নবজাত সন্তানের মৃত্যুর খবর সুনে মা- অক্সিজেন মাস্ক খুলে আত্মহত্যা।

নিউজ২৪লাইন ডটকম : করোনায় আক্রান্ত মা জন্ম দিলেন করোনায় আক্রান্ত শিশুর। আর ওই শিশুর মৃত্যুর খবর শুনে নিজের মুখের হাইফ্লো নজেলের অক্সিজেন মাস্ক খুলে মা নিজেও আত্মহত্যা করলেন। একই সঙ্গে মা ও সন্তানের দাফন হলো। হৃদয় বিদারক এ ঘটনায় চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি চিকিৎসকরাও।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপতালের করোনা ইউনিটে গতকাল রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার বিকেলে মা ও সন্তানদের দাফন করে কুমিল্লার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বিবেক’।

মৃতদের মধ্যে চারজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের, তিনজন রাজশাহীর, একজন নাটোর ও একজন কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা।

বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেলে ১৭৭ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে ১৩ জন আছেন আইসিইউতে।

এর আগে গত বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের চারজন মারা যান। গত সোমবার রাজশাহী মেডিকেলে একদিনে সর্বাধিক ১০ জনের মৃত্যু হয়।

এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে রাজশাহী মেডিকেলে শনাক্ত ও উপসর্গ নিয়ে ৪৬ জনের মৃত্যু হলো।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের হরিশাপুর গ্রামের মো. সোহেল পাটোয়ারীর স্ত্রী ফারজানা আক্তার অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৭ মে থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু মা ফারজানা আক্তার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে শিশুর শরীরেও এর প্রভাব ছিল, যার কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়।

পরিবারের সদস্যদের কাছে সন্তানের মৃত্যু সংবাদ শুনে তা সহ্য করতে না পেরে ওই মা নিজের অক্সিজেন মাস্ক খুলে ফেলেন। এরপরই দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা টের পেয়ে তাকে আবার মাস্ক পরাতে যান। কিন্তু তিনি মাস্ক পরতে অনীহা প্রকাশ করেন।

ফারাজানা আক্তার এ সময় ডাক্তারদের বলেন, ‘আমার সন্তান যখন বেঁচে নেই তখন আমারও বেঁচে থেকে লাভ নেই।’ ডাক্তাররা জোড়চেষ্টা করেন। তিনি মাস্ক পড়েননি। এ পরিস্থিতি মা ফারজানা আক্তার কিছুক্ষণ পরে নিজেও মৃত্যুবরণ করেন। করোনায় আক্রান্ত গর্ভবতী মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া সদ্যজাত শিশুপুত্র জন্মের প্রায় ১২ ঘণ্টা পর মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

এ ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চিকিৎসক বলেন, ‘এমন হৃদয় বিদারক ঘটনা আমরা আগে কখনো

হাজী এম এ কাইয়ুম চুন্নু মুন্সী কে সংবর্ধনা

শরীয়তপুর প্রতিনিধি ঃ

দেশ বরেণ্য সাংবাদিক, সমাজ সেবক ও মানবাধিকার কর্মী ও সাদা মনের মানুষ হাজী এম এ কাইয়ুম চুন্নু মুন্সী কে ওয়ার্ল্ড জার্নালিস্ট ওয়েলফেয়ার কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করায় শরীয়তপুর বাসীর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

শরীয়তপুর রুপসী বাংলা চত্বরে দ্যা ডেইলী গ্লোবাল ন্যাশন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. মো: মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক হাজী এম এ কাইয়ুম চুন্নু মুন্সী ।

শরীয়তপুরের কৃতি সন্তান সাংবাদিক হাজী এম এ কাউয়ুম চুন্নু মুন্সী কে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করায় ওয়ার্ল্ড জার্নালিস্ট ওয়েলফেরার কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান টি এ কে আজাদ কে শরীয়তপুর বাসী অভিনন্দন জানিয়েছে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,বিষিস্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট ডক্টর্ মোঃ মাহবুবুর রহমান।

নেতা এইচ এম রবিউল আলম (রাব্বি), আব্দুল বারেক বাদশা সরদার, সাংবাদিক হানিফ মাল, সাংবাদিক মাহাবুব তালুকদার, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম চিশতি, সাংবাদিক তানভীর আহমেদ (সাগর), আবুল কাশেম সরদার, আক্তার হোসেন খান, মো: রুবেল, এস এম সোহেল রানা, মো: মনির হোসেন, শফিকুল ইসলাম, কামরুল বেপারী, সাংবাদিক সজিব খান
প্রমুখ ।

অ’নলাইনে বুকিং করলেই বাড়িতে আসবে না’রী!

