ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর দিন সমাপ্তির পথে।।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক- ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মেয়াদের ইতি টানতে একটি ঐক্য সরকারে সায় দিয়েছে দেশটির উগ্র-ডানপন্থী দলের নেতা নাফতালি বেনেট।

রোববার (২০ মে) তার পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার অবসান হতে যাচ্ছে।

বেনেট রোববার তার নিজের দল ইয়ামিনা পার্টির সাথে এক বৈঠকের পর বলেন, আমার লক্ষ্য আমার বন্ধু ইয়ায়ির লাপিদের সাথে জাতীয় ঐক্য সরকার গঠন করা। একসাথে আমরা দেশকে ঘূর্ণিপাক থেকে রক্ষা করতে পারব, ইসরাইলকে তার গতিপথে ফিরিয়ে আনতে পারব।

মধ্যপন্থী লাপিদকে বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১১.৫৯ টার মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এখন বেনেটের ঘোষণার ফলে নেতানিয়াহুর ১২ বছরের শাসনকাল শেষ হওয়ার পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যায় সম্পন্ন হলো।

বেনেট বলেন, তিনি দেশকে মাত্র দুই বছরের মধ্যে পঞ্চম নির্বাচন থেকে রক্ষা করার জন্য এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে

তিনি ইসরাইলি ডানপন্থার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করর জন্য বেনেটকে অভিযুক্ত করে তার ভাষায় বামপন্থী সরকারে যোগ না দিতে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের পর এটি হতে যাচ্ছে তার প্রথম নির্বাচনী পরাজয়।

বেনেট একসময়ে নেতানিয়াহুর মিত্র হলেও এখন তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেছেন, ডানপন্থীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠনের কোনো সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন না।

ইসরাইলে গত দুই বছরে চারটি নির্বাচন হলেও নেতানিয়াহু এখন পর্যন্ত সরকার গঠন করার মতো আসন সংগ্রহ করতে পারেননি। ফলে এবারো সরকার গঠন করা সম্ভব না হলে আবার নির্বাচন অবধারিত ছিল।

ভঙ্গুর জোট
তবে নেতানিয়াহুবিরোধী জোটও হবে ভঙ্গুর। এই জোটের শরিকদের মধ্যে নেতানিয়াহুবিরোধী অবস্থান ছাড়া গুরুত্বপুর্ণ প্রায় সব বিষয়েই ভিন্নমত রয়েছে। তাছাড়া এই জোটের বাইরে থেকে ফিলিস্তিনি-ইসরাইলি সদস্যদের সমর্থনের প্রয়োজন হবে। তারা আবার বেনেটের অ্যাজেন্ডার বিরোধী। উল্লেখ্য, বেনেট অধিকৃত পশ্চিম তীরসহ ফিলিস্তিন ভূমিতে ইসরাইলি দখলদারিত্ব জোরদার করার পক্ষপাতী।

তবে এই সরকারের প্রধান কাজ হবে কোভিড-১৯ মহামারী-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার। তারা সম্ভবত সমাজে ধর্মের ভূমিকা, ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্রগঠনের দাবির মতো বিরোধপূর্ণ বিষয়গুলো পাশে সরিয়ে রাখবেন।

অন্যদিকে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গ্যানাইজেশন (পিএলও) বেনেটকে মনে করে নেতানিয়াহুর মতোই উগ্র। বেনেটের ঘোষণার পর পিএলওর এক কর্মকর্তা বলেন, বেনেটের উপস্থিতি গড়া সরকার হবে উগ্র ডানপন্থী। নেতানিয়াহুর প্রশাসনের চেয়ে তা কোনোভাবেই ভিন্ন হবে না।

নাইজেরিয়ার মাদ্রাসা থেকে ২০০ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছে বন্দুকধারীরা।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক- নাইজেরিয়ার নিজার প্রদেশের একটি মাদ্রাসার প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছে বন্দুকধারীরা। অপহরণের সময় তারা বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে, আরেকজন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার ঘটনাটি ঘটে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার পর স্থানীয় সরকার এক টুইট পোস্টে শিক্ষার্থীদের অপহরণের ঘটনাটি প্রকাশ করে নাইজেরিয় কর্তৃপক্ষ। পোস্টে বলায় হয়, ওই মাদ্রাসা থেকে মোট কত শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে, তা পরিস্কার নয়।

