলেই  অন্য আরেকটি  স্মৃতি এখনো ভেসে উঠে,মনে পড়ে বারবার, ৫ ডিসেম্বরের দিনটিতে হ্নদয়ে রক্তক্ষরণ হয়।দৌলত খান গুলিবিদ্ধ হওয়ার সাথে সাথেই বাতাসের বেগে খবর  হয়ে যায় যে ঢেমুশিয়ার(আমার গ্রাম)  একটি ছেলে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারায়। তখন কোণাখালী ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা হয় নাই।উপকুলীয় এই এলাকায় সক্রিয় রাজনীতিতে  জড়িত ছিলাম বলে সবাই ধরে নিয়েছিল যে গুলিবিদ্ধ হয়ে আমিই মারা গেছি। ফলে ছেলের মৃত্যু সংবাদে আমার  মায়ের কান্না বিলাপ শুরু হয়ে যায় । পাড়া প্রতিবেশি সহ আত্মীয়স্বজন সবায়  শোকাভিভূত হয়ে পড়ে । তখন মোবাইলের যুগ ছিল না বিধায়  তাত্ক্ষণিকভাবে জানার সুযোগ ছিল না। সেদিন হয়তোবা আন্দোলনকারীদের মধ্যে অন্যকেউও হতে পারতো দৌলত খানের সাথে কিংবা আমি ।কারণ সেদিন  শত-শত ছাত্রজনতা এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে শামিল ছিল। সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য মানসপটে ভেসে উটলেই  হতবিহ্বল হয়ে যাই।রাজনৈতিক বিজ্ঞদের মতে,”নব্বই দশকের আন্দোলন দেশপ্রেমের ঐতিহাসিক ছবক হয়ে থাকবে। নিঃস্বার্থ ভাবে খেয়ে না খেয়ে রাজপথে আন্দোলন করেছে সবাই”। চিরিংগায় পপুলার বেকারির রুটি ছিল তখনকার রাজনৈতিক কর্মীদের উত্তম খাবার। কিন্তু আজকাল রাজনীতির সে চিরচেনা চেতনা মৃতপ্রায়।ছাত্র রাজনীতিতে ছাত্রদের কোন দাবি নিয়ে শোর উঠে না।দলের সাইনবোর্ডে টেন্ডারবাজী লাইসেন্সবাজী ও দখলবেদখল নিয়ে নেতাদের লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার হতে দেখা যায়। দিনের পর দিন রাজনীতির এ হাল  দেখে সাধারণ মানুষের মাঝে হতাশা ও বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে।তাই বিশেষজ্ঞ মহলের অভিমত,   “রাজনীতিবিদরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে দেশের স্থিতিশীল সামষ্টিক পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়”।তাই রাজনীতিতে সুস্থতা ফিরিয়ে আসুক কামনা করে নিবেদিত ত্যাগী কর্মীরা।

৫ ডিসেম্বরের শহীদ দৌলত খাঁনের আত্মার শান্তি কামনা করছি।সাথে সাথে  আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন -২০২৪, কক্সবাজার -১ আসনের নির্বাচিত সাংসদের প্রতি নব্বই দশকের  ছাত্রনেতাদের পক্ষ থেকে শহীদ দৌলত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেবার দাবি জানাচ্ছি।তার স্মৃতি ধরে রাখতে তাঁর  জন্মস্থান  কোণাখালী ইউনিয়নের নাম “দৌলত নগর” নামকরণ করা সহ প্রস্তাবিত  মাতামুহুরি  উপজেলা কার্যক্রম শুরু হলে নবগঠিত সে উপজেলার অডিটোরিয়ামের নাম “শহীদ দৌলতের” নামে নামকরণ করতে  দাবি জানাচ্ছি। কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরি  সংলগ্ন শহীদ দৌলত ময়দানের নামফলক এবং চকরিয়া থানা রাস্তার মাথা থেকে উপজেলা পর্যন্ত দৌলত সড়কের নামফলক লাগানোর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে।
অমর হউক শহীদ স্মৃতি, দৌলত খাঁন স্মৃতি।
জয় বাংলা।
———————–


নব্বই দশকের সাবেক ছাত্রনেতা এবং সমাজকর্মী

বিশেষ কৌশলে জুতার মধ্যে ইয়াবা পরিবহনকালে ০১ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ১০

