পরীক্ষা এক বছর না দিলে বিরাট ক্ষতি হবে না : শিক্ষামন্ত্রী।

, ঢাকা- শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, পরীক্ষা এক বছর না দিলে এমন কোনো বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে না। আপনাদের সুস্থতা এবং জীবন আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যাপারে কী করা যায় আমরা সেগুলো নিয়েও ভাবছি।

রোববার (১৩ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের উদ্বেগটা অনেক বেশি। আমরা চেষ্টা করছি সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে তাদের পরীক্ষা নেয়ার। যদি সেটা সম্ভব না হয় তবে তাদের জন্য বিকল্প চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। আমরা এই সময়েও বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষাব্যবস্থা চালিয়ে যাচ্ছি। টিভি, অনলাইন ও এসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করার সুযোগ পাচ্ছে।’

ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, কিন্তু করোনা পরিস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হই। এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি রয়েছে, তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে স্কুল-কলেজ খুলে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হবে

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, তোমরা বাসায় বসে নিয়মিত পড়ালেখা করে সিলেবাস শেষ করবে। তার সঙ্গে সুস্থ থাকতে হবে। জীবন থেকে এক বছর চলে গেলেও কিছু হবে না, তার চাইতে সুস্থ থাকাটা বড় বিষয় বলে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষাব্যবস্থার যে ক্ষতি হচ্ছে তা কাটিয়ে ওঠার জন্য নানা পদক্ষেপ হাতে নেয়া হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ নিয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিবৃতি।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত আজ ১৩ জুন ২০২১ রবিবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ – এর মাননীয় সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি’র ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বিদ্যমান সাংগঠনিক অবস্থা পর্যালােচনা এবং করণীয় সম্পর্কিত এক বিশেষ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় । সভায় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ – এর যুগ্ম – সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল – আলম হানিফ এমপি , সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি , মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভােকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি , ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভােকেট সিরাজুল মােস্তফা , দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া , উপ – প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন , কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী , সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম , কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ – এর ভারপ্রান্ত সভাপতি অ্যাড . ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী , সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান , জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম – সাধারণ সম্পাদক আশেক উল্লাহ রফিক এমপি , সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি , সালাহউদ্দিন আহমেদ সিআইপি , চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাফর আলম এমপি , সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী , চকরিয়া পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু , সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী এবং চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনােনীত মেয়র প্রার্থী আলমগীর চৌধুরীসহ জেলা , উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ।

সভায় উপস্থিত কক্সবাজার জেলা এবং চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সকল ভুল বােঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগকে একটি সুসংগঠিত , ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী সাংগঠনিক শাখায় পরিণত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন । উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাফর আলম এমপি ও উপস্থিত নেতৃবৃন্দ আসন্ন চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের সকল পর্যায়ের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনােনীত প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রক্রিতি প্রদান করেন । এ সময় জাফর আলম এমপি সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত প্রীতিকর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তার ব্যবহারের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে ভুল – ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ জানান । সভায় বিস্তারিত আলােচনা শেষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ – এর যুগ্ম – সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল – আলম হানিফ এমপি নিম্নলিখিত সিদ্ধান্ত প্রদান করেন

১ , চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে সংগঠনের সকল নেতা – কর্মী নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন এবং সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন ধরনের সকল কর্মকাণ্ড পরিহার করবেন ।

২. চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি – সাধারণ সম্পাদকসহ সকলেই দায়িত্ব নিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে নৌকা প্রতীকের বিজয় সুনিশ্চিত করবেন ।

৩. চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাফর আলম এমপিসহ যাদেরকে অব্যাহতি প্রদান করেছে , সেই আদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ।

৪ , আগামী ১৭ জুন ২০২১ বৃহস্পতিবার চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ – এর উদ্যোগে একটি কর্মীসভা আয়ােজন করা হবে । কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভােকেট সিরাজুল মােস্তফা । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাড . ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী , সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান , কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ সিআইপি । সভায় সভাপতিত্ব করবেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাফর আলম এমপি ।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিবৃতি।

