নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের অন্যতম অনলাইন পোর্টাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এ এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের বিনিয়োগে মানি লন্ডারিং আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তদন্ত কমিটি। মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধিমালা লঙ্ঘন করে জনগণের অর্থ রুগ্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি ও প্রতারণার মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
বিএসইসির তদন্ত কমিটি এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি বিডিনিউজে বিনিয়োগ করা ছয়টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অর্থ দ্রুত ফেরত আনার সুপারিশ করেছে। তারা বলছে, আর্থিকভাবে ধুঁকতে থাকা বিডিনিউজের শেয়ারের দাম মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে ১২ হাজার ৪০০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এটি পুরোপুরি উদ্দেশ্যমূলক। এমন অবস্থায় মিউচ্যুয়াল ফান্ডের টাকা এলআর গ্লোবালের ব্যবস্থাপনায় থাকা আর নিরাপদ নয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা বদল হয় ২০০৬ সালে। প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচাতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেন এডিএন টেলিকমের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ মাহমুদ। ২০১৯ সালের মে মাসে আসিফ মাহমুদ নিজের হাতে থাকা ৮০ হাজার শেয়ার ৮০ লাখ টাকায় (প্রতি শেয়ারের দাম ১০০ টাকা) তৌফিক ইমরোজ খালিদীর কাছে বিক্রি করে প্রতিষ্ঠান থেকে সরে দাঁড়ান। ফলে আগের ২০ হাজার শেয়ারসহ মোট ১ লাখ শেয়ারের পুরোটার মালিকানা চলে যায় তৌফিক ইমরোজ খালিদীর কাছে।
এরপর তৌফিক ইমরোজ খালিদী তার নামে থাকা কোম্পানির ২০ হাজার শেয়ার ২৫ কোটি টাকায় এবং আরও ২০ হাজার নতুন শেয়ার ইস্যু করে ২৫ কোটি টাকায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা (সিআইও) রিয়াজ ইসলামের কাছে বিক্রি করেন। তিন মাস আগের হিসাবে শেয়ারপ্রতি ১০০ টাকা হিসেবে ৪০ হাজার শেয়ারের দাম ৪০ লাখ টাকা হওয়ার কথা থাকলেও সেগুলো বিক্রি হয়েছে ৫০ কোটি টাকায়। এ ক্ষেত্রে ১২ হাজার ৪০০ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ার বিক্রি করা হয় ১২ হাজার ৫০০ টাকায়।
এ বিষয়ে গত বছরের শেষ দিকে বিএসইসির একটি তদন্ত প্রতিবেদনের অনুলিপি পেয়েছে নিউজবাংলা। বিএসইসির তিনজন উপপরিচালক মোহাম্মদ এমদাদুল হক, মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান ও এএসএম মাহমুদুল হাসানকে নিয়ে গঠিত এ তদন্ত কমিটি বিএসইসি চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেয় ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর।
বিএসইসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিডিনিউজের ৮০ শতাংশ শেয়ারের মালিক ছিলেন আসিফ মাহমুদ, বাকি ২০ শতাংশ ছিল তৌফিক ইমরোজ খালিদীর। প্রতিষ্ঠানটি ক্রমাগত লোকসানে থাকায় একপর্যায়ে আসিফ মাহমুদ তার তার পুরো শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন।
এ সময় ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলমকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পদ মূল্যায়ন করে দেয়ার অনুরোধ করা হয়। দিদারুল আলম তখন সম্পদ মূল্যায়নের একটি খসড়া প্রতিবেদন তৈরি করে তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে পাঠান, যেখানে কোনো চুক্তি, মূল্যায়ন ফি এবং সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তের স্বাক্ষর ছিল না।
তদন্ত প্রতিবেদনে এ বিষয়ে দিদারুলকে উদ্ধৃত করা বলা হয়, কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তির আগে সম্পদ মূল্যায়নের এ ধরনের খসড়া প্রতিবেদন তৈরি করা খুব সাধারণ একটি ঘটনা। বিডিনিউজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধেসরল বিশ্বাসে’ এ ধরনেরই একটি খসড়া পাঠানো হয়েছিল। কোনো ধরনের স্বাক্ষর ছাড়া পাঠানো ওই খসড়াটির উদ্দেশ্য ছিল, বিডিনিউজের সঙ্গে সম্পদ মূল্যায়নের আনুষ্ঠানিক চুক্তি করা। কিন্তু তৌফিক ইমরোজ খালিদী সেই খসড়া দেখিয়েই এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামের কাছে ১২ হাজার ৪০০ শতাংশ বেশি দামে শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেন।
বিএসইসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র-অভিবাসী রিয়াজ ইসলাম সেখানেই পরিবারের সঙ্গে থাকেন। তিনি এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা। রিয়াজ ইসলাম ২০১৯ সালে ১০ সেপ্টেম্বর তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বাসায় যান। সেখানে বিডিনিউজে রিয়াজের বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়।
পরে রিয়াজ ইসলাম ৫০ কোটি টাকায় ৪০ হাজার শেয়ার কেনেন। যেখানে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর ছিল ২০ হাজার শেয়ার এবং নতুন ইস্যু করা হয় আরও ২০ হাজার শেয়ার। এ-সংক্রান্ত খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির
নিজস্ব তহবিল’ থেকে ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের খবরে ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর জরুরিভিত্তিতে বিএসইসির ৭০০তম কমিশন সভা আহ্বান করা হয়। সেই সভা থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশকে বিনিয়োগ-সম্পর্কিত সমস্ত দলিল উপস্থাপন করার নির্দেশ দেয়া হয়।
এরই মধ্যে ২০১৯ সালের ২৯ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন বিএসইসিকে একটি চিঠি দিয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর সম্পদের সঙ্গে সংগতিহীন বিপুল আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তথ্য জানতে চায়। বিএসইসি এরপর দুদকে পাঠানো চিঠিতে জানায়, বিষয়টি নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় তদন্ত কার্যক্রম চলছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এলআর গ্লোবাল এর আগেও ২০১৪ সালে আরেকটি প্রতিষ্ঠানে ৪৮ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা বিধিবহির্ভূতভাবে বিনিয়োগ করে। বিষয়টি নিয়ে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে কমিশনের ৫৩৯তম সভায় আলোচনার পর এলআর গ্লোবালকে জরিমানা করা হয়। এলআর গ্লোবাল জরিমানার ১৫ শতাংশ পরিশোধের পাশাপাশি উচ্চ আদালতে রিট করে, যা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
বিডিনিউজে এলআর গ্লোবালের বিনিয়োগ করা ৫০ কোটি টাকার প্রায় পুরোটাই এসেছে তাদের নিয়ন্ত্রিত ছয়টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড থেকে। পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোনো প্রতিষ্ঠানে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের পাবলিক মানি এভাবে বিনিয়োগের মাধ্যমে সিকিউরিটি ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ড) বিধিমালা, ২০০১-এর ৫৬ বিধির পরিষ্কার লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।
১০ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিডিনিউজে এলআর গ্লোমানি লন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে বিডিনিউজে এলআর গ্লোবালের বিনিয়োগ: বিএসইসি তদন্ত কমিটি
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের অন্যতম অনলাইন পোর্টাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এ এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের বিনিয়োগে মানি লন্ডারিং আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তদন্ত কমিটি। মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধিমালা লঙ্ঘন করে জনগণের অর্থ রুগ্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি ও প্রতারণার মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
