তিন প্রতিবন্ধীর দিন কাটছে চিকিৎসা ও অর্থ কষ্টে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুরে ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নাজিম পুর গ্রামের একটি হতদরিদ্র পরিবারের ৪ জন সদস্যদের ৩ জনই প্রতিবন্ধী।

চিকিৎসা এবং অর্থকষ্টে দিন কাটছে তাদের। এর মধ্যে মা রোকেয়া বেগম (৫০) শুধু ভালো রয়েছেন, তবে তার তিন সন্তান মোঃ আলম চৌকদার (২৮), মোঃ জহির ইসলাম চৌকদার (২৫), এবং এক মেয়ে তানজিলা (২৩) প্রতিবন্ধী হয়ে ঘরেই দিন কাটাচ্ছে বলে জানা এবং দেখা গেছে।

 

সরেজমিনে গিয়ে আরও জানা গেছে, পরিবারে প্রতিবন্ধী ৩ সন্তান কে দেখার জন্য শুধু তাদের মা রয়েছেন, বাবাও প্রতিবন্ধী অবস্থায়ই মারা গেছেন। এমনকি হতদরিদ্র পরিবারটির ঘরে তাদের বাবার বাবা অর্থাৎ তাদের দাদাও এই প্রতিবন্ধী হয়ে মারা গেছে বলে জানান মা রোকেয়া বেগম।

তবে প্রশ্ন রয়ে যায় এখানে প্রতিবন্ধী হয়ে মারা যায় বিষয় টি আসলে কী!

প্রতিবন্ধী তিন সন্তানের জননী রোকেয়া বেগম কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আমার যখন বিয়ে হয় তখন ওদের বাবা ভালো ছিলেন, পরে আস্তে আস্তে তার শরীর অন্য রকম হতে থাকে। অর্থাৎ শরীর শুকিয়ে চিকন হয়ে যায় এবং কথা বলতে সমস্যা হয়ে যায়। এমনকি হাটা চলা শেষে বন্ধ হয়ে যায়, এবং এক সময় মারা যায়।

তিনি আরও জানান,আমার শশুরও এ রোগে মারা যান, আমার বড় ছেলেও এভাবেই মারা যায়। আমি বুঝতে পারি না আমার সন্তান গুলো পর্যন্ত বড় হয়ে আস্তে আস্তে শরীর হাত পা অন্য রকম হয়ে এবং এক সময় হাঁটাচলা বন্ধ হয়ে সেই সাথে কথা বলা পর্যন্ত সমস্যা হয়ে একসময় মারা যাচ্ছে।

আমার এক মেয়ে তানজিলা আক্তার (২৩) সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলো ভালো ছিলো বিয়ের আগে, সমাজের দশজনে দেখে শুনে নিলো পাশের বাড়ির রুবেল গাজীর সাথে বিয়ে দিলাম, সন্তান হয়েছে। এখন আমার ভালো মেয়েটা আস্তে আস্তে প্রতিবন্ধী হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা দেখে আমার মেয়েটাকে রেখে অন্য যায়গায় বিয়ে করে এখন আর আমার মেয়ের কোন খোঁজ খবর নেয় না মেয়ের জামাই।

কথাগুলো বলার সময় দুচোখ দিয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে পানি পড়তে ছিলো দুঃখী মায়ের। দুই বছর হয় বড় ছেলে আলামিন (৩০) দীর্ঘ ১০ বছর প্রতিবন্ধী জীবন কাটিয়ে এ রোগেই মারা যায় বলে জানান মা রোকেয়া বেগম। বর্তমানে এখন আমার মেজো ছেলে মোঃ আলম (২৮) বিদেশ ঘুরেও এসেছে এবং ভালো ছিলো এখন ৮ বছর যাবৎ প্রতিবন্ধী হয়ে ঘরে বন্ধী হয়ে আছে এবং মোঃ জহির ইসলাম চৌকদার (২৫) ৪ বছর যাবৎ একি অবস্থা হয়ে ঘরে বন্ধী হয়ে আছে।

