আবু ত্ব-হার নিখোঁজের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

গাজীপুর- ছয় দিন ধরে নিখোঁজ ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

তিনি বলেছেন, ‘বক্তা আবু ত্ব-হা আদনানের নিখোঁজের বিষয়ে শুনেছি। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’

বুধবার (১৬ জুন) গাজীপুরে কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমিতে ২১ তম ব্যাচ (পুরুষ) নবীন ব্যাটালিয়ন আনসারদের ৬ মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসলামী বক্তা আবু ত্ব-হা আদনান নিখোঁজের বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে রয়েছে। তাঁর নিখোঁজের রহস্য উদঘাটন করা হবে। তিনি বলেন, ‘ত্ব-হা কোথায় কী অবস্থায় আছেন, তাঁর রহস্য উদঘাটন করা হবে।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সংক্রামক সংক্রান্ত আইনের বিষয়টা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যেভাবে নির্দেশনা দেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ-বিজিবি, আনসার সেভাবেই দায়িত্ব পালন করছে।

বার ও রিসোর্টে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি সম্পর্কে তিনি বলেন, বার ও রিসোর্ট যাই হোক আইশৃঙ্খলার অবনতি হলেই সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, রংপুর থেকে ফেরার পথে রাজধানীর গাবতলী এলাকা থেকে গত বৃহস্পতিবার (১০ জুন) ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান নিখোঁজ হন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। নিখোঁজ হওয়ার পর তার স্ত্রী এবং মা রংপুর ও ঢাকায় এ বিষয়ে পুলিশকে লিখিত অভিযোগ করেন।

নিখোঁজের ছয় দিন পরেও আবু ত্ব-হার কোনো হদিস বা সন্ধান দিতে পারেনি পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও রংপুর জেলা পুলিশ বলছে, তারা কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু আবু ত্ব-হা ঠিক কোথা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন তা এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ।

আবু ত্ব-হার সঙ্গে নিখোঁজেরা হলেন- আব্দুল মুহিত, মোহাম্মদ ফিরোজ ও গাড়িচালক আমির উদ্দীন ফয়েজ।

এদিকে, স্বামীকে ফিরে পেতে আবু ত্ব-হার স্ত্রী সাবেকুন নাহার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিতে সাবেকুন নাহার প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। কারো সহযোগিতা না পেয়ে আপনার (প্রধানমন্ত্রী) বরাবর শেষ আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আপনাকে মা ও আমার অভিভাবক মেনে আমার দু হাত জোড় করে আমার স্বামী নিখোঁজ আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানকে ফিরে পাওয়ার আকুতি জানাচ্ছি। আবু ত্ব-হা কোনো অপরাধ করে থাকলে তাকে আইনের কাছে সোপর্দ করা হোক।

সন্তানের স্কুলব্যাগ চেক করুন

আম্মাজানদের জন্য একটা উপদেশ। বাচ্চাকে স্কুলে দেয়ার দিন থেকেই বাচ্চা বাসায় ফিরে এলে, তাদের ব্যাগ চেক করে দেখবেন মাঝে মাঝেই প্লিজ। ব্যাগে কয়টি রাবার পেন্সিল, শার্পনার ছিল আর অতিরিক্তটা কোথায় কিভাবে পেল সে? আদর করেই জিজ্ঞাস করবেন এবং সবসময় বলবেন, না বলে কারো জিনিসে হাত দিতে হয় না, নিতে হয় না। সেটাকে চুরি বলে। এটা মহাপাপ।

অতিরিক্ত রাবার পেন্সিল কলম, বাচ্চার ব্যাগে পেয়ে আনন্দিত হবেন না আবার। বাহ! বাচ্চা এই বয়সেই কামাই শুরু করে দিয়েছে!! সাশ্রয় করে দিচ্ছে বাবা মায়ের। অনেকের চুরির হাতে খড়ি সেই রাবার পেন্সিল, কলম দিয়েই শুরু হয়, পরে তা মহাসাগরে গিয়ে শেষ হয়। অনেকের আবার আমেরিকার ফেডারেল ব্যাংক দিয়ে। ছাত্র অবস্থায় সন্তানের কাছে অযৌক্তিক পরিমাণ টাকা পাওয়া গেলে, খোঁজ নিন টাকার উৎস কি। কোথায় কিভাবে পেল এত টাকা।

ছেলের হাতের প্রচুর টাকা পেয়ে খুশিতে গদগদ মাকে কপাল চাপড়াতে হয়েছে শেষে। দেখা গেল ছেলে অস্ত্র, মাদক বা চাঁদাবাজি মামলার আসামী। এবার আব্বাজানদের নিয়ে একটি গল্প। ছেলে প্রতিদিন স্কুল থেকে অন্যের খাতা পেন্সিল, কাগজ কলম চুরি করে বাসায় নিয়ে যায়। টিচার প্রতিদিন ক্লাসে বকাঝকা এবং বেতের বাড়ি দিয়েও ঠিক করতে পারলেন না। অবশেষে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ দিলেন।

প্রধান শিক্ষকও কতক্ষণ ঝাড়লেন বেত দিয়ে, তারপর ছেলের বাবাকে স্কুলে ডেকে ছেলের চুরির বিষয়ে বিস্তর শোনালেন। বাবা এটা শুনে পাশে রাখা বেত নিয়ে পেটাতে লাগলেন আর রাগে গজগজ করতে বললেন, ‘বদমাইশ ছেলে, কেন তুই এগুলো চুরি করিস!! আমি যে প্রতিদিন অফিস থেকে তোকে কাগজ কলম পেন্সিল এনে দেই, সেগুলো কি করিস’।