বিএসইসির তদন্ত কমিটি এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি বিডিনিউজে বিনিয়োগ করা ছয়টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অর্থ দ্রুত ফেরত আনার সুপারিশ করেছে। তারা বলছে, আর্থিকভাবে ধুঁকতে থাকা বিডিনিউজের শেয়ারের দাম মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে ১২ হাজার ৪০০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এটি পুরোপুরি উদ্দেশ্যমূলক। এমন অবস্থায় মিউচ্যুয়াল ফান্ডের টাকা এলআর গ্লোবালের ব্যবস্থাপনায় থাকা আর নিরাপদ নয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা বদল হয় ২০০৬ সালে। প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচাতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেন এডিএন টেলিকমের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ মাহমুদ। ২০১৯ সালের মে মাসে আসিফ মাহমুদ নিজের হাতে থাকা ৮০ হাজার শেয়ার ৮০ লাখ টাকায় (প্রতি শেয়ারের দাম ১০০ টাকা) তৌফিক ইমরোজ খালিদীর কাছে বিক্রি করে প্রতিষ্ঠান থেকে সরে দাঁড়ান। ফলে আগের ২০ হাজার শেয়ারসহ মোট ১ লাখ শেয়ারের পুরোটার মালিকানা চলে যায় তৌফিক ইমরোজ খালিদীর কাছে।
এরপর তৌফিক ইমরোজ খালিদী তার নামে থাকা কোম্পানির ২০ হাজার শেয়ার ২৫ কোটি টাকায় এবং আরও ২০ হাজার নতুন শেয়ার ইস্যু করে ২৫ কোটি টাকায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা (সিআইও) রিয়াজ ইসলামের কাছে বিক্রি করেন। তিন মাস আগের হিসাবে শেয়ারপ্রতি ১০০ টাকা হিসেবে ৪০ হাজার শেয়ারের দাম ৪০ লাখ টাকা হওয়ার কথা থাকলেও সেগুলো বিক্রি হয়েছে ৫০ কোটি টাকায়। এ ক্ষেত্রে ১২ হাজার ৪০০ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ার বিক্রি করা হয় ১২ হাজার ৫০০ টাকায়।
এ বিষয়ে গত বছরের শেষ দিকে বিএসইসির একটি তদন্ত প্রতিবেদনের অনুলিপি পেয়েছে নিউজবাংলা। বিএসইসির তিনজন উপপরিচালক মোহাম্মদ এমদাদুল হক, মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান ও এএসএম মাহমুদুল হাসানকে নিয়ে গঠিত এ তদন্ত কমিটি বিএসইসি চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেয় ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর।
বিএসইসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিডিনিউজের ৮০ শতাংশ শেয়ারের মালিক ছিলেন আসিফ মাহমুদ, বাকি ২০ শতাংশ ছিল তৌফিক ইমরোজ খালিদীর। প্রতিষ্ঠানটি ক্রমাগত লোকসানে থাকায় একপর্যায়ে আসিফ মাহমুদ তার তার পুরো শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন।
এ সময় ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলমকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পদ মূল্যায়ন করে দেয়ার অনুরোধ করা হয়। দিদারুল আলম তখন সম্পদ মূল্যায়নের একটি খসড়া প্রতিবেদন তৈরি করে তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে পাঠান, যেখানে কোনো চুক্তি, মূল্যায়ন ফি এবং সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তের স্বাক্ষর ছিল না।
তদন্ত প্রতিবেদনে এ বিষয়ে দিদারুলকে উদ্ধৃত করা বলা হয়, কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তির আগে সম্পদ মূল্যায়নের এ ধরনের খসড়া প্রতিবেদন তৈরি করা খুব সাধারণ একটি ঘটনা। বিডিনিউজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধেসরল বিশ্বাসে’ এ ধরনেরই একটি খসড়া পাঠানো হয়েছিল। কোনো ধরনের স্বাক্ষর ছাড়া পাঠানো ওই খসড়াটির উদ্দেশ্য ছিল, বিডিনিউজের সঙ্গে সম্পদ মূল্যায়নের আনুষ্ঠানিক চুক্তি করা। কিন্তু তৌফিক ইমরোজ খালিদী সেই খসড়া দেখিয়েই এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামের কাছে ১২ হাজার ৪০০ শতাংশ বেশি দামে শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেন।
বিএসইসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র-অভিবাসী রিয়াজ ইসলাম সেখানেই পরিবারের সঙ্গে থাকেন। তিনি এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা। রিয়াজ ইসলাম ২০১৯ সালে ১০ সেপ্টেম্বর তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বাসায় যান। সেখানে বিডিনিউজে রিয়াজের বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়।
পরে রিয়াজ ইসলাম ৫০ কোটি টাকায় ৪০ হাজার শেয়ার কেনেন। যেখানে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর ছিল ২০ হাজার শেয়ার এবং নতুন ইস্যু করা হয় আরও ২০ হাজার শেয়ার। এ-সংক্রান্ত খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির
নিজস্ব তহবিল’ থেকে ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের খবরে ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর জরুরিভিত্তিতে বিএসইসির ৭০০তম কমিশন সভা আহ্বান করা হয়। সেই সভা থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশকে বিনিয়োগ-সম্পর্কিত সমস্ত দলিল উপস্থাপন করার নির্দেশ দেয়া হয়।
এরই মধ্যে ২০১৯ সালের ২৯ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন বিএসইসিকে একটি চিঠি দিয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর সম্পদের সঙ্গে সংগতিহীন বিপুল আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তথ্য জানতে চায়। বিএসইসি এরপর দুদকে পাঠানো চিঠিতে জানায়, বিষয়টি নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় তদন্ত কার্যক্রম চলছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এলআর গ্লোবাল এর আগেও ২০১৪ সালে আরেকটি প্রতিষ্ঠানে ৪৮ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা বিধিবহির্ভূতভাবে বিনিয়োগ করে। বিষয়টি নিয়ে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে কমিশনের ৫৩৯তম সভায় আলোচনার পর এলআর গ্লোবালকে জরিমানা করা হয়। এলআর গ্লোবাল জরিমানার ১৫ শতাংশ পরিশোধের পাশাপাশি উচ্চ আদালতে রিট করে, যা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
বিডিনিউজে এলআর গ্লোবালের বিনিয়োগ করা ৫০ কোটি টাকার প্রায় পুরোটাই এসেছে তাদের নিয়ন্ত্রিত ছয়টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড থেকে। পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোনো প্রতিষ্ঠানে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের পাবলিক মানি এভাবে বিনিয়োগের মাধ্যমে সিকিউরিটি ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ড) বিধিমালা, ২০০১-এর ৫৬ বিধির পরিষ্কার লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।
১০ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিডিনিউজে এলআর গ্লোমানি লন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে বিডিনিউজে এলআর গ্লোবালের বিনিয়োগ: বিএসইসি তদন্ত কমিটি
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের অন্যতম অনলাইন পোর্টাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এ এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের বিনিয়োগে মানি লন্ডারিং আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তদন্ত কমিটি। মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধিমালা লঙ্ঘন করে জনগণের অর্থ রুগ্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি ও প্রতারণার মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
বিএসইসির তদন্ত কমিটি এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি বিডিনিউজে বিনিয়োগ করা ছয়টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অর্থ দ্রুত ফেরত আনার সুপারিশ করেছে। তারা বলছে, আর্থিকভাবে ধুঁকতে থাকা বিডিনিউজের শেয়ারের দাম মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে ১২ হাজার ৪০০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এটি পুরোপুরি উদ্দেশ্যমূলক। এমন অবস্থায় মিউচ্যুয়াল ফান্ডের টাকা এলআর গ্লোবালের ব্যবস্থাপনায় থাকা আর নিরাপদ নয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা বদল হয় ২০০৬ সালে। প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচাতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেন এডিএন টেলিকমের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ মাহমুদ। ২০১৯ সালের মে মাসে আসিফ মাহমুদ নিজের হাতে থাকা ৮০ হাজার শেয়ার ৮০ লাখ টাকায় (প্রতি শেয়ারের দাম ১০০ টাকা) তৌফিক ইমরোজ খালিদীর কাছে বিক্রি করে প্রতিষ্ঠান থেকে সরে দাঁড়ান। ফলে আগের ২০ হাজার শেয়ারসহ মোট ১ লাখ শেয়ারের পুরোটার মালিকানা চলে যায় তৌফিক ইমরোজ খালিদীর কাছে।
এরপর তৌফিক ইমরোজ খালিদী তার নামে থাকা কোম্পানির ২০ হাজার শেয়ার ২৫ কোটি টাকায় এবং আরও ২০ হাজার নতুন শেয়ার ইস্যু করে ২৫ কোটি টাকায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা (সিআইও) রিয়াজ ইসলামের কাছে বিক্রি করেন। তিন মাস আগের হিসাবে শেয়ারপ্রতি ১০০ টাকা হিসেবে ৪০ হাজার শেয়ারের দাম ৪০ লাখ টাকা হওয়ার কথা থাকলেও সেগুলো বিক্রি হয়েছে ৫০ কোটি টাকায়। এ ক্ষেত্রে ১২ হাজার ৪০০ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ার বিক্রি করা হয় ১২ হাজার ৫০০ টাকায়।