স্থানীয় লোকজন এবং এলাকাবাসী জানান, ওদের দাদা, ওদের বাবা, এবং ওদের এক ভাই এরকম হয়েই মারা গেছে। কেন এ রকম হয়ে যায় আমরা বুঝতে পারি না। ওরা আমাদের মতো এক সময় সুস্থ স্বাভাবিক ছিলো, কিন্তু আস্তে আস্তে ওরা এরকম হয়ে গেছে। এখন কথাও ঠিকমতো বলতে পারে না এবং হাটতেও পারে না। ওদের শুধু ওর মা ছাড়া আর কেউ দেখার নেই।

তবে তাদের পরিবার টি কিভাবে চলছে বিষয় টি জানতে চাইলে তারা বলেন, সামান্য কিছু টাকা ভাতা পায় আর এলাকাবাসী মাঝে মধ্যে কিছু দেয় তা দিয়েই কোন রকম চলছে।

তবে খুব কষ্টে কাটছে তাদের জীবন। না আছে ভালো একটা থাকার ঘর, না আছে তাদের সংসারে উপার্জনকারী কেউ। তাই আমরা চাই সরকারীভাবে তাদের জন্য একটা ঘর এবং তাদের আর্থিক কোন সহযোগিতা করলে হয়তো একটু ভালো থাকতে পারবে।

প্রতিবন্ধী তিন সন্তানের জননী রোকেয়া বেগম বলেন,আমার এই তিন সন্তান নিয়ে আমি খুব কস্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি, সংসারে কামাই করার মতো কেউ নেই। তাই যদি সরকার আমার সন্তানদের দিকে তাকিয়ে আমাকে একটা থাকার ঘর এবং আর্থিক সহযোগিতা করতো তাহলে হয়তো এতো কষ্ট করতে হতো না।

এদিকে পরিবারটির বিষয়ে শরীয়তপুর নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুয়েল আহমেদ মোল্লা বলেন, যদি প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদানের পাশাপাশি সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগে এই প্রতিবন্ধীদেরকে আর্থিক সহায়তা করা হয় তাহলে হয়ত অসহায় প্রতিবন্ধীদের বেঁচে থাকাটা সহজ হবে। এজন্য মানবিক কারণে হলেও সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি শরীয়তপুর জেলার প্রবাসী ও বিত্তবানদেরকেও এ অসহায় পরিবারকে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করা বড়ই প্রয়োজন।

এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলার সমাজসেবা অফিসের কর্মকর্তা তাপস বিশ্বাস বলেন, ভেদরগঞ্জ আমি নতুন জয়েন করেছি। তাই বিষয়টি আমার জানা নেই।

এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আল নাসিফ বলেন, ছয়গাঁও ইউনিয়নের একই পরিবারের তিনজন প্রতিবন্ধী বিষয়টি আমার জানা ছিলো না, আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। এই পরিবারের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে তাদের জন্য সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করবো।

স্বাধীনতা অর্জন হয়নি, শুধুমাত্র হাতবদল হয়েছে!

 

অনুলিখন কবিতা চৌধুরী :

উখিয়ায় শহীদ পরিবারের এক উত্তরসূরীর ‘স্বাধীনতা অর্জন হয়নি, শুধুমাত্র হাতবদল হয়েছে’ দাবি সম্বলিত একটি স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন করে ভাইরাল হয়েছে।জন্ম দিয়েছে নতুন বিতর্কের। ভাইরাল হওয়া ফেসবুক আইডিটির নাম Faria Islam Morzina( ফারিয়া ইসলাম মর্জিনা)। স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে জানা যায় মূলত: আইডিটি ব্যবহারী ব্যক্তিটি হচ্ছেন সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এবং হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ আলমের ভাতিজী ও উখিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের ছোট বোন।

 

স্ট্যাটাসের সূত্রধরে আরো জানা যায় এ বছরের ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে এই নারীর ব্যবহৃত আইডি (Faria Islam Morzina) থেকে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন – ‘এইদিন সেই সময়! স্বাধীনতা অর্জন হয়নি! শুধুমাত্র হাতবদল হয়েছে। এই যেন পৃথিবীর নিকৃষ্টতম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন। ধিক্কার….’

