কলেজছাত্র গাছে চড়ে ভাইভায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেন, উপাধ্যক্ষ দেখে অবাক হলেন

গাছে চড়ে ভাইভায় অংশগ্রহণ কলেজছাত্রের, উপাধ্যক্ষের স্ট্যাটাস ভাইরাল

নিউজ24লাইন ডেস্ক;

বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের এক পরীক্ষার্থী গাছে চড়ে অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে বাংলা বিষয়ের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এছাড়া কেউ খড়ের পালা আবার কেউ উচু ঢিবিতে উঠেও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন।

 

অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে মৌখিক পরীক্ষা নিতে গিয়ে নেটওয়ার্ক দুরাবস্থায় শিক্ষার্থীদের অবস্থা এবং নিজের অভিজ্ঞতার কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করেছেন সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেন।

 

গত মঙ্গলবার (২২ জুন) ‘গাছে চড়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ’ শিরোনামে এই স্ট্যাটাস দেয়ার পর সেটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

 

অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেন তার স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘গতকাল বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজে (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে) চতুর্থ বর্ষ অনার্স বাংলা বিষয়ের মৌখিক পরীক্ষা নিচ্ছিলাম জুম প্লাটফর্মে। পরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎ লক্ষ্য করি এক শিক্ষার্থী গাছে চড়ে ভাইভা দিচ্ছে! বোর্ডের সকলের দৃষ্টি তখন তার দিকে। বোর্ডের অন্য সদস্যদের মতো আমিও তখন শঙ্কিত!

 

“শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞেস করলাম- তুমি গাছে ওঠেছো কেন? সে বললো, স্যার আমার গ্রামে ঠিকমতো নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না! পরীক্ষা যদি মিস যায়! তাই বাধ্য হয়ে গাছে চড়েছি! সকালে বেশ বৃষ্টি হয়েছে। গাছ ভেজা ছিল। যে কোনো সময় একটি দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারতো!”

 

তিনি আরও লেখেন, সবাই মিলে দ্রুত ওকে গাছ থেকে নামালাম। ওর কথা যে মিথ্যে নয় আরও কয়েকজনের ভাইভা নিতে গিয়ে তার প্রমাণ পাওয়া গেল। কেউ বাড়ির বাইরে খড়ের গাদায়, কেউ মাচাংয়ে বা ফাঁকা মাঠে, কেউ বা বাঁশ ঝাড় ও উঁচু ঢিবির ওপর দাঁড়িয়ে, পরীক্ষায় অংশগ্রহণের চেষ্টা করেছে। ওদের কথা আমরা শুনি তো ওরা আমাদের কথা শুনতে পায় না! যেটুকু পাওয়া যায় সেটাও ভাওয়াইয়া গানের সুরের মতো ভাঙা ভাঙা! আমাদের গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ও গতি কেমন আমরা সবাই জানি।

 

“আমরা ৫জির স্বপ্ন দেখছি, কিন্তু ৪জির সেবাই ঠিকমতো দিতে পারিনি! আমাদের ৬০/৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী এখনও খুব কষ্ট করে পড়ালেখা করে। কেউ পার্টটাইম চাকরি করে, কেউ টিউশনি, কেউ বা গার্মেন্টসে শ্রম দেয়! অনার্সে ভর্তি হয় শত শত শিক্ষার্থী। কিন্তু ক্লাসে আসে হাতে গোনা কয়েকজন! এদের আমরা না দিতে পারছি ঠিকমতো পাঠ, না পারছি জীবনের শিক্ষা দিতে! আর দক্ষ মানবসম্পদ সে এক অধরা স্বপ্ন! আমাদের শিক্ষার্থী আমাদের শিখিয়ে গেল, গাছে শুধু সে একা ওঠেনি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাও উঠেছে!”

