দুঃখী মানুষের মুখের হাসির চেয়ে বড় আর কিছু নেই : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ক্ষমতায় থেকে নিজে খাব, নিজে ভালো থাকব; এটা নয়। ক্ষমতা আমাদের কাছে ভোগের বিষয় নয়। কীভাবে মানুষকে ভালো রাখা যায়, সেটাই হলো বড়।’

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা চেয়েছিলেন দুখি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। একটা ঘর যখন কেউ পায়, ঘর পাওয়ার যে আনন্দ, তার মুখে যে হাসি, আমার কাছে এরচেয়ে আনন্দের কিছু নেই। মানুষের জন্যই মানুষ। মানুষের জন্য কাজ এটাই তো সবচেয়ে বড় কথা।’

গণভবন থেকে রোববার সকালে ভিডিও কনফারেন্সে ৫৩ হাজার ৩৪০টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে বিনা মূল্যের ঘর দেয়া কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা মানুষ যার ঘর নাই বাড়ি নাই, ফুটপাতে পড়ে থাকতে হয়। রেললাইনের পাশে বা বিভিন্ন জায়গায় ঝড়-বৃষ্টিপাত মাথায় নিয়ে জীবন যাপন করতে হয়। যখন সে একটা ঘর পায় তার জীবনটাই বদলে যায়।

মুজিববর্ষে দ্বিতীয় দফায় ৫৩ হাজার ৩৪০ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে মাথা গোঁজার ঠাঁই দিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘মুজিববর্ষে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না’ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় এ ঘরগুলো পাচ্ছেন গৃহহীন দরিদ্র পরিবারগুলো।

এর আগে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ২৩ জানুয়ারি ৬৬ হাজার গৃহহীন পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যে ঘরগুলো দেয়া হচ্ছে সেগুলোর প্রত্যেকটিতে রয়েছে দুটি করে শয়নকক্ষ, একটি রান্নাঘর, একটি টয়লেট ও একটি লম্বা বারান্দা। ঘরের নকশা পছন্দ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই।

প্রতিটি বাড়ির নির্মাণে খরচ হচ্ছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে এ প্রকল্পে খরচ হয়েছে ২ হাজার ২৩৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। দেশের ইতিহাসে এর আগে এত মানুষকে এক দিনে সরকারি ঘর হস্তান্তর করা হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরো বাংলাদেশ আমি ঘুরেছি। গ্রামে-গঞ্জে, মাঠে-ঘাটে। আওয়ামী লীগ অধিকার নিয়ে কাজ করে। জাতির পিতা মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব দিয়েছেন। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৪২ হাজার ৬০৮ পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দিয়েছি। এরমধ্যে জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসনে কক্সবাজারে খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প ও আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প। আমাদের সচিবরা তাদের নিজস্ব অর্থায়নে ১৬০টি পরিবারকে ঘর করে দিয়েছেন। আমাদের পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী ও বিভিন্ন সংস্থা এ কাজে এগিয়ে এসেছেন

সরকার প্রধান বলেন, বস্তিবাসীর জন্য ঢাকায় ভাড়ায় থাকার জন্য ফ্ল্যাট করে দিচ্ছি। অর্থনৈতিক নীতিমালায় আমরা তৃণমূলকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। গ্রাম পর্যায়ের মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া। তাদের খাদ্য, শিক্ষা ও বাসস্থান নিশ্চিত করা। তৃণমূল মানুষের জীবন জীবিকা নিশ্চিত করছি।

একনেকে ৪১৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ প্রকল্প অনুমোদন

, ঢাকা- জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৪ হাজার ১৬৬ কোটি টাকার ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকার দেবে ৪ হাজার ১২৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (২২ জুন) প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।

একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তার তথ্য মতে, আজ অনুমোদন দেওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে সাতটি নতুন এবং তিনটি সংশোধিত।

নতুন প্রকল্পগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘নোয়াখালী সড়ক বিভাগাধীন ক্ষতিগ্রস্ত কবিরহাট-ছমির মুন্সীরহাট-সোনাইমুড়ী সড়ক (জেড-১৪১০) এবং সেনবাগ-বেগমগঞ্জ গ্যাসফিল্ড-সোনাইমুড়ী সড়ক (জেড-১৪৪৬) উন্নয়ন’ প্রকল্পটি ৩৭১ কোটি ১৬ লাখ টাকা খরচে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘গোপালগঞ্জ জেলার পল্লী এলাকার নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন’ প্রকল্পটি ২৬১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশনের জন্য এবং বিভিন্ন অঞ্চলে বাস-ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণের নিমিত্তে জমি অধিগ্রহণ’ প্রকল্পটি ৭৮২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ‘সম্পূর্ণ বৃক্ষে উন্নতমানের আগর রেজিন সঞ্চয়ন প্রযুক্তি উদ্ভাবন’ প্রকল্পটি ৬৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘গাজীপুর জেলা পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পটি ৬৮৫ কোটি ব্যয়ে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প : জেলা টাঙ্গাইল’ প্রকল্পটি ৮৬৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা খরচে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

