ডেঙ্গুতে ২৪ ঘন্টায় চলতি বছরের সর্বোচ্চ মৃত্যু রেকর্ড

নিউজ২৪লাইন:

মুহিদুল ইসলাম পান্না ; স্টাফ রিপোর্টার

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ( বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই বছরে এক দিনে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা এটি। এর আগে গত ১৩ অক্টোবর এক দিনে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬১।
দিন যাচ্ছে ডেঙ্গুর প্রকট বাড়ছে দ্রুত। ডেঙ্গু ভাইরাস মশা, বিশেষ করে এডিস ইজিপ্টি দ্বারা বাহিত হয়। এইসব মশা ভোরবেলা এবং মাঝ রাতের পর কমড়ায়। এক কামড়েই সংক্রমণ হতে পারে!

মেডিক্যাল রেকর্ডে দেখা গেছে 1779 সাল থেকে ডেঙ্গু জ্বরের অস্তিত্ব আছে। তবে, বিংশ শতাব্দীতেই রোগ ছড়ানো ও তার কারণ সম্পর্কে জানা যায়।

একজন অপরাধী যুবক খলিফা উমর (রা) দরবারে

ইসলাম ও জীবন :

এই যুবক আমাদের পিতাকে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার চাই।”
দোষী যুবককে টেনে-হিঁচড়ে খলীফার দরবারে নিয়ে এসেছেন দুই ব্যক্তি। তারা তাদের পিতার হত্যার বিচার চান।
.
খলীফা হযরত উমর (রা) সেই যুবককে জিজ্ঞেস করলেন যে তার বিপক্ষে করা অভিযোগ সত্য কিনা। অভিযোগ স্বীকার করল যুবক। দোষী যুবক সেই ঘটনার বর্ণনা দিলঃ
.
“অনেক পরিশ্রমের কাজ করে আমি বিশ্রামের জন্য একটি খেজুর গাছের ছায়ায় বসলাম। ক্লান্ত শরীরে অল্প সময়েই ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার একমাত্র বাহন উটটি পাশে নেই। খুঁজতে খুঁজতে কিছু দূর গিয়ে পেলাম, তবে তা ছিল মৃত। অভিযোগকারী এই দুই ব্যক্তির বাবাকে আমার মৃত উটের পাশে পেলাম। সে আমার উটকে তার বাগানে প্রবেশের অপরাধে পাথর মেরে হত্যা করেছে। এই কারণে আমি হঠাৎ করে রাগান্বিত হয়ে পড়ি এবং তার সাথে তর্কাতর্কি করতে করতে এক পর্যায়ে মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে ফেলি। ফলে সে সেইখানেই মারা যায়। যা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ঘটে গেছে। এর জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।”
.
বাদী’রা জানালেন- “আমরা এর মৃত্যুদণ্ড চাই।” সব শুনে হযরত উমর (রা) অপরাধী যুবককে বললেন, “উট হত্যার বদলে তুমি একটা উট দাবি করতে পারতে, কিন্তু তুমি বৃদ্ধকে হত্যা করেছ। হত্যার বদলে হত্যা। এখন তোমাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে। তোমার কোন শেষ ইচ্ছা থাকলে বলতে পারো।” নওজোয়ান বললো, “আমার কাছে কিছু ঋণ ও অন্যের রাখা কিছু আমানত আছে। আমাকে যদি কিছু দিন সময় দিতেন, আমি বাড়ি গিয়ে আমানত ও ঋণগুলি পরিশোধ করে আসতাম।”
.
খলিফা হযরত উমর (রা) বললেন, “তোমাকে এভাবে একা ছেড়ে দিতে পারি না। যদি তোমার পক্ষ থেকে কাউকে জিম্মাদার রেখে যেতে পারো তবে তোমায় সাময়িক সময়ের জন্য যেতে দিতে পারি।“ নওজোয়ান বললো, “এখানে আমার কেউ নেই যে আমার জিম্মাদার হবে।” যুবকটি তখন নিরুপায় হয়ে দাঁড়িয়ে রইল।
.
এই সময় হঠাৎ মজলিসে উপস্থিত একজন সাহাবী হযরত আবু যর গিফারী (রা) দাঁড়িয়ে বললেন, “আমি হবো ঐ ব্যক্তির জামিনদার। তাকে যেতে দিন।” আবু যর গিফারীর (রা) এই উত্তরে সভায় উপস্থিত সবাই হতবাক। একে তো অপরিচিত ব্যক্তি, তার উপর হত্যার দন্ডপ্রাপ্ত আসামী! তার জামিনদার কেন হচ্ছেন আবু জর!
খলিফা বললেন, “আগামি শুক্রবার জুম্মা পর্যন্ত নওজোয়ানকে মুক্তি দেয়া হলো। জুম্মার আগে নওজোয়ান মদীনায় ফেরত না আসলে নওজোয়ানের বদলে আবু যরকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে।” মুক্তি পেয়ে নওজোয়ান ছুটলো মাইলের পর মাইল দূরে তার বাড়ির দিকে। আবু যর গিফারী (রা) চলে গেলেন নিজ বাড়িতে।
.