সোনার বাংলায় সোনা ফলাতে হলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একেবারে নতুন কুঁড়ি অবস্থায় ধরতে হবে। আমরা কয়টি স্কুলে বা বাসায় কয়টি বাচ্চাকে শিখিয়েছি বা শেখাচ্ছি, কিভাবে রাস্তা পার হতে হয়, কিভাবে বাসে ট্রেনে চলতে হয়, ভদ্রতা-নম্রতা, শালীনতা কি, একতা কি, সিনিয়রদের কিভাবে সন্মান জানাতে হয়, কোথায় ময়লা, থুথু ফেলতে হয়, কিভাবে টয়লেট করতে হয়, কেন সত্য ছাড়া মিথ্যা যাবে না, কি ছিল তাদের পূর্ব পুরুষদের অবদান আর ইতিহাস।

বাচ্চাদের কথা বাদ দেই। উচ্চ মাধ্যমিকের কয়টি ছেলে-মেয়ের চোখ ভেজাতে পারবেন মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী বলে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের। অনেক স্বপ্ন ছিল এই দেশকে নিয়ে। অনেক স্বপ্ন দেখি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভোরে রংপুর ঢাকা মহাসড়কে মিঠাপুকুর উপজেলার কাছে পাক হানাদারদের ভেঙ্গে ফেলা দমদমার ব্রিজে বিজয়ীর বেশে জড়ো হওয়া হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ‘জয় বাংলা’ বলে চিৎকার দিয়ে তাদের কাঁধের উপর ঝাঁপিয়ে পড়া বাচ্চা ছেলেটি সেদিন প্রতিজ্ঞা করেছিল, তাদের স্বপ্ন পূরণ করবেই সে। হাজার কষ্ট আর বেদনায়ও হাসিমুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করে যাবে। বেঈমান হবে না কোনোদিন।

তাদের গায়ের সেই পবিত্র উষ্ণতা এখনো অনুভব করি। শুনতে পাই এখনো তাদের বিজয়োল্লাস। ‘দেশ স্বাধীন না করে ঘরে ফিরবে না তোমরা। আমার মাকে খবর দিও, আমি কথা রেখেছি। জীবন দিয়েছি দেশের জন্য’….. মৃত্যুর পূর্বে সাথী যোদ্ধাদের হাত চেপে ধরে এই কথা বলা শহীদের হাতের স্পর্শ পাই আমি হাতের মুঠোয়। কিছুতেই ছাড়ে না যে তারা হাত আমার।

ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে বাড়ি ভাড়া দিচ্ছে না মরক্কোতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মরক্কোতে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে বাড়ি ভাড়া দিচ্ছে না কেউ
উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে নিয়োগ পাওয়া ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ডেভিড গভরিনকে বাড়ি ভাড়া দিচ্ছেন না কেউ। ফলে হোটেলে থেকেই দূতাবাসের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে তাকে। প্রায় ছয়মাস ধরে তিনি রাজধানী রাবাতে দূতাবাস অফিসের জন্য বাড়ি খুঁজে যাচ্ছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেভিড গভরিনকে মরক্কোতে নিয়োগ দিয়ে পাঠায় ইসরায়েল সরকার।

গত বছর চতুর্থ আরব দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে মরক্কো। এরপর মিশনের প্রধান করে ডেভিড গভরিনকে মরক্কোতে পাঠায় ইসরায়েল। কিন্তু দূতাবাস অফিস পরিচালনার জন্য তাকে কেউ জায়গা ভাড়া দিচ্ছে না।

পদ্মা সেতুর মালামাল চুরির ঘটনায় জড়িত ৪ আসামী গ্রেফতার।

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুর জেলা পুলিশের কর্মতৎপরতায় থানায় মামলা রুজু হওয়ার মাত্র ৩ ঘন্টার মধ্যে পদ্মা সেতুর লোহার রড ও অন্যান্য মালামাল চুরির ঘটনায় জড়িত ০৪ আসামীকে গ্রেফতারপূর্বক তদন্ত শেষে কোর্টে চার্জশীট দাখিল
জাজিরা থানার মামলা নং- ১৩ তারিখ- ১৪/০৬/২০২১ ধারা ৩৭৯/৪১১ পেনাল কোড।
গত ১৪/০৬/২০২১ খ্রিঃ তারিখ পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের লোহার রড ও অন্যান্য মালামাল চুরি অভিযোগে চার ব্যক্তিকে আটক করেছে জাজিরা থানা পুলিশ।

সোমবার জাজিরা থানা পুলিশ উত্তর ডুবলদিয়া এলাকা থেকে তাঁদের আটক করে।
আটককৃত আসামীরা হলেন জসিম মুন্সি (৩২), বিল্লাল কাজী(২৩), মোহাম্মদ রঞ্জু মিয়া (২২) ও মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম মাদবর (৪৭) এই চার ব্যক্তি সেতু প্রকল্পের নাওডোবা এলাকা থেকে শ্রমিকদের দৃষ্টি ফাঁকি দিয়ে ২১৫ কেজি লোহা নিয়ে সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন জাজিরা থানার পুলিশের টহল দল তাদের আটক করে।

1 2