জাজিরায় ধর্ষণের চেষ্টা মামলা তুলে না নিলে ভিকটিম ও তার পরিবারকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি

টিটুল মোল্লা

শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবায় ধর্ষণ চেষ্টা মামলা তুলে না নিলে ভিকটিম ও তার পরিবারকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছেন আসামী পক্ষ। সোমবার (২১ জুন) দুপুরে শরীয়তপুর জেলা শহরের একটি নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভিকটিম ও তার পরিবার।

ভিকটিমের পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের হাজি নকরি মাদবর চরকান্দির এলাকার আলমগীর শেখের ছেলে নিশান শেখ গত ১৭ জুন প্রতিবেশী এক স্কুলছাত্রীকে বাড়িতে একা পেয়ে তাদের ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় ওই ছাত্রী ডাক চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন গিয়ে নিশানকে ঘরের মধ্যে আটক করে। আটকে রাখার খবর পেয়ে ছেলের পরিবার লোকজন নিয়ে ছেলেটিকে জোরপূর্বক ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এছাড়া বিষয়টি ধামাচাপা দিতে এবং কাউকে কিছু না বলার জন্য অভিযুক্তের পরিবার সহ এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল ভিকটিমের পরিবারকে বিভিন্নভাবে ভয় ভীতি ও হুমকি ধামকি দিতে থাকে।

নিরুপায় হয়ে ভিকটিমের বাবা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গত ১৯ জুন জাজিরা থানায় এ বিষয়ে মামলা দায়ের করেন। পরে জাজিরা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নিশানকে গ্রেপ্তার করে ওই দিনই আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

ভিকটিম ও পরিবার সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, আটকের একদিন পরেই আসামী জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। এরপর এলাকায় তাদের দাপট আরও বেড়ে যায়। মামলা তুলে না নিলে তারা বিভিন্ন ভাবে আমাদের এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে। আমরা আতংকের মধ্যে আছি। প্রশাসনের কাছে আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ভিকটিম ও তার পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভারত টিকা দেয়নি, তাই এবার ইলিশ দিচ্ছে না বাংলাদেশ: আনন্দবাজার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক- বর্ষায় এ বার আর পাত ভরে ইলিশ খাওয়া হবে না পশ্চিমবঙ্গের বাঙালির। ইলিশ মিললেও, পাওয়া যাবে না বাংলাদেশের ইলিশ। বাংলাদেশ এবার রীতি মেনে ইলিশ পাঠাচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গে। ভারতীয় কূটনীতিকদের ধারণা, বাংলাদেশকে টিকা পাঠানো হয়নি বলেই ইলিশ আসছে না। এ পার বাংলার বাঙালির পেট থেকে জাতীয় কূটনীতি– সর্বত্রই যা রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।

নিয়ম মতো বহুদিনই ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ। কিন্তু নিয়মের ব্যত্যয়ও হয়েছে রীতি মেনে। ২০২০ সালেও জামাই ষষ্ঠীর মরসুমে পশ্চিমবঙ্গের বাজার আলো করেছিল খাঁটি পদ্মার ইলিশ। পশ্চিমবঙ্গে দুই হাজার টন পদ্মার ইলিশ রপ্তানির ছাড়পত্র দিয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার।

এর আগেও একই ভাবে বিভিন্ন সময়ে ভারতে পদ্মার ইলিশ পাঠানোর ছাড়পত্র দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু এবছর ব্যতিক্রম ঘটছে। কেন?

