বি‌য়ের নাটক সা‌জি‌য়ে কিশোরীকে ‘ধর্ষণ’

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

বিয়ের নামে প্রতারণা করে অবৈধভাবে সংসার পেতে তিন মাস ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে শরীয়তপুর পালং উপজেলার চিকন্দী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের উত্তর শৌলা গ্রামের রহিম মাদবর এর ছেলে ইমরান মাদবর (২৫) এর বিরুদ্ধে।

ওই একই গ্রামের ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী কিশোরী গণমাধ্যমকে বলেন, ওই একই গ্রামের রহমত মাদবর এর ছেলে ইমরান মাদব (২৫) এর সাথ প্রায় দুই বছর পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের জেরে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৩ থেকে ৪ মাস আগে ইমরানের বন্ধু উজ্জ্বল, তাদের বাড়ি আবুরা ওই বাড়িতে আমাকে নিয়ে যায় এবং ওই বাড়িতেই বিয়ের কথা বলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ওই ধর্ষণের পর থেকেই মাঝেমধ্যে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করতো। এরমধ্যে আমি গর্ভবতী হয়ে পড়ি। বর্তমানে ইমরানের বাচ্চা আমার পেটে, একথা জানার পরে ইমরানকে বলি আমাকে বিয়ে করো, তখন ইমরান আমাকে প্রত্যাখ্যান করে। ইমরানের মুখ থেকে এই কথা শোনার পর তখন আমি লজ্জায় ঘৃণায় আত্মহত্যা করার জন্য বিষ খাই। আমার বিষ খাওয়ার কথা শুনে ইমরান ও তার বন্ধুদের নিয়ে অটো ইজি বাইক ভাড়া করে আমাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করায় চিকিৎসার জন্য। আমি ওই হাসপাতালে তিনদিন থাকার পরে যখন সুস্থ হই তখন ইমরান আমাকে নিয়ে শরীয়তপুর সদরের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়। ওখানে গিয়ে দেখি ওই হোটেলে ইমরানের বন্ধু উজ্জ্বল এবং তার আপন বড় ভাবি এবং অচেনা আরো কয়েকজন উপস্থিতিতে একটা কাগজ এনে আমাকে সই করতে বললে আমি সই করি। সই করার পর ইমরান বলে এখন থেকে আমরা স্বামী-স্ত্রী। ইমরান আমাকে বাড়িতে না নিয়ে মনোহর বাজার এর কাছে লাল মিয়া সরদারের বাড়িতে বাসা ভাড়া করে তিন মাস সংসার করে। ওই বাসা বাড়িতে যাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন কৌশলে আমার পেটের বাচ্চা নষ্ট করার জন্য মাদারীপুর হাসপাতাল পর্যন্ত নিয়ে যায়। আমার পেটের বাচ্চা নষ্ট করার জন্য ইমরান আমাকে মাঝেমধ্যে টর্চার করতো। পরবর্তীতে আমাকে ফাঁকি দিয়ে দুধের সাথে ওষুধ মিশিয়ে আমার পেটের বাচ্চাটি নষ্ট করে ফেলে।

ইমরানের আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে আমি ওই হোটেলে গিয়ে জানতে পারি আমাদের বিয়েটি ছিল ভুয়া।যখন আমি জানতে পারলাম বিয়ের নামে মিথ্যে নাটক করছে আমার সাথে তখন আমি রাগে কষ্টে বাড়ি চলে আসি। বাড়িতে আসার কয়েক দিন পর ইমরান আমাকে ফুসলিয়ে ফাঁসলিয়ে ঢাকায় নিয়ে যায়। ঢাকায় ইমরান আমাকে বিক্রি করার চেষ্টা করলে এ বিষয়টি আমি গোপনে জানতে পেরে লোকজনের সহযোগিতায় পালিয়ে বাড়ি চলে আসি। পরে আমার মাকে সম্পূর্ণ বিষয়টি খুলে বলি।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে ইমরান বিয়ের নামে নাটক সাজিয়ে প্রতারণা করে ওই কিশোরীকে দীর্ঘদিন ধর্ষণ করে। গত ১২ ই মার্চ এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধর্ষণের শিকার কিশোরী ও তার মা পালং মডেল থানায় ওই ধর্ষণকারী ইমরানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগ পত্রটি চিকন্দী পুলিশ ফাঁড়িতে চলে আসলে চিকন্দী ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক এসআই বিশ্বজিৎ ও সাবেক জেলা যুবদলের নেতা এবং অ্যাডভোকেট হেলাল আকন, ধর্ষণকারী ইমরানের অভিভাবকগণ নিয়ে চিকন্দী ফাঁড়ির অফিস কক্ষে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকার বিনিময় এ বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। ক্ষতিপূরণ বাবদ ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী ও তার পরিবারকে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকার প্রস্তাব দিলে ওই কিশোরী ও তার পরিবার তা প্রত্যাখ্যান করে।