 

একইভাবে ওই নারী যুদ্ধাপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর বক্তৃতার একটি অংশ ছবিসহ পোস্ট করে লিখেছেন – ‘আহারে… মানুষটি কত আগে সতর্ক করেছিলেন।’ শুধু তাই নয় বর্তমান সরকার ও আওয়ামী লীগের নানা কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক সমালোচনাও নিয়মিত করে থাকেন এ নারী।

 

এসব স্ট্যাটাস নজরে আসা স্থানীয় অনেকেই জানিয়েছেন, যারা শহীদ পরিবারের মর্যাদাটাকে পুঁজি করে সরকারি ও বেসরকারি নানা রকম সুবিধা ভোগ করছে তাদের কাছে এমন আপত্তিকর কিছু তারা আশা করেননি।

 

 

তবে তার এইসব  লেখাকে  সমর্থন জানিয়ে সুমাইয়া মামুন নামক একটি আইডি থেকে কমেন্টে লিখেছেন, ধরে নেন আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা কিংবা আমরা মুক্তিযোদ্ধার বংশধর, তারমানে এই না যে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কিছু করলে তাকে পশ্রয় দিবো। তিনি তো আর সুপ্রিমকোর্টে বিচার চায়নি, জাস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিছে। সব পরিবারই দেখবে, কিছু বুঝতে পারবে। মানুষ মাত্রই ভুল। আপনি বুঝাতে চেয়েছেন যে, ওনি  মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, তাহলে তার এমন পোস্ট কেন।

 

আমার কথা হচ্ছে যে, প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব একটা মত থাকে সেটা আপনারই বলা উক্তি। আশা করি ওনি খারাপ কিছু পোস্ট করেননি।

 

 

 

একই বিষয়ে কড়া সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মো: মনজুর এলাহী নামে আরেকজন লিখেছেন, জনাবা, স্বাধীনতা কখনো হাতবদল হতে পারেনা। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় যারা রাজপথে তান্ডব চালিয়েছে তারা হচ্ছে জাতির কুলাঙ্গার। আর আপনি যে সাঈদির বক্তব্য দেখালেন তিনি হচ্ছেন সু’সময়ের অন্ধ। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তিনি অন্ধ হয়ে যান। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে তিনি শুধু আকাশে কালো মেঘ দেখেন। যখন চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র ধরা পড়লো তখন তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। যখন দেশের ৬৪ টি জেলায় একযোগে বোমা হামলা হলো তখন তিনি বেগম জিয়ার শাড়ি দিয়ে তার চোখ বেঁধে রেখে ছিলেন। যখন দূর্নীতিতে পর পর চারবার চ্যাম্পিয়ন হলো দেশ তখন তিনি আকাশ ভ্রমনে ছিলেন। যখন উত্তরবঙ্গে জিএমবির উত্থান হলো তখন তিনি সবকিছুর জন্য মিডিয়ার দোষ দিয়েছিলেন। যখন সিরাজগঞ্জে পূর্ণিমা ধর্ষিত হলো তখন তিনি বেগম জিয়ার শাড়ির আচলে লুকিয়ে ছিলেন। আসলে ভন্ডরা সব এইরকম। আপনার প্রতি অনুরোধ থাকবে মহান স্বাধীনতা নিয়ে মনগড়া মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন।

 

এসব বিষয়ে স্থানীয় এক মুরব্বি মন্তব্য করেন শহীদ পরিবারের লোকজন যা ইচ্ছা লিখতে পারে, যা ইচ্ছা করতে পারে, তাদের জন্য কোন আইন প্রযোজ্য আছে কী?তবে তিনি বিষয়টি ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য  সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

শরীয়তপুরে ঈদ সামগ্রী উপহার বিতরণ করলেন “শরীয়তপুর নাগরিক অধিকার আন্দোলন,,

টিটুল মোল্লা।।   

শরীয়তপুর নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে “করোনা” ভাইরাস প্রতিরোধে শরীয়তপুর জেলায় বিভিন্ন অসহায় দুস্থ মানুষের মধ্যে মাক্স এবং ঈদ সামগ্রী উপহার বিতরণ করা হয়েছে।

