রামুতে শেখ রাসেল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের পঞ্চম ম্যাচে পাতাবাড়ীকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে সম্প্রীতি কচ্ছপিয়া


খালেদ শহীদ, রামু :

রামুতে শেখ রাসেল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের পঞ্চম ম্যাচে মরিচ্যা পাড়াবাড়ী ফুটবল একাডেমীকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা নিশ্চিত করেছে, রামু’র সম্প্রীতি কচ্ছপিয়া একাদশ। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) অনুষ্ঠিত খেলায় রামু’র ‘সম্প্রীতি কচ্ছপিয়া একাদশে’র কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয় মরিচ্যা’র ‘পাড়াবাড়ী ফুটবল একাডেমী’। খেলায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন, সম্প্রীতি কচ্ছপিয়া একাদশের রাশেদ (৯নং জার্সি)। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে রামুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শেখ রাসেল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট। রামু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শেখ রাসেল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট ২০২১ এর প্রধান পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছেন, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল।

মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় রামু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শেখ রাসেল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের পঞ্চম দিনের খেলায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন, রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন কোম্পানী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ইডিসি আর ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ড. নাছির উদ্দিন। শেখ রাসেল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট ২০২১ পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি মো. নবু আলম এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। শেখ রাসেল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিদ্দিক আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক সুপন বড়ুয়া শিপন জানান, কক্সবাজার জেলার ১৬টি ফুটবল দল এ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করছে। রামুর সাবেক ও বর্তমান ফুটবল খেলোয়াড়দের সার্বিকভাবে পরিচালনায় এই টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

খেলার নির্ধারিত সময়ের প্রথমার্ধের খেলা গোল শূণ্যভাবে শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধের ২ মিনিটে রামু’র সম্প্রীতি কচ্ছপিয়া একাদশে’র শিবু (১১নং জার্সি) গোল করে দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে নেয়। গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে উঠে, মরিচ্যা’র ‘পাড়াবাড়ী ফুটবল একাডেমী’। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের এ খেলায় উভয় দলের খেলোয়াড়রা বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ পেয়েও আর কোন গোল করতে পারেনি। এতে খেলা ১-০ তে শেষ হয়। এ খেলায় জয় নিয়ে রামু’র ‘সম্প্রীতি কচ্ছপিয়া একাদশ কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। উভয় দলের খেলোয়াড়দের আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ খেলা দর্শকদের আন্দোলিত করেছে। খেলা পরিচালনায় আবুল কাশেম রেফারী, মো. আনিসুল হক, মনজুর আলম ও মো. ইসমাইল সহকারি রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, সুশান্ত পাল বাচ্চু। খেলায় ধারাভাষ্যে ছিলেন, বেলাল আজম হেলালী।

রামু’র সম্প্রীতি কচ্ছপিয়া একাদশ : সাদেক (গোলরক্ষক), বেলাল (অধিনায়ক), জিয়া, শিবু, নুরুল ইসলাম, ইমন, ফারুক, সোহরাব, বেলাল, রাশেদ, জামশেদ, রিপন। দলে অতিরিক্ত খেলোয়াড় ছিলেন, হেলাল, আবছার, কাজল, মামুন, কামরুল, তাজু, মিছবাহ ।

মরিচ্যা’র পাতাবড়ী ফুটবল একাডেমী : তারেক (গোলরক্ষক), আবুল কালাম (অধিনায়ক), সৈয়দ করিম, মনির হোসাইন, মো. সোহেল, আবদুল্লাহ, বাহাদুর, হারুন, কামাল, বেলাল, সালাউদ্দিন। দলে অতিরিক্ত খেলোয়াড় ছিলেন, আবুল কালাম-২, আবুল কালাম-৩, সোহেল সিকদার।

আজ (২৪ মার্চ) বুধবার রামু ষ্টেডিয়ামে শেখ রাসেল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেণ্টের ষষ্ঠ দিনে ‘কুতুবদিয়া ক্রীড়া পরিষদ’ বনাম ‘যুব একাদশ, রামু’র খেলা অনুষ্ঠিত হবে।

মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে মোদির অংশ নেয়ার বিরোধিতা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, মোদির বিরোধিতা করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, এমন কোনো কর্মসূচিতে তারা যাবেন না। আগামী ২৬ মার্চ ঢাকাসহ দেশের সব জেলা, মহানগর, উপজেলা ও ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলনের পতাকা র‍্যালি করবে বলে জানান তিনি। সেদিন মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দেওয়া হবে বলেও জানান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির।

 

মঙ্গলবার দুপুরে  রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম এ কথা বলেন।