দেখতে দেখতে জুম্মাবার এসে গেল। নওজোয়ানের আসার কোনো খবর নেই। হযরত উমর (রা) রাষ্ট্রীয় পত্রবাহক পাঠিয়ে দিলেন আবু যর গিফারির (রা) কাছে। পত্রে লিখা, আজ শুক্রবার বাদ জুমা সেই যুবক যদি না আসে, আইন মোতাবেক আবু যর গিফারির মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে। আবু যর যেন সময় মত জুম্মার প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে নববীতে হাজির হন। খবর শুনে সারা মদীনায় থমথমে অবস্থা। একজন নিষ্পাপ সাহাবী আবু যর গিফারী আজ বিনা দোষে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হবেন।
জুমার পর মদীনার সবাই মসজিদে নববীর সামনে হাজির। সবার চোখে পানি। কারণ দন্ডপ্রাপ্ত যুবক এখনো ফিরে আসেনি। জল্লাদ প্রস্তুত।
.
জীবনে কত জনের মৃত্যুদন্ড দিয়েছে তার হিসেব নেই। কিন্তু আজ কিছুতেই চোখের পানি আটকাতে পারছে না জল্লাদ। আবু যরের মত একজন সাহাবী সম্পূর্ণ বিনা দোষে আজ মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হবেন, এটা মদীনার কেউ মেনে নিতে পারছেন না। এমনকি মৃত্যুদন্ডের আদেশ প্রদানকারী খলিফা উমর (রা) নিজেও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। হৃদয় তাঁর ভারাক্রান্ত। তবু আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কারো পরিবর্তনের হাত নেই। আবু যর (রা) তখনও নিশ্চিন্ত মনে হাঁসি মুখে দাঁড়িয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। জল্লাদ ধীর পায়ে আবু যর (রা) এর দিকে এগুচ্ছেন আর কাঁদছেন। আজ যেন জল্লাদের পা চলে না। পায়ে যেন কেউ পাথর বেঁধে রেখেছে।
.
এমন সময় এক সাহাবী উচ্চ স্বরে জল্লাদকে বলে উঠলেন, “হে জল্লাদ একটু থামো। মরুভুমির ধুলার ঝড় উঠিয়ে ঐ দেখ কে যেন আসছে। হতে পারে ঐটা নওজোয়ানের ঘোড়ার পদধুলি। একটু দেখে নাও।” ঘোড়াটি কাছে আসলে দেখা যায় সত্যিই এ সেই নওজোয়ান।
.
নওজোয়ান দ্রুত খলিফার সামনে এসে বললো, “আমীরুল মুমিনীন, মাফ করবেন। রাস্তায় যদি আমার ঘোড়া পায়ে ব্যথা না পেত, তবে যথা সময়েই আসতে পারতাম। বাড়িতে গিয়ে আমি একটুও দেরি করিনি। বাড়ি পৌঁছে গচ্ছিত আমানত ও ঋণ পরিশোধ করি। তারপর বাবা, মা এবং নববধুর কাছে সব খুলে বলে চিরবিদায় নিয়ে মৃত্যুর প্রস্তুতি নিয়ে মদীনার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। এখন আমার জামিনদার ভাইকে ছেড়ে দিন আর আমাকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে পবিত্র করুন। কেননা কেয়ামতের দিন আমি খুনি হিসেবে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে চাই না।”
.
আশেপাশের সবাই একেবারেই নীরব। চারিদিকে একদম থমথমে অবস্থা। সবাই হতবাক, কী হতে চলেছে! যুবকের পুনরায় ফিরে আসাটা অবাক করে দিলো সবাইকে।
.
খলিফা হযরত উমর (রা) যুবককে বললেন, “তুমি জানো তোমাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে, তারপরেও কেন ফিরে এলে?” উত্তরে সেই যুবক বলল- “আমি ফিরে এসেছি, কেউ যাতে বলতে না পারে, এক মুসলমানের বিপদে আরেক মুসলামান সাহায্য করতে এগিয়ে এসে নিজেই বিপদে পড়ে গেছিলো।”
.
এবার হযরত উমর (রা) হযরত আবু যর গিফারী (রা) কে জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি কেন না চেনা সত্যেও এর জামিনদার হলেন?” উত্তরে হযরত আবু যর গিফারী (রা) বললেন, “পরবর্তিতে কেউ যেন বলতে না পারে, এক মুসলমান বিপদে পড়েছিলো, অথচ কেউ তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি।”
.
এমন কথা শুনে, হঠাৎ বৃদ্ধের দুই সন্তানের মাঝে একজন বলে উঠল, “হে খলীফা, আপনি তাকে মুক্ত করে দিন। আমরা তার উপর করা অভিযোগ তুলে নিলাম।”
.
হযরত উমর (রা) বললেন, “কেন তাকে ক্ষমা করে দিচ্ছ?” তাদের এক ভাই বলে উঠলো, “কেউ যেন বলতে না পারে, এক মুসলমান অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল করে নিজেই স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার পরেও অন্য মুসলমান তাকে ক্ষমা করেনি।”

