মক্কার ইমামকে আক্রমণ থেকে রক্ষাকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে ‘হিরো’ উপাধি

সৌদিআরব থেকে: মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে একজন ইমামের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা ব্যর্থ করায় একজন সাহসী সৌদি পুলিশ কর্মকর্তাকে “নায়ক” বলে সম্বোধন করা হয়েছে।

শুক্রবার সরাসরি টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যায় সৌদি আরবের অন্যতম পবিত্র মসজিদে ইমামের উপরে হামলার চেষ্টা থামানো হয়েছিল। পরে ঘটনাটি তদন্তকারী পুলিশ প্রকাশ করেছে যে হামলাকারী ইমাম “মাহদী (মশীহের অপেক্ষায়)” বলে দাবি করেছে।নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-জহরানী, ইমামকে আক্রমণ করার সময় তাকে বাধা দিয়েতে সক্ষম হয়েছিল। এবং আক্রমণকারীকে অন্যান্য কর্মকর্তাদের সহায়তায় মসজিদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

আল-জহরানিকে একজন “নায়ক” হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে তার প্রচেষ্টার জন্য সৌদিরা তাকে ধন্যবাদ জানায়।

একটি ব্যক্তি গ্র্যান্ড মসজিদে ওমরাহ পালন করতে (ইহরাম) সাদা কাপড় পরিহিত ছিল। লাইভ টেলিভিশনে দেখা গেছে যখন গ্র্যান্ড মসজিদের অন্যতম ইমাম শেখ বন্দর বলিলাহ জুমার খুতবা প্রদান করেছিলেন। ঠিক সেই সময় ব্যক্তিটি হামলা করতে দৌড়িয়ে আসে।

মক্কা পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আল-জহরানির হেফাজতে রাখার আগে তার পদক্ষেপের পরে তাকে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা আটক করেছিলেন।

প্রকাশিত ঘটনা সত্ত্বেও ইমাম শেখ বলিলাহ তার খুদবা পড়া অব্যাহত রেখেছিলেন। আল-ওয়াতান পত্রিকা অনুসারে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে অপরাধী একজন ৪০ বছর বয়সী সৌদি নাগরিক ছিলেন।

গত মার্চ মাসে, ছুরি চালিয়ে এক ব্যক্তি চরমপন্থী স্লোগান দিয়ে নামাজরত মুসল্লিদের মাঝে হাঁটাচলা করে এবং একটি চেয়ারে আঘাত করে ঘটনাস্থলের মুসল্লি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচেষ্টায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এযাবৎ বেশ কয়েকজন লোক নিজেকে ইসলামের মুক্তিদাতা” ইমাম মেহেদী বলে দাবি করেছে।

সর্বাধিক হাই-প্রোফাইল ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৭৯ সালে, যখন জুহায়মান আল-ওতাইবি ও তাঁর ভগ্নিপতি মোহাম্মদ আল-কাহতানি, যিনি মাহদী হিসাবে দাবী করেছিলেন, কয়েকশ হাজী গ্র্যান্ড মসজিদে জিম্মি করে নিয়ে যায়, যার ফলে এক সপ্তাহব্যাপী অবরোধের সৃষ্টি হয়েছিল।

অবরোধটি ভেঙে দেওয়ার জন্য একটি পূর্ণ মাত্রার আক্রমণ শুরু হয়েছিল, যার ফলে তথাকথিত মশীহ এবং তার শত শত অনুসারীর মৃত্যু হয়েছিল। জুহায়মানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং পরে তার অপরাধের জন্য মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছিল।

রোজিনা ইসলাম: শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক

নিউজ 2৪লাইল ডটকম – বাংলাদেশে অফিসিয়াল সিক্রেক্টস অ্যাক্টের মামলায় প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তার হওয়া প্রথম আলো পত্রিকার সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিন দিয়েছেন আদালত।
পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকা এবং পাসপোর্ট জমা রাখার শর্তে তাকে জামিন দেয়া হয়েছে।রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি আবদুল্লাহ আবু বলেন, রোজিনা ইসলামের মামলাটি স্পর্শকাতর হলেও আমরা তার জামিনের আবেদন বিবেচনা করার জন্য বলেছি। তবে আমরা বলেছি, পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। আসামী পক্ষ তাকে রাজি হয়েছে।রোজিনা ইসলামের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী জানিয়েছেন, পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তাকে জামিন দিয়েছেন আদালত। জামিনের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ যে শর্ত দিয়েছে, তাতে আমাদের আপত্তি নেই।তার আরেকজন আইনজীবী প্রশান্ত কর্মকার বলেন, ১৫ জুলাই এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার কথা রয়েছে। আমরা আইনগতভাবে এই মামলা মোকাবেলা করবো। রোজিনা ইসলাম আসার পরে তিনি যে সিদ্ধান্ত নেন, সেভাবে আমরা আইনি পদক্ষেপ নেবো।যারা হেনস্থা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কোন পদক্ষেপ নেয়া হবে কিনা, সেই প্রসঙ্গে প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক বলেন, সাংবাদিক সব সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।গত বৃহস্পতিবার তার জামিন আবেদনের শুনানি হওয়ার পর রায় দেয়ার জন্য রোববার তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।সেদিন রোজিনা ইসলামের জামিনের বিরোধিতা করলেও রোববার রাষ্ট্রপক্ষ জামিন আবেদনে আপত্তি করেনি।গত ১৭ই মে ছয় ঘণ্টা আটকে রাখার পর রাতে শাহবাগ থানা-পুলিশের কাছে রোজিনা ইসলামকে হস্তান্তর করা হয়। রাতে তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেক্টস অ্যাক্টে মামলা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।সেই মামলায় তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নথি চুরি এবং অনুমতি ছাড়া সেই নথির ছবি তোলার অভিযোগ আনা হয়েছে।তাকে প্রথমে আটকে রাখা এবং তারপর শত বছরের পুরোনো আইনে মামলা দেয়ার ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।সাংবাদিকদের সব সংগঠন প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে।