 

নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমন্ত্রিত হওয়ার নৈতিক যোগ্যতা রাখেন না জানিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, মেহমানকে আপ্যায়ন করা ইসলামের রীতি। এমনকি সে যদি আপন পিতার হত্যাকারীও হয় তবুও। এটা ইসলামের সৌন্দর্য্য। সে হিসেবে বাংলাদেশে আমন্ত্রিত সকল বিদেশি মেহমানদের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ স্বাগত জানায়। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিষয়টি আলাদা। তার সহিংস অতীত এবং ক্ষমতাগ্রহণের পরে ভারত জুড়ে তিনি যে ধর্মীয় সহিংসতা উস্কে দিয়েছেন, তাতে বাংলাদেশে তাকে স্বাগত জানানোর মতো কোনো পরিবেশ নেই। তাই আমরা শান্তিপুর্ণভাবে প্রতিাবদ করবো।

 

বাংলাদেশর অবস্থান বৈশ্বিক সব নেতিবাচক সূচকের শীর্ষে আর ইতিবাচকে তলানিতে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এটাই বর্তমান বাস্তবতা, যা কখনোই কাম্য ছিল না।

 

স্বাধীনতার ৫০তম বছরে এসেও বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার পায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, আজও সরকার পরিচালনায় জনমতকে বুটের তলায় পিষে ফেলা হয়। বিগত জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার যা করেছে, তাতে স্বাধীনতার মর্ম বিচ্যুত হয়েছে। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার মহড়া শুরু করেছে।

 

তিনি আরও বলেন, যে জাতি মাত্র ৯ মাসে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, সে জাতিকে কেন ৫০টি বছর দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের দেশের সীমানায় আটকে থাকতে হলো? কেন বাংলাদেশ উন্নত দেশ না হয়ে উন্নয়নশীল দেশ হচ্ছে? জরিপ বলছে, দেশে অতি-গরীব মানুষের সংখ্যা পৌনে ২ কোটি; ১০ ভাগ ধনী মানুষের আয় দেশের মোট সম্পদের ৩৮ ভাগ, আর ১০ ভাগ গরীব মানুষের আয় দেশের মোট সম্পদের ১ ভাগেরও কম।

 

ইকোনোমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের করা গণতান্ত্রিক সূচকে বাংলাদেশ ৮৮তম, মানব সম্পদ সূচকে ১২৩ তম, মানব উন্নয়ন সূচকে ১৩৫ তম, বিশ্ব ব্যাংকের বানিজ্য সহজিকরণ সূচকে ১৬৮ তম, দূষিত বায়ুর সূচকে ১ম, দূর্নীতিতে ১৪ তম, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে ১৫১ তম।

 

সুনামগঞ্জের সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলার বিষয়ে তিনি বলেন ,কথিত সাম্প্রদায়িক হানাহানির প্রত্যেকটি ঘটনায় কিছু মিডিয়াতে প্রচুর পরিমানে তথ্য বিকৃতির ঘটনা ঘটে এবং প্রতিবারই ইসলামপন্থীদের ওপরে দায় চাপিয়ে স্বার্থান্বেষীরা স্বার্থ হাসিল করতে চায়। শাল্লাতেও একই নাটকের পুনরাবৃত্তি হয়েছে। অনতিবিলম্বে কায়েমী স্বার্থবাদী বলয়ের বাইরের উলামায়ে কেরাম, সংখ্যালঘু প্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের নাগরিকদের নিয়ে একটি নাগরিক তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার পেছনের স্বার্থান্বেষী অশুভচক্রকে খুঁজে বের করে শাস্তির মুখোমুখী করুন। অন্যথায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এমন একটি গণ-নাগরিক তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রকৃত অপরাধীদের সামাজিক বিচারের মুখোমুখী করবে, ইনশাআল্লাহ।

 

সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমদ, আমিরের রাজনৈতিক উপদেষ্টা আশরাফ আলী আকন্দসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি; জনগনের নাভিশ্বাস।

রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা পুরনো। পবিত্র এ মাসে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় সিন্ডিকেট করে প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর দাম বাড়িয়ে দেন। তবে এবার রমজান আসার পূর্বেই নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির হতে শুরু করেছে। দেশে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এমনিতেই মানুষের আয় কমেছে। এ অবস্থায় বেশ কিছু পণ্যের দাম নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এখনই অসাধু ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে রমজানে বাজারে আরো অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি হবে।

গতকাল সরজমিনে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রমজান না আসতেই প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর দাম বাড়তে শুরু করেছে। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও কারণ ছাড়াই চাহিদার ওপর ভিত্তি করে পণ্যের দাম বাড়ানো হয়।