 

শরীয়তপুর নাগরিক অধিকার আন্দোলেন এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম আবুল কালাম আজাদ, সাধারন সম্পাদক জুয়েল আহমেদ মোল্লার উপস্থিতিতে শরীয়তপুর নাগরিক অধিকার আন্দোলন এর  সভাপতি, বাংলাদেশ মফস্বল সংবাদিক ফোরাম শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি,দৈনিক দেশ বার্তা শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি এবং দেশ২৪ নিউজ ডট কম এর সম্পাদক মোঃ ফারুক আহম্মেদ মোল্লার নেতৃত্বে এ উপহার সামগ্রী বিতরন করা হয়।

শরীয়তপুর জেলার ছয়টি উপজেলার বিভিন্ন অসহায় দুস্থ মানুষ, রিকশা চালক, ভ্যান চালক, অসহায় খেটে খাওয়া মানুষদের মধ্যে ঘুরে ঘুরে মাক্স এবং ঈদ  সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। 

 

শরীয়তপুর নাগরিক অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি  এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই সংগঠনের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন সময়ে দেশের ক্রান্তিকালে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। শরীয়তপুরের বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভা সহ বিভিন্ন এলাকায় আমাদের এই উপহার ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।সমাজের বৃত্তবান যারা আছেন তারা সবাই যদি সামান্য কিছু কিছু করে দিয়ে দেশের এই সময় মানুষের জন্য এগিয়ে আসেন তাহলে হয়তো এসব অসহায় মানুষের একটু হলেও উপকারে আসবে। 

 

এ সময় শরীয়তপুর নাগরিক অধিকার আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ মোল্লা বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি দেশের এই পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে। শরীয়তপুর নাগরিক অধিকার আন্দোলন এর ঈদ উপহার বিতরণ হচ্ছে এবং অভ্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

 

এ ব্যাপারে, শরীয়তপুর নাগরিক অধিকার আন্দোলেন এর শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি এবং বাংলাদেশ মফস্বল সংবাদিক ফোরামের শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি মোঃফারুক আহম্মেদ মোল্লা বলেন, আমাদের সংগঠন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এই সংগঠনের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন সময়ে দেশের সাধারন খেটে খাওয়া মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের সম্প্রতি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের সহায়তায় শরীয়তপুর জেলার সব গুলো উপজেলাতেই কম বেশি করে আমাদের এই ঈদ সামগ্রী উপহার বিতরণ করছি।

 

এ সময় উপস্থিত বাংলাদেশ মফস্বল সংবাদিক ফোরামের শরীয়তপুর জেলা শাখার সাধারণ বেলাল হোসাইন, আলোকিত শরীয়তপুর ডট কম এর সম্পাদক ও মোঃতানভীর আহমেদ,সাংবাদিক শাহীন আলম, সাংবাদিক টিটুল মোল্লা সহ  শরীয়তপুর নাগরীক অধিকার আন্দোলনের বিভিন্ন নেতাকর্মী। 

  

পহেলা মে উপলক্ষে আওয়ামী মটর শ্রমিক লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের বানী

আওয়ামী মটর শ্রমিক লীগের সভাপতি জনাব মোঃ আজিজুল হাকিম রিপন বাণীঃ

 

করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে এসেছে এবারের মে দিবস, যখন সংক্রমণ এড়াতে শ্রমজীবী মানুষকে থাকতে হচ্ছে কর্মহীন, ঘরবন্দি অবস্থায়।

ধৈর্য্য আর সাহসের সঙ্গে সবাইকে এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী মটর শ্রমিক লীগের সভাপতি জনাব মোঃ আজিজুল হাকিম রিপন। সরকারের পাশাপাশি শিল্প-প্রতিষ্ঠানের মালিকদেরও তিনি শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন।

‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, সোনার বাংলা গড়ে তুলি’ – এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে শনিবার দেশে মে দিবস পালিত হচ্ছে বাংলাদেশে।

