দোকান ও শপিংমল খোলা’র সিদ্ধান্ত রোববার থেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক।।   

মানুষের জীবন-জীবিকার বিষয় বিবেচনা করে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে লকডাউনের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোববার থেকে দোকান ও শপিংমল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

 

সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকান ও শপিংমল খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে শুক্রবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “ব্যাপক সংখ্যক মানুষের জীবন-জীবিকার বিষয় বিবেচনা করে নির্দেশনা জারি করা হল, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বাজার/সংস্থার ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।‘

 

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে বিধিনিষেধের দ্বিতীয় ধাপে ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে চলছে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ যা ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বহাল থাকছে।

 

এ লকডাউনে শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ছিল।

 

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার জনসমাগম এড়াতে প্রথমে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে। পরে এ নিষেধাজ্ঞা আরও দুই দিন বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। তবে সে সময় সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্পকারখানা, গণপরিবহন চালু ছিল।

 

এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সব ধরনের অফিস ও পরিবহন বন্ধের পাশাপাশি বাজার-মার্কেট, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। তবে উৎপাদনমুখী শিল্প কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়। 

 

লকডাউনের মধ্যে ব্যাংকে লেনদেন করা যাচ্ছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। সতর্কতার অংশ হিসেবে সীমিত জনবল দিয়ে বিভিন্ন শাখা চালু রেখেছে ব্যাংকগুলো।

 

তবে শেষ দফায় লকডাউন ঘোষণার আগে মানুষের জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনায় ও ঈদ সামনে রেখে তা শিথিল করার ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

 

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে দোকানপাট খোলার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।

শরীয়তপুরে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা

টিটুল মোল্লা।।  

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নে ভিজিডির চাল আটক বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করার সময় স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হামলার স্বীকার হোন শরীয়তপুরে কর্মরত কয়েকজন সাংবাদিক। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বিকালে বড়কান্দি ইউনিয়নের মালকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

 

মামলার বিবরণ ও ঘটনাসূত্রে জানা যায়, গত ২০ এপ্রিল জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের মালকান্দি গ্রামে ভিজিডি কার্ডের কিছু বস্তা চাল একটি পরিত্যক্ত ঘরে পাওয়া যায়। যা নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করার জন্য বৃহস্পতিবার অনুমান বিকাল ৪:৩০ টার দিকে সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন খান(দৈনিক সকালের সময়), সাংবাদিক সাইফ রুদাদ(দৈনিক আজকের দর্পণ), সাংবাদিক ইমরান হোসেন(দৈনিক আজকের পত্রিকা), সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম(দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন), সাংবাদিক মাশহুর খান(দৈনিক গণকথা), সাংবাদিক শাওন বেপারী( দৈনিক ভোরের পাতা) ঘটনা স্থলে স্থানীয় ও অভিযুক্তদের বক্তব্য সংগ্রহ করে। এক পর্যায়ে স্থানীয় অনু মাল(৪০) সাংবাদিকদের ফলো করতে থাকে। এমনকি এক পর্যায়ে তাদের গতিরোধ করে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। সেখানে অনু মালের বক্তব্য নিয়ে পরবর্তীতে ভিজিডি কার্ডধারী কয়েকজনের বক্তব্য সংগ্রহ করতে যায় সাংবাদিকবৃন্দ। যখনই বড় কান্দি ইউনিয়নের মালকান্দি গ্রামের আব্দুল লতিফের বাড়িতে ভিজিডি কার্ডধারী একজনের বক্তব্য সংগ্রহ করতেছিলেন। এমন সময় হঠাৎ করে অনু মাল, রাব্বি মাল ও আশাদুল মালসহ ৭/৮জন এসে ফেসবুক লাইভে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রথমেই জামাত শিবিরের এজেন্ডা, ভুয়া সাংবাদিকসহ বিভিন্ন আজে বাজে ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। সাংবাদিকরা গালিগালাজের কারণ জানতে চাইলে অনু মাল বলে আশ্রাফ মাল হুকুম দিছে শালাদেরকে মেরে ফেল, দেখি কে কী করতে পারে। সাংবাদিকরা প্রশাসনকে জানাবে বললে, অনু মাল ওসিকে অশালীন ভাষায় গালি দিয়ে বলে ওসিকে গিয়ে বল আমি অনু মাল। এরপর অনু মাল , রাব্বি মাল, আশাদুল মালসহ ৭/৮ জন এসে সাংবাদিকদের এলোপাথারি ভাবে কিল-ঘুসি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এসময় আনু মাল সাংবাদিক মাশহুর খানের নিকট থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। রাব্বি মাল সাংবাদিক মাশহুর খানের নিকট থেকে মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায় ,যার মধ্যে ৮,৫০০ টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিল। এরপর রাব্বি মাল সাংবাদিক ইমরান হোসেনের কাছ থেকে মানিব্যাগ ও গলার স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়, ইমরানের মানিব্যাগের মধ্যে ১৪, ৩০০ টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিল।

