কক্সবাজারে লকডাউনের প্রথম দিনটি ছিল জনমানব শূন্য, প্রশাসনের কঠোর অবস্থান

আনোয়ার সিকদার, কক্সবাজার;

 

কক্সবাজারের প্রবেশ পথ শহীদ এটিএম জাফর আলম চত্বর;…………………………ছবি- আনোয়ার সিকদার

আজ,০১/৭/২০২১ইং, বৃহস্পতিবার থেকে একটি কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। মহাসড়ক মানুষের শূন্য হয়ে পড়েছে। অফিস, আদালত, ব্যাংক, বীমা অফিস, মুদি দোকান বন্ধ রয়েছে। দেখা যায় দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ দেখা গেছে। বেসামরিক প্রশাসন এবং আইন প্রয়োগকারী বাহিনী, সেনাবাহিনী, সশস্ত্র পুলিশ এবং আনসার সদস্যরা লকডাউনে তাদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। কোনও শিথিলতা পরিলক্ষিত হয়নি। মার্কেট সহ সবকিছু নীরব ছিল।

আজ লকডাউনের প্রথম দিন। এটি একটি অর্থনৈতিক অচলাবস্থায় পরিণত হয়েছে। লোকেরা ঘর থেকে বেরোতে পারে না। দৈনন্দিন কাজ সম্পাদন করতে অক্ষম। যাতায়াতের সমস্ত রাস্তা বন্ধ করেদেওয়া হয়েছে। সাধারণ শ্রমজীবী ​​মানুষের অবস্থা ভাল নয়। সাধারণ মানুষ উদ্বেগ অবস্থায় রয়েছে। জরুরী বিভাগগুলি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ওষুধের দোকান, থানা, সংবাদপত্র অফিস, সাংবাদিক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান পাশাপাশি ব্যাংক এবং বীমা সংস্থাসহ লকডাউন থেকে মুক্ত। তবে কিছু জায়গায় লকডাউন অমান্যকারী এবং অকারণে বাইরে গিয়েছিলেন তাদের জরিমানা করা হয়েছে। এভাবে কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন শেষ হয়েছে।

নড়িয়া উপজেলায় স্কুলের সাবেক সভাপতির নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

নড়িয়া উপজেলা বিঝারী ইউনিয়নে পঞ্চপল্লী গুরুরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের মেইন ফটকের সৌজন্য লেখা নাম উঠিয়ে ফেলে দিয়েছে। প্রখ্যাত কবি ও গীতিকার ব্যারিস্টার অতুল প্রসাদ সেন এই স্কুলে প্রতিষ্ঠাতা এবং জমি দাতা । এই স্কুলটি কে টিকিয়ে রাখার জন্য সুন্দর করার জন্য হানিফ বেপারী ,রহমান হাওলাদার সহ অন্যেরা অনেক শ্রম ও আর্থিকভাবে সাহায্য সহযোগীতা করেছে । ২০১৫ ইংরেজি সাল থেকে ২০১৯ ইংরেজি সনে চার বছর পর পর দুই বার স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সৌদি প্রবাসী মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম ঢালী ।

অত্র স্কুলের সভাপতির দায়িত্ব কালে স্কুলের দক্ষিন পাশে দেয়াল নির্মান করা হয় ,স্কুলের মাঠে মাটি ভরাট করা হয়,স্কুলের চেয়ার টেবিল সহ মুল ফটকের স্কুলের নামকরন করেন। সেই সাথে সাংস্কৃতিক মন্ত্রী মহোদয় স্কুলে আসেন সেখানেও যাবতীয় খরচ সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম ঢালী বহন করেন ।

এই স্কুল টি ডিজিটাল করার জন্য সব ধরনের চেস্টা তিনি করেছেন। এই স্কুল টির পিছনে অন্তত বিশ লাখ টাকার মতো অনুদান দিয়েছেন,স্কুলের মেইন ফটকে তার নাম সৌজন্যে লিখেছেন গত শুক্রবার কে বা কাহারা এই নাম ভেংগে ফেলে দেয়। এ ব্যাপারে সাবেক দুইবারের সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন আমি যখন স্কুলের দায়িত্বভার বহন করেছি আমি চেষ্টা করেছি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে স্কুলের আধুনিকতা ও পড়াশুনার মান উন্নয়ন করতে তবে আমার নাম স্কুল থেকে কেউ যদি মুছে ফেলতে চায় এটা দুঃজনক ভবিষ্যৎতে আর কেউ নিজের অর্থ ব্যায় করে কাজ করবে না।

