দুঃখী মানুষের মুখের হাসির চেয়ে বড় আর কিছু নেই : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ক্ষমতায় থেকে নিজে খাব, নিজে ভালো থাকব; এটা নয়। ক্ষমতা আমাদের কাছে ভোগের বিষয় নয়। কীভাবে মানুষকে ভালো রাখা যায়, সেটাই হলো বড়।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা চেয়েছিলেন দুখি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। একটা ঘর যখন কেউ পায়, ঘর পাওয়ার যে আনন্দ, তার মুখে যে হাসি, আমার কাছে এরচেয়ে আনন্দের কিছু নেই। মানুষের জন্যই মানুষ। মানুষের জন্য কাজ এটাই তো সবচেয়ে বড় কথা।’
গণভবন থেকে রোববার সকালে ভিডিও কনফারেন্সে ৫৩ হাজার ৩৪০টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে বিনা মূল্যের ঘর দেয়া কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা মানুষ যার ঘর নাই বাড়ি নাই, ফুটপাতে পড়ে থাকতে হয়। রেললাইনের পাশে বা বিভিন্ন জায়গায় ঝড়-বৃষ্টিপাত মাথায় নিয়ে জীবন যাপন করতে হয়। যখন সে একটা ঘর পায় তার জীবনটাই বদলে যায়।
মুজিববর্ষে দ্বিতীয় দফায় ৫৩ হাজার ৩৪০ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে মাথা গোঁজার ঠাঁই দিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘মুজিববর্ষে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না’ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় এ ঘরগুলো পাচ্ছেন গৃহহীন দরিদ্র পরিবারগুলো।
এর আগে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ২৩ জানুয়ারি ৬৬ হাজার গৃহহীন পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যে ঘরগুলো দেয়া হচ্ছে সেগুলোর প্রত্যেকটিতে রয়েছে দুটি করে শয়নকক্ষ, একটি রান্নাঘর, একটি টয়লেট ও একটি লম্বা বারান্দা। ঘরের নকশা পছন্দ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই।
প্রতিটি বাড়ির নির্মাণে খরচ হচ্ছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে এ প্রকল্পে খরচ হয়েছে ২ হাজার ২৩৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। দেশের ইতিহাসে এর আগে এত মানুষকে এক দিনে সরকারি ঘর হস্তান্তর করা হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরো বাংলাদেশ আমি ঘুরেছি। গ্রামে-গঞ্জে, মাঠে-ঘাটে। আওয়ামী লীগ অধিকার নিয়ে কাজ করে। জাতির পিতা মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব দিয়েছেন। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৪২ হাজার ৬০৮ পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দিয়েছি। এরমধ্যে জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসনে কক্সবাজারে খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প ও আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প। আমাদের সচিবরা তাদের নিজস্ব অর্থায়নে ১৬০টি পরিবারকে ঘর করে দিয়েছেন। আমাদের পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী ও বিভিন্ন সংস্থা এ কাজে এগিয়ে এসেছেন
সরকার প্রধান বলেন, বস্তিবাসীর জন্য ঢাকায় ভাড়ায় থাকার জন্য ফ্ল্যাট করে দিচ্ছি। অর্থনৈতিক নীতিমালায় আমরা তৃণমূলকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। গ্রাম পর্যায়ের মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া। তাদের খাদ্য, শিক্ষা ও বাসস্থান নিশ্চিত করা। তৃণমূল মানুষের জীবন জীবিকা নিশ্চিত করছি।