শরীয়তপুরে জেলা মটর শ্রমিক লীগ কতৃক মাক্স বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে  পথচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরন কর্মসূচি পালন করা হয়

করোনাভাইরাস বর্তমান সময়ে পৃথিবীর সবচেয়ে আলোচিত ও উদ্বেগের বিষয়। এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সর্বাধিক কার্যকর ব্যবস্থা হচ্ছে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক ব্যবহার করা। মাস্ক ব্যবহারের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সহ অন্যান্য জীবাণু থেকেও পরষ্পরকে রক্ষা করা সম্ভব।  শরীয়তপুর জেলার 

বিভিন্ন স্থানে শরীয়তপুর জেলা মটর শ্রমিক লীগর উদ্যোগে, শরীয়তপুর জেলা মটর শ্রমিক লীগর জেলা সভাপতি সাইফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে 

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে পথচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরন কর্মসূচির পালন করা হয়।

 

 উক্ত কর্মসূচির শরীয়তপুর পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হয়। শতভাগ মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কর্মসূচিতে পথচারীসহ রাস্তায় চলাচলকারীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়। 

 

 কর্মসূচি থেকে সাধারন মানুষকে বাহিরে গেলে অবশ্যই সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করা; হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু না থাকলেও কনুই দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা; নিয়মিত কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সময় ধরে সাবান ও পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করা এবং যত্রতত্র কফ,থুতু ফেলা থেকে বিরত থাকার আহ্বাণ জানানো হয়। 

 

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, ফারুক মিয়া সাধারন সম্পাদক, মিলন মাদবর সিনিয়র সহসভাপতি, দুলাল মন্ডল সহ সভাপতি 

রিপন হাওলাদার সাংগঠনিক সম্পাদক, 

রিপন মাদবর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, 

সিদ্দিক মাদবর প্রচার সম্পাদক সহ অন্যান নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

শরীয়তপুরে দিনমজুরের বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুর প্রভাবশালীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক।।   

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় জায়গা জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক দরিদ্র দিনমজুরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মারপিট, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার বিকালে ও বৃহস্পতিবার সকালে দুই দফায় এ হামলা চালানো হয়। 

উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা দিপু ঢালীর নেতৃত্বে নজরুল ঢালী, রাজিব ঢালীসহ তাদের লোকজন এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ইকবাল ভূইয়া ও তার পরিবার।   

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন ইকবাল ভূইয়ার বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের কোন লোকজন পাওয়া যায়নি। ঘরের সবকিছু ভাংচুর ও তছনছ অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। আশপাশের লোকজন জানান, ইকবাল ভূইয়া তার স্ত্রীকে নিয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আছেন। সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় ইকবাল ভূইয়ার স্ত্রী খোরশেদা বেগম গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

এসয় ইকবাল ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন, নজরুল ঢালীর বোন সেলিনা বেগমের সাথে আমাদের জায়গা জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ রয়েছে। সেলিনা বেগম আমাদের টয়লেট ঘেষে ঘর তুলতেছে। আমাদের টয়লেটের করণে তাদের ঘরে টিনের চালা তুলতে সমস্যা হয়।এ কারণে সেলিনা বেগম আমাদের সব সময় গালাগাল করে। বুধবার বিকেলে সেলিনা বেগম গালাগাল করতে থাকলে আমার স্ত্রী খোরশেদা বেগম এর প্রতিবাদ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সেলিনা বেগম  আমার স্ত্রীর চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে মারধর করে। পরে সেলিনা বেগমের চাচা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা দিপু ঢালী ও ভাই নজরুল ঢালী লোকজন নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা আমাদের মারপিট, বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। গুরুতর অবস্থায় আমার স্ত্রী খোরশেদা বেগমকে নড়িয়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। সেখানেও তারা হামলা চালিয়ে হাসপাতাল থেকে আমার স্ত্রীকে বের করে দিয়েছে। পরে আমার স্ত্রীকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। আজকে সকালেও তারা আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। তারা আমার ভাই সজিব ঢালী ও ভাইসাব ফরহাদ ঢালীর বসতঘরও ভাংচুর করেছে। আমরা গ্রামে ঢুকলে তারা আমাদের জানে মেরে ফেলবে বলে ঘোষনা দিয়েছে। হামলার পর থেকে আমরা বাড়ি ছাড়া। এখনো বাড়িতে ঢুকতে পারিনি। বাড়িঘর কি অবস্থায় আছে তাও বলতে পারছিনা। তাদের ভয়ে আমরা আতংকে আছি। শুনেছি তারাই নাকি আমাদের বিরুদ্ধে উল্টো মালমা দিয়েছে। তারা সব জায়গায় প্রভাব খাটাচ্ছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। 

এ বিষয়ে জানার জন্য দিপু ঢালীর বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। বাড়ির লোকজন জানান, দিপু ঢালী আহত হয়ে নড়িয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি আছে। হাসপাতালে গিয়েও দিপু ঢালীকে পাওয়া যায়নি। 

এ বিষয়ে সেলিনা বেগমের ভাই নজরুল ঢালী বলেন, ঘর তোলাকে কেন্দ্র করে ইকবাল ভূইয়া, তার স্ত্রী ও ছেলে মিলে আমার বোন সেলিনাকে মারধর করে। খবর পেয়ে আমার চাচা দিপু ঢালী সহ আমি মিমাংসা করার জন্য সেখানে গেলে তারা আমাদেরও মারধর করে। এতে আমার চাচা দিপু ঢালী আহত হন। তাকে নড়িয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের বাড়িঘর আমরা ভাংচুর করিনি। 

 

এ বিষয়ে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনী শংকর বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্শন করেছে। তারা উভয় পক্ষ আত্মীয়- স্বজন। তাদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ ছিলো। তবে উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।