প’তিতাপল্লী নয়, এবার অ-নলাইনে বুকিং কর-লেই বাড়িতে -আসবে না-রী!ব্যাংক থেকে পো-স্ট অফি-স, অন-লাইন ছা-ড়া- দুনিয়া অচল। বাজারও হয়ে যায় বাড়িতে বসে।

তাহলে শা’রীরিক সু’খ কেন পাওয়া যাব’’’ে না ঘরে বসে।সে দিন -য-খন প’তিতাপল্লীতে মুখ লুকিয়ে গি-য়ে শা’রীরিক তৃ’’’প্তি মিটি-য়ে নেওয়া। অত সময় -নেই।

একাকি জীবন, বাইরে যেতেও ভালো লাগে না। স’’’ঙ্গী বেছে নিন ফে’সবুকের বিশেষ বন্ধু পাতানোর পেজ থেকে। টাকা দিন অনলাইনে।কাজ শুরু।

সহজ ব্যপার। ইন্টারনেটে এসকর্ট সার্ভিস কিংবা ভিডিও চ্যাটের অতিসহজ প’’’দ্ধতিই এশিয়ার সবথেকে বড় যৌ’’নপল্লীর ব্যবসায় বা’ধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। -দিনে দিনে আয় ক-মে যাচ্ছে।আগের থেকে অন্তত ২০ থেকে ২৫ শ-তাংশ আয় কমে গি-য়েছে ক- লকা-তার সোনাগাছির যৌ’’ন-র্মী-দের।

এ-ম-নটাই জা-নিয়েছে সো-নাগাছির মহি-লারা।সোনাগাছি কলকাতায় অবস্থিত এশিয়ার বৃ’’’হত্তম নি’ষি’’’’দ্ধ পল্লি। এই পতি’তালয়ের কয়েকশত বহুতল ভবনে প্রায় ১০০,০০০ যৌ’’নকর্মী বসবাস করেন।

ভূ’ত আত’’ঙ্কে নার্সিং কলেজের ৪ ছাত্রী হাসপাতালে! বরিশাল নগরের রূপাতলীর বেস’রকারি জমজম নার্সিং কলেজের চার ছাত্রী ভূ’ত আ’ত’’ঙ্কে অ’চেতন ও অ’সুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষার্থীরা হলেন- জামিলা আক্তার (১৮), তামান্না (১৮), সেতু (২১) ও বৈশাখী (১৮)।

অ’সুস্থদের সহপাঠীরা জানান, কলেজের একাডেমিক ভবনের পঞ্চম ও ষষ্ঠতলায় একটি মা’দ্রাসা ছিল। মা’দ্রাসাটি সরিয়ে সেখানে ম্যাটস ও নার্সিং অনুষদের ছাত্রীদের জন্য আবাসনের (হোস্টেল) ব্যবস্থা করা হয়। পরীক্ষা ও প্রাকটিক্যালের জন্য সেখানে বর্তমানে শুধু নার্সিং অনুষদের ৩৫ জন ও ম্যাটস-এর আরো ১৫-২০ জন আছেন।

ক’রো’নার শুরু থেকে বন্ধ থাকলেও গত জানুয়ারি মাসের শুরুতে ছাত্রীরা হোস্টেলে আসেন। আবাসিকের স্টাফ খালেদা জানান, গতকাল মিথিলা নামে একটি মে’য়ে জ্বিন বা ভূ’তের ভ’য়ে আ’তঙ্কিত হয়ে পরেন। যদিও হুজুর এনে তাকে তেল ও পানি পড়া দেওয়া হয়।

এরপর সন্ধ্যার পর জামিলা নামে এক ছাত্রী আ’ত’’ঙ্কে চি’ৎকার দেন এবং অ’সুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় আ’ত’’ঙ্কে বাকি তিন ছাত্রীও অ’সুস্থ পড়েন। অ’সুস্থ সহপাঠীদের স’’’ঙ্গে থাকা শিক্ষার্থীদের দাবি, আবাসিকের ছাদের উপর রাতে হাঁটাহাঁটির শব্দ ও তাদের দুই সহপাঠীর হাতে হঠাৎ আঁচড়ের দাগ থেকেই এ আ’ত’’ঙ্কের সৃষ্টি।