এ বিষয় বর্তমান সভাপতি আবুল বাসার হাওলাদার বলেন গত শুক্রবার কে বা কাহারা এই কাজ করেছে জানিনা ।

এ বিষয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন এই কাজ যারা করেছেন কাজটি ভালো করেননি আমি কমিটিকে জানিয়েছি তারা ব্যাবস্থা নিবেন। এ ব্যাপারে নরিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিস্বজিৎ বলেন এটা একটি ন্যাক্কারজনক কাজ এই ধরনের আচারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কখনওই সুফল বয়ে আনবেনা। এ ব্যাপারে নুরুল ইসলাম ঢালীর ভাই একটি অভিযোগ দিয়েছেন নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ।

এ বিষয উপজেলা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিশ্বজিৎ বলেন,এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে ব্যাবস্থা নিবো।

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আল নাসীফ (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, বিষটি নিয়ে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ এসেছিলো। আমি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বলেছি। তদন্ত কেউ দোষী প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

লকডাউনের প্রথমদিনে যাত্রী শূন্য মাওয়া ফেরি ঘাট

মুন্সিগঞ্জে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে ৩প্লাটুন সেনাবাহিনী ও দুই প্লাটুন বিজিবি সহ জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসন থেকে কড়াকড়ি অবস্থান নেওয়া হয়েছে। জেলার লৌহজং শিমুলিয়াঘাটের অভিমুখে দুটি চেকপোস্টে কাজ করছে পুলিশ ও বিজিবি। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘাটে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।এতে লকডাউনের প্রথমদিনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একেবারে যাত্রী শূন্য অবস্থায় রয়েছে শিমুলিয়াঘাট। তবে পনাবাহী গাড়ি পারাপারে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে ১৫টি ফেরি সচল রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডাব্লিউটিসি সূত্র।

বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাট সুপারভাইজার শাহাবুদ্দিন আহমেদ জানান,আজ সকাল (১ জুলাই) থেকে ১৫ টি ফেরি চলাচল করছে। এসব ফেরি দিয়ে শুধুমাত্র পণ্যবাহী ট্রাক, জরুরি ও অ্যাম্বুলেন্স পার করা হচ্ছে। সকাল থেকে যাত্রীদের উপস্থিতি নেই ঘাটে। ঘাট এলাকা বর্তমানে একবারে ফাঁকা।

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন জানান, সর্বাত্মক লকডাউনের নির্দেশনা মানার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। শিমুলিয়ামুখি গাড়ি রোধ করা হচ্ছে। তবে মহাসড়কে থেকে যানবাহন এবং যাত্রী নেই বললেই চলে।
মুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেবনাথ জানান, ভোর সকাল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের আওতায় সরকারি প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়নে মুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশ কাজ করছে। একাধিক চেকপোস্টে ও প্রতিটি থানায় গাড়িতে মাইক লাগিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিদের কেউ সাথে নিয়ে কাউন্সেলিং করা হচ্ছে বাজার এলাকায়।

এবিষয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল, লকডাউন বাস্তবায়নে জেলায় ৩প্লাটুন সেনাবাহিনী, ২প্লাটুন বিজিবি এবং র‍্যাবের কুইক রেসপন্স টিম হিসাবে কাজ করছে। প্রবেশ পথগুলোতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া আনসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইনক্লুড করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গ্রাম পর্যায় লকডাউন বাস্তবায়ন করবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মসজিদ ভিত্তিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। রোভারদের বাজার মনিটরিং কাজে লাগানো যায় কিনা চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সিরাজদিখানে নিমতলি এবং শিমুলিয়া ফেরিঘাটে এলাকায় ইতিমধ্যে বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।

লকডাউনে রাজধানীর রাস্তায় নীরবতা

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হয়েছে। রিকশা ছাড়া সব ধরনের যন্ত্রচালিত গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। খোলেনি মার্কেট ও দোকানপাট। লকডাউন বাস্তবায়নে আইনশৃংখলাবাহিনীর কড়াকড়িতে ঢাকার রাস্তাঘাট ফাঁকা দেখা গেছে। সড়কে পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনীর সদস্যদের টহল দিচ্ছেন।

রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। এসময় দেখা যায় সিএনজি অটোরিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি আটকিয়ে দিয়ে জেরা করছে। বাইরে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করছে তারা। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের এমন চিত্র দেখা যায়।