নাইজেরিয় সংবাদমাধ্যমে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে উল্লেখ করা হয়, অস্ত্রধারীরা মোটরসাইকেলে করে পুরো শহর চষে বেড়ায় এবং এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। মানুষজন তাদের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে যাওয়ার পর তারা স্কুলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের অপহরণ করে। স্কুলটিতে ছয় বছর থেকে শুরু করে ১৮ বছর ছেলে-মেয়ে পড়াশোনা করে।

নিজার প্রদেশের ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, তিনি জানিয়েছে কমপক্ষে ১৫০ জন শিক্ষার্থীকে বন্দুকধারীরা গুলি চালিয়ে নিয়ে গেছে। তবে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে ২০০ শিক্ষার্থীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, হামলায় দুই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছে এবং এতে একজন মারা গেছে। এ ছাড়া গাড়িতে করে ঘুরছিলেন এমন বেশ কিছু মানুষকেও অপহরণ করা হয়েছে।

পেছাতে পারে সিপিএল এর সময় সূচি।

করোনার কারণে স্থগিত হওয়া আইপিএল আয়োজন হতে যাচ্ছে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে। একই সময়ে মাঠে গড়ানোর কথা রয়েছে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগও (সিপিএল)। দুই ফ্রাঞ্চাইজি লিগের সূচির সংঘর্ষ এড়াতে সিপিএলের সূচিতে পরিবর্তন আনতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আবেদন জানিয়েছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)।

করোনার ভয়াবহতায় এবারের আইপিএল মাঝপথেই স্থগিত হয়ে যায়। ভারত থেকে সরিয়ে এই টুর্নামেন্টটি আরব আমিরাতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই। সময়সূচি হিসেবে ধরা হয় সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ফাঁকা সময়কে। তবে এই সূচি সাংঘর্ষিক হওয়ায় বেশ বিপাকে পরে বিসিসিআই।
২৮ আগস্ট থেকে শুরু হওয়ার কথা সিপিএল। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ১৯ সেপ্টেম্বর। সেই টুর্নামেন্ট থেকে আগত তারকাদের আরব আমিরাতে মাঠে নামার আগে তিন দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে বলেও জানা যাচ্ছে।

ক্রিস গেইল, ডোয়াইন ব্রাভো, কাইরন পোলার্ডদের মতো ক্যারিবিয়ান তারকারা আইপিএল অন্যতম আকর্ষণ। সূচি জটিলতায় উইন্ডিজ তারকাদের প্রথম কয়েকটা ম্যাচে না পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ‘আমরা ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করছি। আশা করা হচ্ছে যদি সিপিএল কিছুদিন আগে শেষ করা সম্ভব হয়, তবে ক্রিকেটারদের এক বলয় থেকে দুবাইয়ের আরেক বলয়ে সময়মতো আনা যাবে

৬০শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া বেশি নিলেও অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলছে রাজধানীর গণপরিবহন ।

ঢাকা:করোনা মহামারিতে সরকারের জারি করা বিধিনিষেধের উপেক্ষা করে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলছে রাজধানীর গণপরিবহনগুলো। অতিরিক্ত যাত্রী তুলেও আদায় করা হচ্ছে ৬০শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া।
আর স্বাস্থ্যবিধি মানা তো হচ্ছেই না।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে বেশির ভাগ গাড়িতেই সব সিটে যাত্রী বসিয়েও দাঁড়িয়ে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে ৬০ শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া আদায়। সাধারণত অফিসে যাওয়া এবং আসার সময়ে এই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা।

শ্যামলী,আসাদগেট,ফার্মগেট,কারওয়ান বাজার,বাড্ডা-উওরা,বাংলামোটর, শাহবাগ,মহাখালী,মগবাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। যাত্রীরা অভিযোগ করেন,অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ায় স্টাফদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে-বিভিন্ন সময় ।

