শরীয়তপুর প্রতিনিধি ঃ শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যায় উপজেলা,শিধলকুড়া ইউনিয়নে ঘরে ঢুকে ঘুমিয়ে থাকা অসুস্থ বৃদ্ধা (৮৩) নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে ডামুড্যা থানায় লিখিত অভিযোগ করে বৃদ্ধা নিজে ই।
মঙ্গলবার (২৫ মে) রাতে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন শিধলকুড়া ইউনিয়নের আরমান বেপারীর ছেলে সামিম বেপারী (২৭) ও একই এলাকার তার বন্ধু শহীদ মাদবরের ছেলে হাসান মাদবর (২৬)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে সারে ৩ টার দিকে বৃদ্ধা নারীর ঘর থেকে আত্ম চিৎকার শুনে পাশের ঘরের লোক জন ছুটি আসে। ঘরে ঢুকার চেষ্টা করলে ভিতর থেকে আটকানো কারণে ঢুকতে পারে নি স্থানীয়রা। সামিম(রিংকু )ও হাসান পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। ধরার চেষ্টা করলে তাদের ধরা যায় নি।
ধর্ষনের শিকার নারী বলেন, জীবনে বড় পাপ করেছি। না হলে আজ এই দিন টা দেখা লাগতো না।
তিনি বলেন, স্বামী মারা যায় অনেক বছর আগে। ঘরে নারী একাই থাকি। ৩ মেয়ে ই থাকেন শশুর বাড়ি। প্রতিদিনের মত রাতে শুয়ে পড়ি আমি অসুস্থ ছিলাম। রাতে মাঝেমধ্যে ই সামিম আসতো ঘুমাতে। কালও পুলিশ আসছে ওকে ধরে নিতে এই কথা বলায় সরল মনে খুলে দেয় দরজা খুলে দেই। তারা ঘরে ঢুকে দরজা আটকিয়ে পাশের খাটে গিয়ে শোন। আমি ঘুমিয়ে পড়ি। হঠাৎ তার আমার ওপর আক্রমণ করে। মুখ চেপে রাখায় আমি চিৎকার করলেও বের হয় নি। হঠাৎ মুখ ছুটে যাওয়ায় জোরে চিৎকার। পাশের ঘরের রিনা, ওর জামায় সহ আরোও অনেকে ছুটে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী রিনা বেগম বলেন, রাতে প্রায় ৩ টার দিকে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়। তখন আমি শুনতে পাই পাশের ঘরের নারী আস্তে আস্তে চিৎকার করছে। আমি মনে করেছিলাম অসুস্থ হয়ে এমন টা করছে। অনেক সময় করার পর তাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে গেলে হঠাৎ বলে ওঠে তোরা কে কোথায় আছত আমারে বাচাঁ সামিম আর হাসান আমাকে মেরে ফেলতাছে। আমি দরজা ধাক্কা দিলে বন্ধ থাকায় খোলে না। পরে সে বলে ওঠে ওরা পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। দৌড়ে পিছন গেলে দেখি দুই জন দৌড়ে যাচ্ছে। কিন্তু অন্ধকার কে সেটা চিনতে পারি নি। ঘরে ঢুকে তাকে অজ্ঞান ও বিবস্র অবস্থায় খাটে পড়ে থাকতে দেখি।
সামিমের দাদা সামসুল ইসলাম (৭৮) বলেন, আমার নাতি নেশা পানি করে কিন্তু কোন মেয়েলী সমস্যা নেই। এলাকার মানুষ আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
ডামুড্যা থানা অফিসার্স ইনচার্জ (তদন্ত) প্রবিন চক্রবর্তী বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন কে বলেন, ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নারী কে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শরীয়তপুর হাসপাতালে পাঠানো হবে। রিপোর্ট আসার পর তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হব।