বি’ষয়টি গত কয়েকদিন ধরেই ছাত্রীরা কর্তৃপক্ষের নজরে আনার চেষ্টা করছিল। শিক্ষার্থী মো. মেহেদি জানান, আ’ত’’ঙ্কে ছাত্রীদের অ’সুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে অদূরে থাকা ছাত্রাবাস থেকে তারা বেশ কয়েকজন সহপাঠী এগিয়ে আসেন।

পরে কর্তৃপক্ষকে বি’ষয়টি জানানো হলে তারা ঘ’টনাস্থলে এলেও বি’ষয়টি গো’পন রাখতে বলেছিল। আমর’’াই তাদের হাসপাতালে আনি। তবে কলেজ থেকে তখন কেউ আমা’দের স’’’ঙ্গে কেউ আসেননি। আর যে স্যার এখানে এসেছেন তিনি ঘ’টনাস্থলে যাননি। হাসপাতালে উপস্থিত কলেজের নার্সিং ইন্সট্রাক্টর জালিস মাহা’মুদ বলেন, কোনো কারণে শিক্ষার্থীরা আ’তঙ্কিত হয়ে অ’সুস্থ হয়ে পড়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা যা বলছে তেমন কোনো বি’ষয় নেই।

তাদের সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।এদিকে এ বি’ষয়ে ওয়ার্ডের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা কোনো বক্তব্য দিতে চাননি। এ ব্যাপারে জমজম নার্সিংয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুন্সি এনাম জানান, আবাসিক ছাত্রীদের ভীতি দূর করতে কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করা

হয়েছিল। ছাত্রীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হুজুর এনে মিলাদ-দোয়ারও আয়োজন করা হয়। এরপরও তাদের ভ’য় কাটেনি। ঘ’টনাস্থল পরিদর্শনকারী কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক রিয়াজুল ইসলাম জানান, কেন এমন ঘ’টনা ঘটলো তা ত’দন্ত চলছে।

এদিকে এই ঘ’টনার ৬০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৫ জন হোস্টেল ছেড়ে বাড়ি চলে গেছে।

সুএঃ মিডিয়া নিউজ

ইউরোপের দেশে কমে জাচ্ছে পুরুষ’ বিপাকে নারী।

ইউরোপের স্বনামধন্য কয়েকটা দেশ আছে যেগুলোতে নারী ও পু’রুষের শতকার হারের মধ্যে অনেক গ’রমিল রয়েছে। রাশিয়া, লাটভিয়া, বেলারুশ, লিথুনিয়া, আর্মেনিয়া, ই উক্রেন এই দেশগুলোতে পুরুষ থেকেও মহিলার সংখ্যা বেশি।

লাটভিয়ায় প্রতি ১০০ জন পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা ১১৮.০। লিথুনিয়ায় প্রতি ১০০ জন পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা ১১৭.২। আর্মেনিয়ায় প্রতি ১০০ জন পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা ১১৫.৫।

রাশিয়ায় প্রতি ১০০ জন পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা ১১৫.৩। বেলারুশে প্রতি ১০০ জন পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা ১১৫.২। ইউক্রেনে প্রতি ১০০ জন পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা ১১৫.৮৭।

এর মধ্যে বাল্টিক রাষ্ট্র লাটভিয়া সাবেক কমিউনিষ্ট সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে এসে পুঁজিবাদী রাষ্ট্রে প’রিণত হয়েছে প্রায় দুই দশক হতে চললো। কিন্তু, পুঁজিবাদি ব্যব’স্থায় লাটভিয় মহিলারা যতোটা এগিয়েছেন,

ততোটাই পিছিয়ে পড়ছেন সেখানকার পুরুষরা। পুরুষদের চেয়ে মেয়েরা সেখানে গড়ে এগারো বছর করে বেশী বাঁচছেন। ফলে, তৈরী হয়েছে নারী-পুরুষের মধ্যে এক সামাজিক ভারসা’ম্যহী’নতা।

নারী -পুরুষের এই ভারসাম্যহীনতার প্রকৃষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় লাটভিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে – এখানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা ৫০% বেশী। সমাজবিজ্ঞানী বাইবা বেলা বলছেন,

এইসব দেশগুলোতে মেয়েরা যে বয়সে সংসার গড়ার জন্য তৈরী হয় সেই বয়সে দেখা যায় ছেলেরা হয় মা’রা যাচ্ছে নয়তো আ’ত্মহ’ত্যা করছে। আর এই আ’ত্মহ’ত্যার সংখ্যা হচ্ছে তাদের স্বা’ভাবিক মৃ’ত্যুর চারগু’ণ।