বার্তা প্রেরক

( ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া )

দপ্তর সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ।

গভীর রাতে মাওয়া হাইওয়ে চলন্ত গাড়িকে লক্ষ করে চাপাতি নিক্ষেপ।

বৃহস্পতিবার রাতে আনুমানিক ২:২০ এ মাওয়া থেকে ঢাকা আসার সময় ধলেশ্বরীব্রিজের টোল পার হওয়ার কিছুক্ষণ পর(২/৩ মিনিট) নিরিবিলি রাস্তার পাশের ঝোপ থেকে আমাদের গাড়িতে লোহার কিছু ছুড়ে মারে (শাবল/চাপাতি)।

ছবি দেখে বুঝতে পারার কথা। আমাদের সাথে থাকা একজন চিৎকার করে ড্রাইভারকে বলেছিল “ডাকাত গাড়ি টানেন” না হলে হয়ত গাড়ি থমিয়ে দেখতে যেতাম কি লাগল গাড়িতে আর তা হলেই মহাবিপদে পরতাম। গাড়ির স্পিড ১২০ ছিল আর তারা(ডাকাত) গাড়ির চাকা লক্ষ করে মেরেছিল। কপালে জোরে আল্লাহর রহমতে এ যাত্রায় বেচে গেছি।

যারা রাতে পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে মাওয়া যাতায়াত করেন রাতে তারা সাবধানে চলবেন আর এমন কিছু হলে কিছুতেই গাড়ি থামাবেন না

চীনের হুঁশিয়ারি জি-৭ জোটকে।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক- বিশ্বের ধনী রাষ্ট্রগুলোর জোট জি-৭ এর নেতাদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে চীন বলেছে, অল্প কয়েকটি দেশ পুরো বিশ্বের ভাগ্য নির্ধারণ করবে, এমন ধারণা অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। হাতেগোনা কয়েকটি দেশ পুরো বিশ্বকে শাসন করতে পারে না।

বিশ্বব্যাপী চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ঠেকাতে পশ্চিমা দেশগুলোর পরিকল্পনার জবাবে রোববার (১৩ জুন) একথা জানায় দেশটি। খবর- বিবিসির

চীনের লন্ডন দূতাবাসের এক মুখপাত্র জানান, ‘অল্প কয়েকটি দেশ স্বৈরতান্ত্রিকভাবে পুরো বিশ্বের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দিন অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। আমরা সবসময় বিশ্বাস করি যে, দেশ ছোট হোক বা বড়, শক্তিশালী হোক বা দুর্বল হোক; সবাই সমান। আর তাই বৈশ্বিক কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সকল দেশের উচিত সিদ্ধান্ত নেওয়া।’

জি-৭ এর সদস্যদেশগুলো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রিটেন, জার্মানি, ইটালি, ফ্রান্স এবং জাপান। জানা গেছে, নিম্ন-মধ্যম আয়ের কোম্পানিগুলোকে উন্নত অবকাঠামো তৈরিতে সহায়তা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন অর্থনৈতিক জোট জি-৭ এর সদস্য দেশগুলোর নেতারা। এবছর ইংল্যান্ডের কর্নওয়ালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জি-৭ সম্মেলন।

বিবৃতিতে জি-৭ নেতারা জানিয়েছেন, অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য তারা মূল্যবোধ দ্বারা চালিত, উচ্চমানের এবং স্বচ্ছ অংশীদ্বারিত্বের প্রস্তাব দেবেন। তবে এই প্রকল্পের অর্থায়ন কীভাবে হবে তা এখনো পরিষ্কার নয়। এছাড়া আশা করা হচ্ছে, এবারের সম্মেলনে মহামারি মোকাবেলা নিয়েও একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করবেন জি-৭ নেতারা।।

