দিনের বেলা আ’লীগ আর রাতের বেলা ধানের শীষ এমন নেতা দরকার নাই: অসীম কুমার উকিল।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সংগঠন আমার পরিচয়, সংগঠন আমার ঠিকানা, সংগঠন আমার অস্তিত্ব।

 

তিনি বলেন দিনের বেলা আওয়ামী লীগ করে আর রাতের বেলা ধানের শীষ করবে এমন নেতা আমাদের দরকার নাই।

 

মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

 

অসীম কুমার উকিল বলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে থেকে রাজনীতি করার সৌভাগ্য হয়নি। ঐতিহাসিক ৭মার্চের ভাষন রেডিওতে শুনেছি। দুর থেকে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে তার আদর্শ বুকে ধারণ করে রাজনীতি করতে নেমেছি এবং রাজনীতির ক্লাসে প্রথম শ্রেণির ছাত্র হয়েছি। কিন্তু আমরা যখন রাজনীতি শিখেছি তখন পাল্টে গেল বাংলাদেশ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কাক ডাকা ভোরে শুনতে পেলাম বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধুর লাশ ৩২নং রেখে, রক্তের দাগ তখনও শুখাইনি যখন খুনি মোশতাকের মন্ত্রীসভায় শপথ গ্রহণ করছিলেন খুনিরা। সারা বিশ্ব তখন অবাক। একটা প্রতিবাদ হয়নি, একটা গুলিও চলেনি খুনিদের বিরুদ্ধে।

 

 

 

তিনি বলেন, তখন আমরা ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছিলাম সারা বাংলাদেশে। তখনই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে দেশে পদার্পণ করলেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার হাত ধরে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তরিত হয়েছে। এখন সারা বিশ্বে রোল মডেল হয়ে দাড়িয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।

 

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে সারা পৃথিবী যখন শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুক তখন দেশের কেউ কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে। যারা বেগম খালেদার মুক্তির জন্য একটা আন্দোলন করতে পারেনা তারা শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাতের হুমকি দেয়। ঢাল নেই তলোয়ার নেই যেন নিথিরাম সর্দার।

 

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ এনামুল হকের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় নিয়ামতপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক।

 

এর আগে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন । প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি।

 

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা: রোকেয়া সুলতানা, নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ছলিম উদ্দিন তরফদারসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

 

সন্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে, দ্বিতীয় অধিবেশনে মোঃ আবুল কালাম আজাদকে সভাপতি  এবং মোঃ জাহিদ হাসান বিপ্লবকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষনা করা হয়েছে।

মোদির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মানা যায় না: তথ্যমন্ত্রী

আজ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা এখন বিশৃঙ্খলা করছে তারা ২০১৩ ও ২০১৪ সালেও বিশৃঙ্খলা করেছিল। তারা একই গোষ্ঠী এবং তাদের সাথে ছিল বিএনপি। আমরা জানি আপনারা কারা? বাইতুল মোকাররমে, পবিত্র কুরআনে আগুন জ্বালিয়েছিলেন। এই সময় পশু-পাখিও আপনাদের হাতে রেহাই পায়নি।

 

আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধু ফর ইউ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

এ সময় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমণের সঙ্গে রেলস্টেশন জ্বালিয়ে দেওয়ার কি সম্পর্ক? ভূমি অফিস জ্বালিয়ে দেওয়া হলো কেন? এরা সবাই দুঃস্কৃতিকারী, শান্তি ও সম্প্রীতির শত্রু। এদের যদি খোঁজ খবর নেই, তবে দেখা যাবে এদের বাবা-দাদারা সব রাজাকার ছিল। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল। তাদের বাবা-দাদারা নারী নির্যাতন ও গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত ছিল।

 