এ বিষয়ে গত বছরের শেষ দিকে বিএসইসির একটি তদন্ত প্রতিবেদনের অনুলিপি পেয়েছে নিউজবাংলা। বিএসইসির তিনজন উপপরিচালক মোহাম্মদ এমদাদুল হক, মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান ও এএসএম মাহমুদুল হাসানকে নিয়ে গঠিত এ তদন্ত কমিটি বিএসইসি চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেয় ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর।
বিএসইসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিডিনিউজের ৮০ শতাংশ শেয়ারের মালিক ছিলেন আসিফ মাহমুদ, বাকি ২০ শতাংশ ছিল তৌফিক ইমরোজ খালিদীর। প্রতিষ্ঠানটি ক্রমাগত লোকসানে থাকায় একপর্যায়ে আসিফ মাহমুদ তার তার পুরো শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন।
এ সময় ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলমকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পদ মূল্যায়ন করে দেয়ার অনুরোধ করা হয়। দিদারুল আলম তখন সম্পদ মূল্যায়নের একটি খসড়া প্রতিবেদন তৈরি করে তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে পাঠান, যেখানে কোনো চুক্তি, মূল্যায়ন ফি এবং সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তের স্বাক্ষর ছিল না।
তদন্ত প্রতিবেদনে এ বিষয়ে দিদারুলকে উদ্ধৃত করা বলা হয়, কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তির আগে সম্পদ মূল্যায়নের এ ধরনের খসড়া প্রতিবেদন তৈরি করা খুব সাধারণ একটি ঘটনা। বিডিনিউজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধেসরল বিশ্বাসে’ এ ধরনেরই একটি খসড়া পাঠানো হয়েছিল। কোনো ধরনের স্বাক্ষর ছাড়া পাঠানো ওই খসড়াটির উদ্দেশ্য ছিল, বিডিনিউজের সঙ্গে সম্পদ মূল্যায়নের আনুষ্ঠানিক চুক্তি করা। কিন্তু তৌফিক ইমরোজ খালিদী সেই খসড়া দেখিয়েই এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামের কাছে ১২ হাজার ৪০০ শতাংশ বেশি দামে শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেন।
বিএসইসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র-অভিবাসী রিয়াজ ইসলাম সেখানেই পরিবারের সঙ্গে থাকেন। তিনি এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা। রিয়াজ ইসলাম ২০১৯ সালে ১০ সেপ্টেম্বর তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বাসায় যান। সেখানে বিডিনিউজে রিয়াজের বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়।
পরে রিয়াজ ইসলাম ৫০ কোটি টাকায় ৪০ হাজার শেয়ার কেনেন। যেখানে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর ছিল ২০ হাজার শেয়ার এবং নতুন ইস্যু করা হয় আরও ২০ হাজার শেয়ার। এ-সংক্রান্ত খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির
নিজস্ব তহবিল’ থেকে ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের খবরে ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর জরুরিভিত্তিতে বিএসইসির ৭০০তম কমিশন সভা আহ্বান করা হয়। সেই সভা থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশকে বিনিয়োগ-সম্পর্কিত সমস্ত দলিল উপস্থাপন করার নির্দেশ দেয়া হয়।
এরই মধ্যে ২০১৯ সালের ২৯ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন বিএসইসিকে একটি চিঠি দিয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর সম্পদের সঙ্গে সংগতিহীন বিপুল আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তথ্য জানতে চায়। বিএসইসি এরপর দুদকে পাঠানো চিঠিতে জানায়, বিষয়টি নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় তদন্ত কার্যক্রম চলছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এলআর গ্লোবাল এর আগেও ২০১৪ সালে আরেকটি প্রতিষ্ঠানে ৪৮ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা বিধিবহির্ভূতভাবে বিনিয়োগ করে। বিষয়টি নিয়ে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে কমিশনের ৫৩৯তম সভায় আলোচনার পর এলআর গ্লোবালকে জরিমানা করা হয়। এলআর গ্লোবাল জরিমানার ১৫ শতাংশ পরিশোধের পাশাপাশি উচ্চ আদালতে রিট করে, যা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