দূরপাল্লার গণপরিবহন চলবে, খোলা থাকবে হোটেল-রেস্তোরাঁও

এস এম আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা- করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের আরোপিত চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। তবে এই সময়ে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। একইসঙ্গে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোও খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে এর জন্য মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।রোববার (২৩ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখা থেকে জারি করা এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম এ নির্দেশনায় সই করেছেন।করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী চলমান বিধিনিষেধ আজ শেষ হচ্ছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে না আসায় তা আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হলো। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই বিধিনিষেধ ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।প্রজ্ঞাপনে নতুন করে বাড়ানো সাত দিনের বিধিনিষেধে খুলে দেয়া হয়েছে আন্তঃজেলার সবধরনের গণপরিবহন। ফলে বাস-লঞ্চ চলতে আর কোনো বাধা থাকছে না। তবে এসব পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী বহন করতে হবে।এছাড়া নির্দেশনা অনুযায়ী, হোটেল ও খাবারের দোকানে আসন সংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা দেওয়া যাবে। ফলে এখন হোটেলে ধারন ক্ষমতার অর্ধেক গ্রাহক বসে খেতে পারবে।উল্লেখ্য, গত মাসের শুরুতে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। ৫ই এপ্রিল শুরু হওয়া এই বিধিনিষেধ দফায় দফায় বাড়ানো হয়। তবে মানুষের জীবিকার তাগিদে কিছু শর্ত শিথিল করা হয়েছে। খুলে দেয়া হয়েছে দোকান, মার্কেট, শপিং মল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজধানীসহ জেলা শহরগুলোতে চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে গণপরিবহনগুলোকে।।

৩০ মে পর্যন্ত বাড়লো ‘লকডাউন’

নিউজ ২৪ লাইন ডটকম-ঢাকা- করোনাভাইরাসের সংক্রমণ না কমা এবং ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কারণে চলমান বিধিনিষেধ বা ‘লকডাউন’ আগামী ৩০ মে পর্যন্ত আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে।তবে এসময় আন্তঃজেলাসব সব ধরনের গণপরিবহন অর্ধেক আসন খালি রাখা সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রেস্তোরাঁতে মোট আসনের অর্ধেক বসিয়ে রাখার শর্তে সেগুলোও খুলে দেয়া হয়েছে।রোববার (২৩ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষতির এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।করোনা সংক্রমণ রোধে গত ৫ থেকে ১১ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। সেটি সর্বশেষ ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় ‘কঠোর’ বিধিনিষেধ।বিভিন্ন শর্ত আরোপ ও শিথিল করে কয়েকবার এ বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ১৬ মে বিধিনিষেধ বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার

২০ মে ২০২১ শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলা পরিদর্শন করেন জেলাপ্রশাসক,শরীয়তপুর জনাব মোঃ পারভেজ হাসান।

তিনি জাজিরা ইউনিয়ন এবং জয়নগর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীন গৃহহীন ও ভূমিহীন ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যে নির্মানাধীন আবাসন ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন ও কাজের মান ঠিক রেখে দ্রুততার সাথে নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে পরামর্শ দেন। পরিদর্শন শেষে একটি ফলদ গাছও রোপণ করেন।

একই সাথে তিনি জাজিরা উপজেলা ভূমি অফিস, জাজিরা ইউনিয়ন পরিষদ ও জাজিরা ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিদর্শন করেন ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন এবং উপজেলা ভূমি অফিস প্রাঙ্গণে দুটি ফলদ গাছের চারা রোপণ করেন। এছাড়া তিনি একটি কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন করেন এবং চলমান জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ ২০২১ এর কার্যক্রম অবলোকন করেন।

পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন জনাব মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান ভুঁইয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জাজিরা, শরীয়তপুর; বেগম রেণু দাস, সহকারী কমিশনার (ভূমি), জাজিরা; প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, জাজিরা প্রমুখ।
#জেলা_প্রশাসন_শরীয়তপুর

শরীয়তপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

 

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ

শরীয়তপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার রাতে শরীয়তপুর ১আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু এর ব্যক্তিগত কার্যালয় কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ নেতা ও সাংবাদিক  এস এম শফিকুল স্বপনের সভাপতিত্বে ও জেলা  আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাংবাদিক ফারুক আহম্মেদ মোল্লার পরিচালনায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে  উপস্থিত  ছিলেন, শরীয়তপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড.জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, পৌরসভার সাধারন সম্পাদক আমির হোসেন খান,জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুহুন মাদবর,শরীয়তপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ১ মোঃ বাচ্চু বেপারী, বাংলাদেশ ছাত্র লীগের সহ সভাপতি ফাহাদ হোসেন তপু,শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগের  যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ উজ্জামান,  এসময় উপস্থিত ছিলেন, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী মৎস্য জীবীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো.শফিকুল ইসলাম।   শরীয়তপুর সদর উপজেলা আহ্বায়ক ইকবাল হোসাইন। সদস্য সচিব মিজানুর রহমান বয়াতি। জাজিরা উপজেলা সভাপতি জি এম আলাউদ্দিন। নড়িয়া উপজেলা আহ্বায়ক ছাইদুল হক বয়াতি। সদস্য সচিব এস এম নুরুল হক। ভেদরগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক বাবু শ্যামসুন্দর দাস।       ডামুড্যা উপজেলা আহ্বায়ক মো. ফারুক দেয়ান।    গোসাইর  হাট উপজেলা সদস্য সচিব বাচ্চু ঢালী প্রমুখ।