আওয়ামী মটর শ্রমিক লীগ প্রতি বছর নানা আয়োজনের মধ্যে দিনটি পালন করলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন।

ভাইরাসের বিস্তার রোধে অন্য অনেক আয়োজনের মত মে দিবসের সব আনুষ্ঠানিকতাও এবার খুব ছোট করা হয়েছে। জনসমাগম হয়- এমন কর্মসূচি না নিতে শ্রমিক সংগঠনগুলোকে অনুরোধ করেছেন আওয়ামী মটর শ্রমিক লীগের সভাপতি জনাব মোঃ আজিজুল হাকিম রিপন।

১৮৮৬ সালের ১ মে আমেরিকার শিকাগো শহরে হে মার্কেটের শ্রমিকরা শ্রমের ন্যায্য মূল্য এবং আট ঘণ্টা কাজের সময় নির্ধারণ করার দাবিতে ধর্মঘট শুরু করেছিল। সেই আন্দোলন দমনে শ্রমিকদের ওপর গুলি চালানো হয়। ১০ শ্রমিকের আত্মত্যাগে গড়ে ওঠে বিক্ষোভ। প্রবল জনমতের মুখে যুক্তরাষ্ট্র সরকার শ্রমিকদের আট ঘণ্টা কাজের সময় নির্ধারণ করতে বাধ্য হয়।

১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই ফ্রান্সের প্যারিসে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে শিকাগোর শ্রমিকদের সংগ্রামী ঐক্যের অর্জনকে স্বীকৃতি দিয়ে ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস ঘোষণা করা হয়। ১৮৯০ সাল থেকে সারাবিশ্বে শ্রমিক সংহতির আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে মে মাসের ১ তারিখে ‘মে দিবস’ পালিত হচ্ছে।

এবারের মে দিবসের আগে ‘শ্রমজীবী মেহনতি ভাই বোনদের’ শুভেচ্ছা জানিয়ে আওয়ামী মটর শ্রমিক লীগের সভাপতি জনাব মোঃ আজিজুল হাকিম রিপন নবভাবনা২৪ডটকম কে এক বার্তায় বলেছেন, “করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। কোনো প্রকার আনুষ্ঠানিকতার চেয়ে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি সবার আগে।”

নতুন এই করোনাভাইরাস অত্যন্ত ছোঁয়াচে বলে সব ধরনের জনসমাগম এড়িয়ে সবাইকে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্বের নিয়ম মেনে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হচ্ছে।

এই সঙ্কটে গভীর অনিশ্চয়তায় পড়েছে বিশ্বের মেহনতি মানুষ। কর্মীসংখ্যা বিশ্বের মোট শ্রমশক্তির প্রায় অর্ধেক।

বাংলাদেশ সরকার এই সঙ্কট মোকাবেলায় সময়ে কাওকে যেন চাকরিচ্যুত করা না হয়, সে বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে।

 

আওয়ামী মটর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ আলমাস হাওলাদার মিন্টু বাণীঃ

মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মানুষকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন আওয়ামী মটর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ আলমাস হাওলাদার মিন্টু।

এক বাণীতে তিনি বলেছেন, মে দিবস সারা বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের ঐক্য ও সংহতির মহান প্রতীক। শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষই দেশের উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্যেই নিহিত রয়েছে দেশের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন।

দেশের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শ্রমজীবী মানুষের ভূমিকা ও শ্রমিকদের নিরাপত্তাসহ শ্রমিকের স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা সাধারণ সম্পাদক তার বাণীতে তুলে ধরেছেন।

তিনি বলেন, “সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। … বঙ্গবন্ধু সেই স্বপ্ন পূরণে শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে সবাইকে দলমত নির্বিশেষে একাত্ম হতে হবে। এই অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে শ্রমিক-মালিক সম্প্রীতি দেশের উন্নয়নের পথকে ত্বরান্বিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।”

সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়াল থাবা আঘাত হেনেছে। এর ফলে গভীর সঙ্কটে পড়েছে শিল্প-প্রতিষ্ঠানসহ দেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ।

