হঠাৎপাড়া জঙ্গি আস্তানার ২ জঙ্গি নিহত, লেবুতলায় আটক ২
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর হঠাৎপাড়ার জঙ্গি আস্তানায় অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। এদিকে ঝিনাইদহ সদরের লেবুতলার জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে চালানো অভিযান শেষ ঘোষণা করা হয়েছে।
হঠাৎপাড়ার আস্তানায় দুই জঙ্গির মরদেহ পড়ে রয়েছে। তাদের একজন আত্মঘাতি বোমায় ও অপরজন গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে লেবুতলা থেকে বোমা ও অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে দুই জঙ্গিকে।
হঠাৎপাড়ার আস্তানায় অভিযান শেষ হয়নি। সেখানে এখনো ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্যরা পৌঁছালে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে, এমনটাই জানিয়েছেন খুলনা রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) দিদার আহমেদ।
সকালে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিসিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা হঠাৎপাড়ায় অভিযান শুরু করে। সেখানে অভিযানকারীদের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলিবিনিময় হয়। আস্তানার ভেতরেও বিকট শব্দে বিষ্ফোরণ ঘটে।
জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ওই বাড়ি ও তার আশপাশের ২০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করেন মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশাফুর রহমান। সূত্র জানায়, সাধারণ জনগণের জান-মাল রক্ষার্থে রোববার (০৭ মে) সকাল ১০টার দিকে জারি করা এ ১৪৪ ধারা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে।
জানিয়েছেন খুলনা রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক দিদার আহমেদ বলেন, জঙ্গি রয়েছে এমন গোপন খবরের ভিত্তিতে শনিবার রাতে মহেশপুরের বজরাপুর হঠাৎপাড়ায় এবং রোববার (০৭ মে) সকালে সদরের লেবুতলায় দুটি আস্তানা ঘিরে ফেলা হয়।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ডিআইজি দিদার সাংবাদিকদের জানান, অভিযানকালে এক জঙ্গি গুলিতে নিহত হয়েছে, অপরজন সুইসাইডাল ভেস্ট বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গুলিবিদ্ধ মরদেহটি তুহিন নামে এক জঙ্গির বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
এই অভিযানে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন বলেও জানান তিনি। লেবুতলা গ্রামের জঙ্গি আস্তানাটি যে বাড়িতে তার মালিক শরাফত হোসেন নামে এক ব্যক্তি। হঠাৎপাড়ার বাড়িটির মালিক জহুরুল ইসলাম।
বাড়ির মালিক জহুরুল ইসলাম, তার ছেলে জসিম উদ্দিন, ভাড়াটিয়া আলমগীর হোসেনসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে এসপি মিজানুর রহমান জানান, হঠাৎপাড়ায় অভিযান চালানোর সময় সিসিটিসি’র এডিসি এস এম নাজমুল ইসলাম, উপ পরিদর্শক (এসআই) মহসিন আলী এবং মজিবুর রহমান আহত হয়েছেন। এর মধ্যে মহসিন ও মজিবুর গুলিবিদ্ধ। এদের মধ্যে নাজমুল ও মহসিনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর মজিবুরকে যশোরে পাঠানো হয়েছে।
সূত্রঃ বি ডি মর্নিং