শরীয়তপুর পূর্ব শত্রুতার জেরে সন্ত্রাসী হামলায় নারীসহ আহত ৪

শরীয়তপুর প্রতিনিধি।।   

শরীয়তপুর পালং উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মাহমুদপুর সিপাই পাড়া গ্রামের মজিদ আকনের বাড়িতে ঢুকে বসবাসের ঘরে ভাঙচুর ও হামলা চালায়, ওই মুহূর্তে ঘরবাড়ি ভাঙচুর ঠেকাতে বাধা দিলে  মসজিদ আকনের স্ত্রী আমেনা বেগম (২৫) কে সন্ত্রাসীরা টেটা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে এবং তার গলায় থাকা বিদেশি আট আনি স্বর্ণের একটি চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

 

সরেজমিন ঘুরে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে গত ৭ ই এপ্রিল বুধবার রাত নয়টার  দিকে মজিদ আকনের দোকানে হাসপাতালে ভর্তিকৃত আহত ব্যক্তিরা চা খেতে ছিল হঠাৎ করে পূর্ব শত্রুতার জেরে পূর্বের মামলাকে কেন্দ্র করে এবং মাহমুদপুর বাজারের প্রভাব খাটানোর উদ্দেশ্যে অতর্কিত ভাবে লিয়াকত খার  নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন স্থানীয় সন্ত্রাসীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং মজিদ আকনের এর দোকান ভাঙচুর করে নগদ অর্থ সহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

 

হাসপাতালে ভর্তি কৃত আহত ব্যক্তি ফজলু মুন্সি (৫৫) গণমাধ্যমকে বলেন গত ৭ এপ্রিল বুধবার মাহমুদপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে আমার নিজ বাড়ির ঘাটায় আমাকে লিয়াকত ও তার সঙ্গীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে চলে যায়।

আব্দুল মজিদ আকন গণমাধ্যমকে বলেন গত ৭ এপ্রিল বুধবার সারে আটটার  দিকে আমার মামা ফজলু মুন্সি কে তার বাড়ির ঘাটায় লিয়াকত খা সহ পান্নু খা, রাজা খা,পলাশ খা, আরিফ খা,শাকিব খা, জহির খা,মরণ খা, রিফাত খা ,নাম না জানা আরো অজ্ঞাত চার থেকে পাঁচজন পূর্ব শত্রুতার জেরে দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র লাঠিসোটা দিয়ে কুপিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এর কিছুক্ষণ পর আমার দোকানে জাহাঙ্গীর সিপাহী (৫০), এবাদুল (২৫) চা খেতে ছিল ওই সময় অতর্কিতভাবে দেশীয় ধারালো অস্ত্র শস্ত্র লাঠিসোটা নিয়ে তাদেরকে হামলা করে এবং আমাকে মারধর করে  আমার দোকান থেকে সিগারেট ,এক বস্তা বুট, নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমার চিৎকারের শব্দ শুনে আমার স্ত্রী আমেনা বেগম আমাকে বাঁচাতে আসলে তাকেও তারা নির্মমভাবে টেটা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে ফেলে চলে যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমি বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।

 

স্থানীয় মুরুব্বী কালাম মুন্সি (৬০) গণমাধ্যমকে বলেন আমি ঐদিন রাতে এশার নামাজ পড়ে পাশের এক দোকানে বসে কথা বলতেছিলাম আনুমানিক ৯ টার দিকে আব্দুল মজিদ আকনের দোকানের ওদিক থেকে চিল্লা চিল্লির শব্দ শুনে ওখানে গেলে লিয়াকত খা, পান্নু খা,রাজা খা সহ আরো কয়েকজন মিলে দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র লাঠিসোটা টেটা দিয়ে জাহাঙ্গীর, এবাদুল ও আমেনা বেগমকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে দোকানের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

ফজলু মুন্সি ,জাহাঙ্গীর সিপাহী, এবাদুল ও আমেনা বেগম আহত অবস্থায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি রয়েছে।

 

পালং থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ মোঃ আক্তার হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন মাহমুদপুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পালং থানায় একটি মামলা হয়েছে  ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।