৭২ বছর ধরে বাংলার মানুষের পাশে আওয়ামী লীগ : মির্জা আজম এমপি

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেছেন,
আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতায় থেকে মানুষের কল্যাণ কাজ করেছে তা নয়, ৭২ বছরের পথ চলায় বেশির ভাগ সময়ই ক্ষমতায় না থাকলেও দলটি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগই একমাত্র রাজনৈতিক দল যে কোন দুর্যোগে এবং সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে।

তিনি বলেন, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুনে প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ গণমানুষের মধ্য থেকে গড়ে ওঠা একটি দল এবং বাংলাদেশের সব অর্জনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নাম জড়িয়ে আছে। আর সবচেয়ে বড় অর্জন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।
মির্জা আজম বলেন, বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক দল একটাই, যে দলের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজ তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথে।
শুক্রবার (১৮ জুন) সকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে মির্জা আবুল কাশেম অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবু জীবন কৃষ্ণ সাহার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান বেলালের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক সালেহ সফিক গেন্দা, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আমিন চাঁন, জাসালপুর পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু, মাদারগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মির্জা গোলাম কিবরিয়া কবির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অরুণ কুমার সাহা, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক সাজু পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংগঠনিক রায়হান রহমতুল্লাহ রিমু প্রমুখ।

এসময় আওয়ামী লীগ এর সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • আলী আকবর

নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে দলে দলে পালাচ্ছে রোহিঙ্গারা

নোয়াখালীর ভাসানচর দ্বীপে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে পালানো শুরু করেছে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। এরই মধ্যে পুলিশের হাতে বেশ কয়েকজন ধরা পড়েছে আবার অনেকে কক্সাবাজার ক্যাম্পে পৌঁছে গেছে বলেও নিশ্চিত হয়েছে বিবিসি। তবে ভাসানচর থেকে কত রোহিঙ্গা পালিয়েছে – তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি।

 

নোয়াখালীর ভাসানচরে বর্তমানে সেখানে ১৮ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে। কক্সবাজারের তুলনায় উন্নত বাসস্থান আর সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে ওই আশ্রয়কেন্দ্রে। তা সত্ত্বেও ভাসানচর থেকে থেকে বেশ কিছুদিন ধরে রোহিঙ্গারা দলে দলে কক্সবাজারে পালাতে শুরু করেছে।

 

ভাসানচরে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ধারণা, সেখান থেকে পালানো রোহিঙ্গার সংখ্যা কয়েকশ’র মত। গত মে মাসের শেষ সপ্তাহে ১৩ সদস্যের একটি দল ভাসানচর থেকে পালিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন। পালিয়ে আসার রোহিঙ্গা নারীদের একজনের সঙ্গে কথা হয় বিবিসির।

 

তিনি জানান, একেবারে শুরুতে যাদের ভাসানচরে নেয়া হয়েছিল, তিনি তাদের একজন। ভাসানচর থেকে পালাতে বিপুল পরিমাণ টাকাও খরচ হয়েছে বলে জানান তিনি।

 

“আমাদের সাথে আমরা ১৩ জন ছিলাম। বোটওলা ধরে আসছিলাম নোয়াখালীতে। আমরা তিনজন একসাথে ৯০ হাজার টাকা দিছি।”

 

ভাসানচর দ্বীপে উন্নত সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও কেন পালিয়ে গেলেন – সেই প্রশ্নে ওই রোহিঙ্গা নারী জানান, পরিবার ছাড়া সেখানে থাকাটা তার ভাষায় ভীষণ কষ্টের।

 

“ভাসানচরে আমাদের অনেক সমস্যা। মা বাবা নাই। আমরা একা ছিলাম। আমরা অনেক কষ্টে ছিলাম সেখানে। খাওয়া দাওয়ার কষ্ট ছিল।”

তিনি জানান, “সিঙ্গেল সিঙ্গেল মেয়েরা অনেক সমস্যা। একলা একলা থাকা মেয়েদের হামলা করতে চায় ছেলেরা। অনেকের ঘরের মধ্যে তালা ভেঙে ঢুকে কাপড়-চোপড় অনেক নিয়ে গেছে।”

যেভাবে উদ্ধার হলেন ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা

নিখোঁজের টানা আটদিন পর আলোচিত ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান তার রংপুরের বাসায় ফিরে এসেছেন।

 

কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুর রশিদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ত্ব-হার শ্যালক জাকারিয়া হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আবু ত্ব-হা বর্তমানে তার শ্বশুর বাড়িতে রয়েছেন।

 

এতদিন আবু-ত্বহা কোথায় ছিলেন, কীভাবে ফিরলেন সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।

 

তবে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন জানিয়েছেন, ত্ব-হা রংপুর নগরীরর কলেজ রোডে চারতলা মোড়ে প্রথম স্ত্রীর ভাড়া বাসায় অবস্থান করছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। এরপর তাকে সেখান থেকে থানায় নেয়া হয়। থানায় এখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

 