নায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ।

বিনোদন ডেস্ক- ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমণি তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেছেন। তাকে নির্যাতনও করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য চেয়ে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে মা ডেকে তার কাছে সঠিক বিচার ও মেয়ে হিসেবে আশ্রয় চেয়েছেন পরীমণি।

আজ রোববার (১৩ জুন) রাত ৮টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ স্ট্যাটাস দেন পরীমণি। সময়ের কণ্ঠস্বরের পাঠকদের জন্য তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

আমি পরীমণি। এই দেশের একজন বাধ্যগত নাগরিক।আমার পেশা চলচ্চিত্র। আমি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাকে রেপ এবং হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।

এই বিচার কই চাইবো আমি? কোথায় চাইবো? কে করবে সঠিক বিচার ? আমি খুঁজে পাইনি গত চার দিন ধরে। থানা থেকে শুরু করে আমাদের চলচ্চিত্রবন্ধু বেনজির আহমেদ আইজিপি স্যার! আমি কাউকে পাইনা মা।

যাদেরকে পেয়েছি সবাই শুধু ঘটনা বিস্তারিত জেনে, দেখছি বলে চুপ হয়ে যায়!

আমি মেয়ে, আমি নায়িকা, তার আগে আমি মানুষ। আমি চুপ করে থাকতে পারিনা। আজ আমার সাথে যা হয়েছে তা যদি আমি কেবল মেয়ে বলে, লোকে কী বলবে এই গিলানো বাক্য মেনে নিয়ে চুপ হয়ে যাই, তাহলে অনেকের মতো (যাদের অনেক নাম এক্ষুণি মনে পরে গেল) তাদের মতো আমিও কেবল তাদের দল ভারী করতে চলেছি হয়তো।

আফসোস ছাড়া কারোর কি করবার থাকবে তখন!

আমি তাদের মতো চুপ কি করে থাকতে পারি মা?

আমি তো আপনাকে দেখিনি চুপ থেকে কোন অন্যায় মেনে নিতে!

আমার মা যখন মারা যান তখন আমার বয়স আড়াই বছর। এতদিনে কখনো আমার এক মুহুর্ত মাকে খুব দরকার এখন,
মনে হয়নি এটা। আজ মনে হচ্ছে , ভীষণ রকম মনে হচ্ছে মাকে দরকার ,একটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরার জন্য দরকার।
আমার আপনাকে দরকার মা। আমার এখন বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে দরকার মা।

স্বামী ভারতে বিক্রি করে দিলেন স্ত্রী ও শ্যালিকাকে।

বেশি বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে স্ত্রী ও শ্যালিকাকে ভারতে নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন স্বামী ইউসুফ মিয়া ও তার সহযোগী রাব্বিল শেখ। শুক্রবার (১১ জুন) রাতে র‌্যাব-১৪ অভিযান চালিয়ে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বালিহাটা থেকে ইউসুফ এবং গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে রাব্বিল শেখকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, বেশ কয়েকটি মোবাইল সিম ও এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়। শনিবার (১২ জুন) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১৪-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু নাঈম মো. তালাত এসব তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা মানব পাচারে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। স্ত্রী কুলসুমা আক্তার (২২) ও শ্যালিকা সুমাইয়া আক্তারকে (১৯) মানব পাচারকারীদের সহায়তায় ভারতে বিক্রি করে দেন ইউসুফ। তিনি ও তার সহযোগীরা দুই বোনকে শ্রীপুরের জৈনা বাজার থেকে ভারতে নিয়ে বিক্রি করে দেন। পরে পাচারকারীদের কাছ থেকে কৌশলে পালিয়ে বড় বোন বিএসএফের হাতে এবং ছোট বোন পুলিশের হাতে আটক হয়ে শিয়ালদহের একটি সেফহোমে আশ্রয় নেন। দুই বোনের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের রসুলপুরে। ওই গ্রামের আজিজুল হকের মেয়ে তারা।