দেশে চলতি বছরের মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার দেশে বিভিন্ন বিধিনিষেধ ও লকডাউন জারি করে। জরুরি সেবা ছাড়া বন্ধ রাখা হয়েছিল গণপরিবহনও।

পরবর্তী সময়ে গণপরিবহন শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে তাদের আন্দোলনের মুখে প্রজ্ঞাপন জারি করে খুলে দেয়া হয় অভ্যন্তরীণ গণপরিবহন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তঃজেলা বাস, লঞ্চ ও ট্রেনসহ সব ধরনের গণপরিবহন মোট সিটের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ভাড়ার ৬০ শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে চলবে গণপরিবহন।

প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা প্রথম দিকে কিছুটা মানলেও এখন মানা হচ্ছে না কোনো কিছু। বাসে-বিধিনিষেধের উপেক্ষা করে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলছে রাজধানীর গণপরিবহনগুলো। তবে ৬০ শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নিয়মটা এখনো ঠিকমতো মানা হচ্ছে গণপরিবহনগুলোতে।
প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা প্রথম দিকে কিছুটা মানলেও এখন মানা হচ্ছে না কোনো কিছু। বাসে-বিধিনিষেধের উপেক্ষা করে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলছে রাজধানীর গণপরিবহনগুলো। তবে ৬০ শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নিয়মটা এখনো ঠিকমতো মানা হচ্ছে গণপরিবহনগুলোতে।

রাতে পুলিশের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে গাড়ির ভেতরের আলো নিভিয়ে চলাচল করছে গাড়িগুলো। জনস্বার্থে-চাই-প্রশাসনের ও-সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নজর দারি।✍

পদ্মার ভাংগনে বিলীন হচ্ছেন জাজিরার চর অঞ্চল।

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের পদ্মাসেতু সংলগ্ন পাইনপাড়ার চর, আহমেদ মাঝি কান্দী, পাইনপাড়া মাঝি কান্দি ও বেপারী কান্দি এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত কয়েক মাসে প্রায় শতাধিক পরিবার ভাঙ্গনের শিকার হয়ে মানবেতর জীবন পার করছে। বিলিন হয়েছে কয়েশ জমির ফসল ও গাছ-পালা। ভাঙ্গনের হুমকির মুখে রয়েছে প্রায় তিন হাজার পরিবার। ভাঙ্গন আতঙ্কের মধ্যে ওই চরের বাসিন্দারা ক্ষতিপূরণ ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মাববন্ধন করেছে। রোববার (৩০ মে) বেলা ১১টা ও ১টার সময় আহামেদ মাঝী কান্দি ও পাইনপাড়া মাঝী কান্দি, বেপারী কান্দি এলাকার পৃথক ভাবে তারা মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহন করেন।

তারা দাবী করপন, পদ্মা সেতুর ক্যানেলে ৩৩ ও ৩৪ নং পিলারের সামনে অপরিকল্পিত ভাবে ড্রেজিং ও ক্রস বাঁধ নির্মাণের কারণে জাজিরা উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন পূর্ব নাওডুবা ইউনিয়নের অছিম উদ্দিন মাদবর কান্দি ও মোমেন মোল্লা কান্দি এলাকায় প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়। এই স্রোতে ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি গাছপালা সহ কয়েক একর ফসলি জমি। এ ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায়, তাদের শেষ আশ্রয় সম্বল টুকু রক্ষা ও ক্ষতিপুরনের দাবিতে তারা আহাদি মাঝী কান্দি ও পাইনপাড়া মাঝী কান্দি, বেপারী কান্দি এলাকায় পৃথক ভাবে দুই স্থানে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে স্থানীয় মোসলেম উদ্দিন মাদবর, আব্দুর রাজ্জাক মাঝী, রোকন মাঝী, মালেক মোস্তাক ও আব্দুল লতিফ বেপারী নেতৃবৃন্দসহ এলাকার সকলের, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ক্ষতিপূরণসহ বাকি এলাকার ভাঙ্গন রোধে একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণেরর দাবি জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।