স্পষ্ট উত্তর না মিললেও ভারতীয় কূটনীতি মহলের অভিমত, ভ্যাকসিন না পাঠানোর জন্যই বাংলাদেশের এই পদক্ষেপ। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এতটাই আড়ষ্ট হয়ে পড়েছে যে ইলিশ কূটনীতির আবহই নষ্ট হয়ে গেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিতে বিদ্যমান ‘ভারত-বাংলাদেশ সোনালি অধ্যায়’ এই মুহূর্তে যথেষ্ট ফিকে হয়ে গেছে। প্রায় ১৬ লাখ বাংলাদেশি ভারতের পাঠানো করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে বসে আছেন। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও আর এক ডোজ টিকাও পাঠানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে ভারত। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ঢাকা। যার সরাসরি প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে বাঙালির প্রিয় মাছ ইলিশ ইস্যুতে।

প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ওঠাপড়ায় ইলিশ এক কূটনৈতিক প্রতীকও বটে। এর আগে স্থলসীমান্ত চুক্তি সই করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ঢাকায় গিয়েছিলেন, ইলিশ নিয়ে কিছুটা রসিকতার ঢংয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর। ভোজের তালিকায় ইলিশের পঞ্চপদ দেখে মমতা হাসিনাকে প্রশ্ন করেছিলেন, কেন তাঁরা ইলিশ আটকে রেখেছেন? হাসিনার জবাব ছিল, “তিস্তার পানি এলেই মাছ সাঁতার কেটে চলে যাবে ও পারে!”

তিস্তা চুক্তি রূপায়ণ নিয়ে সেই আবেগ আপাতত সংযত রেখেছে বাংলাদেশ। কিন্তু সে দেশের রাজনৈতিক সূত্রের মতে, গত এক বছরে পর পর এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যে বাংলাদেশে ভারত-বিরোধী মেজাজকে সামলানো কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে হাসিনা সরকারের পক্ষে। ঘরোয়া ভাবে স্বীকার করে নেওয়া হচ্ছে, ইচ্ছা না-থাকলেও চীনকে প্রতিষেধক ক্ষেত্র খুলে দিতে বাধ্য হচ্ছে ঢাকা। ইতিমধ্যেই বেজিং-এর উপহার হিসাবে প্রায় ১১ লক্ষ ডোজ় চিনা প্রতিষেধক ঢাকায় পৌঁছে গিয়েছে। আরও ৩০ লক্ষ ডোজের দাম দেওয়া হয়ে গিয়েছে। সেটাও পৌঁছবে শীঘ্রই।

বাংলাদেশ সূত্রের দাবি, টিকার বিষয়টি নিয়ে মার্চের ঢাকা সফরেও প্রধানমন্ত্রী মোদী কথা দিয়েছিলেন সে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বকে। কিন্তু ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর বাংলাদেশ, ভুটান, শ্রীলঙ্কার মতো প্রতিবেশী দেশগুলিতে টিকা রফতানি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় সাউথ ব্লক।

বাংলাদেশের বক্তব্য, টিকার ব্যাপারে ভারতের কাছ থেকে এতটাই আশ্বাস পাওয়া গিয়েছিল, তখন আগ্রহী চীনকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এখন তাদের কাছে হাত পাতায় যথেষ্ট দর কষাকষির জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে চীন।

সূত্রের খবর, গত বছর অগস্টে চীনের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসে টিকাকরণের প্রাথমিক আলাপ আলোচনা শুরু করেছিল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ঠিক তখনই ঢাকা যান বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। প্রতিষেধক-কূটনীতিকে তখন চরম গুরুত্ব দিয়েছে মোদী সরকার। তখন চীনা দলকে ফিরে যেতে দেখা যায় বাংলাদেশ থেকে।

ঢাকার রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, ভারত নিয়ে সে দেশের মানুষের মন যদি বিগড়ে থাকে, তা হলে এই সংযোগ প্রকল্পের ক্ষেত্রেও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। শুধুমাত্র বকেয়া প্রতিষেধক না-দিতে পারার বিষয়টিই নয়, বাংলাদেশের আবেগকে আঘাত করা হয়েছে বলে কখনও ঘরোয়াভাবে, কখনও প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছে ঢাকা।

বাড়ছে করোনা: একদিনে ৭৮ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৪৬৩৬

ঢাকা- দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৬২৬ জনের।

নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৬৩৬ জন। মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩০৪ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ২৭ শতাংশ।

সোমবার (২১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে রোববার (২০ জুন) দেশে করোনায় ৮২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া আরও ৩ হাজার ৬৪১ জনের করোনা শনাক্তের কথাও জানানো হয়।

ইন্টারনেটে ভাইরাল ছবি, সদ্যোজাত শিশুটি জন্মগ্রহণের সাথে সাথেই কেমন মাতৃস্নেহে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে

পৃথিবীর প্রত্যেকটি মেয়েই মা হাবার স্বপ্ন দেখে, বাকি সবার মতো ছেলে মেয়েদের ভালোবাসা উপভোগ করতে চায়,১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করে সন্তান এর জন্ম দেন ,

 