নারী-পুরুষের ভার’সাম্যহী’নতা প্রথম বোঝা যায় ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়েসীদের মধ্যে – কারণ ঐ বয়সে যে‘কজন মেয়ে মা’রা যাচ্ছে – তার চেয়ে তিনগুণ বেশী মা’রা যাচ্ছে ছেলেরা।

এর অর্থ হচ্ছে, ঐ বয়েসীদের মধ্যে গাড়ী দুর্ঘ’টনা, মা’দকাস’ক্তি, ক’র্মস্থলে দু’র্ঘ’টনা ইত্যাদির ক্ষেত্রে মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের ঝুঁ’কি বেশী।

শরীয়তপুরে,মুক্তিযোদ্ধা কে লাঞ্চিতকারী কে গ্রেফতারের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা দের মানববন্ধন ।

শরীয়তপুর জেলার, ডামুড্যা উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিল বেপারি কে রক্তাক্ত ও জুতা পেটা করার প্রতিবাদে ইসলামপুর ইউনিয়নের ত্রাস ওয়াসিম মাদবরের বিরুদ্ধে সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হয়েছে। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, গত ২৬ মে,বুধবার এশা নামাজ আদায় করে মুক্তি যোদ্ধা খলিল বেপারি সেলিম ফকিরের চায়ের দোকানে চা খেতে যায়।আগে থেকেই ওতপেতে থাকা ওয়াসিম মাদবর গং খলিল বেপারি কে বেধড়ক মারধর করতে থাকে এক পর্যায়ে তাকে ভ্যান গাড়ির সাথে চেপে ধরে মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং জুতা পেটা করে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওয়াসিম মাদবরের বিরুদ্ধে ডামুড্যা থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

৩১ মে সোমবার সকাল ১১ টায় উপজেলার সকল মুক্তি যোদ্ধার পরিবার,অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীগন ডামুড্যা উপজেলার শহীদ মিনার চত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা ২৪ ঘন্টার মধ্যে মূল অপরাধী কে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার আবেদন জানান। আর যদি তাদের গ্রেফতার করতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়,তাহলে কঠিন থেকে কঠিনতর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে বক্তারা জানান। শরীয়তপুর জেলা মুক্তি যোদ্ধা সন্তান কমিটির সভাপতি, শরীয়তপুর জেলা পরিষদের সদস্য পূর্ব মাদারীপুর কলেজের সাবেক ভি,পি আবুল মনসুর আজাদ শামিম খান(ভিপি শামিম) বলেন,আজ আমরা অত্যন্ত দুঃখ ভরা হৃদয় নিয়ে দাঁড়িয়েছি।আপনারা জানেন যে,গত কয়েক দিন আগে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান দেশ মাতৃকার মাথার মুকুট বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিল বেপারি কে রক্তাক্ত করে লাঞ্চিত করা হয়েছে।

কিন্তু আজ প্রায় পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেফতার হয়নি। আমি প্রশাসন কে বলতে চাই কেন আজও তাঁরা গ্রেফতার হলোনা? বরং উল্টো আসামি পক্ষের লোকজন আহত মুক্তি যোদ্ধা খলিল বেপারির পরিবার কে বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। এটা কি ভাবে মেনে নেয়া যায়। আমি প্রশাসন কে বলতে চাই মুক্তি যোদ্ধাদের কারনেই আজ আপনারা এ দেশের বড় বড় পদে কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করতে পারছেন, এক এক জন বড় বড় অফিসার হচ্ছেন। আজ তাদের লাঞ্চিত কারিদের আপনারা গ্রেফতার করতে পারছেন, বিষয়টি খুব হতাশাজনক! এমনি করে চলতে থাকলে এ দেশ একদিন আবার অবরুদ্ধ হয়ে যাবে।