মানববন্ধনে এলাকাবাসী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন জনদরদী। তিনি সব সময় গরিব-দুঃখী ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। আমরা এলাকার অনেকেই আমাদের শেষ সম্বল টুকু হারিয়ে ফেলেছি। যতটুকু অবশিষ্ট আছে, ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় তাও নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। অতি দ্রুত এখানে একটি স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে, আমাদের শেষ সম্বল রক্ষাসহ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। আমরা আশা করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সহানুভূতির দৃষ্টি দেবেন।

জাজিরার চর এলাকা, ক্ষতিপূরণ ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে এলাকবাসীর মানববন্ধন

টিটুল মোল্লা।।

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের পদ্মাসেতু সংলগ্ন পাইনপাড়ার চর, আহমেদ মাঝি কান্দী, পাইনপাড়া মাঝি কান্দি ও বেপারী কান্দি এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত কয়েক মাসে প্রায় শতাধিক পরিবার ভাঙ্গনের শিকার হয়ে মানবেতর জীবন পার করছে। বিলিন হয়েছে কয়েশ জমির ফসল ও গাছ-পালা। ভাঙ্গনের হুমকির মুখে রয়েছে প্রায় তিন হাজার পরিবার। ভাঙ্গন আতঙ্কের মধ্যে ওই চরের বাসিন্দারা ক্ষতিপূরণ ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মাববন্ধন করেছে। রোববার (৩০ মে) বেলা ১১টা ও ১টার সময় আহামেদ মাঝী কান্দি ও পাইনপাড়া মাঝী কান্দি, বেপারী কান্দি এলাকার পৃথক ভাবে তারা মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহন করেন।

তারা দাবী করপন, পদ্মা সেতুর ক্যানেলে ৩৩ ও ৩৪ নং পিলারের সামনে অপরিকল্পিত ভাবে ড্রেজিং ও ক্রস বাঁধ নির্মাণের কারণে জাজিরা উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন পূর্ব নাওডুবা ইউনিয়নের অছিম উদ্দিন মাদবর কান্দি ও মোমেন মোল্লা কান্দি এলাকায় প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়। এই স্রোতে ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি গাছপালা সহ কয়েক একর ফসলি জমি। এ ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায়, তাদের শেষ আশ্রয় সম্বল টুকু রক্ষা ও ক্ষতিপুরনের দাবিতে তারা আহাদি মাঝী কান্দি ও পাইনপাড়া মাঝী কান্দি, বেপারী কান্দি এলাকায় পৃথক ভাবে দুই স্থানে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে স্থানীয় মোসলেম উদ্দিন মাদবর, আব্দুর রাজ্জাক মাঝী, রোকন মাঝী, মালেক মোস্তাক ও আব্দুল লতিফ বেপারী নেতৃবৃন্দসহ এলাকার সকলের, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ক্ষতিপূরণসহ বাকি এলাকার ভাঙ্গন রোধে একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণেরর দাবি জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।

মানববন্ধনে এলাকাবাসী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন জনদরদী। তিনি সব সময় গরিব-দুঃখী ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। আমরা এলাকার অনেকেই আমাদের শেষ সম্বল টুকু হারিয়ে ফেলেছি। যতটুকু অবশিষ্ট আছে, ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় তাও নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। অতি দ্রুত এখানে একটি স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে, আমাদের শেষ সম্বল রক্ষাসহ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। আমরা আশা করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সহানুভূতির দৃষ্টি দেবেন।

শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব জানান, পদ্মা সেতু সংলগ্ন বা ভেতরের অংশে, পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন কাজ করে না। বাংলাদেশ ব্রীজ অথরিটি আছে, তারাই এ কাজটি করে থাকে। যদি কিছু হয়ে থাকে, তাদেরকে জানাতে হবে এবং তারাই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবেন। যেহেতু পদ্মা সংশ্লিষ্ট বিষয়, তাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু করার নেই।

1 2 3 4 20