গত ৫ জুন মেয়েদের পাচার করার অভিযোগে শ্রীপুর থানায় মামলা করেন তাদের বাবা আজিজ। র‌্যাব-১৪-এর অধিনায়ক জানান, প্রাথমিক তদন্তে পাচারকারীদের অন্যতম হোতা রাব্বিল শেখের বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়, যা এই মানব পাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ভুক্তভোগীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে র‌্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি সংস্থার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া মানব পাচারকারী চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)

ইসলাম ডেস্ক-মহানবী মুহাম্মাদ (সা.) সর্বশেষ নবী। দুনিয়ার সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানব। কুরআন এবং মুসলিম উম্মাহই কেবল তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি দেয়নি, দিয়েছেন অমুসলিম মনীষীরাও।

‘মাইকেল হার্ট’ যিনি বিশ্বের সর্বকালের সবচাইতে প্রভাবশালী একশত সেরা মনীষীর জীবনী লিখেছেন, তিনি সেই জীবনী তালিকায় প্রথমেই মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে স্থান দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “মুহাম্মদ (সা.) এর সাফল্যের মধ্যে জাগতিক ও ধর্মীয় উভয় বিধ প্রভাবের এক অতুলনীয় সংমিশ্রণ ঘটেছে। এজন্য সংগতভাবেই তাঁকে ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।” -(দ্যা হ্যান্ড্রেড)

সৌদিআরবের মক্কা নগরীতে ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ ই রবিউল আউয়াল মহানবী (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আব্দুল্লাহ এবং মাতার নাম আমিনা। দুনিয়ায় আসার পুর্বেই পিতা আব্দুল্লাহ মারা যান। আবার ছয় বছর বয়সে মা আমিনাও মারা যান। পিতা-মাতা উভয়কে হারিয়ে মহানবী (সা.) অসহায় ও এতিম হয়ে পড়েন। মায়ের মৃত্যুর পর তিনি দাদা আবদুল মুত্তালিব এর আশ্রয়ে বড় হতে থাকেন। কিন্তু আট বছর বয়সে দাদাকেও হারান। এরপর চাচা আবু তালিবের স্নেহে লালিত পালিত হন।

বয়স যখন কৈশোরে তখন একটি সত্য ও সুন্দর সমাজ গঠনের লক্ষ্যে শান্তিকামী যুবকদের নিয়ে তিনি গঠন করেন ‘হিলফুল ফুযুল’ অর্থাৎ শান্তিসংঘ। হিলফুল ফুযুলের উদ্দেশ্য ছিল, আর্তমানবতার সেবা করা। অত্যাচারীকে প্রতিরোধ করা। শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা। গোত্রে গোত্রে সম্প্রীতি বজায় রাখা ইত্যাদি।

মহানবী (সা.) -এর প্রজ্ঞা ও যোগ্যতার সংবাদ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। খুওয়াইলিদ কন্যা খাদিজা লোক মারফত মহানবী (সা.)-কে তাঁর ব্যবসায়ে নিযুক্ত করার প্রস্তাব করেন। চাচা আবু তালিবের সাথে আলোচনা করে মহানবী (সা.) তাতে রাজী হলেন। সততা ও চারিত্রিক মাধুর্যতা দেখে মক্কার সম্পদশালী মহিলা খাদিজা (রা:) নিজ ব্যবসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব মহানবী (সা.) এর ওপর অর্পন করেন। অতি কম সময়ে খাদিজার ব্যবসা পরিচালনায় মহানবী (সা.) সততার অনন্য নজির স্থাপন করেন। খাদিজা মহানবী (সা.) এর বিশ্বস্ততা ও কর্মদক্ষতায় অভিভূত হন। মুগ্ধ হন। তারপরই খাদিজা নিজেই মহানবী (সা.) এর সঙ্গে বিবাহের প্রস্তাব পাঠান। চাচা আবু তালিবের সম্মতিতে খাদিজার সঙ্গে মহানবী (সা.) এর বিবাহ সম্পন্ন হয়। এ সময় তাঁর বয়স পচিশ বছর হলেও খাদিজার বয়স ছিল চল্লিশ বছর।