 

স্ট্যাটাসের বিষয়ে অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেন বলেন, ছেলেটি বড়ুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার প্রত্যন্ত কোন গ্রামের। সত্যি কথা বলতে আমাদের ইন্টারনেট বা মোবাইল নেটওয়ার্ক এখনও গ্রামাঞ্চলে সেভাবে কাজ করে না। আর ওই ছেলেটার গ্রামের ওদিকে সম্ভবত টাওয়ার ছিল না যার জন্য নেটওয়ার্ক জটিলতার কারণেই সে গাছে উঠেছিল যাতে করে পরীক্ষায় নির্বিঘ্ন হয়। এরকম ভাইভা নিতে গিয়ে খুব মনোকষ্ট পেয়েছি। যার জন্য ফেসবুকে স্ট্যাটাসটি দেয়া।

বিয়ের কয়েক মাস পর জানালেন প্রেমিকার গ’র্ভের সন্তানটি তার কাকার

হাসিমুখে প্রেমিকাকে বিয়ে করলেন। এর কিছুদিন পরই এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু এতদিন যাকে নিজের সন্তান ভেবেছিলেন, তিনি আসলে সম্পর্কে তার কাকা!

সম্প্রতি ‘স্টার্কস১৪০০’ নামে এক টিকটক ব্যবহারকারী তার জীবনের এমন এক ঘটনা শেয়ার করেছেন। যা সামনে আসার পর অনেকেই রীতিমতো অবাক হয়েছেন।

খবর আনন্দবাজার পত্রিকা ওই ব্যক্তি জানান, তার দাদার স’ঙ্গে প্রেমিকার অনৈ’তিক সম্পর্ক ছিল। তাই যাকে এতদিন নিজের ছেলে বলে জেনে এসেছেন, তিনি আসলে তার দাদা এবং প্রেমিকার সন্তান। ওই টিকটক ভিডিওতে তাকে বলতে দেখা যায়, আমি জানতে পারলাম আমা’র ছেলে আসলে আমা’র কাকা।

আমা’র দাদার স’ঙ্গে যখন থাকতাম, তখন আমা’র প্রেমিকার স’ঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। এই ঘটনা সামনে আসার পর ওই পরিবারের পরিস্থিতি কী দাঁড়িয়েছে তা জানা যায়নি। তবে নেটিজেনরা ওই ব্যক্তির প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। পাশাপাশি অনেক নেটিজেনও তাদের পার্টনারের কাছে প্রতারিত হওয়ার বিভিন্ন ঘটনা জানিয়েছেন।

ছাত্রদলের সভাপতি-সেক্রেটারিকে জাফরুল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন নুর

বাংলাদেশ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। রবিবার নিজের ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি এই অনুরোধ করেন।

ক্ষমা চাওয়ার কারণ উল্লেখ করে স্ট্যাটাসে নুর লেখেন, ‘গণমাধ্যমের খবরে দেখলাম, ছাত্রদলের এক সহ-সভাপতি কতিপয় কর্মীসহ বিএনপির সাবেক শিক্ষামন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন ভাইয়ের প্রোগ্রামে শনিবার প্রেসক্লাবে জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে শাসাচ্ছে, হুমকি দিছে! খুবই অবাক হয়েছি, কষ্ট পেয়েছি। পিতৃসমতুল্য দেশের একজন বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক, জীবন্ত কিংবদন্তির সঙ্গে এ আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। তাই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অনুরোধ করব, ওই কর্মীসহ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কাছে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করুন, ক্ষমা চান।’

তিনি লেখেন, ‘তরুণ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বলব; রাজনীতি করতে হলে, অনেক ধৈর্যশীল হতে হবে, অন্যের প্রতি সহানুভূতি ও শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। সমালোচনা সহ্য করার মানসিকতা থাকতে হবে।’
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সম্পর্কে বর্ণনা দিতে গিয়ে নুর লেখেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নক্ষত্রের নাম। এই বৃদ্ধ বয়সেও অসুস্থ শরীর নিয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সভা-সমাবেশে দেশ ও জনগণের জন্য কথা বলে যাচ্ছেন। অনেক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ জীবিত আছেন। দেশের এই পরিস্থিতিতে ক’জন সাহস নিয়ে কথা বলছেন? অনেক নামীদামি শিক্ষক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী জাতির এই সংকটে যেখানে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী সেখানে এই বয়সেও গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শুধু বক্তব্য -বিবৃতিতে নয়, রাজপথেও সোচ্চার ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। একদিন জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে বললাম, ‘স্যার এই বয়সে, এই অসুস্থ শরীরে এতো প্রোগ্রামে যান কেন? কোনো বাছ-বিচার নাই, যে কেউ বললেই প্রোগ্রামে না যেয়ে সপ্তাহে ২-৩ টি প্রোগ্রামে যান।