ধর্ষণকারীর বড় ভাই হান্নান মাদবর গণমাধ্যমকে মুঠোফোনে বলেন, আমরা অ্যাডভোকেট হেলাল আকন ও চিকন্দী ফাঁড়ির এসআই বিশ্বজিৎ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার বিনিময় এই বিষয়টিকে মীমাংসা করেছি। ৫০০০/ টাকা জমা দিয়েছি এবং বাকি টাকা দু’একদিন পরে দিয়ে দিব।

জোরপূর্বক সালিশের মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার বিষয়টি ধর্ষণের শিকার কিশোরী ও তার পরিবারের মাধ্যমে গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে পেরে এ বিষয়টিকে শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার কে অবগত করা হলে গত ৩০ মার্চ চিকন্দী ফাঁড়ির কর্তব্যরত পুলিশের মাধ্যমে অভিযুক্ত ধর্ষণকারী ইমরান মাদবর (২৫) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

চিকন্দী পু‌লিশ ফাঁ‌ড়ির উপ-প‌রিদর্শক (এসআই) বিশ্ব‌জিৎ প্রশিক্ষণ থাকায় মু‌ঠো‌ফো‌নে যোগা‌যোগ করা হ‌লে ব‌লেন, ওই কি‌শোরীকে মারধ‌রের অ‌ভি‌যো‌গের ভি‌ত্তি‌তে দুই পক্ষ‌কে নি‌য়ে বসা হ‌য়ে‌ছিল। সেখা‌নে মিমাংসার কোন কথা হয়‌নি। ওই কি‌শোরী‌কে মারধর কর‌বে না ব‌লে দু্ই পক্ষ মিমাংসা হওয়ায় মামলা দা‌য়ের ক‌রে‌নি।

চিকন্দী পু‌লিশ ফাঁড়ির প‌রিদর্শক আজিজুর হক হাওলাদার গণমাধ্যমকে ব‌লেন, মিমাংসার কোন ঘটনা আমার ফাঁ‌ড়ি‌তে হ‌য়ে‌ছে ব‌লে জানা নেই। ত‌বে কিশোরীর অ‌ভি‌যো‌গের ভি‌ত্তি‌তে গতকাল রা‌তে আসামি ইমরান‌কে গ্রেফতার করা হ‌য়ে‌ছে ও ভিক‌টিম‌কে মে‌ডি‌কেল প‌রীক্ষা জন্য সদর হাসপাতা‌লে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। বর্তমা‌নে আসামি পালং থানায় র‌য়ে‌ছে। এছাড়া মামলার প্রস্তু‌তি চল‌ছে ব‌লেও জানায় ওই পু‌লিশ কর্মকর্তা।

আপোষ করে কখনো লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব না, হেফাজত কারা? – তোফায়েল আহমেদ।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘হেফাজতের মধ্যে অধিকাংশই জামায়াতের লোক। মামুনুল হকের পিতা কে ছিল? তাদের অন্যরা কারা? আপস করে কখনো লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় না। রাজনীতিতে আজ যেটা শুরু হয়েছে, তা অশনি সংকেত। এটা বন্ধ করতে না পারলে, আমাদের সমস্ত শক্তি নিয়ে নামতে হবে।’

 

তিনি বলেন, ‘সনদ দেই আর যেভাবেই যতই খুশি করার চেষ্টা করি, তারা কিন্তু তাদের রাজনৈতিক দর্শন থেকে সরবে না। তারা যেখানে আছে সেখানেই থাকবে। তাদেরকে খুশি করার কোনো সুযোগ নেই।

সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় নাটোরের সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। একই সাথে লালপুরের গ্রীণ ভ্যালি বিনোদন কেন্দ্রসহ জনসমাগম বেশী হয় এমন পিকনিক স্পট বন্ধেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া মাস্ক পরিধান শতভাগ নিশ্চিত করতে  বৃহস্পতিবার থেকে জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ ও পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহার নেতৃত্বে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন মাঠে অভিযান পরিচালনা করবেন।

গত পাঁচ দিনের ব্যবধানে কেবলমাত্র নাটোর শহরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২ জন মৃত্যু বরণ করায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলকে চলাচলের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

গত ২০২০ সাল হতে শুরু হওয়া হওয়া কোভিড-১৯ করোনা মহামারি সংক্রমণের পর থেকে আজ সারাদেশে ২৪ ঘন্টায় করোনায় রেকর্ড নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩৫৮ জন এবং ৫২ জন মৃত্যু বরন করেছেন। স্বাস্থ্যবিধি আবশ্যিকভাবে পরিপালনের অনুরোধ করা হয়েছে, অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে।

দেশকে পাকিস্তানে পরিণত করার ষড়যন্ত্রে ধর্মান্ধ গোষ্ঠী: বিশিষ্টজনের বিবৃতি

দেশের বিশিষ্টজন বলেছেন, ওই গোষ্ঠী দেশের স্বাধীনতা ও অগ্রযাত্রার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দেশকে আধা পাকিস্তানে পরিণত করার নির্লজ্জ ষড়যন্ত্রে মেতে মেতে উঠেছে। দেশের স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ও ধর্মের নাম ব্যবহার করে এই অপশক্তি নিজেদের হীনস্বার্থ হাসিলে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