যা ভোক্তাদের ওপর চরম জুলুম বলে মনে করছেন তারা।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, রমজানে প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে, চিনি, আটা, গুঁড়া দুধ, তেল,  পিয়াজ, বেগুন, খেজুর, শসা ও লেবুর দাম ইতিমধ্যেই চড়া হতে শুরু করেছে। বিক্রেতাদের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটার ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টিসিবির হিসেবে গত বছর এই সময়ে যার মূল্য ছিল ১০০ থেকে ১০৮ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে লিটারে বেড়েছে ২৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেল লিটার বর্তমানে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছর ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। বছরে বেড়েছে ৩৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে আরো ১-২ মাস আগে থেকেই ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে। এদিকে চড়া হতে শুরু করেছে চিনির দাম। বর্তমানে দেশি প্যাকেটজাত লাল চিনি ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সাদা চিনি ৭৫ টাকা। যা ৩ দিন আগেও ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ২ দশমিক ২২ শতাংশ। গত বছর এই সময়ে ছিল ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এ ছাড়া বাজারে খোলা চিনি কেজিতে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, ৩ দিন আগে যা ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে বিক্রেতারা জানান। বর্তমান বাজারে সব ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত আটা কেজিতে ৩৮ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা কিছুদিন আগে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ কেজিতে বেড়েছে ৩ টাকা। আটার ২ কেজির প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা। অন্যদিকে খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৩০ থেকে ৩২ টাকা। ওদিকে হঠাৎ করে বাজারে গুঁড়া দুধের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। কেজিতে অন্তত ৪০ টাকা বেড়েছে। বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে গুঁড়া দুধ কেজিতে ৬৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা ৩ দিন আগে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধির কারণে দেশের বাজারে বেড়েছে বলে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।

রমজানে প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে বেগুন অন্যতম। এ মাসে সবজিটির চাহিদা তুলনামূলক বেশি থাকে। কয়েকদিন সস্তায় বিক্রি হলেও ২ দিন ধরে চড়া হতে শুরু করেছে বেগুনের দাম। ২-৩ দিনের ব্যবধানে বেড়েছে কেজিতে ১০-১২ টাকা। খুচরা বাজারে বেগুন গতকাল ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা ২ দিন আগেও ছিল ২০-৩০ টাকা। কয়েকদিন আগে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া শসা এখন ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম চাওয়া হচ্ছে ৮০ টাকা পর্যন্ত। লেবু হালিপ্রতি ৫০ থেকে শুরু করে ৭০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। এক সপ্তাহ আগে মূল্য ছিল ৪০ টাকা।

ওদিকে এখনো কমেনি মুরগিসহ অন্যান্য মাংসের দাম। বরং ক্রমেই আরো ঊর্ধ্বমুখী। মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজারে সোনালি মুরগির দাম কেজিতে চাওয়া হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা। এক মাস আগেও যার মূল্য ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। দেশি কক মুরগি কয়েকদিন আগে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন যা ৫৫০ টাকা দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। এ ছাড়া ১ মাস আগে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। সাদা ব্রয়লার ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। এক মাস আগে যার মূল্য ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। ডালের দাম নতুন করে না বাড়লেও এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল দেখা যায়, দেশি ভালো মানের ডাল মানভেদে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা ডাল ৬৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ছোলার দাম না বাড়লেও বৃদ্ধির লক্ষণ রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। মানভেদে এখন কেজিতে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। অন্যদিকে চালের দামও কমার লক্ষণ নেই। বর্তমানে মিনিকেট দেশি চাল ৬৪ থেকে ৭০ টাকা এবং ভারতের মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রমজানে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য হলো খেজুর। ইফতারে খেজুর খান না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু দেখা গেছে খেজুরের দাম গত বছরের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা, যা গত বছর বিক্রি হয়েছে ৪৫০ টাকায়। গাছ পাকা মরিয়ম বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়, যা গত বছর বিক্রেতারা ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি করেছেন। আরব আমিরাতের ভালো মানের বরই খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়, যা গত বছর একই সময় বিক্রি হয়েছে ২৫০-৩০০ টাকায়।