উত্তরে জাফরুল্লাহ চৌধুরী হেসে বললেন, ‘আমি জানি ওদের তেমন লোক নাই, তারপরও আমি ওদের প্রোগ্রামে যাই। কারণ, আমার কাছে ওরা একটা বল নিয়ে আসে। আমি গেলে ওদের প্রোগ্রামটা একটু মিডিয়ায় যাবে, তাতে ওদের দুজন লোক বাড়বে। নিজের কষ্ট হলেও ওদের তো ভালো একটা কাজ হবে।’

তিনি আরও লেখেন, ‘বঙ্গবন্ধু, জিয়াউর রহমান, এরশাদ তিন রাষ্ট্রপতিকে দেশ ও জনগণের স্বার্থে পরামর্শ দিয়েছেন। সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে তারাও জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সম্মান করতেন। এমনকি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দেশের সুস্থ ধারার রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক সকলেই জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে অত্যন্ত সম্মান ও শ্রদ্ধার চোখে দেখেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ ও লালন করে,দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছেন শরীয়তপুর পৌরসভার সাবেক সফল মেয়র মোঃ রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল

নিউজ২৪লাইন ডটকম :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ ও লালন করে,দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছেন শরীয়তপুর পৌরসভার সাবেক সফল মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য, শরীয়তপুর জেলার মাটি ও মানুষের নেতা (পালং- জাজিরা)’র গণমানুষের নেতা প্রিয় জননেতা জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল।

এই মহান মানুষটি ছাত্রজীবন থেকে আজকে জননেতা হয়েছেন, শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন,

২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সাল অব্দি শরীয়তপুর পৌরসভার দায়িত্বভার পালন করেছেন এবং অনেক উন্নয়ন তার হাতে এই পৌরসভায় হয়েছে।
পৌরসভার ভিতরে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ করে এবং অন্যান্য ব্যক্তিবর্গদের নামে নামকরণ করে ২৪ ফিট কয়েকটি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে তাছাড়া ছোট ছোট রাস্তাঘাট ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ সহ বড় বড় ড্রেন ও পানির পাম্প নতুন স্থাপন করে চালু করা পানির পাইপের লাইন বৃদ্ধি করা ও সংস্কার করা ইত্যাদি কাজ করেছেন।

এই রাজনীতি করতে গিয়ে কখনোই কনো লোভ ,উচ্চ আকাঙ্ক্ষা অর্থের প্রতি লালসায় আকৃষ্ট হয় নাই।
নিজের চাইতে নিজের সংগঠন কে বেশি ভালোবেসেছেন তিনি।

সবসময়ই নিজের চাইতে নিজের দলের নেতা-কর্মীকে বেশি ভালবাসেন ।
প্রিয় নেতা কথায় নয় কাজেই বিশ্বাসী ।
ভবিষ্যতে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত ও দলের নীতি আদর্শ মেনে রাজনীতি এই লম্বা পথ পাড়ি দিতে চান।

আপনার এই রাজনীতির শ্রম কখনো বৃথা যাবে না ইনশাআল্লাহ।
প্রিয় নেতা আপনার কোনো ভয় নাই, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনাকে যেভাবে স্নেহ করেন, আপামর জনগণ যেভাবে আপনাকে ভালোবাসেন তার প্রতিফলন একদিন ফুটে উঠবে।

আগামীকাল থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে

আগামীকাল সোমবার থেকে সারাদেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা গছাড়া সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।