[হায়াতুস সাহাবা-৮৪৪]

সিনেমার প্রেম কাহিনীকেও হার মানাল মাহমুদুল হাসান ও ফাহমিদা কামাল

নিউজ২৪লাইন:

ক্যান্সারের মুমূর্ষু রোগী প্রেমিকা ফাহমিদাকে হাসপাতালে বিয়ে করল হাসান ।
প্রেম-ভালোবাসার বহু শ্বাশত কাহিনী ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। তেমনি হাসপাতালের বেডে গত ৯ মার্চ ২০২২ তারিখ রাতে আরেক ভালোবাসর অমর উপাখ্যান রচনা করল হাসান ও ফাহমিদা।
চকোরিয়ার ছেলে মাহমুদুল হাসান নর্থ সাউথ থেকে এমবিএ আর চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ বাকলিয়াতে জন্ম নেয়া ফাহমিদা কামাল আইইউবি থেকে বিবিএ ও এমবিএ শেষ করেছে। শিক্ষাজীবনে দুজনের পরিচয়। লাবণ্যময়ী স্মার্ট সুন্দরী তরুনী ফাহমিদাকে ভাল লাগতে শুরু করে হাসানের। এর পর আস্তে আস্তে দুজন প্রেমে জড়িয়ে পরে। ভালবাসার মায়াবী বন্ধনে হয়ে উঠে দুজন দুজনার। হাতে হাত ধরে স্বপ্নেবিভোর রঙিন ভুবনে উড়তে থাকে অচেনা হাজারো পথে। সুখ আনন্দ সবই যেন ভরপুর। বিয়ে সংসার কত না মধুর সুখ চোখের কোনায়।
কিন্তু একি এমন স্বপ্ন সুখের রঙিন উঠোনে ঘনকালো অন্ধকার। সপেদ আকাশ মেঘে ঢাকা বৈরী ঝড়ো হাওয়া সব তচনচ করে দিতে উদ্যত। ফাহমিদার স্বপ্নরাঙা মায়াবী শরীরে বাসা বাধে মরণঘাতী ক্যান্সার। ধরা পরার পর সাথে সাথে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা এভারকেয়ার পরবর্তীতে ভারতের টাটা মেমোরিয়াল হসপিটালে নেয়া হয়। সেখানে দীর্ঘ একবছর চিকিৎসার পর ডাক্তাররা সাফ জানিয়ে দেয়- ফাহমিদার চিকিৎসা আর সম্ভব নয়, ইঙ্গিত দেয় বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। পাথর চাপা কষ্ট নিয়ে পরিবারের লোকজন ২০ বছর বয়সী ফাহমিদাকে চট্টগ্রামে নিয়ে এসে মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করাই। সেখানে চলতে থাকে চিকিৎসা। কিন্তু ক্রমাগত ফাহমিদার শাররীক অবস্থায় অবনতি হতে থাকে।
প্রেয়সী ফাহমিদার অসহ্য কষ্ট ও বুকভাঙ্গা যন্ত্রণা প্রেমিক হাসানের সহ্য হয় না। ফাহমিদার কষ্ট হাসান ভাগ করে নিতে চায়। চোখের জল মুছে দিতে চায়, কপালে হাত রেখে বলতে চায় আমি আগের মত এখনো তোমার পাশে আছি। হাতে হাত রেখে বলতে চায় আমি তোমাকে বড্ড ভালবাসি ফাহমিদা, বড্ড ভালবাসি। তুমিই আমার জীবন তুমিই আমার সব। মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়াতে চায়। বুকে জড়িয়ে নিয়ে কষ্টগুলো নিজের করে নিতে চায়। কিন্তু তা কি করে সম্ভব! হাসান ফাহমিদার প্রেমিক হলেও সমাজের চোখে পরপুরুষ। মৃত্যুযন্ত্রণায় ফাহমিদা নিঃশেষ হতে চলেছে।