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে তারা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমণ নিয়ে বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা চালিয়েছে। তিনি কোনো দলের নেতা হিসেবে বাংলাদেশে আসেননি। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমাদের সুবর্ণজয়ন্তীতে এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানাতে বাংলাদেশে এসেছেন।

 

 

 

তিনি বলেন, যে ভারত ১৯৭১ সালে এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধে রক্ত ঝরিয়েছে সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মানা যায় না। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সমগ্র পৃথিবীতে চষে বেড়িয়েছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য। সেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি দেশে এসেছেন। অথচ তার আগমণ নিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।

 

‘বিএনপি-জামায়াতকে যেভাবে দমন করা হয়েছে সেভাবে হেফাজতকেও দমন করা হবে’ – হানিফ।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, ২০১৩ সালে যেভাবে বিএনপি জামায়াতকে দমন করা হয়েছে সেইভাবে এবার হেফাজতকে দমন করা হবে।

 

 

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে হেফাজতকে নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা সফল হতে দেওয়া হবে না। রাজনীতির মাঠে ব্যর্থ হয়ে হেফাজতের কাঁধে বসে বিএনপি-জামায়াত দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে।

 

 

মঙ্গলবার দুপুরে পাবনা সার্কিট হাউজে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

 

হানিফ বলেন, ২০১৩ সালেও একই কায়দায় মাদ্রাসাছাত্রদের বিভ্রান্ত করে বিএনপি ও জামায়াত দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র করেছিল। সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের কঠোরভাবে দমন করেছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা সফল হতে দেওয়া হবে না।

 

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি, সাংসদ শামসুল হক টুকুসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

পরীক্ষা না হয় নিলেন, ক্লাস নেবেন কি অনলাইনে না অফলাইনে?

দেশে করোনা বাড়ছে। এই বৃদ্ধি আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশী ও ভয়াবহ। এর কারণ হলো মানুষ দায়িত্বহীন আচরণ করছে। সরকারী বিধিনিষেধের কোন প্রয়োগ নাই। তারচেয়েও আশংকাজনক হলো নতুন ধরনের ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। আমার একজন বড়ভাই, চিকিৎসক, টিকা কমপ্লিট করে ইউকে থেকে দেশে এসে ১ মাস পর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

 

আক্রান্তের সংখ্যায় রোজ রেকর্ড তৈরী হচ্ছে। করোনা ভাইরাস গত বছরের মতো আচরন করছে না। বহু আগেই ১০% ছাড়িয়ে ১৭% পর্যন্ত টেস্ট পজিটিভ হতে শুরু করেছে। প্রতিদিন ৪০ জনের বেশী মৃত্যুর সংখ্যা যা ভয়ংকর।

 

এই নিয়ে অনেকের বক্তব্য আছে যে হাসপাতালের বাইরে মৃত্যু ঠিকমত রেকর্ড করা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা আরো বেশী। এর মধ্যে স্বাস্থ্যের ডিজি সহ অনেক কর্মকর্তা নিজেরাই করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন।

 

সবকিছু জলের মতো পরিষ্কার হওয়ার পরেও দেশের স্বাস্থ্যখাত নিয়ন্ত্রণকারী কর্তাব্যক্তিরা তাদের সিদ্ধান্তে অটল আছেন যে, ‘স্বাস্থ্যবিধি’ মেনে ২ এপ্রিলেই তারা ১ লক্ষ ২২ হাজার ৮৭৩ জন পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নেবেন যেখানে কিনা দেশের বাকি সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আরো ২-৩ মাস পর।

 

তাদের সেই তথাকথিত স্বাস্থ্যবিধির নমুনা বিসিএস পরীক্ষার দিন সারা দেশের মানুষ দেখেছেন। তাদের নিজেদের দলে দলে করোনা হওয়া দিয়েও বোঝা যাচ্ছে। নিজেদের অফিসের স্বাস্থ্য বিধি কেমন পোক্ত!