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে বলে জানান আবু মারুফ।

গত ১০ জুন রংপুর থেকে ঢাকায় আসার পথে রাজধানীর গাবতলী এলাকা থেকে ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান নিখোঁজ হন। এছাড়াও তার সঙ্গে নিখোঁজ হয়েছেন আব্দুল মুহিত, মোহাম্মদ ফিরোজ ও গাড়িচালক আমির উদ্দীন।

 

 

 

ইসলামি বক্তা আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনান ৮ দিন পর বাসায় ফিরে এলেন

ইসলামি বক্তা আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনানকে খোঁজ পাওয়া গেছে। তিনি রংপুরের নিজ বাড়িতে ফিরে এসেছেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কোতায়ালী থানার ওসি। এর আগে বর্তমান সময়ের আলোচিত ইসলামি বক্তা আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনান তাঁর গাড়ীচালক ও দুই সঙ্গীসহ গত ১০ জুন মধ্যরাতে নিখোঁজ হন। প্রায় ৬ দিন পেড়িয়ে গেলেও এখনও তার সন্ধান মেলেনি। জানা যায়, রংপুর থেকে ঢাকা ফেরার পথে রাত আড়াইটায় স্ত্রীর সাথে সর্বশেষ কথা হয় আদনানের। এরপর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি তার বা সঙ্গীদের। এর আগে আদনানের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় রাজধানীর দারুস সালাম এবং মিরপুর থানায় গেলে কোনো থানাই জিডি বা মামলা নেয়নি বলেও অভিযোগ করছে তাঁর পরিবার।

 

আদনানের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন ভাইরাল। তার ফ্যান-ফলোয়াররা হ্যাশট্যাগ দিয়ে তার খোঁজ পাওয়ার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন। জিডির তথ্য ধরে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের আহলে হাদিস মসজিদ-সংলগ্ন গলিতে তার পৈতৃক বাসা। বিয়ের পর স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে শালবন এলাকার চেয়ারম্যানের গলিতে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। আদনানের স্ত্রীর নাম হাবিবা নূর। তিন বছরের একটি মেয়ে ও দেড় বছর বসয়ী একটি ছেলেসন্তান আছে তাঁর।

 

আদনানের স্ত্রী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ৩৭ মিনিটে তার (আদনান) সঙ্গে শেষ কথা হয়। উনি তখন গাবতলী ছিলেন। এরপর রাত ৩টা থেকে তার ফোন বন্ধ পাই, এখন পর্যন্ত নম্বর বন্ধই পাচ্ছি।’ তিনি আরো জানান, নিখোঁজ হওয়ার সময় তার সঙ্গে গাড়িচালকসহ আরো তিনজন সহকর্মী ছিলেন। সাবেকুন নাহার অভিযোগ করে বলেন, কোথায় মামলা করব, কার কাছে অভিযোগ করব? মামলা করব কী, কেউ তো জিডিই নিতে রাজি হচ্ছে না। দারুস সালাম থানা কিংবা মিরপুর থানা কেউই মামলা নেয়নি। থানায় ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। কোনো থানাই দায়িত্ব নিচ্ছে না, এক থানা আরেক থানাকে দেখিয়ে দিচ্ছে। তবে রবিবার সকালে রংপুর সদর থানায় একটি জিডি হয়েছে আদনানের মায়ের পক্ষ থেকে।

 

অভিযোগের বিষয়ে দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘তিনি কোথা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন, সেই লোকেশনটা তো আমরা নিশ্চিত না। তিনি গাবতলী থেকে নিখোঁজ হয়েছেন, সেটা তো আমরা জানি না। সে ক্ষেত্রে যেখান থেকে তিনি রওনা হয়েছেন, সেই রংপুর অথবা তার ঢাকায় যেখানে বাসা, সেখানে জিডি হতে পারে বা মামলা হতে পারে।

 

উল্লেখ্য, আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনানের দাদা বাড়ি রাজশাহী শহরে। অনেক আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর একমাত্র ছেলে ত্বহা ও একমাত্র মেয়েকে নিয়ে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডে বাবার বাড়িতে ঠাঁই নেন আজেদা বেগম। ত্বহার ছোটবোন কারমাইকেল কলেজে অনার্সে পড়ালেখা করছেন। অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় ক্রিকেট দলে সুযোগ পেয়েছিলেন ত্বহা। এক সময় রংপুরের ক্রিকেট অঙ্গনে সবার পরিচিত ছিলেন তিনি। রংপুর লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে দর্শন বিষয়ে রংপুর কারমাইকেল কলেজে অনার্সে ভর্তি হন। মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন। কারমাইকেলে পাড়াকালীন ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝুঁকে পড়েন এই ক্রিকেটার। কোনো আরবি শিক্ষপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা না করলেও ইসলাম ধর্মের প্রচুর বই পড়তেন এবং গবেষণা করতেন। ফলে অল্প দিনেই হয়ে ওঠেন একজন ভালো ইসলামী বক্তা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন মসজিদে ইসলামিক বিষয়াদি নিয়ে আলেচনা করতেন। বিয়ের পর ত্বহা তার স্ত্রী এবং দেড় বছর বয়সী ছেলে ও তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে শালবন মিস্ত্রীপাড়া চেয়ারম্যান গলিতে ভাড়াবাসায় থাকেন।