এবার হাসান কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। ফাহমিদাকে যদি মরতে হয়, তাহলে তার বুকে মাথা রেখেই মরতে হবে। নিজের পরিবারকে নিয়ে এসে প্রস্তাব দিল সে সহসা ফাহমিদাকে বিয়ে করতে চাই । মৃত্যু পথযাত্রী ফাহমিদাকে হাসানের বিয়ে করার প্রস্তাবে সবাই হতবিহ্বল। হাসানকে বুঝানোর সব ধরনেরচেষ্টা করা হয়। কিন্তু হাসান তার অনঢ় সিদ্ধান্তে অটল।
অবশেষে উভয় পরিবার সম্মত হয়। বিষয়টি জানানো হয় জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে থাকা ফাহমিদাকে।জ অবিশ্বাস্য প্রস্তাব শুনে অপলক তাকিয়ে থাকে প্রিয় হাসানের দিকে। ফাহমিদার চোখেমুখে ফুটে উঠে নির্মল স্বর্গীয় হাসি। আনন্দ অশ্রুতে দুজনের পৃথিবী দোল খেতে থাকে। বাতাসে নাচতে থাকে রঙিন প্রজাপতি।
অবশেষে বিয়ের প্রস্তুতি নেয়া হয়। গত ৯ মার্চ ২০২২ তারিখ বাদ এশা মেডিকেল সেন্টারে তাদের বিয়ের আয়োজন হয়।
কনে ফাহমিদাকে পরানো হয় লাল বেনারসি শাড়ি, গালায় সোনার হার। বর হাসান পায়জামা-পাঞ্জাবি পরে। আকত অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। দুজন মিলে কেক কাটে, মালা বদল হয়। খেজুর মিষ্টি খাওয়ানো হয়।
ক্ষনিকের জন্য মরণঘাতী ক্যান্সারকে জয় করে ফাহমিদা হয়ে উঠে অন্য এক পৃথিবীর বাসিন্দা। সমস্ত স্বর্গীয় সুখ তাকে ঘিরে রাখে। হারিয়ে যাওয়া সোনালী দিনগুলো আবার যেন ফিরে পায়। আনন্দে আত্মহারা ফাহমিদার আরো বাঁচতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে হাসানের বুকে মাথা রেখে হাজার বছর বাঁচতে।
হাসান আর ফাহমিদার এই অমর প্রেমকাব্যে প্রেমেই জয় হলো। জীবন ক্ষনিকের, জীবনের কাছে প্রেম অবিনশ্বর। প্রেম প্রীতি ভালোবাসার জয় হোক –
তোমাকে স্যালুট হাসান।
তোমাদের জন্য আমাদের অতল ভালোবাসা।
আবারো বলি – ভালোবাসা যত বড় জীবন তত বড় নয়। ভালোবাসা শ্বাশত, অম্লান অমর।
সবাই দোয়া করবেন এই নব দম্পতির জন্য ।