মো:টিটুল মোল্লা,ফরিদপুর।।

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব নিয়মিত জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, ছিনতাইকারীসহ মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে। “চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে” স্লোগানকে সামনে রেখে মাদক নির্মূলে র‌্যাব মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ সন্ধ্যায় র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ ঘাট থানাধীন এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে আনুমানিক ৫,৫৮,৩০০/- (পাঁচ লক্ষ আটান্ন হাজার তিনশত) টাকা মূল্য মানের ১৮৬১ (এক হাজার আটশত একষট্টি) পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।উক্ত আসামী বিশেষ কৌশলে জুতার সোলের মধ্যে লুকায়িত অবস্থায় ইয়াবা পরিবহন করছিল। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মোঃ শাহ আলম (৩০), পিতা- দিল মোহাম্মদ, সাং- আজু খাইয়া ০৭ নং ওয়ার্ড, থানা- নাইক্ষ্যাংছড়ি, জেলা- বান্দরবান বলে জানা যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত শাহ আলম একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। সে বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে রাজবাড়ীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রুজু করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ক্ষতিকারক কিটনাশক দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার ২৫ শতাংশ জমির ফসল নষ্টের অভিযোগ

শেখ নজরুল ইসলাম,শরীয়তপুর।।

শরীয়তপুরের ডোমসার ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বেড়াচিকন্দি পূর্ব শত্রুতার জেরে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম খাঁনের ফসলি জমিতে আগাছানাশক বিষ দিয়ে জমির শরিষা নষ্টের অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের মোজাম্মেল খাঁনের (৬৫)বিরুদ্ধে ৷ এতে ২৫ শতাংশ জমির শরিষা ফসল পুরোটাই মরে গেছে ৷ এই ঘটনায় পালং মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম খাঁন ৷

অভিযোগকারী জমির মালিক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম খাঁন জানান,গত ২৭ নভেম্বর সোমবার রাতে আমার জমিতে ঘাঁস মারার বিশ দেয় মুজাম্মেল খাঁ ৷ আমি এই ঘটনায় হতভম্ব হয়ে যাই ৷ একটা মানুষ কিভাবে এই বয়সে এমন কাজ করতে পারে ! এই বছর আমি অনেক পরিশ্রম করে এই জমিত চাষ দিয়ে শরিষা আবাদ করি ৷ ক্ষেতের পরিচর্যাও বেশি নিয়েছি,যার ফলে শরিষা ফসল খুব ভাল হইছিল ৷ এই ভাল ফসল হয়েছে দেখে মুজাম্মেল খাঁ হিংসায় রাতের আধারে ঘাঁস মারার ঔষধ দিয়ে আমার ক্ষেতের সব ফসল পুরিয়ে দিয়েছে ৷ এতে আমি আর্থিক ভাবে যেমন ক্ষতি হয়েছি,মানষিক ভাবেও খুবই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি ৷ এটা কেমন শত্রুতা আমার মাথায় আসে না ৷ আমি মুজাম্মেল খাঁর বিচার চাই ৷

শত্রুতার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন,মুজাম্মেল খাঁর সাথে আমার জমি জমা এবং দলবল নিয়ে বিরোধ আছে ৷ সে করে বিএনপি আর আমি করি আওয়ামীলীগ ৷ তবে দুই চার ছয় মাসের মধ্যে তার সাথে আমার কোন ঝগড়া বিবাদ হয় নাই ৷ সে হটাৎ করে কেন এই কাজ করলো আমি জানি না ৷

এই ফসল নষ্টের বিষয় নিন্দা জানিয়ে ঐ এলাকার মসজিদের ইমাম মো খালেক সরদার,হাবিবুর রহমান খাঁন,চাঁনমিয়া চোকদার,আলীআক্তার খাঁন ও মোতালেব কোটারী বলেন- কতটা নিচু মনের হইলে এমন জঘন্য কাজ করতে পারে আমাদের মাথায় আসে না ৷ মানুষের সাথে মানুষের শত্রুতা থাকতে পারে ৷ তাই বলে ফসল নষ্ট করবে ? আমরা এর দৃষ্টান্ত মূলক বিচার দাবী করছি ৷ যাতে কেউ ভবিষ্যতে এমন জঘন্য কাজ করতে না পারে ৷

এই বিষয়ে অভিযুক্ত মুজাম্মেল খাঁনের সাথে কথা বলতে তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি ৷

এই বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মেজবাহ উদ্দীন আহম্মেদ বলেন,আমি অভিযোগ পেয়েছি,অভিযোগের সত্যতা যাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ কর

1 2 3 4 5 365