তাই অতি দ্রুত আসামি গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। মুক্তি যোদ্ধা পরিবারের সঙ্গে একত্রে যুক্ত হয়েছে ডামুড্যা রিপোর্টার্স ইউনিটি, ডামুড্যা প্রেস ক্লাব,ডামুড্যা সম্মিলিত সাংবাদিক সমিতির সকল সাংবাদিক বৃন্দ। এ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন হাওলাদার,আব্দুর রব ফকির,বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক সরদার,বীর মুক্তিযোদ্ধা সালাহ উদ্দিন আতস্কর,বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাঈল বেপারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসেম বেপারী,বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দীন ছৈয়াল,বীর মুক্তিযোদ্ধােে, এ. এইচ. এম সাহাবুদ্দীন তালুকদার,বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজ লাহেড়ী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ হুমায়ুন কবীর,বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিল বেপারী,বীর মুক্তিযোদ্ধা মালেক গোলদার,বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন কোতয়াল, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম খান সহ আরও অনেকে। আবুল মুছুর আজাদ শামীম, সভাপতি, শরীয়তপুর জেলা, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান,আওলাদ হোসেন সভাপতি আমরা মুক্তি যোদ্ধার সন্তান ডামুড্যা উপজেলা কমিটি, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান,আল আমিন সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ড,শিধলকুড়া,ইউনিয়ন, ,মিল্লাত হাওলাদার, সাধারন সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ড ঝন্টু মাদবর সভাপতি , মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ড বিল্লাল বেপারী, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ড। এবং আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান , কমিটির মোস্তফা কামাল লাইজু,পৌরসভা,সভাপতি,আয়েশাআক্তার,সাধারন সম্পাদক,ধানকাটি,শামীমা ইয়াছমিন,সুজন বেপারী,সাধারন সম্পাদক,দারুলআমান, জাকির হোসেন,কবির মাদবর, সভাপতি,কনেশ্বর ,নুরুল ইসলাম বাবু,আসাদুজ্জামান সজিব মাদবর,রোস্তম খান,শফিকুল ইসলাম ঢালী, সভাপতি,ইসলামপুর, রাজিবুল আলম তুষার সিকদার, ,মোহাম্মদ আলী,হুমায়ুন কবির বাবু, সহ আরো শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। প্রমূখ। সমাবেশ ও মানববন্ধন শেষে তাঁর উপজেলা।

নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট স্মারক লিপি এবং অতি দ্রুত আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানান। ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাফর আলী বিশ্বাস বলেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। যে কোন সময় আসামি গ্রেফতার হয়ে যাবে বলে আমি আশাবাদী।

ধামাচাপা দিয়ে সময়ের আগেই ‘ শেষ হয়েছে প্রকল্পের কাজ।

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় অতিদরিদ্র মানুষের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) বাস্তবায়নের কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই অল্প সংখ্যক শ্রমিক দিয়ে ‘কোনরকম’ শেষ হয়েছে প্রকল্পের কাজ।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪০ দিনের এ কর্মসূচিতে মোট ৫৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। এসব প্রকল্পে মোট ২ হাজার ৪৪৫ জন সুবিধাভোগী ব্যক্তির কাজ করার কথা। যাদের এক-তৃতীয়াংশ নারী শ্রমিক

১০ এপ্রিল থেকে ৪ জুন পর্যন্ত এ কাজ চলার কথা ছিল। প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন কাজ বন্ধ থাকার নিয়ম। প্রত্যেক শ্রমিকের প্রতিদিন ২০০ টাকা করে পাওয়ার কথা। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মাধ্যমে দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

গত রোববার (২৩ মে), সোমবার (২৪ মে), মঙ্গলবার (২৫ মে) ও সোমবার (৩১ মে) ৫৮টি প্রকল্পের মধ্যে ২০টি এলাকা ঘুরে প্রকল্পের বিবরণী সংবলিত সাইনবোর্ড তেমন চোখে পড়েনি। তবে ইদিলপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের তরগোয়ালকুয়া এলাকায় একটির সাইনবোর্ড পেলেও লেখা ছিল কাজ আরম্ভের তারিখ (২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শেষ ৪ অক্টোবর)।

বেশির ভাগ প্রকল্পেই কোনো শ্রমিককে কাজ করতে দেখা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অল্প কিছুসংখ্যক শ্রমিক দিয়ে নামমাত্র কাজ করা হয়েছে। নারী শ্রমিকতো ছিলই না।

ইদিলপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের তরগোয়ালকুয়া কার্পেটিং রাস্তা হতে তরগোয়ালকুয়া নদীরপড়া ও চরসাতমাটিয়া কার্পেটিং রাস্তা থেকে মোতালেব হাওলাদারেরর বাড়ি পর্যন্ত মাটি ফেলে রাস্তা পুনর্নির্মাণ প্রকল্পে ৭০ জন নারী ও পুরুষ শ্রমিকের কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু ২৪ মে কোনো শ্রমিক পাওয়া যায়নি।

একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চরজুশিরগাঁও এলাকায় খোরশেদ মাঝির বাড়ি থেকে মান্নান সরদারের বাড়ি পর্যন্ত মাটি ফেলে রাস্তা পুনর্নির্মাণ প্রকল্পে ৬৫ জন নারী ও পুরুষ শ্রমিকের কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার (৩১ মে) কোনো শ্রমিক পাওয়া যায়নি।