রোববার (২৭ জুন) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সোমবার (২৮ জুন) সকাল ৬টা থেকে আগামী তিন দিনের জন্য বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত এ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরোপ থাকবে। এ সময়ে পণ্যবাহী যান ও রিকশা ছাড়া গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে সরকারি-বেসরকারি অফিস। বন্ধ থাকবে শপিংমল, মার্কেট, বিনোদন কেন্দ্র। হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা থাকলেও বসে খাওয়া যাবে না।

আরও বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় নতুন পাঁচটি শর্ত সংযুক্ত করে ২৮ জুন সকাল ৬টা থেকে ১ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।

১. সারাদেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ছাড়া সব গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত টহলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

২. সব শপিংমল, মার্কেট, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।

৩. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় (শুধুমাত্র অনলাইন/টেকওয়ে) করতে পারবে।

৪. সরকারি-বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠানগুলো শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অফিসের ব্যবস্থাপনায় তাদের আনা-নেয়া করতে হবে।

৫. জনসাধারণকে মাস্ক পড়ার জন্য আরও প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও সংক্রমণ হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। এই প্রেক্ষাপটে গত বৃহস্পতিবার সারাদেশে ১৪ দিনের পূর্ণ শাটডাউন দেয়ার সুপারিশ করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে নতুন করে বিধিনিষেধ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যদিও এর আগে থেকে বিধিনিষেধ জারি ছিল, যেটির মেয়াদ রয়েছে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত।

এরমধ্যে অবনতিশীল করোনা পরিস্থিতিতে সীমান্তের জেলাগুলোতে লকডাউন দেয়া হচ্ছিল। সর্বশেষ গত ২২ জুন থেকে ঢাকার আশেপাশের মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ-এই সাত জেলায় কঠোর লকডাউন (বিধিনিষেধ) দেয়া হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় ঢাকার সঙ্গে বাস, লঞ্চ ও রেল যোগাযোগ।

সাভার মডেল থানায় নেওয়া হয়েছে ঢাকাই ছবির চিত্রনায়িকা পরীমনিকে

বিনোদন ডেস্ক- আলোচিত বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলার তদন্ত স্বার্থে সাভার মডেল থানায় ডেকে নেওয়া হয়েছে ঢাকাই ছবির চিত্রনায়িকা পরীমনিকে। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়ে সাভার মডেল থানায় আসেন এই চিত্রনায়িকা। এ সময় তার সঙ্গে কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফী। তিনি জানান, পরীমনির মামলায় সাভার থানা হাজতে ৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, উত্তরা ক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আবাসন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু তুহিন সিদ্দিকী অমি। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই করতেই পরীমনিকে থানায় ডেকে আনা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে পরীমনির মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

এদিকে, পরীমনি থানায় এসেছেন খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে ভিড় করলে পুলিশ প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়। থানায় প্রবেশাধিকার সীমিত করলে অন্যান্য সেবা প্রত্যাশীরা ভোগান্তির মুখে পড়েন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে পুলিশের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্রেখ্য, গত ৯ জুন সাভারের বিরুলিয়া ঢাকা বোটক্লাবে পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। গত ১৪ জুন সাভার মডেল থানায় পরীমনি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন গার্ডার ব্রীজ ভেঙ্গে পড়েছে