সড়কে জনসাধারণের উপস্থিতি নেই তেমন লক্ষ্য করা যায়নি। কোথাও কোথাও ব্যক্তিগত গাড়ি দেখা গেলেও সেই সংখ্যা একেবারেই কম। যদিও অলিগলিতে কিছু চায়ের ও মুদি দোকান খোলা রয়েছে। মুদি দোকানগুলো সার্টার অর্ধেক খোলা রেখে চলতে দেখা গেছে। কাঁচাবাজারগুলোতে ক্রেতা খুব একটা দেখা যায়নি।

সরকারি বিধিনিষেধ এবং মানুষের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, কোস্টগার্ড ও আনসার সদস্যরা। লক্ষ্য করা গেছে অন্য দিনের তুলনায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অতি জরুরি প্রয়োজনে ‘বিধিনিষেধের’ সময় বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না। পুলিশ জানিয়েছে, বিনা কারণে বাড়ির বাইরে গেলেই গ্রেফতার করা হবে।

উল্লেখ্য, বুধবার (৩০ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ২১টি শর্ত দিয়ে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় এ সময়ে জরুরি সেবা দেয়া দফতর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসররকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল দোকানপাট বন্ধ থাকবে। খোলা থাকবে শিল্প-কারখানা। জনসমাবেশ হয় এমন কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না।

তাপস কতটুকু ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন মানুষ তা জানে: সাঈদ খোকন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের সমালোচনা করে সংস্থাটির সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, ‘তাপস কতটুকু ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন এই শহরের মানুষ জানেন।

কত পার্সেন্ট ভোট পেয়েছেন তাও মানুষ জানে। যাই হোক ক্ষমতায় আছেন, মানুষের কাজ করেন। ব্যর্থতা ঢাকার জন্য আরেকজনের মাথায় কালিমা লেপন করে দেবেন ঢাকাবাসী এটা মেনে নেবে না।’

মঙ্গলবার (২৯ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাপসের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন সাঈদ খোকন।

তিনি বলেন, ‘নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে সীমাহীন বিদ্বেষ ও হয়রানিমূলক আচরণ করছেন তাপস। দুদকের এই কর্মকাণ্ড তাপসের প্ররোচনায় সংঘটিত হয়েছে। আমি আইনি মোকাবিলা করব এবং সাথে সাথে ঢাকাবাসীকে নিয়ে প্রয়োজনে আরেকবার সংগ্রাম করব।’

সাবেক এই মেয়র আরও বলেন, ‘ব্যাংক হিসাব জব্দ করার আগে দুর্নীতি দমন কমিশন আমার এবং আমার পরিবারের কোনো সদস্যকে কোনরূপ নোটিশ প্রদান না করে,

কোনো আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সরাসরি আদালতের মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এমন কর্মকাণ্ডে আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের মৌলিক এবং সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে।’

সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘তদন্ত করতে আমার এবং আমার পরিবারের কোনো আপত্তি নেই। দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করতেই পারে। কিন্তু একজন নাগরিক হিসেবে আমি কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা দেখতে চাই।

আপনারা জানেন, আমার পরিবার প্রায় এক শতাব্দী যাবৎ মানুষের সেবা করে আসছে। আপনারা জানেন ঢাকার শেষ সরদার আলহাজ্ব মাজেদ সরদার তার মেয়ে আমার মা ফাতেমা হানিফ।

তার ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার মাধ্যমে আমার বৃদ্ধ মাকে হয়রানিমূলক আচরণের শিকার হতে হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। সন্দেহের বশবর্তী হয়ে একজন সম্মানিত মানুষের সম্মান ক্ষুণ্ন করা কোনোদিন কাম্য হতে পারে না।’

ব্যবসা-বাণিজ্য করলে এই শহরের অন্যতম ধনী হতে পারতেন দাবি করে সাঈদ খোকন বলেন, ‘১৯৮৭ সালে তৎকালীন ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একজন সম্পাদক হিসেবে রাজনীতি শুরু।

এ শহরের মানুষের জন্য দীর্ঘ ৩৩ বছরের রাজনীতি করেছি। মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে বিরোধীদলে থাকা অবস্থায় রাজপথে ছিলাম।

মামলা খেয়েছি। কিন্তু রাজপথ ছাড়ি নাই। তবে কি আজকের এই অবস্থার দেখার জন্য? জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন
রাখতে চাই, আপনারা বিবেচনা করবেন।’

সূত্রঃ কালেরকন্ঠ,