অনেক ব্যথা যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় মেয়েদের সন্তান জন্ম দেওয়ার সময়। এটা মানা হয় যে, যখন একজন মহিলা তার সন্তানের জন্ম দেয় তখন তার দ্বিতীয় জন্ম হয় এবং কঠোর যন্ত্রণা ভোগ করার পর যখন তার বাচ্চা তার কোলে আসে,

 

তখন সে তার সমস্ত ব্যথা ভুলে যায়। এটা সত্যিই যে একটি শিশুকে, যখন তার জন্মের পর তার মায়ের কাছে রাখা হয়, তখন সে তার মায়ের কাছে ভালোবাসার বন্ধনে আটকে যায় এবং তাকে ছেড়ে যায় না। ঠিক এরম একটি শিশু জন্মের পর তার মাকে প্রথম দেখেই নিজের করে নিয়েছে।

জন্ম গ্রহণ এর পর যখন শিশু টিকে তার মায়ের কাছে দেওয়া হয় তখন ওই সদ্য জাতো জন্ম গ্রহণ করা বাচ্চা টি কিছুতেই তার মাকে ছাড়তে চায় ছিল না,

নিচে ভিডিও দেওয়া হয়েছে ভিডিও টি দেখে হয়তো আপনি ও বলবেন এটা কলিযুগের বাচ্চা,সব কিছু আগে থেকেই তার মধ্যে রয়েছে কোনটি তার মা কোনটি তার বাবা কারা তার আপন জন ইত্যাদি।

 

যখন এক গর্ভবতী মহিলা তার গর্ভের শিশুকে প্রথম দেখেন, তখন সে সন্তানের অলঙ্ঘনীয় সম্পর্ক হয়ে যায়। যখন একজন মা তার সন্তান এর জন্ম দেয় তখন ডাক্তার তার মাকে আনন্দ দেওয়ার জন্য শিশু টিকে তার মায়ের হাতে তুলে দেয়।এবংএই শিশু টিও ঠিক তখন থেকেই মায়ের ভালোবাসা পেতে থাকে, ডাক্তার মতে মায়ের বুকেতে দুধ ইচ্ছে শিশুদের জন্য সঠিক খাদ্য নিয়মিত ৬ মাস বয়স পর্যন্ত।

 

এর ফলে শিশুদের বুদ্ধি, ক্ষমতার বিকাশ ঘটে এছাড়াও রাসায়নিক হরমোন অক্সিটোসিন রয়েছে মায়ের বুকের দুধে প্রযোজ্য, বেশ কিছু দিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওর মারাত্মক

 

ভাবে ভাইরাল হয়ে ওঠে, যা অনেক লোকের ওই শিশু টিকে কোলি যুগের দান বলেও দাবি করেন সেই ভিডিও দেখে, ওই ভিডিও টে যখন বাচ্চাটি জন্ম নেয় এবং তাকে তার মায়ের সাথে দেখা কারানো হয় তখন কার কিছু মুহূর্ত রয়েছে।

 

 

ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না গণপরিবহন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি আবার ভয়াবহ দিকে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে রাজধানীকে অবরুদ্ধ করে ফেলায় দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ঢুকতে পারছে না। মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে শত শত গাড়ি আটকে আছে; তৈরি হয়েছে ব্যাপক যানজট।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান জানান, “লকডাউনের কারণে অন্য জেলা থেকে আসা গণপরিবহনগুলোকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।”
সোমবার সাত জেলা অবরুদ্ধ থাকার সিদ্ধান্ত জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান। জেলাগুলো হলো- মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ।
মঙ্গলবার সকাল থেকে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত এসব জেলায় মালবাহী ট্রাক এবং অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
দেশের যে কোনো স্থান থেকে ঢাকায় ঢুকতে হলে মানিকগঞ্জ কিংবা নারায়ণগঞ্জ কিংবা মুন্সীগঞ্জ কিংবা গাজীপুর হয়েই আসতে হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব সিদ্ধান্ত জানানোর পর রেলপথ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, ট্রেন এসব জেলার উপর দিয়ে চললে থামবে না।
আর বিআইডব্লিউটিএ ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতিও দূরপাল্লার সব বাস, লঞ্চ চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে ঢাকার প্রবেশমুখে যানজটে আটকা পড়ার বিষয়টি অনেকেই ফেইসবুকের পরিবহন ও ট্রাফিক পাবলিক গ্রুপগুলোতে জানাচ্ছেন। কেউ আটকা পড়েছেন কুমিল্লার দাউদকান্দিতে, কেউবা নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চন ব্রিজের গোড়ায়। বাধ্য হয়ে অনেকেই হেঁটে রওনা হয়েছেন গন্তব্যে।

1 2