নবুয়ত প্রাপ্তির সময় খুব কাছাকাছি। মহানবী (সা.) যেন পূর্বাপেক্ষা আরও বেশী নির্জনতাপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এসময় তাঁর বয়স চল্লিশ বছর পূর্ণ হয়ে যায়। হেরা পর্বতের নির্জন গুহায় একাধারে কয়েকদিন আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন থাকেন। হঠাৎ এক রাতে জিবরাইল (আ:) তাঁর কাছে ওহী নিয়ে আসেন। জিবরাইল (আ:) কুরআনের আয়াত পাঠ করে শুনালেন- “পড় তোমার প্রভূর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।” তখন তিনি নবুয়ত প্রাপ্ত হন।

নবুওয়ত পেয়ে মহানবী (সা.) মানুষদের আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার দাওয়াত দেন। এতে মূর্তিপূজারী লোকজন তাঁর দাওয়াতের বিরোধিতা শুরু করে। তাঁর ওপর নানারকম নির্যাতন চালাতে থাকে। তারা মহানবী (সা.)-কে সমাজের নেতা বানানোর প্রলোভন দেখায়। ধন-সম্পদের লোভ দেখায়। মহানবী (সা.) তাদের বলেন, “আমার এক হাতে সূর্য ও অন্য হাতে চাঁদ এনে দিলেও আমি ইসলাম প্রচার থেকে বিরত হবো না। মহানবী (সা.) এর ওপর মক্কার কাফেররা ভীষণ ক্ষেপে ওঠে। অত্যাচার শুরু করে। তাঁর সাথে করে দুর্ব্যবহার। তাদের দুর্ব্যবহারে মহানবী (সা.) অনেক কষ্ট পান।

একসময় জন্মভূমি মক্কা ছেড়ে তিনি মদীনায় চলে যান। মদীনাকে ইসলাম প্রচারের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগী হন। তিনি সেখানে একটি ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। মুসলমান, খ্রিস্টান, ইহুদিসহ সব স¤প্রদায়ের লোকের পরস্পরের মধ্যে শান্তি, স¤প্রীতি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ‘মদীনা সনদ’ সম্পাদন করেন। এ মদীনা সনদই ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত চুক্তি বা সংবিধান। এ সনদের ফলে মুসলমান আর অমুসলমানদের মধ্যে এক অপূর্ব সম্প্রীতির সম্পর্ক গড়ে উঠে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হয়। নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়।

মদীনায় যাওয়ার আট বছর পর অর্থাৎ অষ্টম হিজরির রামাদ্বান মাসে দশ হাজার সাহাবী নিয়ে মহানবী (সা.) আবার নিজের জন্মভূমি মক্কায় ফিরে আসেন। মহানবী (সা.) এর বিশাল সৈন্যবাহিনী দেখে মক্কার অমুসলিমরা ভীষণ ভয় পায়। প্রতিরোধ করার সাহস তারা হারিয়ে ফেলে। মহানবী (সা.)-কে যারা তিলে তিলে কষ্ট দিয়েছে, জানে মেরে ফেলতে চেয়েছে, প্রিয় মাতৃভূমি ত্যাগ করতে বাধ্য করেছে এবং স্বদেশ ত্যাগ করার পরও স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি। মক্কা বিজয়ের দিন ইচ্ছা করলে মহানবী (সা.) প্রতিশোধ গ্রহণ করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। ভীতসন্ত্রস্ত কোরায়েশদের লক্ষ্য করে তিনি বলেন, তোমরা সকলেই মুক্ত। আজ তোমাদের প্রতি কোন কঠোরতা নেই। নেই কোন প্রতিহিংসা বা প্রতিশোধ স্পৃহা। তোমাদের সকলকে ক্ষমা করে দিলাম। মহানবী সা. এর অনুপম আচরণ ও অপূর্ব দুর্ধর্ষ আরব কোরায়েশদের পাষাণ হৃদয় মুহুর্তে দ্রবীভূত হয়ে যায়। চারিদিকে আকাশে বাতাশে ধ্বনিত হয় “মারহাবা ইয়া রাসূলুল্লাহ- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।”