 

তারা যুক্তি দিয়েছেন এখন পরীক্ষা না নিলে নাকি ৫ বছর পর পর্যাপ্ত ইন্টার্ন ডক্টর পাওয়া যাবে না।  অথচ তারা গত বছর মেডিকেলের প্রফেশনাল পরীক্ষা সময়মত না নিয়ে সেশন জট তৈরী করেছেন। প্রাইভেট মেডিকেলগুলিকে ৯ মাস এরও বেশী সময় ধরে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বেতন নিতে দিচ্ছেন আবার তারাই যখন ডাক্তার ছাটাই করেছেন ও বেতন কমিয়ে দিয়েছেন, তাদের বিষয়ে কোন ব্যবস্থাও নেন নাই।

 

করোনা পরিস্থিতি সামাল দিয়ে রমজান মাস পার করে, আগের চেয়ে বেশী পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে এই পরীক্ষা নিলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমানো সম্ভব, পাশাপাশি ইন্টার্ন ডাক্তার না পাবার খোঁড়া যুক্তিটাও মোকাবেলা করা সম্ভব।

 

একজন পরীক্ষার্থী প্রশ্ন করেছে মেডিকেলে অলরেডি যারা পড়ছেন, সেই বড় ভাইয়া-আপুদের প্রফেশনাল পরীক্ষা যে ৭-৮ মাস পরে নেয়া হলো, সেক্ষেত্রে ইন্টার্নশিপ নিয়ে সমস্যা হবে না? শুধু এডমিশন টেস্ট ২ মাস পর নিলেই ইন্টার্নশিপের ঘাটতি এসে হাজির হচ্ছে?

 

১.মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন,বিধি মেনে নাকি পরীক্ষা নেওয়া হবে।

 

তা কি আদৌ সম্ভব? যারা বিভাগীয় শহরে যাবে জেলা শহর থেকে,  তাদের পরীক্ষার আগের দিন বিভাগীয় শহরে যেতে হবে। গিয়ে একটা হোটেলে থাকতে হবে পরিবার সহ। তারপর পরের দিন তারা পরীক্ষা দিতে যাবে। আর এই পুরো আসা যাওয়ার কাজ টা হবে গণপরিবহনে। গণপরিবহন বা হোটেল গুলোতে কি স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব? আর তাছাড়া পরীক্ষার দিন পরীক্ষার্থী, অভিভাবক সহ বাইরে আশে পাশের কর্মজীবি মানুষজন থাকবে সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা কিভাবে সম্ভব হবে?

 

শুধু তাই না হোটেল থেকে শুরু করে খাবার দোকান সব জায়গায় দু সপ্তাহ সব কিছু অর্ধেক করে ফেলতে বলা হয়েছে সরকারী নির্দেশে। সবাই খাবে কোথায় থাকবে কোথায়? কেন্দ্র ডাবল করলেন আর থাকা খাওয়ার জায়গা অর্ধেক। এটা হলো পায়জামা নিচে পরে হাফপ্যান্ট ওপরে পরার মতো হাস্যকর।

 

২. বলা হয়েছে কেন্দ্র সংখ্যা দ্বিগুণ যার কারণে নাকি স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব।  কিন্তু এবার শিক্ষার্থীর সংখ্যাও দ্বিগুণ। অংক শিক্ষায় অনুপাতের অংকের ক্লাস করানো দরকার। কি বলেন? অনুপাত এর উত্তর হবে ১:১।

 

৩. গণপরীক্ষার আয়োজন করে বাকি সব সুবিধা অর্ধেক করলে সেটা কি স্বাস্থ্যবিধি মানলেও স্বাস্থ্যের জন্য সুবিধাজনক? গণপরিবহনে ৫০% আসন । বাস কি দ্বিগুন হবে? তাহলে ৫০ জনের জন্য আগে একটা বাসের জায়গায় এবার দুটো বাস লাগবে। সেটা অফসেট করতে একদিনের জায়গায় দুদিন আগে রওনা দিতে হবে কাউকে কাউকে। খরচ, সময় ব্যয়, ঝুঁকি সবই বাড়বে।