“এ পরিস্থিতিতে সরকার জনগণের পাশে থেকে ত্রাণকাজ পরিচালনাসহ সর্বাত্মক কাযক্রম নিয়েছে। আমি সরকারের পাশাপাশি শিল্প-প্রতিষ্ঠানের মালিকগণকেও শ্রমজীবী মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।”

সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেও সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সাধারণ সম্পাদক বলেন, “এ সঙ্কট শীঘ্রই কেটে যাবে, ইনশাআল্লাহ। আমি ধৈর্য্য ও সাহসের সাথে সবাইকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে একযোগে পরিস্থিতি মোকাবিলার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। শ্রমিকের স্বার্থ সংরক্ষণ ও অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে সমৃদ্ধির পথে – মহান মে দিবসে এ প্রত্যাশা।”

ছিন্নমূল ও অসহায়দের পাশে দাঁড়ালেন মোবাশ্বের চৌধুরী 

সুমন সরদার

 

করোনা আতঙ্কে যখন সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত ঠিক তখনই ঢাকা- ১৪ আসন অসহায় ছিন্নমূল ও কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানবতার অনন্য নজির স্থাপণ করে চলছেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোবাশ্বের হোসেন চৌধুরী। তিনি দুস্থ অসহায় ও কর্মহীন মানুষের কাছে যাচ্ছেন কখনও ইফতার সামগ্রী, কখনও চাল,ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিয়ে আবার কখনও গভীর রাতে সেহেরির খাবার নিয়ে ছুটছেন চির অবহেলিত ছিন্নমূল মানুষের কাছে। এছাড়া নিয়মিত তিনি ঢাকা-১৪ আসনের বিভিন্ন এলাকায ত্রাণ ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধক সামগ্রী বিতরণ করে সচেতনতা মূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

মোবাশ্বের হোসেন চৌধুরী বলেন, বর্তমান সময়টি আমাদের জন্য বিপদজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে দিনমজুর ও নিন্মআয়ের মানুষেরা। এই সংকট সময়ে আমাদের সকলের উচিত গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেধা,দক্ষতা,প্রজ্ঞা এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বে অত্যন্ত সফলতার সাথে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করে যাচ্ছেন। এ দুর্যোগকালীন সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে জনগণের পাশে দাড়ানোর নির্দেশনা প্রদান করেছেন তিনি। সেই নির্দেশনা অনুসরণ করে বিভিন্ন স্থানে মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধক সামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছি। এমনকি যারা চাইতে পারে না তাদের ঘরে ঘরে গিয়ে এই খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত করোনাভাইরাস নিরাময় না হবে ততদিন পর্যন্ত এ সকল কর্মহীন অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম চালু থাকবে বলে জানান তিনি।

প্রভাতী ও মাতৃছায়া উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

 

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামে শুক্রবার (৩০,এপ্রিল) বিকালে প্রভাতী ও মাতৃছায়া উদ্যোগে অসহায়, দুঃস্থদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। প্রায় ১০০ পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে সংগঠনটি।

 

সংগঠনটির সভাপতি নূর ফয়সাল রেজা বলেন, বর্তমানে মহামারী (কোভিড ১৯) করোনার দ্বিতীয় স্রোত ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। এমন অবস্থায় অনেক পরিবার অসহায় হয়ে পরেছে কর্মসংস্থান হারিয়ে। পবিত্র রমজান মাসে তাই আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে কিছু অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারকে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছি। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তিনি সমাজের বিত্তবান শ্রেণীর মানুষদেরকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

উক্ত ইফতার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রভাতীর সভাপতি নূর ফয়সাল রেজা,আশরাফ সাজ্জাদ,সাবিত জাওয়াদ নাদিম,রাশেদ খান মাতৃছায়ার সভাপতি আনিস মাহমুদ,সাধারণ-সম্পাদক হাসান রেজা,আবরার বিন শফিক,আরিফ হোসাইন,সাফায়েত হাসান,ইফাজ মাহমুদ,সাকলাইন চৌধুরী,মোহাম্মদ বাবু,হাসানুল কবির আকিফ ও মোহাম্মদ সাজিদ, প্রমুখ।

1 18 19 20