 

 

 

 

 

পরিমনির বাসায় সারি সারি মদের বোতল, নিয়মিত বসে আসর

রাজধানীর বনানীতে চিত্রনায়িকা পরিমনির বাসায় নামিদামি ব্রান্ডের সারি সারি সুসজ্জতি মদের বোতল রয়েছে।

এসব বোতল দিয়ে তার বাসা পশ্চিমা দেশের বারের আদলে সাজানো হয়েছে।

আর সেখানেই নিয়মিত মদের আসর বসান চিত্রনায়িকা পরিমনি। এছাড়া তার বাসায় রাতভর চলে পার্টি ও গান-বাজনা। চিত্রনায়িকা প্রতিবেশী ও বাসা থেকে ঘুরে আসা কয়েকটি সূত্র এ চাঞ্চল্যকর তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্রমতে, বনানী ১৯/এ সড়কের ১২ নম্বর বাড়ির পাঁচতলায় থাকেন চিত্রনায়িকা পরিমনি। সেই বাসায় রয়েছে সারি সারি বিশ্বের নামিদামি ব্র্যান্ডের মদের বোতল। প্রথম পলকেই কোনো পশ্চিমা দেশের কোনো বিলাসবহুল বার মনে হতে পারে কারো। এ বাসায় নিয়মিত বসে মদের আসর। আর সারারাত চলে পার্টি ও গান-বাজনা।

এদিকে ১৩ জুন রাতে ধর্ষণচচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করতে গিয়ে কয়েকজন সাংবাদিক পরিমনির বাসায় একই অবস্থা দেখেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। সেখানে যাওয়া বেশিরভাগ সাংবাদিকরাই বিনোদন বিটের।

তারা জানান, পরীমনির বাসাতে ঢুকে শুরুতেই দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে যান সাংবাদিকরা। পরীমনির বাসার ঠিকানা ভুল করে কি কোনো বারে ঢুকে পড়েছেন সেই চিন্তাও তারা করেছিলেন।

সেই বাসার ড্রইংরুমে ঢুকতেই হাতের বাম পাশে দেখা যায় কাচঘেরা বিশাল একটি ঘর। স্বচ্ছ কাচেঘেরা রুমটিতে সাজানো সারি সারি বিদেশি ব্রান্ডের মদের বোতল। সুন্দর ডেকোরেশনের নানা সাইজের র‌্যাকে সারি সারি বোতল দাঁড়িয়ে রয়েছে। আবার কিছু বোতল কাত করে শুইয়ে রাখা হয়েছে। ছোট ছোট টেবিলের ওপরও রাখা হয়েছে বোতল।

অন্যদিকে বেশ কয়েকটি কয়েকটি অভিজাত ক্লাবের কর্মকর্তারা পুলিশকে জানান, মধ্যরাতে নিয়ম ভেঙে পরীমনির জন্য বার খোলা রাখতে হয়। সেটি তার জন্য নিয়মিত ব্যাপার। বোট ক্লাব-কাণ্ডের আগের রাতে গুলশান অল কমিউনিটি ক্লাবে ঢোকেন পরীমনি। মধ্যরাতে সেখানে তিনি ভাঙচুরও করেন।

পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ৮ জুন বুধবার রাতে বোট ক্লাবে পরীমনি কাণ্ডের তদন্তে নেমে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের হচ্ছে। তার ব্যাপারে জানাতে ঢাকার একাধিক সোশাল ক্লাবের কর্মকর্তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন।

তারা পুলিশ ও গোয়েন্দাদের জানান, পরীমনি তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমিসহ কয়েকজন তরুণ-তরুণী নিয়ে প্রায় রাতেই অভিজাত ক্লাব ও তারকা হোটেলে ঘুরে বেড়াতেন। মধ্যরাত পর্যন্ত করতেন মদ্যপান। এক্ষেত্রে প্রায় রাতেই তার কারণে ক্লাবের আইন ভাঙা হতো। বিশেষ করে হাফপ্যান্ট পরে তার সঙ্গী হওয়া জিমি ড্রেসকোডের তোয়াক্কা করতেন না। এক ক্লাবে সময় কাটিয়ে তিনি যেতেন আরেক ক্লাবে।

গুলশান পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গত ৩ জুন রাত ১২টার পর পরীমনি তার সাবেক বাগদত্তা তামিম হাসান ও দুটি বেসরকারি টেলিভিশনের দুজন কর্মকর্তা পরিচয়ধারীকে নিয়ে গুলশানের একটি অভিজাত ক্লাবে যান। তখন তারা মদ্যপ ছিলেন।

ক্লাবে ঢুকে পরীমনি ও অন্যরা বার ব্যবহার করতে চান। বার বয় জালাল অসম্মতি জানালে পরীমনি তার গালে চড় মারেন। ক্লাব কর্মকর্তারা বেসামাল আচরণের প্রতিবাদ করলে তিনি নিজেই পুলিশে কল করেন। গুলশান থানা পুলিশের দুটি পিকআপ ভ্যান সেখানে যায়। পরে তারা বুঝিয়ে পরীমনিকে বাসায় পাঠান।