 

৪. এর চেয়ে কম সংখ্যক পরীক্ষার্থী আছে এমন পরীক্ষাও পিছিয়েছে যেমন : এ, ও লেভেল পরীক্ষা, মৎস্য অধিদপ্তরের পরীক্ষা,সাত ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা, এবং বিসিএস পরীক্ষার ভাইভাও এই করোনার জন্য জুনে রাখা হয়েছে। তাহলে কেনো মেডিকেল পরীক্ষা এই মহামারীর ভিতরেই নেওয়া হচ্ছে?

 

৪.  শুধু পরীক্ষার ১ ঘণ্টার স্বাস্থ্যবিধি মানাই কি সব?

 

এবার শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেকে তাদের পছন্দের কেন্দ্রে আসন পায়নি। সে যেই বিভাগে কেন্দ্র পছন্দ করেছে সেই বিভাগের আসন বুকিং হয়ে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েই অন্য বিভাগে আসন দিয়েছে। একজনের বাড়ি পটুয়াখালী অন্যজনের বাড়ি কুয়াকাটা। তারা তাদের কাছে বরিশাল কেন্দ্র দিলেও তাদের একজনের কেন্দ্র পড়েছে গোপালগঞ্জ, অন্যজনের ফরিদপুর। এইরকম হাজারো শিক্ষার্থী রয়েছে।

 

এই পরীক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানসম। জোর করে এই সময় এই ভর্তি পরীক্ষা না নিয়ে সরকারী নির্দেশ অনুযায়ী গণজমায়েত সীমিত করে, করোনা নিয়ন্ত্রণে এনে সংক্রমনের হার অন্তত ৫% এর নীচে গেলে পরীক্ষা আয়োজন করাই সংগত। রমজান মাস পার করে ২ মাস থেকে ৩ মাস পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়াই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত হবে বলে মনে করি।

 

মানুষকে হুকুমের দাস মনে করার এই ভাবনা থেকে বের হয়ে, দয়ার্দ্র মনে তাদের সন্তানের মতো ভালোবেসে, তাদের সুবিধা অসুবিধাগুলি বিবেচনা করেন। প্রাইভেট মেডিকেলের ব্যবসার চিন্তা মাথা থেকে সরান।

নিজেকে, নিজের সন্তানদের নিরাপদে রাখতে এই বিপদজনক সময়ে দুই এপ্রিলে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা না নিয়ে অন্তত দুমাস থেকে তিনমাস পরে পরীক্ষা নেন।

 

পরীক্ষা নাহয় নিলেন। ভর্তির পর ক্লাস নেবেন কি অনলাইনে না অফলাইনে? হোস্টেলে সীট দিতে পারবেন? সময় মতো সব প্রফেশনাল পরীক্ষা নেবেন তো?

 

ফরেনসিক মেডিসিনের যে শিক্ষক নাই। মানসিক রোগের যে শিক্ষক নাই। অ্যানাটমি ফিজিওলজিতে যে শিক্ষক নাই। এগুলো নিয়ে একটু পরিকল্পনা কি সেটা বলবেন? খালি ভর্তি করেই দায়সারা? শাহমখদুমের কি করলেন? নর্দার্ণ এর?

 

আব্দুন নূর তুষার,

মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।

(মত ভিন্ন মত বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়।)

শতভাগ বোনাস পাবেন বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা

শিক্ষকদের দীর্ঘ আন্দোলনের পর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের শতভাগ উৎসব ভাতা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখন থেকে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো বেসরকারির শিক্ষক-কর্মচারীররাও দুই ঈদে শতভাগ বোনাস বা উৎসব ভাতা পাবেন।

 

এমন বিধান রেখে ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১’ জারি করেছে সরকার। রোববার (২৮ মার্চ) স্বাক্ষরিত নীতিমালাটি সোমবার (২৯ মার্চ) প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।