তবে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে ইদিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন শিকারী বলেন, ‘সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কাজ করার কথা না। তবুও আমরা কাজ করছি। আমি ২৪ মে সাড়ে তিন ঘণ্টা ট্যাগ অফিসার নিয়ে পরিদর্শনে ছিলাম। যেই যেই জায়গায় কাজ করার কথা, কাজতো করছে। কাজ না করলে কাজ এমনেই হয়ে গেছে।’

সামান্তসার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কালাম ব্যাপারী বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাদের বলেছে মাটির জন্য যেন কাজ বন্ধ না থাকে। দুদিন পর বলবেন পানির জন্য মাটি পাই না, এটা যেন না হয়। তাই নিয়ম মেনে আগেই কাজ শেষ হয়ে গেছে।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) তাহমিনা আক্তার চৌধুরী। তিনি ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে গোসাইরহাট উপজেলা পিআইও হিসেবে কর্মরত আছেন। গোসাইরহাট ছাড়াও তিনি ডামুড্যা উপজেলায় ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
কাজের অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তাহমিনা আক্তার চৌধুরী বলেন, ‘বোরো ধান কাটার জন্যইতো শ্রমিক পাওয়া যায় না। আমাদের প্রকল্পের কাজ তখনই শুরু হয়, তাই শ্রমিক পাওয়া কঠিন। তবুও চেয়ারম্যান মেম্বরদের বলেছি, সামনে যেহেতু বর্ষাকাল তাই যতদ্রুত সম্ভব শ্রমিক দিয়ে সঠিকভাবে কাজগুলো করে শেষ করতে হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলমগীর হুসাইন বলেন, ‘কাজের ব্যাপারে আমি তথ্য নেব। প্রকল্প কাজে যদি শ্রমিক কম থাকে, শ্রমিক মোটেই না থাকে তাহলে এটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যে শ্রমিক যেদিন উপস্থিত না থাকবে, সেদিন তাকে অনুপস্থিত দেখিয়ে বিল কেটে রাখা হবে। আমাদের ট্যাগ অফিসাররা নিয়মিত কাজ তদারকি করে থাকেন। তদারকিতে যদি ঘাটতি থাকে, তাহলে বিষয়টি দেখা হবে। কাজ যেন ভালোভাবে সম্পূর্ণ হয়, সেই ব্যবস্থা করা হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বোনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট গ্রাহক প্রতারণায় সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স এর।

শত শত গ্রাহকের বিমা দাবির টাকা পরিশোধ করছে না সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স। টাকা পেতে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা। কোম্পানির চেয়ারম্যান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বোন এবং এমডির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্টও জারি হয়েছে ৯টি মামলায়। কিন্তু তা তামিল হচ্ছে না দীর্ঘদিন।

নাম মনিরুজ্জামান ডাবলু। সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের জীবন বিমা পলিসি করেন ১০ বছর মেয়াদী। মেয়াদপূর্তির পর একটি টাকাও পাননি। কুষ্টিয়ায় প্রায় ৫ শ’ বীমা দাবির একটি টাকারও পাননি গ্রাহকরা। বাড়িঘর ছাড়া সানলাইফের স্থানীয় কর্মকর্তারা।

সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের মালিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, তার স্ত্রী ও ছেলে। মালিকানা আছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মা, বোন, ভগ্নীপতি ও ভাগ্নে’র। গ্রাহক প্রতারণায় কোম্পানির চেয়ারম্যান ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বোন অধ্যাপক রুবিনা হামিদসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন কুষ্টিয়ার আদালত।

ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের অফিস ঢাকার বনানীতে। কুষ্টিয়া থেকে বনানী থানায় এলেও ৬ ওয়ারেন্টের কোনোটাই তামিল হয়নি রহস্যজনক কারণে। এ বিষয়ে ক্যামেরায় কথা বলতে রাজি হয়নি বনানী থানা পুলিশ।

এছাড়াও সারা দেশে সানলাইফের কাছে ৩০ কোটি টাকার বেশি পাওনা গ্রাহকদের। কুষ্টিয়া ছাড়াও নড়াইল, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ আরও কয়েকটি জেলায় গ্রাহকরা মামলা করেছেন ইন্স্যুরেন্সটির বিরুদ্ধে। সেসব মামলার কয়েকটিতেও ওয়ারেন্ট জারি হয়।

1 2