বিডিনিউজে এলআর গ্লোবালের বিনিয়োগ করা ৫০ কোটি টাকার প্রায় পুরোটাই এসেছে তাদের নিয়ন্ত্রিত ছয়টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড থেকে। পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোনো প্রতিষ্ঠানে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের পাবলিক মানি এভাবে বিনিয়োগের মাধ্যমে সিকিউরিটি ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ড) বিধিমালা, ২০০১-এর ৫৬ বিধির পরিষ্কার লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।
১০ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিডিনিউজে এলআর গ্লোমানি লন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে বিডিনিউজে এলআর গ্লোবালের বিনিয়োগ: বিএসইসি তদন্ত কমিটি
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের অন্যতম অনলাইন পোর্টাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এ এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের বিনিয়োগে মানি লন্ডারিং আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তদন্ত কমিটি। মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধিমালা লঙ্ঘন করে জনগণের অর্থ রুগ্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি ও প্রতারণার মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
বিএসইসির তদন্ত কমিটি এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি বিডিনিউজে বিনিয়োগ করা ছয়টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অর্থ দ্রুত ফেরত আনার সুপারিশ করেছে। তারা বলছে, আর্থিকভাবে ধুঁকতে থাকা বিডিনিউজের শেয়ারের দাম মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে ১২ হাজার ৪০০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এটি পুরোপুরি উদ্দেশ্যমূলক। এমন অবস্থায় মিউচ্যুয়াল ফান্ডের টাকা এলআর গ্লোবালের ব্যবস্থাপনায় থাকা আর নিরাপদ নয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা বদল হয় ২০০৬ সালে। প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচাতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেন এডিএন টেলিকমের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ মাহমুদ। ২০১৯ সালের মে মাসে আসিফ মাহমুদ নিজের হাতে থাকা ৮০ হাজার শেয়ার ৮০ লাখ টাকায় (প্রতি শেয়ারের দাম ১০০ টাকা) তৌফিক ইমরোজ খালিদীর কাছে বিক্রি করে প্রতিষ্ঠান থেকে সরে দাঁড়ান। ফলে আগের ২০ হাজার শেয়ারসহ মোট ১ লাখ শেয়ারের পুরোটার মালিকানা চলে যায় তৌফিক ইমরোজ খালিদীর কাছে।
এরপর তৌফিক ইমরোজ খালিদী তার নামে থাকা কোম্পানির ২০ হাজার শেয়ার ২৫ কোটি টাকায় এবং আরও ২০ হাজার নতুন শেয়ার ইস্যু করে ২৫ কোটি টাকায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা (সিআইও) রিয়াজ ইসলামের কাছে বিক্রি করেন। তিন মাস আগের হিসাবে শেয়ারপ্রতি ১০০ টাকা হিসেবে ৪০ হাজার শেয়ারের দাম ৪০ লাখ টাকা হওয়ার কথা থাকলেও সেগুলো বিক্রি হয়েছে ৫০ কোটি টাকায়। এ ক্ষেত্রে ১২ হাজার ৪০০ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ার বিক্রি করা হয় ১২ হাজার ৫০০ টাকায়।
এ বিষয়ে গত বছরের শেষ দিকে বিএসইসির একটি তদন্ত প্রতিবেদনের অনুলিপি পেয়েছে নিউজবাংলা। বিএসইসির তিনজন উপপরিচালক মোহাম্মদ এমদাদুল হক, মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান ও এএসএম মাহমুদুল হাসানকে নিয়ে গঠিত এ তদন্ত কমিটি বিএসইসি চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেয় ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর।
বিএসইসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিডিনিউজের ৮০ শতাংশ শেয়ারের মালিক ছিলেন আসিফ মাহমুদ, বাকি ২০ শতাংশ ছিল তৌফিক ইমরোজ খালিদীর। প্রতিষ্ঠানটি ক্রমাগত লোকসানে থাকায় একপর্যায়ে আসিফ মাহমুদ তার তার পুরো শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন।