রমজানে দাম বৃদ্ধির বিষয়ে মোহাম্মদপুর টাউনহলের মুদি দোকানি মোজাম্মেল হক বলেন, রমজান এলে কিছু পণ্যের দাম বাড়ে। এটা আমাদের দেশের একটা রীতি হয়ে গেছে। তবে এ ক্ষেত্রে তো আমাদের কিছু করার নেই। আমরা যে দামেই পণ্য কিনি সীমিত লাভে তা বিক্রি করতে হয়। অতিরিক্ত লাভ করেন বড় ব্যবসায়ীরা। তারা বিভিন্ন অজুহাতে পণ্যের দাম বাড়ানোর ফলে আমাদের ব্যবসা করতেও সমস্যায় পড়তে হয়। দাম বাড়লে কাস্টমারদের কাছে আমাদের জবাবদিহি করতে হয়।

কনসাস কনজুমার্স সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ মানবজমিনকে বলেন, পণ্যের দাম বাড়ার পেছনে সিন্ডিকেটকারীদের কারসাজি থাকে। রমজান এলেই পণ্যের দাম বাড়ানোর নতুন ট্রেন্ড চালু হয়েছে। এক সময় রমজানের মধ্যে পণ্যের দাম বাড়ানো হতো আর এখন রমজান আসার ১-২ মাস আগেই কৌশলে দাম বাড়ানো হয়। আবার রোজার সপ্তাহ খানেক আগে একটু কমানো হয়। দেখা যায় যে, বাড়ানো হয় ২০ শতাংশ আর সেই সময় কমানো হয় ৫ শতাংশ। যেন তারা বলতে পারে যে পণ্যের দাম কমেছে। এই ধরনের অপকৌশল ভোক্তাদের সঙ্গে ভয়াবহ প্রতারণার শামিল বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, এ অবস্থায় রমজানে যদি সিন্ডিকেট না ভাঙা যায় তবে বাজার আরো অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে। সেজন্য সরকারের যে সমস্ত সংস্থাগুলো আছে তাদের উচিত সিন্ডিকেটগুলো চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া। কিন্তু বরাবরই তাদের মধ্যে সেই সদিচ্ছা দেখা যায় না। অথবা যেকোনো কারণেই হোক তারা সিন্ডিকেট ভাঙতে পারে না। তারা যেন এই কাজগুলো করতে পারে সেজন্য সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের প্রতি আমরা দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

ফরিদপুর করিম জুট স্পিনার্সের পাটের গোডাউনে অগ্নিকান্ড

ফরিদপুর প্রতিনিধি।।    

ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের করিম জুট স্পিনার্সে এঘটনা ঘটে।অগ্নি কান্ডের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে অগ্নিকান্ডের সূত্র হয়। খবর পেয়ে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনা স্থলে আগুন নেভানোর কাজ করছেন। এ খবর লেখা পর্যন্ত সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিট আগুন জ্বলছিল। তবে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চলছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয় নি। দুপুরে খবর পেয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, সদর নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম রেজা, কানাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেনসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না। তবে মিল কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে বৈদুতিক সট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। মিলের দুটি গোডাউনের জুট শাখায় অগ্নি কান্ডের ঘটনা ঘটে।

রামুতে শেখ রাসেল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের তৃতীয় ম্যাচে নাপিতখালীর বাঁশকাটাকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পেকুয়া।

খালেদ শহীদ, রামু :

রামুতে শেখ রাসেল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের তৃতীয় দিনের খেলায় নাপিতখালী বাঁশকাটা ক্রীড়া সংস্থাকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছে পেকুয়া উপজেলা সদর ফুটবল একাডেমি। বিদেশী খেলোয়াড়ের সমন্বয়ে গড়া ‘পেকুয়া উপজেলা সদর ফুটবল একাডেমি’র কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হয়েছে নাপিতখালী ‘বাঁশকাটা ক্রীড়া সংস্থা’। খেলায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন, ‘পেকুয়া উপজেলা সদর ফুটবল একাডেমি’র রাশেদ (৯নং জার্সি)।

রবিবার (২১ মার্চ)  বিকাল ৪ টায় রামু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শেখ রাসেল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের তৃতীয় দিনের খেলায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন, ঢাকা মহানগর (উত্তর) জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজুল হক আজিজ। শেখ রাসেল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট ২০২১ পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি কিশোর বড়ুয়া এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, নওগাঁ জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ মামুন, কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন। রামুতে শেখ রাসেল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট ২০২১ পরিচালনায় সার্বিকভাবে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন, রামুর সাবেক ফুটবল খেলোয়াড়রা। জানালেন, শেখ রাসেল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিদ্দিক আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক সুপন বড়ুয়া শিপন।