 

 

জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষকরা সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের সমান বোনাস পাওয়ার কথা থাকলেও বেসরকারি শিক্ষকরা বোনাস পেতেন ২৫ শতাংশ আর কর্মচারীরা বোনাস পেতেন ৫০ শতাংশ।

 

নীতিমালার ১১ (৭) ধারায় বলা হয়েছে, ‘বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতন/বোনাসের নির্ধারিত অংশ/উৎসব ভাতার নির্ধারিত অংশ সরকারের ২০১৫ সালে জাতীয় বেতন স্কেল/সরকার নির্ধারিত সর্বশেষ জাতীয় বেতন স্কেলের সঙ্গে অথবা সরকারের নির্দেশনার সঙ্গে মিল রেখে করতে হবে।’

 

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি বলেন, দীর্ঘদিন পর আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করেছে সরকার। অনেক প্রতীক্ষার পর সরকারের এই সিদ্ধান্তে শিক্ষকরা আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবেন।’

আমরা ধৈর্য দেখাচ্ছি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

 

 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, কতিপয় ধর্মীয় উগ্রগোষ্ঠী গত ৩ দিন সরকারি অফিস, পুলিশ স্টেশন, রেল স্টেশন, প্রেসক্লাবে, রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। তাদেরকে নিবৃত্ত হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

 

রোববার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে জরুরী বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ছোট ছোট বাচ্চাদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে তারা। তারা নানা গুজব ছড়িয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী হামলা করছে। এগুলো নাশকতা। রাষ্ট্রর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। নিবৃত্ত না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো। এভাবে জানমানের ক্ষতি করা যাবে না। আমরা ধৈর্য দেখাচ্ছি।

 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হরতাল ডাকতেই পারে। পালনও করতে পারে। কিন্তু সরকারি স্থাপনায় হামলা করা, বাড়িঘরে হামলা করলে তো হরতালের উদ্দেশ্য বোঝা যায়। তাদের আমরা প্রতিহত করবো। আইনি ব্যবস্থা নেবো।

 

হেফাজতের সাথে জঙ্গি বা জামাত শিবির বা অন্য কোন দল যুক্ত আছে কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখবো বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

প্রিয়াঙ্কা যখন বিশ্বসুন্দরী নিকের বয়স তখন ৮

২০০০ সালে ১৮ বছরের প্রিয়াঙ্কা চোপড়া যখন বিশ্বসুন্দরী হন, তার হবু স্বামী নিক জোনাসের বয়স তখন ৮।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় নিক-প্রিয়াঙ্কার তখনকার একটি ছবি ভাইরাল হয়ে গেছে। এবিপি আনন্দ পত্রিকার খবরে বলা হয়, নিক বয়সে প্রিয়াঙ্কার থেকে ১১ বছরের ছোট।

তিনি এখন ২৫, উল্টোদিকে প্রিয়াঙ্কা পা দিয়েছেন ৩৬-এ। কিন্তু প্রেম তো বয়স দেখে না। তাই এ বছরের শেষেই বিয়ে করছেন নিক-প্রিয়াঙ্কা, পাঞ্জাবী রীতিতে তাদের আশীর্বাদ অনুষ্ঠান (বাগদান) হয়ে গেছে।

 

এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে গেছে এই ছবিটি। কোলাজে দেখা যাচ্ছে, ২০০০ সালে মিস ওয়ার্ল্ড হওয়া পিগি চপসকে। আর পাশেই পুঁচকে নিক, বয়স তখন ৮, স্কুলে যাচ্ছেন গুটি গুটি।

 

নিক অবশ্য বরাবরই নিজের থেকে বয়সে বড় নারীদের পছন্দ করেন। তার আগের প্রেমিকারাও বয়সে তার থেকে বড় ছিলেন।

1 2 3 4 5 16