এ সময় ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলমকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পদ মূল্যায়ন করে দেয়ার অনুরোধ করা হয়। দিদারুল আলম তখন সম্পদ মূল্যায়নের একটি খসড়া প্রতিবেদন তৈরি করে তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে পাঠান, যেখানে কোনো চুক্তি, মূল্যায়ন ফি এবং সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তের স্বাক্ষর ছিল না।
তদন্ত প্রতিবেদনে এ বিষয়ে দিদারুলকে উদ্ধৃত করা বলা হয়, কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তির আগে সম্পদ মূল্যায়নের এ ধরনের খসড়া প্রতিবেদন তৈরি করা খুব সাধারণ একটি ঘটনা। বিডিনিউজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধেসরল বিশ্বাসে’ এ ধরনেরই একটি খসড়া পাঠানো হয়েছিল। কোনো ধরনের স্বাক্ষর ছাড়া পাঠানো ওই খসড়াটির উদ্দেশ্য ছিল, বিডিনিউজের সঙ্গে সম্পদ মূল্যায়নের আনুষ্ঠানিক চুক্তি করা। কিন্তু তৌফিক ইমরোজ খালিদী সেই খসড়া দেখিয়েই এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামের কাছে ১২ হাজার ৪০০ শতাংশ বেশি দামে শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেন।
বিএসইসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র-অভিবাসী রিয়াজ ইসলাম সেখানেই পরিবারের সঙ্গে থাকেন। তিনি এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা। রিয়াজ ইসলাম ২০১৯ সালে ১০ সেপ্টেম্বর তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বাসায় যান। সেখানে বিডিনিউজে রিয়াজের বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়।
পরে রিয়াজ ইসলাম ৫০ কোটি টাকায় ৪০ হাজার শেয়ার কেনেন। যেখানে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর ছিল ২০ হাজার শেয়ার এবং নতুন ইস্যু করা হয় আরও ২০ হাজার শেয়ার। এ-সংক্রান্ত খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির
নিজস্ব তহবিল’ থেকে ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের খবরে ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর জরুরিভিত্তিতে বিএসইসির ৭০০তম কমিশন সভা আহ্বান করা হয়। সেই সভা থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশকে বিনিয়োগ-সম্পর্কিত সমস্ত দলিল উপস্থাপন করার নির্দেশ দেয়া হয়।
এরই মধ্যে ২০১৯ সালের ২৯ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন বিএসইসিকে একটি চিঠি দিয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর সম্পদের সঙ্গে সংগতিহীন বিপুল আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তথ্য জানতে চায়। বিএসইসি এরপর দুদকে পাঠানো চিঠিতে জানায়, বিষয়টি নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় তদন্ত কার্যক্রম চলছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এলআর গ্লোবাল এর আগেও ২০১৪ সালে আরেকটি প্রতিষ্ঠানে ৪৮ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা বিধিবহির্ভূতভাবে বিনিয়োগ করে। বিষয়টি নিয়ে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে কমিশনের ৫৩৯তম সভায় আলোচনার পর এলআর গ্লোবালকে জরিমানা করা হয়। এলআর গ্লোবাল জরিমানার ১৫ শতাংশ পরিশোধের পাশাপাশি উচ্চ আদালতে রিট করে, যা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
বিডিনিউজে এলআর গ্লোবালের বিনিয়োগ করা ৫০ কোটি টাকার প্রায় পুরোটাই এসেছে তাদের নিয়ন্ত্রিত ছয়টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড থেকে। পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোনো প্রতিষ্ঠানে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের পাবলিক মানি এভাবে বিনিয়োগের মাধ্যমে সিকিউরিটি ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ড) বিধিমালা, ২০০১-এর ৫৬ বিধির পরিষ্কার লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।
১০ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিডিনিউজে এলআর গ্লোবালের নিজস্ব বিনিয়োগ মাত্র ১ কোটি টাকা।বালের নিজস্ব বিনিয়োগ মাত্র ১ কোটি টাকা।বালের নিজস্ব বিনিয়োগ মাত্র ১ কোটি টাকা।বালের নিজস্ব বিনিয়োগ মাত্র ১ কোটি টাকা।