বিজয় দিবস উপলক্ষে শরীয়তপুর পুলিশ লাইন্সে কাবাডি প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার

নিউজ২৪লাইন:

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শরীয়তপুর পুলিশ লাইন্সে কাবাডি প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।

মঙ্গলবার শরীয়তপুর পুলিশ লাইন্সে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জেলা পুলিশের ব্যবস্থাপনায় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে পুলিশ সুপার, এস. এম. আশরাফুজ্জামান এর সভাপতিত্বে কাবাডি প্রতিযোগিতা-২০২১ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ পারভেজ হাসান, জেলা প্রশাসক, শরীয়তপুর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ সাইফুর রহমান, পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (প্রশাসন ও অপরাধ), শরীয়তপুর।

এছাড়া এ-সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মোঃ আক্তার হোসেন, অফিসার ইনচার্জ, পালং মডেল থানা, শরীয়তপুর সদর। মোঃ সাইফুল আলম, অফিসার ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখা, শরীয়তপুর। অবনী শংকর কর, অফিসার ইনচার্জ, নড়িয়া থানা। মোস্তাফিজুর রহমান, অফিসার ইনচার্জ, ভেদরগঞ্জ থানা। মোঃ কামরুল ইসলাম, ডিআইও-২, জেলা বিশেষ শাখা, শরীয়তপুর। মিন্টু মন্ডল, অফিসার ইনচার্জ, পদ্মা সেতু দক্ষিন থানা, শরীয়তপুর সহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্যবৃন্দ, খেলোয়ারবৃন্দ ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।

উক্ত কাবাডি প্রতিযোগিতায় বালক ও বালিকারা খেলায় অংশগ্রহণ করেন শরীয়তপুর জেলার ৬টি উপজেলার বালক দল ৬টি ও বালিকা দল ৬টি সর্বমোট ১২টি দল অংশগ্রহন করেন।

এ সময় জেলা পুলিশ সুপার, এস. এম. আশরাফুজ্জামান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সম্মানিত সভাপতি ও বাংলাদেশ পুলিশের মাননীয় ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) মহোদয় ও ঢাকা রেঞ্জের মাননীয় ডিআইজি হাবিবুর রহমান, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) মহোদয়দের প্রতি।

দেশব্যাপী কাবাডি প্রতিযোগিতার আয়োজন করায় উক্ত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

 

অবশেষে বাংলাদেশকে ১০ লাখ টিকা দিচ্ছে সেরাম

নিউজ২৪লাইন ডেস্ক: বাংলাদেশে দশ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা পাঠানোর অনুমতি পেয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। গতকাল বৃহস্পতিবার সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই।

খবরে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে তিন কোটি ডোজের সমপরিমাণ কোভিশিল্ড রপ্তানিরও অনুমতি পেয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। পাশাপাশি কোভিড টিকা উৎপাদনকারী আরেক কোম্পানি ভারত বায়োটেককে এ মাসে ইরানে ১০ লাখ ডোজ কোভ্যাক্সিন রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা পুনের প্ল্যান্টে উৎপাদন করে কোভিশিল্ড নামে বাজারজাত করছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী কোম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউট। এ কোম্পানি থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ ‘কোভিশিল্ড’ কিনতে গত বছরের নভেম্বরে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে বাংলাদেশ।