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন গার্ডার ব্রীজ ভেঙ্গে খালে পড়ে গেছে। কুয়াকাটা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের দোখাসীপাড়া খালের উপর নির্মিত গার্ডার সেতুটি রোববার সকালে ভেঙ্গে পরে যায়। দূর্ঘটনার পর পরই নির্মাণ শ্রমিকরা পালিয়ে যায়। এর ফলে দুই ইউনিয়নের সাথে কুয়াকাটা পৌরসভার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে ভোগান্তিতে পরেছে কয়েক হাজার মানুষ।
সংশ্লিষ্ট সূএানুসারে,২০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫.৫ মিটার প্রস্থের সেতটি দুই গার্ডারের মধ্যখান দিয়ে ভেঙ্গে যায়। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ২ কোটি ২৬ লাখ ১৫ হাজার ৮শ’৮৩ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ সরকারের (জিওবি’র) অর্থায়নে কুয়াকাটা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় পৌরসভার দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি চলমান রয়েছে। সেতুর প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ পর্যায়ে ছিল। ২৬ জুন ২০২১ এর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কুয়াকাটা পৌর কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পৌর কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়রা জানান, সেতুর স্থানে একটি আয়রন সেতু ছিল। সেই আয়রণ সেতুটি ভেঙ্গে গিয়ে দীর্ঘদিন পরে ছিল। সেখানে গার্ডার ব্রীজের কাজ চলছিল। তবে এবিষয়ে কথা বলতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাউকেই পাওয়া যায়নি।
কাগজ কলমে এর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোসার্স সৈয়দ মোঃ সোহেল এ্যান্ড দীপ এন্টারপ্রাইজের নাম থাকলেও মুলত মামুন নামে এক ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দেয় এ কাজটি। এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক পটুয়াখালীর টাউন কালিকাপুরের মোঃ আজাদুল ইসলাম বলে জানা যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতুটির নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই নিম্মমানের নির্মাণ সামগ্রী,সিমেন্ট কম ব্যবহারসহ ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী কাজ না করার কারনে এমনটি হয়েছে। নির্মাণ কাজ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়রা প্রকৌশলী ও পৌর মেয়রের কাছে অভিযোগ করে আসলেও তারা এতে কর্ণপাত করেনি।
দোখাসীপাড়ার বাসিন্দা মান্নান বলেন, সেতুটির মাঝখানে কোন পিলার নেই। দুটি গার্ডারের ওপর সেতুটি নির্মণ করা হয়েছে, তাই ভেঙ্গে পড়েছে বলে তাদের ধারণা। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আঃ হালিম অভিযোগ করেন নির্মাণ কাজ শেষ হবার আগেই সেতুটি ভেঙ্গে পড়ায় গোটা কাজ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে এলাকাবাসীর।
সিপিপির লতাচাপলী ইউনিয়ন টিম লিডার মোঃ শফিকুল আলম বলেন, অপরিকল্পিত নকশা ও নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে তড়িঘড়ি করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ করার কারনে সেতুটি ভেঙ্গে পরেছে। তিনি বলেন, এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন ১ থেকে দেড় হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে থাকে। এই সেতু দিয়ে মিশ্রিপাড়া, লতাচাপলী, ধুলাসারসহ পায়রা বন্দরে যাতায়াত করে থাকে। দোখাসীপাড়া মাদ্রাসা ও মুসুল্লীয়াবাদ ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এখান দিয়ে চলাচল করে থাকে। সেতুটি ভেঙ্গে পরায় এখন এসব মানুষদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে।
এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মিজানুজ্জামান জানান, তিনি গত ২১ জুন ২০২১ কুয়াকাটা পৌরসভায় যোগদান করেছেন। সেতুর নির্মাণ কাজের বিষয়ে তার কিছুই জানা নেই। কি কারনে সেতুটি ভেঙ্গে পরেছে তা তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না। তদন্ত শেষে বলা যাবে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হচ্ছে।
প্রকল্প প্রকৌশলী মো.ফজলুর রহমানকে ০১৭১১২৪২৪১৫ নাম্বারে ফোন দিলে ফোন রিসিপ করার পর সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কথা না বলে কেটে দিয়ে বন্ধ করে রাখে।
এ ব্যাপারে কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, কুয়াকাটা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সেতুর নির্মাণ কাজ চলমান ছিল। নির্মাণ কাজ শেষ হবার আগেই কেন সেতুটি ভেঙ্গে পরেছে তা বলতে পারবেন এ প্রকল্পের প্রকৌশলীরা। তাদেরকে এ বিষয়ে জবাব দিহিতার জন্য বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে ।

1 2