 

 

স্থানীয়দের সহায়তায় সন্ত্রাসীদের হাত থেকে সাংবাদিকরা রক্ষা পায় ও প্রশাসনকে অবগত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে জাজিরা থানায় এসে সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন খান একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, মালকান্দি গ্রামের দবির মালের পুত্র অনু মাল, আশ্রাফ মালের পুত্র রাব্বি মাল, নুরুদ্দীন মালের পুত্র আশাদুল মালসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮জন।

 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মালবান্দি গ্রামের মাল পরিবার একটি সন্ত্রাসী ও দাঙ্গাবাজ পরিবার। এই পরিবারের আশ্রাফ মাল আপন ভাই হত্যা মামলার আসামী। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। আপন ভাই নৌকার পক্ষ নেওয়ায় আশ্রাফ মাল তার দলবল নিয়ে তাকে খুন করে। ২০০১ সালের নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঘড়ি প্রতীকের পক্ষে নির্বাচন করেন। বর্তমানে আশ্রাফ মাল আওয়ামীলীগের সাথে রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছেন।

 

মাল পরিবারের সন্ত্রাসীদের দ্বারা সাংবাদিরা নির্যাতিত হওয়ায় সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনসহ দেশের জাতীয় ব্যক্তিত্বরা উদ্ব্যেগ প্রকাশ করেছেন।

 

এবিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, সাংবাদিকদের হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

শরীয়তপুর ডামুড্যায় রমজান উপলক্ষে ওসমান মীরের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

টিটুল মোল্লা।।

শরীয়তপুর ৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জননেতা জনাব নাহিম রাজ্জাক এম পি এর নির্দেশনায় পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ধানকাঠি ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে খাদ্য সামগ্রী উপহার বিতরণ করেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক জনাব ওসমান মীর ও ঐতিহ্যবাহী মীর পরিবার। 

 

আজ ২৩ এপ্রিল শুক্রবার বিকালে মীর আব্দুল মজীদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ১৫০ জন দারিদ্র্য লোকের মাঝে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার আয়োজন করেন জনাব ওসমান মীর ও মীর পড়িবার । ধানকাঠি ইউনিয়নের ওসমান মীর একমাত্র সমাজ সেবক যিনি করোনার এই সংকটকালে গরীব দুঃখী মানুষের পাশে এসে দাড়িয়েছেন। আজ তিনি প্রতিটি লোককে ৫ কেজি চাল,১কেজী ডাল,১কেজি তেল,১চিনি,১কেজি সেমাই, ১কেজি পিয়াজ বিতরণ করেন। মাহে রমজান ও করোনার এই সংকটকালে ধানকাঠি ইউনিয়নের বাকি ওয়ার্ড গুলোতে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে। তাছাড়া লকডাউনের শুরু থেকে ধানকাঠি ইউনিয়নের সকলস্তরের জনগনের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন। খাদ্যসামগ্রী বিতরণ উদ্বোধন করেন ডামুড্যা  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মর্তুজা আল -মুঈদ। এ সময় ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের অনেক গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। 

 

খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কালে জনাব ওসমান মীর বলেন, শরীয়তপুর ৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জননেতা জনাব নাহিম রাজ্জাক এম পি এর নির্দেশনায় আমি ধারাবাহিকভাবে ধানকাঠি ইউনিয়নের অন্য ওয়ার্ডগুলোয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করবো। 

 

উক্ত খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগীতা করেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “চরপাতালীয়া উদীয়মান তরুণ সংঘ।