এরপর জানুয়ারিতে ৬০০ কোটি টাকার বেশি অগ্রিম হিসেবে দেয় সরকার, যা টিকার মোট দামের অর্ধেক। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা ছিল। গত ২৫ জানুয়ারি প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ টিকা আসে বাংলাদেশে।

পাশাপাশি ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ২১ জানুয়ারি আরও ২০ লাখ ডোজ এবং ২৬ মার্চ ১২ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড পেয়েছে বাংলাদেশ।

১২ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে

নিউজ ২৪লাইন:, মানিকগঞ্জ: স্কুল-কলেজের ১২ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পৌর ভবনে মানিকগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়নকল্পে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ১২ থেকে ১৭ বছরের যারা স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, তাদের জন্য খুব দ্রুত সময়ের ভিতর ফাইজারের টিকা দেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে বলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে এবং শিল্প কারখানা সচল রয়েছে বলে অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সঙ্গে ১০ কোটি টিকার চুক্তি করা হয়েছে। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর ৮টি দেশকে লাল তালিকাভুক্ত করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র। তবে এখন সেখান থেকে আমাদের দেশের নাম বাদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত আমরা আড়াই কোটি মানুষকে টিকা দিয়েছি। করোনা নিয়ন্ত্রণে নাই বলে সোমেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী তার ক্ষমতা হারিয়েছে এবং থাইল্যান্ডের সরকার প্রধানের অবস্থাও সূচনীয়।

এ সময় পৌর মেয়র মো. রমজান আলীর সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার ছানু ও সাধারণ সম্পাদক অতিন্দ্র চক্রবর্তী বিপ্লবসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

শরীয়তপুরে নাজমুল হোসেন নামে এক ভুয়া ডাক্তারকে ২০হাজার টাকা জরিমানা

নিউজ ২৪লাইনঃ
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় নাজমুল হোসেন নামে এক ভুয়া ডাক্তারকে ২০হাজার টাকা জরিমান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

মঙ্গলবার (৩১আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টার উপজেলার ঘরিষার বাজারে মা-শিশুও ডায়াবেটিস হাসপাতালে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও নড়িয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি)মুরশেদুল ইসলাম।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঘরিষার বাজারের অভিযোন পরিচালনার সময় বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ডাক্তাররা তাদের ভয়ে গাঢাকা দেন। বন্ধ হয়ে যায় ওষুধের দোকানগুলো।

এসময় ঘরিষার বাজারের পশ্চিম মাথায় অবস্থিত মা-শিশুও ডায়াবেটিস হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ডাক্তার নাজমুল হোসেন জরুরি কয়েকজন রোগীকে তিনি নিজেই চিকিৎসা করছেন। পরে তার ডাক্তারের সাটির্ফিকেট আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি তা দেখাতে অপারগ হন।

পরে ভ্রাম্যমান আদালত তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে সর্তক করে ছেড়ে দিয়েছেন। এবং তার ডাক্তার লেখা (বিভিন্ন রোগে অভিজ্ঞ ডাক্তার উল্লেখিত) সাইনবোর্ডটি ফেলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, দীর্ঘদিন ধরে নাজমুল হোসেন নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করছিল। এছাড়া নাক, কান, গলা, হাড় এবং মা ও শিশু রোগসহ বেশকিছু বিভাগে বিশেষজ্ঞ বলে পরিচয় দিয়ে আসছিল। সে নড়িয়া উপজেলায় মা-শিশুও ডায়াবেটিস হাসপাতালে বসবাস করছিল।

ভুল চিকিৎসা দেওয়া এবং চিকিৎসক হিসেবে কোনও অনুমোদিত কাগজপত্র না থাকায় তাকে বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া সে যেই হাসপাতালে ছিল সেখানে সতর্ক করা হয়েছে এবং মুচলেকাও নেওয়া হয়েছে।
সুএঃ বার্তা বাজার

1 2 3 6