খেলার নির্ধারিত সময়ের প্রথমার্ধের ৮ মিনিটে পেকুয়া উপজেলা সদর ফুটবল একাডেমি ১৯নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় পূর্ণ বড়ুয়া গোল করে দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে নেয়। দ্বিতীয়ার্ধের ৬ মিনিটে নাপিতখালী ‘বাঁশকাটা ক্রীড়া সংস্থা’র ৭নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় এতেশাম গোল দলকে ১-১ গোলের সমতায় ফিরিয়ে নিয়ে আসে। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে উভয় দল মরিয়া হয়ে উঠে গোল করতে। দ্বিতীয়ার্ধের ২১ মিনিটে পেকুয়া উপজেলা সদর ফুটবল একাডেমির বদলি খেলায়োড় রিদুয়ান (২২ নং জার্সি) দলকে ২-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে নেয়। এরপর উভয় দল কয়েকবার সুযোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয়। এ খেলায় জয় নিয়ে পেকুয়া উপজেলা সদর ফুটবল একাডেমি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা নিশ্চিত করে। উভয় দলের খেলোয়াড়দের আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ খেলা দর্শকদের আন্দোলিত করেছে।

খেলা পরিচালনায় শফিউল আলম রেফারী, আহমদ কবির, এরফান উদ্দিন ও ওমর ফারুক মাসুম সহকারি রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, সুশান্ত পাল বাচ্চু ও পুলক বড়ুয়া।

পেকুয়া উপজেলা সদর ফুটবল একাডেমি:

কুতুব উদ্দিন (গোলরক্ষক), সালাহ উদ্দীন, রাসেল, আমজাদ, ফোরকান, মহিব উল্লাহ, নেজাম, আবদুল্লাহ, পূর্ণ বড়ুয়া, দারুজ (বিদেশী খেলোয়াড়), রাশেদ। অতিরিক্ত খেলোয়াড় ছিলেন, রিদুয়ান, শাওন, রোকন, ফারুক, রিফাত, সোহাগ।

নাপিতখালী ‘বাঁশকাটা ক্রীড়া সংস্থা’:

জয়নাল (গোলরক্ষক), গিয়াস (অধিনায়ক), আজিম, আরফাত, মাজেদ, সিফাত, এতেশাম, জাহেদ, সাইফুল, হিমেল, রিপন। অতিরিক্ত খেলোয়াড় ছিলেন,  জাহিদ, নেজাম, জিহাদ, গিয়াস, রানা, আতিক।

আজ (২২ মার্চ) সোমবার রামু ষ্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে শেখ রাসেল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেণ্টের তৃতীয় দিনের খেলায় ‘কক্সবাজার সদর একাদশ’ মুখোমুখি হবে ‘উখিয়া ফুটবল একাডেমি’র সাথে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, ৯ হাজারের অধিক ঘর ভস্মীভূত, ৬ জনের লাশ উদ্ধার।

আনোয়ার সিকদার, কক্সবাজার;

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী ৮ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে জানা গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এ ঘটনায় ৯ হাজার মত ঘর পুড়ে গেছে। তবে তাৎক্ষণিক ভাবে ৬ জনের মৃত্যু তথ্য পাওয়া গেলেও শতাধিক মানুুষ আগুনে পুড়া গেছে বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে শিশু বেশি। তাছাড়া ২০০ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ঘর বাড়ি আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেছে বলে জানান পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব গফুর উদ্দিন চৌধুরী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসনের অতিরিক্ত কমিশনার মো. সামছুদ্দৌজা নয়ন।

২২ মার্চ সোমবার বেলা তিনটার দিকে শিবিরের একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে। সঙ্গে সঙ্গে আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে একের পর এক রোহিঙ্গা বসতি পুড়ে যায়।

উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের দলনেতা ইমদাদুল হক বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য চারটি ইউনিট কয়েক ঘণ্টা ধরে কাজ করে। রাত ১২ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে। আগুনের সূত্রপাত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কক্সবাজারের ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, পুলিশ, এপিবিএন, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার স্বেচ্ছাসেবক, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকেরা একযোগে আগুন নেভানোর কাজ করেছেন। এখন পর্যন্ত ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানা যায়নি। ৬ জনের মৃৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেলেও আরো হতাহত হবে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কাল সকাল থেকে তাদের রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রোহিঙ্গারা জানান, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় ও রোহিঙ্গারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে বিকেলের দিকে ঘটনাস্থলে রামু, উখিয়া, টেকনাফ ও কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নেভাতে চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান ঘটনাস্থলে ছুটে যান।রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ রফিক ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানান, বিকেলের দিকে আগুন লাগার পর দ্রুতই তা ছড়িয়ে পড়ে। অধিকাংশ ঘর থেকে কোনো ধরনের মালামাল বের করা সম্ভব হয়নি।