বুধবার এক বিবৃতিতে তারা আরও বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে কেন্দ্র করে বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের প্রধানদের আমন্ত্রণ জানানোর ঘটনা দেশের অগ্রযাত্রা, সম্প্রীতি ও গৌরবের বিষয়। দেশের কূটনৈতিক যোগাযোগ ও অগ্রযাত্রার সফলতায় এটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। আমাদের সংবিধানেও বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন ও শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থানের কথা নিশ্চিত করা হয়েছে।

 

 

এতে বলা হয়. দুঃখজনক সত্য হলো ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর বিরোধিতার নামে হেফাজতে ইসলামসহ কিছু সংগঠন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়ে যে ধ্বংসযজ্ঞে মেতে উঠেছে তাতে প্রমাণিত হয় যে, নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতা উপলক্ষ মাত্র। মূলত তারা চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন এলাকা ও কিশোরগঞ্জ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ধর্মীয় উপাসনালয়, সংগীত চর্চা কেন্দ্রে, সরকারের বিভিন্ন অফিস-আদালত, রাজনৈতিক দলের কার্যালয়, নেতৃবৃন্দের বাড়ি-ঘরে অগ্নি সংযোগ, লুটপাট ও আতঙ্ক তৈরি করে যে বর্বরতায় মেতে উঠেছে, তা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি বর্বর বাহিনীর বিভীষিকাময় দিনগুলোকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই জঘন্য ঘটনার পেছনে দেশবিরোধী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত রয়েছে। দেশবিরোধী চক্রান্তকারী ও তাদের দোসরদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য, অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, রামেন্দু মজুমদার, ডা. সারওয়ার আলী, খুশী কবির, রোকেয়া কবীর, ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার, অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, অধ্যাপক এম এম আকাশ, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস প্রমুখ।

করোনা ব্যাপকভাবে বিস্তার ঘটছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন: প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন

মহামারী পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, করোনার যে ধরনটা দেখা যাচ্ছে, সেটা তো ব্যাপকভাবে বিস্তার ঘটছে।

আজ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রমের শুরুতে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণেই আবার করোনার বিস্তার ঘটছে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।

আদালত অঙ্গন সংক্রমণের ক্ষেত্রে ‘অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ’ মন্তব্য করে আইনজীবী ও আদালত সংশ্লিষ্ট সবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দেন তিনি।

 

এর আগে মহামারী করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি পরিস্থিতিতে বিচারক ও আইনজীবীদের কালো কোট এবং গাউন পরিধান করতে হবে না বলে জানানো হয়।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে এমন সিদ্ধান্ত দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

দূর্বৃত্তের গুলিতে গোয়ালন্দে আওয়ামীলীগ নেতা ইউপি সদস্য গনি মন্ডল গুরুতর জখম

 

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

রাজবাড়ী গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য,পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গনি মন্ডলকে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা।বুধবার রাত ১০ টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মহাসড়কের পাশে ঘটেছে ঘটনাটি।

 

তার আর্ত চিৎকারে স্হানীয়রা ছুটে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

 

আব্দুল গনি মন্ডল দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ওমর আলী মোল্লা পাড়ার বিন্দু মোল্লার ছেলে।

 

গুলি তার পেটের ডান পাশ দিয়ে ঢিকে ফুটো হয়ে বের হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

 

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, বুধবার রাত দশটার দিকে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে একটি চায়ের দোকানে চা খেয়ে পাশেই নিজ বাড়ি ফিরছিলেন আব্দুল গনি মন্ডল। এ সময় সেখান থেকে একটু সামনে আগাতেই একটি মোটর সাইকেলে চড়ে এসে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে প্রথমে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

গোয়ালন্দ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ নিতাই কুমার বলেন,আঃ গনি মন্ডলের গুলিবিদ্ধ স্হান হতে প্রচুর রক্ত ঝরছিল। ধারনা করা হচ্ছে গুলি পেট ফুটো হয়ে বের হয়ে গেছে। তারপরও গুলি শরীরে রয়ে গেছে কিনা বোঝার জন্য এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্হানান্তর করা হয়েছে।

 

এর আগে গত ১৯ মার্চ দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল সন্ত্রাসী হামলায় শিকার হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রাজনৈতিক কার্যক্রমের ধরণ পাল্টাল বিএনপি

সরকারের উদাসীনতায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। সেই সঙ্গে করোনার কারণে রাজনীতি ও সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করেছে দলটি।

বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারের উদাসীনতায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিবেচনায় জনগণ, নেতাকর্মী,

তবে, মোবাইল ফোন, সামাজিক মাধ্যম ও অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের পারস্পরিক যোগাযোগ ও কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়া, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জনগণ ও দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের আহবান জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

এছাড়া করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের উদাসীনতায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে দলটি।

1 2